হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'নিকষ ছায়া' নামের একটি নতুন ওয়েব সিরিজ রিভিউ দেব। এই সিরিজের প্রথম পর্বের নাম হলো "আবাহন"। এই সিরিজটির কাহিনী মূলত একটি ভূত-পিশাচ এই ধরণের ক্যাটাগরির মাধ্যমে তৈরি। তাহলে দেখা যাক এই পর্বের কাহিনীটা কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
প্রথমত দেখা যায় একটি ভয়ানক জঙ্গলে মাঝ রাতের দিকে একটি মেয়ে একা একা ভয়ে ভয়ে সেখান থেকে পাস করতে থাকে, কিন্তু সে যেভাবে দুলতে দুলতে আসছিলো, তাতে মনে হলো নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আসছে । ওখানে কিছুদূর যেতেই দেখে যে ওখানে একটি মেয়ে মরে পড়ে আছে এবং তাও আবার অনেক বিশ্রী ভাবে। যেন মনে হচ্ছে কোনো হিংস্র জন্তু-জানোয়ার মেরে তার শরীরের আংশিক টেনে ছিড়ে বের করে নিয়ে এসেছে। এরপর ওখানে মেয়েটি আরো ভয়ে নিচে পড়ে গিয়ে চিৎকার-কান্নাকাটি করতে থাকে আর তখনই পিছন দিক থেকে পিশাচের মতো একজন চলে আসে। এরপর তাকে সেখান থেকে টেনে নিয়ে চলে যায় জঙ্গলের ভিতরে। এখানে চিরঞ্জিত একজন বড়ো তান্ত্রিক আছে, সে মূলত এই বিষয়গুলোর সাথে মোটামুটি পরিচিত আছে আর কি। একদিন রাতের দিকে তার দরোজার সামনে দুটি বাচ্চা ছেলে-মেয়ে এসে তাকে বলতে লাগে যে, ওকে বাঁচাও, ওকে বাঁচাও!
ছেলে-মেয়ে দুটিও জীবিত নয়, তাদের আত্মা এসে যেন তার সাথে কথা বলতে থাকে, মূলত তাদের চেহারা দেখে সেটাই মনে হলো। এদিকে আবার কিছু ঘটনা ঘটেছে নীলগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল থেকে। সেখানে থেকে নাকি আবার মৃত দেহ কেউ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, পুলিশ সূত্রে যেটা জানায় আর কি। এই কেসের দায়িত্বে আবার যে অফিসার আছে, তার এক বন্ধু সেই হসপিটালের ডাক্তার। তবে সেখানে আসলে অনেকে বলাবলি করতে লাগে যে, আত্মা এসে লাশ নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে যে ওয়ার্ড বয় আছে অর্থাৎ মর্গ এর লাশ দেখাশোনার দায়িত্বে যে আছে। তো ওখানে ওই লোকটা আবার সব সময় রাতের দিকে নেশা করে বসে থাকে বা সব সময় খেতেই থাকে ডিউটিতে। তো একদিন ওখানে তার মর্গে কয়েকটি লাশ ছিল এবং সে শুনতে পায় যে একজন ঘুমানোর মতো যেমন নাক ডাকে, তেমন করছে। এইরকম ফিল করছে সে আবার।
এখন ওই রাতেই আবার সেই আত্মা বা পিশাচ আসে ওখানে আর ওই লাশ নিয়ে চলে যায় আর ওই লোকটা বেহুশ হয়ে নিচে পড়ে থাকে। এরপর তাকে কেবিনে ভর্তি করানো হয় জ্ঞান আসা পর্যন্ত। এরপর পুলিশ গিয়ে তার কাছে ঘটনা জিজ্ঞাসা করলে এইসব বলে। তবে এইটা অনেকের আবার বিশ্বাস হচ্ছিলো না। কিন্তু ওখানে যে ডক্টর ছিল আর যে অফিসার তারা একসময় এইরকম একটা গল্পের মতো পড়েছিল আর বিষয়টা এখন একদম সেইরকম মিলে যাচ্ছে। ফলে এখানে একটা কিছু গিলটি হচ্ছে। এরপর আরো একটা বিষয় দেখা যায় যে, ওখানে মূলত যে মেয়েটিকে জঙ্গল থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো, তাকে একটা তান্ত্রিকের ওখানে দেখা যায়, যেখানে তাকে বেঁধে রেখেছে। হয়তো বলি কিছু একটা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। এদিকে যে, চিরঞ্জিত নামের একজন বড়ো তান্ত্রিক ছিল, তার ঘরের দরজায় বাইরের থেকে কিছু একটা ঢিল মারার মতো শব্দ হয়, গিয়ে দেখে একটি মৃত কাক বা কোনো পাখি পড়ে আসে। কিন্তু দরজার গায়ে রক্ত লেগে আছে। চিরঞ্জিত বুঝতে পারে যে, ওটা পাখি হলেও ওর মাধ্যমে কেউ সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করছে।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই সিরিজটা একটা মিথোলজিকাল হরর বিষয় কেন্দ্রিক। এখানে আসলে বিষয়টা যেটা বোঝা গেলো যে, একটা ছায়া যে কিনা মৃত দেহগুলো গায়েব করে দিচ্ছে। সেটা হাসপাতাল হোক, মর্গ হোক বা স্মশান বা কবর স্থান হোক। সব জায়গার থেকে গায়েব করে দিচ্ছে। তবে যেটা মনে হলো যে, ওখানে যে মেয়েটিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো, এইগুলো তার কার্যধারা। এখন চিরঞ্জিত ওই অফিসারকে বলে যে, এইসব জায়গাগুলোতে সিকিউরিটি বাড়িয়ে দিতে। তাহলে বোঝা যাবে যে কিভাবে কি হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনাটা যেহেতু একটা ছায়ার মতো আত্মা রূপে করছে, সেক্ষেত্রে সিকিউরিটি দিয়ে তেমন কিছু হবে না। তবুও বিষয়টা দেখা যাবে কি হচ্ছে।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৭.৫/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাদুড়ি সমগ্রের গল্প। আমি পড়েছি সব কটাই৷ পর্ণশবরীর শাপটা দেখেছিলাম কিন্তু গল্পের উত্তেজনা অনেক বেশি৷ এবার তো হইচইতে অনেক কিছু এনলিস্টেড হয়েছে৷ একেবাবুটা দেখলাম৷ নিকষছায়া এখনও শুরু করিনি৷ আপনার রিভিউ পড়ে তো বেশ ভালো লাগছে। দেখব আজ কালের মধ্যেই৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে 'নিকষ ছায়া' নামের একটি নতুন ওয়েব সিরিজ রিভিউ দিলেন। এই সিরিজ হরর নামটা দেখেই বুঝতে পেরেছি।আমি আবার এ ধরনের হরর সিরিজ এভোয়েড করি।কারন আমি একা থাকলে তখন ভয় লাগে।আপনি সিরিজের কাহিনীটি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সামনে দেখা যাবে একটি ছায়া কে কি করে সিকিউরিটি ধরতে পারে।রিভিউটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা চমৎকার একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আজকে আপনি নতুন একটা ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। নিকষ ছায়া এই ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্ব পড়তে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এটার মধ্যে তো দেখছি অনেক বেশি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। ওই ছায়াটা আসলে কি এটাই বুঝতে পারছি না। আর কেনই বা মৃতদেহ গুলোকে প্রত্যেকটা জায়গা থেকে এভাবে গায়েব করে দিচ্ছে। আমার তো মনে হচ্ছে এই পুরো বিষয়টার মধ্যে অনেক অবশ্য লুকিয়ে আছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে ক্লিয়ার হবে বিষয়গুলো। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা, এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন দাদা, যেহেতু একটা আত্মা মৃত দেহগুলো গায়েব করে দিচ্ছে,এতে করে সিকিউরিটি বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। চিরঞ্জিত যেহেতু একজন বড় তান্ত্রিক,সেহেতু যা করার তাকেই করতে হবে। যাইহোক হরর মুভি কিংবা ওয়েব সিরিজ দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। বেশ ভালো লাগলো এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্বের রিভিউ পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্ব টা শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো প্রথম পর্ব টার রিভিউ পোস্ট পড়তে। নিকষ ছায়া ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্বের অনেক কিছু হয়েছে। আমার মনে তো শুধু একটাই প্রশ্ন মৃতদেহ গুলো কেন নিয়ে যাচ্ছে ওই ছায়াটা। আর এখানেই। সিকিউরিটি বাড়িয়ে কোনোরকম লাভ হবে না, কারণ আত্মা এই মৃতদেহগুলো গায়েব করে দিচ্ছে। চিরঞ্জিতকেই এখন সবকিছু বের করতে হবে। যেহেতু সে অনেক বড় একটা তান্ত্রিক। কি হবে দেখা যাক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভূত-পিশাচের সিরিজগুলো বেশ আকর্ষণীয় লাগে রাতের বেলা দেখতে।তবে আপনি যেভাবে সহজ সরল ভাষায় রিভিউ করেছেন তাতে পড়তে পড়তে চোখের সামনে ভেসে ওঠে দৃশ্যগুলি।মনে হচ্ছে পরের পর্বগুলো বেশি ভয়ানক হবে,ধন্যবাদ দাদা ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit