কালবোস মাছের তরকারি রেসিপি

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা রেসিপি ভাগ করে নেবো। আজকে আমি কালবোস মাছের রেসিপি তৈরি করেছি। এই মাছগুলোকে কালিবাউস মাছও বলা হয়ে থাকে। এই কালবোস মাছটিকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। এই কালবোস মাছ আমি আজকে প্রথম খেলাম, ভালো সুস্বাদু আছে এই মাছটি। এই কালবোস মাছগুলো এর থেকেও অনেক বড়ো বড়ো হয়ে থাকে এবং সেগুলো ভাজা করে খেতেও অনেক মজাদার হয়ে থাকে। যাইহোক এই মাছের তরকারিটা আমি কয়েকটি সবজি যেমন সজিনা ডাঁটা, আলু, বেগুন একসাথে নিয়ে করেছি। সজিনা ডাঁটাগুলো এখন অনেকটা পক্ত হয়ে গেছে, তবে এই বীজযুক্ত অবস্থাতেও খেতে একটা অন্যরকম স্বাদ লাগে। আর কিছুদিন বাদে শুধু এর বীজ বাজারে বিক্রি হবে। শুধু বীজ দিয়ে ডাল মতো রান্না করলে অসাধারণ লাগে। যাইহোক এখন এই রেসিপিটার উপকরণগুলো একবার দেখে নেবো।


☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀

উপকরণ
পরিমাণ
কালবোস মাছ
২ টি
আলু
৫ টি
বেগুন
১ টি
সজিনা ডাঁটা
পরিমাণমতো
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৯ টি
জিরা
পরিমাণমতো
লঙ্কার গুঁড়ো
১ চামচ
সরিষার তেল
৪ চামচ
লবন
২ চামচ
হলুদ
৩ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


কালবোস মাছ, আলু, বেগুন, সজিনা ডাঁটা


পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---


❂প্রস্তুত প্রণালী:❂


➤কালবোস মাছটিকে প্রথমে ভালো করে কেটে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আমি বেগুনটিকে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে সাইজ করে কেটে নিয়েছিলাম। এরপর সজিনা ডাঁটাগুলো কেটে ছোট ছোট করে নিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।

➤কেটে রাখা কালবোস মাছের পিচগুলোতে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

➤মাছের পিচগুলোকে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর বেগুনের পিচগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤আলুর পিচগুলোকে লাল মতো করে ভেজে তুলেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে তেল দেওয়ার পরে পরিমাণমতো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর একটু পরে তাতে বেগুনের ভাজা অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤বেগুনের ভাজা অংশটা দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ অনুযায়ী লবন, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো এবং কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤মশলাগুলো সব উপাদানের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।

➤জল দেওয়ার পরে তরকারিটা খানিক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে সজিনা ডাঁটাগুলো আর ভেজে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤ডাঁটা আর পেঁয়াজ দেওয়ার পরে তরকারিটা আরেকটু ফুটিয়ে নিয়েছিলাম এবং তারপরে তাতে ভেজে রাখা কালবোস মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে আশা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।

➤দেরি করার পরে আমার কালবোস মাছের সুস্বাদু তরকারি রেসিপিটা তৈরি হয়ে গেছিলো। আর এটি এখন পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত। মাছের তরকারিটা দারুন টেস্টি হয়েছিল খেতে, আপনারাও এই মাছের তরকারিটা এইভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
কালবাউস মাছ আমার অনেক ভালো লাগে এর স্বাদ কিছুটা বড় রুই মাছের সাথে মিল আছে। আমাদের পুকুরে এই মাছ চাষ করা হতো। আপনি ঠিকই বলেছেন এই মাছগুলো আকারে বড় হয়। আর বড় কালবাউস এর স্বাদও অনেক বেড়ে যায়। কালবাউস এর দামও বাজারে অনেক বেশি।
আপনি আলু, বেগুন ও সজনেডাঁটা ডাটা দিয়ে কালবাউস এর তরকারি রান্না করেছেন। সবজির মধ্যে সজনে ডাটা আমার অনেক ভালো লাগে। তবে দাদা আমি সজনে ডাটার বীজ আলাদা ভাবে কখনো খাই নাই। যদি বাজারে কখনো পাই খেয়ে দেখবো। যাইহোক, আজকের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির প্রতিটি স্টেপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার পরিবেশন করা তরকারি দেখেই খেতে মন চাচ্ছে।
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কালবাউশ এর অসাধারণ রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আশা করি সামনে আরো সুন্দর সুন্দর দেখতে পারবো। দাদা সব সময় আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকি। কারণ আপনার পোস্ট মানেই নতুন নতুন চমক। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা।
  ·  3 years ago (edited)

ভাইয়া কালবোস মাছ আমি কখনো খাইনি। তবে আমরা এই মাছটাকে কালিবাউস বলি। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমিও শুনেছি এই মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনি খুব সুন্দর করে বেগুন আলু এবং সজনে ডাঁটা দিয়ে কালবোস মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি ভাইয়া খুব লোভনীয় একটি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে আপনার রান্না তুলনা হয় না ভাইয়া আপনি সব রকম রান্নাই করতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মাছগুলোকে কালিবাউস মাছও বলা হয়ে থাকে। এই কালবোস মাছটিকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। এই কালবোস মাছ আমি আজকে প্রথম খেলাম, ভালো সুস্বাদু আছে এই মাছটি।

আমার অঞ্চলে এই মাছ কালবাউস নামে পরিচিত। অঞ্চলভেদে মাছের নামের মধ্যে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে মাছের নাম বিভিন্ন রকম হয়। এই মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি প্রথমবার এই মাছ খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আলু, বেগুন ও সজিনা ডাঁটা দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে মজার রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। 💖💖

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এটা তো অনেক ছোট কালবোস মাছ এই মাছ গুলো দেখতে অনেক বড় হয়। আমিতো এত ছোট কালবোস।মাছ এই প্রথম দেখলাম। আপনি কালবোস মাছের দারুণ মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন ।এই মাছটি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপে ধাপে মাছ রান্না করে দেখিয়েছেন ।আপনার রান্না করার রেসিপি গুলো আমার কাছে ভালই লাগে।

কালিবাউস মাছ আমাদের বাজারে ওঠে কিন্তু মা কখনও আনতে বলেনা। মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিন্তু সে কেন এটা খাবে না তার কোন কারন আমাকে বলে না। খালি বলে না ঐ মাছ আনবি না। তারপরও একদিন আমি খেয়েছিলাম মামার বাসায় গিয়ে। পরে জানতে পারলাম বাবা কালিবাউস মাছ খায় না বলে মাও খায় না। হা হা। মূলত এই কালিবাউস মাছ রুই মাছের মতই দেখতে হয় অনেকটা। এই মাছ গুলো আমাদের এখনে নদীতে পাওয়া যায়। এর স্বাদ আমার কাছে কিছুটা রুই মাছের মতই মনে হয়েছে তবে ভিন্ন জনের ভিন্ন মত থাকতে পারে। এটি স্বাদু জলাশয়ে বেশী থাকে।দাদা আপনার রেসিপি পোষ্ট দেখে ইন্টারনেটে সার্চ দিতেই এই মাছের আরো বেশ কয়েকটি নাম খুজে পেলাম। যদিও স্থান ভেদে নামের ভিন্নতা থাকবেই।বাউস, কালাবাউস, বাউগনি, কালবাসু এবং কলিয়া ইত্যাদি। তবে আপনার রান্নার ধরন আগে মাছগুলো ভেজে নেন আমাদের বাড়ীতেও মাছ আগে কিছুটা ভেজে তারপর ঝোল তরকারী তৈরী হয়। সাজনা ডাটা কিছুটা বুড়ো হয়ে এসেছে তবে এখনো কিন্তু স্বাদ রয়েছে। অনেক গাছে আছে যেগুলোতে সাজনা ডাটা খুব একটা বতি হয়নি এখনও। মাছের সাথে অন্যান্য তরকারী দিলে রান্নাটা একটু জোরালো হয়। খেয়েও মজা পাওয়া যায়। আপনার রেসিপি সবসময় স্পষ্ট তাই ভাল লাগে । ধন্যবাদ দাদা ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।

দাদা এর আগেও আপনি কালবাউশ মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছিলেন। আপনার করা রেসিপিগুলো আমার বেশ কাজে লেগেছে এবার বাসায় গিয়ে। আমি বেশ কয়েকটি রেসিপি তৈরি করেছিলাম। কি সব সময় এত সুন্দর ভাবে রেসিপি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন যা আমাদের পক্ষে অনুসরণ করা বেশ সহজ হয়ে যায়। যেকোনো জিনিস উপস্থাপনায় হচ্ছে মেইন বিষয়। যত সুন্দর বিষয় করি না কেন তা যদি উপস্থাপন সুন্দর ভাবে করতে না পাটি সে সৌন্দর্যের কোন দাম থাকে না। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে নিখুঁতভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ওয়াও দাদা আপনি মাছের অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি আপনার টাইটেল দেখে একটু অবাক হয়েছি মাছের নাম শুনে। শেষে আপনার পোস্টে দেওয়া মাছের ছবি দেখলাম তবুও চিনতে পারলাম না। আমার কাছে মাছটি একটু নতুন লাগলো। রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর মাছের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

মাঝে মাঝে কিছু মাছ না দেখলে নাম ও বুঝতে পারিনা। এই মাছটি আমার মনে হয় আমি চিনতে পেরেছি।এই মাছ টি আমরা যে নামে চিনি আপনি শুনলে আপনার হাসি পাবে। আচ্ছা নামটা বলেই ফেলি। অন্তত আপনাকে হাসাতে তো পারবো।মাছটিকে আমরা কালিগইয়া😆নামে চিনি।যাক সেসব কথা। আপনি আজ কালবোস মাছ দিয়ে আলু, বেগুন এবং সজনে ডাটার সমন্বয়ে রান্না করেছেন। রান্নার প্রক্রিয়া টা একটু ভিন্ন রকম মনে হয়েছে। আর ভিন্ন রকমের খাবার খেতে সবারই ভালো লাগে। খাবারটি খেতে আপনার কাছে নিয়ে যেহেতু দারুন টেস্টি লেগেছে আমরাও একবার ট্রাই করে দেখতে হবে।পরবর্তীতে আপনি না জানি নতুন কোন ধরনের রেসিপি নিয়ে আসেন। সেই পর্যন্ত আমি খালি মুখে অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা❤️❤️

কালবোস মাছ আমার খুব ই ফেভারিট বিশেষ করে ভর্তা করে খেতে বেশি ভালো লাগে মাঝেমধ্যেই নদী থেকে ধরে বাড়িতে নিয়ে এসে রান্না করে খাওয়া হয় টাটকা মাছ আরো বেশি মজা লাগে রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন খেতে খুব সুস্বাদু হবে এতে কোন সন্দেহ নেই কালার টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে

খুবই মজার একটি মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন। কালবোস মাছের রেসিপি আমার কাছে বেশ ভাল লাগে এই মাছটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। আজকে আপনি এই রেসিপি আলু এবং সজনে ডাটার সাথে তৈরি করেছেন দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে।

কালবোস আমাদের এখানে কালিবাউশ মাছ বলা হয়।আমি একবার খেয়ে ছিলাম,একবার বড় মামী পাঠিয়েছিলো তাদের নিজেদের পুকুরের।আপনার রেসিপি দেখে মনে পরে গেলো। মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হয়েছে।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

  ·  3 years ago (edited)

দাদা প্রতিদিনই আপনার নতুন পোস্টের জন্য আমি আশায় ,আশায় থাকি কেননা আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে নতুন এবং সৃজনশীল পোস্ট শেয়ার করে থাকেন। আজকে আপনি ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় কালবোস মাছ এবং সজনে ডাঁটা দিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। কালবোস মাছের সঙ্গে সজনে ডাটার রেসিপি টি আমি আজও কখনো খাইনি তবে আজকে আপনার কাছ থেকে একটা নতুন রেসিপি শিখে নিলাম। নতুন কিছু শেখার মধ্যে সব সময় আনন্দ থাকে এবং সেটি যদি হয় আমাদের সম্মানিত উইনক্লেস দাদা তাহলে তো আর কোন কথাই নেই🥳। দাদা রেসিপিটি আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে বর্ণনা করে শেয়ার করেছেন এগুলো আমাদের সবার জন্য অনেক বোধগম্য হয়েছে। রেসিপি টা দেখে আমি খুবই এক্সাইটেড আমাদের বাড়িতে সজনে ডাটার গাছ রয়েছে আমি খুব শীঘ্রই কালবোস মাছ দিয়ে এই রেসিপি টি তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব। এমন ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল বিশেষ শ্রদ্ধা ভালোবাসা এবং সম্মান। ♥️♥️♥️♥️♥️

কালবোস মাছ নামটা একেবারে প্রথম শুনলাম। তারপর ছবি দেখে বুজলাম এটি কি মাছ। আঞ্চলিক ভাষায় আমাদের এ দিকে অন্য নামে পরিচিত। অনেক হাস্যকর তাই বললাম নাহ। যাইহোক আপনি বেগুন আর সজনেডাঁটা দিয়ে অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি ও পোস্টগুলে অনেক ভালো লাগে।
শুভকামনা রইল ভাইয়া।

এই কালবোস মাছটিকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। এই কালবোস মাছ আমি আজকে প্রথম খেলাম, ভালো সুস্বাদু আছে এই মাছটি।

কালবোস মাছের তরকারি রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, আসলে কালবোস মাছ এর আগেও আমি খেয়েছিলাম। কালবোস মাছ আলু, বেগুন দিয়ে রান্না করলে খুবই মজাদার হয়। আজকে আপনি প্রথম খেয়েছেন জেনে ভাল লাগলো, তবে আপনি এই মাছের সুস্বাদু বুঝতে পেরেছেন, আশা করি পরবর্তীতে আপনি মাছের রেসিপি আরও তৈরি করবেন। আসলে কালবোস মাছ আলু, বেগুন দিয়ে ভালো করে ঝাল ঝাল ঝোল তৈরি করলে বেশি সুস্বাদু হয়। আর ঝাল ঝাল রেসিপি খেতেও অনেক মজাদার হয়। আপনার কালবোস মাছের রেসিপি উপস্থাপন এবং পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে,এই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

