বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত একদিন সুইচ গেটে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে এসেছি ।বেশ কিছুদিন আগে হাসবেন্ড ও মেয়ের সঙ্গে সুইচগেট ঘুরতে গিয়েছিলাম ।এর আগে আমার মাকে নিয়ে একদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম।এমনিতেই সুইচ গেটে তখন প্রচুর পরিমাণে পানি ছিল। নতুন সুইচ গেট ওপেন হওয়ায় শহরের সব লোকের অনেক ভিড় ছিল। তবে এমনিতেই নদীর পাড়ে এরকম জায়গায় বসে থাকতে বেশ ভালই লাগে ।দারুন সময় উপভোগ করা যায়। আর সেদিন কের বিকেলটা ছিল চমৎকার ।আকাশটা ছিল দেখার মত সুন্দর ।যাইহোক সেই অনুভূতি এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

আবারো একদিন সুইচ গেট থেকে ঘুরে আসা

---

আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয় সুইচগেট ।আবার একেবারে কাছেও নয় ।রিক্সায় করে যেতে পনেরো থেকে বিশ মিনিট লাগে সম্ভবত। যাই হোক আমরা বিকেল বেলায় সেখানে গিয়েছিলাম ।যাবার পর দেখলাম লোকজনে একদম ভরপুর। আর সেদিনকার আকাশটা সত্যিই চমৎকার ছিল ।দূরে মনে হচ্ছিল যেন রংধনু উঠেছে ।দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল ।তারপর আমরা কিছু সময় পানি দেখলাম ।তারপর নদীর মধ্যে অনেকটা জায়গা পাকা করা সেখানে যেয়ে বসলাম।

এই জায়গাটা নতুন করেছে, দুই পাশে নদী মাঝখানে দীর্ঘ পথ পাকা রাস্তার মতো করেছে ।জায়গাটা সত্যিই চমৎকার। অসংখ্য লোকজন সেখানে বসে ছিল ।আমরাও এক পাশে বসলাম। তবে বসার আগে আমরা সেখান থেকে পাপড় ভাজা, পেঁয়াজু এগুলো কিনে নিয়ে বসেছিলাম ।নদীর পাড়ে বসে বসে এগুলো খেতে বেশ ভালো লাগছিল।

---

নদীর পাড়ে বসে গরম গরম পেঁয়াজু এবং গরম গরম পাপড় ভাজা খেতে এক অন্যরকম অনুভূতি ।যদিও এভাবে এর আগে কখনো আমার খাওয়া হয়নি। এই প্রথম খেয়েছিলাম। তবে বেশ ভালই লেগেছিল ।আর আবহাওয়াটা বেশ চমৎকার ছিল। খুব একটা গরম ছিল না যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল ।নদীর পাড়ে প্রচুর বাতাস ছিল। আমরা সেখানে বসে গল্প করছিলাম আর এগুলো খাচ্ছিলাম। তারপর সন্ধ্যা হয়ে আসলো ।মেয়ের বাবা নামাজে গেল। তখন আমি আর মেয়ে একা একাই নদীর পাড়ে বসে ছিলাম ।যদিও আমাদের আশেপাশে অসংখ্য লোকজন ছিল।

---

যাবার আগে মেয়ের বাবা আমার হাতে একটি কুলফি আইসক্রিম ধরিয়ে দিয়ে গেল বসে বসে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য ।কুলফি আইসক্রিম খেতে এমনিতেই ভালো লাগে ।আর ওরকম পরিবেশে খেতে আরো বেশি চমৎকার লেগেছিল ।তারপর বেশ কিছু সময় আমি আর মেয়ে ওখানে বসে তার বাবার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম ।সন্ধ্যার পর তার বাবা এলো তখন অন্ধকার হয়ে এসেছে ।আমরা আরো কিছুক্ষণ ওখান দিয়ে হাটাহাটি করার পর বাসার জন্য হাঁটতে শুরু করলাম।

---

আমরা হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম নদীর পাড়ে একজন লোক মাইকেল জ্যাকসনের ড্রেস পরে বেশ লাইটিং করা একটি ভ্যানে করে চানাচুর মাখা বিক্রি করছে ।এর মাঝে মাঝে ডান্স করছে। অনেকটা মাইকেল জ্যাকসনের মত হুবহু শিখেছে। মনে হচ্ছে যেন সত্যি সত্যি মাইকেল জ্যাকসন রাস্তার পাশে ডান্স করছে ।যেহেতু তার ড্রেসটা হুবহু তার মত ছিল এবং ডান্স টাও পুরোপুরি সেরকমই ছিল এবং তার চেহারাটা অনেকটা মিল লাগছিল ।সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেন সত্যি সত্যি মাইকেল জ্যাকসনের ডান্স দেখছি। যাইহোক আমরা চানাচুর মাখা খেতে খেতে তার ডান্স উপভোগ করলাম। সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল ।তারপর একটি রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

---

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy