তোমাকে পাওয়ার ইচ্ছা (পার্ট ১)

in hive-129948 •  2 months ago 

IMG_20240709_084819_389.jpg
#তোমাকেপাওয়ারইচ্ছা(part : 1)
.
.
.
পাত্রী দেখতে এসে সবার সামনে ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিয়েছে নাইম । আর ঘটনার আকস্মিকতায় তাবাসসুম যেন সকল ইন্দ্রিয় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। হঠাৎ হুস ফিরলে তাবাসসুম নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু নাইমের সাথে সে কিছুতেই পেরে উঠছে না। শেষে না পেরে কান্না করে দিলো। কিন্তু নাইমের এমন কান্ডে কেউ কিছুই বুঝতে পারলো না। নাইম তাবাসসুমকে ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে সোফায় বসে পরলো যেন কিছুই হয়নি একটু আগে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে নাইম বলে উঠলো,

নাইম : এভাবে তাকানোর কিছুই নেই। আমার হবু বউকে টাচ করার আমার পুরো অধিকার আছে। আর দুনিয়া উলটে গেলেও আমি তাবাসসুমকেই বিয়ে করবো। তাই আশা করি কেউ কিছু ভাববে না!

সবাই এখনো অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। যেন বিষয়টা তারা বুঝতেই পারছে না। তাবাসসুম প্রথমে কিছু না বললেও এখন সে চুপ থাকতে পারছে না। এগিয়ে গিয়ে নাইমকে থাপ্পড় মারার জন্য হাত তুলতেই নাইম ধরে ফেলে।

নাইম : একদম না বউ। বিয়ের পর যা খুশি করো এখন না। আর এই হাত দিয়ে আমাকে শুধু আদর করবে। মারামারি কেন?

তাবাসসুম : আপনি ভাবলেন কি করে আমি আপনাকে বিয়ে করবো! যে কিনা মেয়ে দেখতে এসে সবার সামনে পাত্রীকে চুমু দিয়ে বসে।

নাইম : চুমু না দিলে বিয়ে করতে?(তাচ্ছিল্যতার সুরে)

তাবাসসুম : (নিশ্চুপ)

নাইমের কান্ডে কেউ খুশি হোক আর না হোক তাবাসসুমের বাবা হাসান সাহেব হেব্বি খুশি। কারন সে সবসময় এমন মেয়ের জামাই খুঁজেছে যে সবসময় নিজের ভালোবাসাকেই প্রায়োরিটি দেবে, কে কি ভাবলো তা নিয়ে ভাববে না। যেমন টা সে নিজে,,, নিজের বউকে তুলে এনে বিয়ে করেছিলেন। এখন উনি একি ঘটনা পুনরায় ঘটতে দেখে বেশ মজা পাচ্ছেন বলেই মনে হয়,,,যা নাইমের চোখ এড়ায় নি।

নাইম: আশা করি কারো কোনো আপত্তি নেই!

তাবাসসুম :(ভ্রু কুচকে) আপত্তি নেই মানে?? অবশ্যই আপত্তি আছে। আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।

নাইম : আমি কি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, না তোমার মতামত চেয়েছি??(ভাব নিয়ে)

তাবাসসুম :(অবাক হয়ে) মানে কি?? আমার বিয়ে আমার মত নিবেন না!

নাইম : আমি প্রয়োজনবোধ করছি না।(পায়ের উপর পা তুলে)

হাসান সাহেব:(গম্ভীর ভাবে) আমি নাইমের সাথে আলাদা কথা বলতে চাই! নাইম তুমি আমার সাথে এসো।

নাইম : জি অবশ্যই।

বলেই হাসান সাহেব নাইমকে নিয়ে তার স্টাডি রুমে চলে গেলেন। আর তাবাসসুম তো মনে মনে সেই খুশি। কেননা সে তার বাবাকে যতদূর জানে এই ঘটনার পর সে কিছুতেই এই বিয়ে হতে দেবে না। এমনিতেই যত প্রোপজাল এসেছে তার বেশিরভাগ সম্পত্তির লোভে পড়ে। তাবাসসুম কখনোই চায় না তাকে কেউ সম্পত্তির জন্য বিয়ে করুক! কিন্তু তাই বলে কখনো ভাবে নি তাকে কেউ এভাবে ধরে চুমু দিয়ে বসবে,,,, কেননা তার সাথে কথা বলতেও যেখানে ছেলেদের পা কাঁপে।
.
.
প্রায় দু ঘন্টা পর নাইম বের হয় সাথে হাসান সাহেব। তাদের দেখে মনে হচ্ছে যা হবার ছিল তাই হয়েছে। দুজনেই ভাবলেশহীন ভাবে বের হলো আর হাসান সাহেব তাবাসসুমকে অবাক করে দিয়ে সুন্দর করে বিয়ের দিনক্ষন সব বলে দিলো।

তাবাসসুম : বাবা! তুমি সত্যি চাও এই বিয়ে হোক?? মানে!! এই লোকটা সবার সামনে আমাকে চুমু দিয়েছে, আর তুমি এমন ভাব করছো যেন কিছুই হয়নি।(কাঁদোকাঁদো মুখ করে)

বাবা: আহ হা!! তাবাসসুম এই লোকটা কি? তোমার হবু স্বামী হয়তো। আর ও তো শুধু চুমুই দিয়েছে, কামড়ে তো দেয় নি!

তাবাসসুম : বাবা!!!

এবার তাবাসসুম লজ্জায় যেন কুকিয়ে যাচ্ছে। তার নিজের বাবা তাকে এভাবে লজ্জা দেয়। ভাবা যায়! নাইম ও কম যায়না, আড়চোখে তাবাসসুম কে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। তাবাসসুমতো পারে না নাইমকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। নাইমের বাবা হাসান সাহেব এর সাথে কথা বলে বিয়ের তারিখ ঠিক করলেন। তিনি এতোক্ষন নিরব দর্শকের মতো ছিলেন, যেনো তিনি আগে থেকেই জানতেন কি ঘটবে।
.
.
নাইম আর তার পরিবার বেরিয়ে যেতেই শুরু হয় ঘরে তুফান। তাবাসসুম হাতের কাছে যা পাচ্ছে তাই ভাঙছে। তবু যেন রাগ কমার নামই নেই। বাবাকে সে কত কিছু যে বলেছে তার ইয়াত্তা নেই। হাসান সাহেব মেয়ের রাগ সম্পর্কএ জানেন তাই আর কথা বাড়ায় নি। কারন এখন বলেও কোন লাভ নেই।
.
.
আজ বহুদিন পর নাইম প্রান খুলে হাসছে। যেন অপ্রত্যাশিত কিছু পেয়ে গেছে। তার খুশির বাধ ভেঙে গেছে। আর তার খুশিতে তার পুরো পরিবার খুশি।
,
,
এবার দেখা যাক কেন নাইম এতো খুশি আর তাবাসসুম এতো রাগ.....

🍀

দুই বছর আগে,,,,,,

তাবাসসুম কাঠফাটা রোদে শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে কারো অপেক্ষায়।
,,
,,

[ কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন লেখা ভালো লাগলে পার্ট ২ নিয়ে আসবো ]

– ভুল হলে মাফ করে দিবেন....!🥰 ]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!