বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত একদিন বোনের সঙ্গে ঢাকার বেইলী রোডের ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসার অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছি ।বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম ।তখন আমার বোনের বাসায় বেশ কিছুদিন ছিলাম, সঙ্গে আমার মেয়ে ও আমার আম্মা ছিল ।সে কয়েকদিন আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করেছি। একদিন সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সন্ধ্যার পর বাইরে খেতে যাব। তখন বেইলি রোডে ভূতের আড্ডা নামক একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। আপুর বাসা থেকে খুব কাছে ছিল ।যেহেতু ওই রেস্টুরেন্টে আপুরা এর আগে যায়নি যার কারণে ওখানে যাওয়া হয়েছিল।নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। যাই হোক সে অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।

---

বোনের সঙ্গে বেইলী রোডের ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টে একদিন

---

---

যেহেতু সবার কাছেই নতুন রেস্টুরেন্টটি। তাই সবাই চিন্তা করছিলাম না জানি এদের খাবার কেমন হবে ,পরিবেশ কেমন হবে। তবে ওখানে যাবার পর দেখলাম বেশ বড় এরিয়া নিয়ে রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত এবং লোকজনে একদম ভরপুর ছিল। তারপর আমরা সুবিধামত জায়গায় বসলাম। ওয়েটারকে ডেকে ম্যেনু কার্ড দেখে আমাদের পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার করলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর খাবার সার্ভ করল।

---

যেহেতু রেস্টুরেন্টের নাম ভূতের আড্ডা তাই আমার মেয়ে এবং আপুর ছেলে দুজনেই চিন্তা করছিল মনে হয় এখানে ভূত আসবে। তাদের আগ্রহ মূলত ওটার দিকেই ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই হয়নি।

---

প্রথমে থাই স্যুপ পরিবেশন করল । খেতে বেশ মজার ছিল ।তাতে চিকেন ছিল পর্যাপ্ত ,মাশরুম ছিল, চিংড়ি ছিল। খেতে খুবই মজার ছিল। যদিও বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের স্যুপ গুলো খেতে একই লাগে ।তবে এদের সুপের মধ্যে আলাদা কোন নতুনত্ব খুঁজে পাইনি।

---

তারপর ক্যাসনেট সালাদ পরিবেশন করলো। এটি খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এর আগে আমি ফরিদপুরের রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েছিলাম। তবে এখানের টি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। আমাদের ফরিদপুরের থেকে সম্পূর্ণ ডিফারেন্ট লেগেছিল আমার কাছে । বেশ মজা করে আমরা সবাই এটি খেয়েছিলাম।

---

তারপর ফ্রাইড রাইস, সিজলিং পরিবেশন করল। ফ্রাইড রাইসটা বেশ ভালই ছিল । এদের সিজলিং খেতে খুবই চমৎকার ছিল। তবে আমাদের ফরিদপুরের সঙ্গে যথেষ্ট মিল খুঁজে পেলাম। আমার কাছে এটি বেশ ভালই লাগে ।যে কোন রেস্টুরেন্টে গেলেই আমি অর্ডার করি ।এটি রাইসের সঙ্গে খেতে চমৎকার লাগে।

---

তারপর একটা প্রন কারি অর্ডার করা হয়েছিল। যদিও এটা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না ।রেস্টুরেন্টের প্রণ কারি আমার কাছে কেমন যেন গন্ধ লাগে। যাই হোক ভাইয়ার পছন্দ ছিল যার কারণে অর্ডার করা হয়েছিল ।তবে খেয়ে দেখেছিলাম মোটামুটি ছিল। সব মিলিয়ে সেদিনকার সময়টা বেশ ভালো কেটেছিল। আসলে পরিবারের সবাই মিলে এক জায়গায় গেলে অন্যরকম একটা আনন্দ পাওয়া যায়, আর সঙ্গে আম্মা ছিল যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল ।কেননা আমরা সাধারণত রেস্টুরেন্ট গুলোতে যাই, যেখানে আমার সঙ্গে যাওয়া হয়ে ওঠে না ।সেবার কিন্তু আম্মার সঙ্গে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেছিল। বেশ ভালো সময় কাটিয়ে ছিলাম আমরা।

---

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy