তালের পিঠা রেসিপি

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা অনেকদিন আগের বলতে গেলে মাসখানিক আগের। এটি তালের পিঠার রেসিপি, মাঝে একবার বলেছিলাম যে কেক আর পায়েস করার পরে পিঠা একবার করবো বাড়িতে, তাই এই পিঠা করা হয়েছিল। এটি যদিও মা করেছে পুরোটা। তালের পিঠা খেতে আসলেই খুবই সুন্দর লাগে, শুধু তাল বললে ভুল হবে, আমার কাছে মূলত তেলের পিঠা অনেক স্বাদের লাগে, তবে খুব তেল থাকে, সেই ভয়ে এখন বেশি খেতেও ইচ্ছা হয় না। তালের পিঠা মূলত করার ইচ্ছা ছিল বিভিন্ন ভাবে, যেমন লাভ, তারা পিঠা আর গোল একধরণের পিঠা আর সেই হিসেবে কিছু সাঁচও কিনেছিলাম। তবে সেই সাঁচ সেইভাবেই পড়ে আছে, করাই হয়নি, আসলে অনলাইন-এ অনেকদিন আগে কিনেছিলাম আর সেইভাবে প্যাক করে ফেলানো ছিল, আর শেষে করার দিনই ঠিক করে আমারও মনে ছিল না আর মায়েরও মনে ছিল না। তালের পিঠাগুলো বেশ ফুলকো ফুলকো হয়েছিল আর খেতেও বেশ মজার হয়েছিল। আর এখন আবার শীতকাল এসে যাচ্ছে, হবে আবার নানানধরণের পিঠা। তবে বাড়িতে শীতকালীন কোনো পিঠা বিগত কয়েক বছর করা হয় না, এইবার কিছু করতে বলতে হবে। যাইহোক, এই তালের পিঠা কিভাবে তৈরি করা হয়েছিল সেটার প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

დউপকরণ
পরিমাণდ
তাল
১ টি
সুজি
পরিমাণমতো
চিনি
পরিমাণমতো
গুঁড়ো দুধ
১ প্যাকেট
ময়দা
পরিমাণমতো
লবন
১ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো


তাল, সুজি, চিনি


গুঁড়ো দুধ, ময়দা, লবন, সরিষার তেল


❣এখন পিঠা তৈরির ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরা হলো---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


➤পাকা তালের খোসা ছাড়িয়ে প্রথমে আঁটিগুলো বের করে নেওয়া হয়েছিল এবং পরে তার থেকে রস ভালো করে বের করে নেওয়া হয়েছিল।

➤তালের রস বের করে নেওয়া হয়ে গেলে পাত্রে করে রস কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরপর সেটি একটি পাত্রে ঢেলে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তার আগে অর্থাৎ শুরুতে সুজি ঘন্টাখানিক জলে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল। চিনি যতটুকু নেওয়া হয়েছিল সেটি গুঁড়ো করে নেওয়া হয়েছিল।

➤যে সুজি ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল তাতে গুঁড়ো দুধ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং পরে তাতে ময়দা যোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

➤ময়দা দেওয়ার পরে তাতে জ্বালিয়ে রাখা তালের রস দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সাথে লবন একটু দেওয়া হয়েছিল।সব উপকরণ দেওয়ার পরে একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়া হয়েছিল।

➤এরপর কড়াই চুলায় বসিয়ে দেওয়ার পরে তেল দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তেল গরম করে নেওয়ার পরে তাতে পিঠার সাইজ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

➤পিঠা ভালোভাবে সব একইভাবে তৈরি করে করে একটি পাত্রে তুলে রাখা হয়েছিল।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আন্টির হাতের তালের পিঠা নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজাদার ছিল দাদা। আন্টির হাতের মজার মজার রেসিপি দেখলে আমার তো ইচ্ছে করে খেয়ে নিতে সাথে সাথে। আন্টি কিন্তু বেশ মজা করে সবকিছু রান্না করতে পারে বলে আমার মনে হয়। এই সম্পূর্ণ রেসিপিটা তিনি নিজের হাতে তৈরি করেছেন, এটা নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছিল খেতে। তালের সিজনে তালের পিঠা তৈরি করলে সবাই অনেক মজা করে খায়। আর এটা বেশিরভাগ মানুষের খুবই পছন্দের। বিশেষ করে আমার সব থেকে বেশি পছন্দের। আমি এমনিতে সব রকমের পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করি। তবে তেলেভাজা যে কোন পিঠা খাওয়ার সময়, টিস্যু পেপার দিয়ে ভালোভাবে তেলগুলো চেকে নিয়ে তারপরে খেয়ে থাকি। এই সময়টাতে তালের পিঠা রেসিপি টা দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা এই অকালে তাল কোথায় পেলেন? যাই হোক আমারো তেলে ভাজা পিঠেই ভাল লাগে। সাচ গুলোর জন্য দু:খ হচ্ছে।বেচারারা নিষ্কর্মা পড়ে আছে। তবে সামনে শীত আসছে ওদের কাজের লাগার দিন চলে এসেছে প্রায়। ধন্যবাদ দাদা মজার তালের পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা এই অকালে তাল কোথায় পেলেন?

এটা তো এক মাসে আগের কথা।😅

তালের পিঠা আমার খুব পছন্দের। বিকেলবেলা গরম গরম তেলেভাজা পিঠাগুলো খেতে ভালোই লাগে। এই তালের পিঠাগুলোর মধ্যে নারকেল দিলে খেতে আরও বেশি সুস্বাদু হয়ে। আপনার পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

  ·  last year (edited)

দাদা আপনার তালের পিঠা রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সত্যি দাদা তেলের পিঠা গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি ও মাঝে মাঝে এই পিঠা বানাই। তবে আমি আবার এর ভিতরে নারকেল দিই। ধন্যবাদ দাদা সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনি আজকে তালের পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখে আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। আমার কাছে কিন্তু তালের পিঠা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার মত আমিও তেলে ভাজা সব রকমের পিঠা অনেক বেশি পছন্দ করি খেতে। আপনার তৈরি করা এই পিঠা দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই কয়েকটা পিঠা তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি। আমরা দু-একবার তৈরি করেছিলাম তালের পিঠা এ বছর, তবে বেশি তৈরি করা হয়নি। এখন কিন্তু আস্তে আস্তে শীত চলে আসতেছে, আর এই সময়টাতে অনেক মজার মজার পিঠা তৈরি করা হবে। যা ভাবতেই আমার অনেক বেশি লোভ লেগে যাচ্ছে। আর তালের পিঠাগুলো দেখেই বুঝতে পারছি অনেক বেশি ফুলকো ফুলকো হয়েছিল আর খুবই মজা করে খেয়েছিলেন। উপস্থাপনার মাধ্যমে তালের পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ইস দাদা আবারও তাল সামনে। বেশ কিছুদিন ধরেই তালের বড়া খেতে খুব ইচ্ছে করছে। আজকে আমার একটা ভাবিকে বললাম যে তাল পাওয়া যায় না। আমার কথা শুনে তিনি মুচকি হাসি দিলেন। বুঝতে বাকি রইলো না তাল নেই। আপনি চমৎকার ভাবে তালে পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। তৈরি ধাপ গুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

তেলের পিঠা খেতে পারেনি তেমন। তবে তালের পিঠা হলে ভিন্ন কথা। তালের গন্ধটাই ভালো লাগার মতো। খেতেও ভালো লাগে। সামনে শীত আসছে, হরেক রকমের পিঠাও পাওয়া যাবে দাদা। আপনি সুন্দর করে দেখিয়েছেন তালের পিঠা তৈরিটি

বাহ্! বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। আন্টি তো চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দাদা আপনার মতো আমারও তেলের পিঠা খুব পছন্দ। তবে গরম গরম তেলের পিঠা খাওয়ার সময় আমি টিস্যু দিয়ে পেঁচিয়ে রাখি অনেকক্ষণ, যাতে করে তেল কমে যায় পিঠা থেকে। যাইহোক তালের পিঠা বেশ মজা করে খেয়েছেন মনে হচ্ছে দাদা। রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনার তালের পিঠা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না আর মায়ের হাতের যে কোন রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। অনলাইন থেকে পিঠা বানানোর সাচ দিয়ে পিঠা বানানোর ইচ্ছে ছিল আপনার যদিও করতে পারেননি মনে ছিল না জন্য । তবে নেক্সট টাইমে আমরা দেখতে পারবো আশা রাখি। পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

তালের পিঠা সকাল সকাল দেখে ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে।আপনার মতো আমার ও তেলের পিঠা ভীষণ পছন্দ। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কম খাওয়ারই চেষ্টা করি।তালের পিঠাতে আমি কলা দেই।আপনি দুধ ইউজ করলেন।খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল বুঝতে পারছি। আর দাদা সাজ দিয়ে তালের পিঠা সুন্দর হবে না।কারন মিশ্রনটা নরম থাকে।তাই এই তালের পিঠা গোল গোল আকৃতির হলেই বেশী ভালো লাগে। সাজ দিয়ে সুজি আর বুটের হালুয়া নকশা করবেন।ভীষণ ভালো লাগবে দেখতে।ধন্যবাদ দাদা মজার এই পিঠা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

জী দাদা মাস খানেক আগে আপনার দুইটি পোষ্ট পেয়েছিলাম তাল সম্পর্কে। সেখানে একটি ছিল সুস্বাদু তালের পায়েস আরেকটি ছিল তালের কেক। দুইটি রেসিপিই দারুন ছিল। তখন বলেছিলেন আপনার মা তাল দিয়ে পিঠা বানিয়ে ছিল। সেই পিঠার রেসিপি আজকে দেখতে পেলাম। দাদা অনলাইনে এবং অফলাইনে পিঠা বানানোর সাঁচ পাওয়া যায়। এই ইদানিং কালে কয়েক বছর হয়েছে বের হয়ছে। সেই সাঁচ গুলো আপনি অনলাইন থেকে কিনে রেখে দিলেন। এখন পর্যন্ত একদিনও ব্যবহার করলেন না। আমিও আপনার মত কিছু সাঁচ কিনেছিলাম। কিন্তুু আমি কিনেছিলাম অফলাইন থেকে। একদিন অফিস থেকে বাসায় যাচ্ছি তখন রাস্তার পাশে দেখলাম অনেক সুন্দর সুন্দর পিঠা বানানোর সাঁচ বিক্রয় করছে। তখন কিনে নিয়েছিলাম। তবে হাঁসির কথা হলো আমিও সে গুলো এখনও ব্যবহার করি নি,হে হে হে। আপনার সাথে আমার মিল আছে। কিনেই আমাদের দায়িত্ব শেষ। ব্যবহার করার মত সময় নেয়। দাদা যদি সাঁচ গুলো দিয়ে পিঠা বানাতেন তাহলে অনেক সুন্দর দেখা যেত। তারপরও এখন যে আপনার আম্মু পিঠা গুলো বানিয়েছে সে গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে ডুবো তেলে পিঠা গুলো ভাজা হয়েছে। তালের পিঠা গুলো খেতে একটু তেল তেল লাগলেও খেতে কিন্তুু দারুন লাগে। ধন্যবাদ দাদা।

মাসিমার হাতে তৈরি করা তাল পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে দাদা। সত্যি দাদা মাসিমার হাতে তৈরি পিঠাগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনি সেরা রাধুনী মায়ের সন্তান বলেই এত সুন্দর রান্না করেন। আর আপনার রেসিপিগুলো সব সময় ভালো লাগে। তবে দাদা যাই বলুন না কেন মায়ের হাতের রান্না সব সময় পারফেক্ট হয়। আর যদি পিঠা হয় তাহলে তো কথাই নেই। তাল দিয়ে তৈরি করা পায়েস কিংবা অন্য কোন খাবারের চেয়ে তালের পিঠা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। আর শীতের সময় এই পিঠাগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। পিঠা বানানোর জন্য আজকাল বিভিন্ন রকমের সাজ কিনতে পাওয়া যায়। আর সেগুলো দিয়ে পিঠা বানালেও দেখতে অনেক ভালো লাগে। তবে মাসিমার হাতে তৈরি করা ফুলকো ফুলকো পিঠাগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে দাদা। আসলে এই পিঠাগুলো ভাজতে তেল অনেকটা বেশি লাগে। আর এই পিঠাগুলো তাই খুব কম খাওয়া হয়। কারণ বর্তমানে তেল খাওয়া অনেক বেশি ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাই হোক দাদা মাঝে মাঝে এরকম মজার মজার খাবার খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।