শুধু বীজ দিয়ে ডাল মতো রান্না করলে অসাধারণ লাগে।

দাদা,সজনের ডাঁটা দিয়ে ডালের মতো রান্না করে খাওয়া যায় সেই জিনিসটা কিন্তু আগে জানতাম না। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।দাদা,কালবোস মাছ সত্যিই অনেক সুস্বাদু এই মাছটি অনেক বড় হয় এই মাছ মাখা মাখা ঝোল করে খেতে বেশ দারুন লাগে।দাদা,আপনি আলু সজনের ডাটা এবং বেগুন দিয়ে কালবোস মাছ রান্না করেছেন আপনার রান্না করা কালবোস মাছের রেসিপিটি খুব লোভনীয় হয়েছে।ধন্যবাদ দাদা, এতো সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।

এই মাছটিকে আমাদের দিকে কালিবাউস বলে। এবং একটি মজার ঘটনা হলো আমি বর্ষার সময়ে যখনই মাঠে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে যায় এই কালিবাউস টা আমার বরশিতে বেশি উঠে। এই মাছের সাথে আমার বেশ ভালো সখ্যতা আছে বলতে পারেন।

আলু সজনে ডাটা দিয়ে কালোবাউস মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। দেখেই তো লোভ লাগছে আহ। রেসিপির প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

কালবাউশ মাছ গুলো আকৃতিতে অনেক বড় হয় যার কারণে এগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে আলু বেগুন এবং সজনে ডাঁটা দিয়ে কালবাউশ মাছ রান্নার একটা পদ্ধতি শেয়ার করেছেন দাদা। যদিও আমি এতগুলো উপকরণ ব্যবহার করে কালবাউশ মাছের রেসিপি খাইনি। কিন্তু আপনার রেসিপিটি তৈরি করা দেখে আমারও ইচ্ছা হচ্ছে এই ধরনের রেসিপি খেয়ে দেখতে।

আমার কাছে এই মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। প্রতিটা সবজি আপনি অনেক সুন্দর করে ভেজে তারপর রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি রান্না করলে কখনো এভাবে ভেজে করি না তবে আপনার রেসিপি দেখে জিনিসটা শিখে নিলাম।মনে হয় এভাবে সবজি ভেজে রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। এতো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? আপনি খুব সুন্দর করে আলু বেগুন সজিনা ডাঁটা দিয়ে মাছ রান্না করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো । আপনার রন্ধন প্রক্রিয়ায় দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আসলে সজিনা ডাঁটা দিলে তরকারির স্বাদ অনেক গুণে বেড়ে যায় ।এত অসাধারন রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

কালবোস মাছের তরকারি একসময় প্রচুর খাওয়া হতো যখন আমাদের পুকুরে বড় বড় মাছ হতো। দেখতে বেশ লোভনীয় ছিল নিশ্চয়ই খেতেও অনেক মজাদার হবে। লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা 💚

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে কালবাউশ মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক মজাদার মজাদার রেসিপি শেয়ার করে থাকেন সেই সাপেক্ষে আপনারা আজকের এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় মাছ গুলোর মধ্যে কালবাউশ একটি। এই মাছ সম্ভবত নদী এবং পুকুর দু'জায়গাতেই হয়ে থাকে। ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়ির পুকুরে এ মাছ আমি নিজে অনেক বার ধরেছি কিন্তু এখন আর একেবারেই দেখিনা। মাছটির সাদ কেমন তা বলতে গেলে ভুলেই গেছি। আলু বেগুন আর সজনে ডাটার সঙ্গে মাছটির রন্ধন প্রক্রিয়া দারুণ মানিয়ে গেছে। আমাদের এদিকেও সজনে প্রায় শেষের দিকে। তবে সজনের ভেতরের বীজগুলো আলাদাভাবে আমার কখনো খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।❤️👍

কালবোস মাছ আগে আমাদের পুকুরে চাষ করা হতো।মাছগুলো অনেক বড় হয় কাতলা মাছের মতো।তবে এই মাছের আশগুলি কালো রঙের হয়ে থাকে।আমি আগে অনেকবার খেয়েছি, ভালো টেস্টি মাছ।যাইহোক এটি যেহেতু আপনি অনেক সবজির সমন্বয়ে রান্না করেছেন সেহেতু রেসিপিটা দারুণ সুস্বাদু হবে।আমার বীজযুক্ত সজনে ডাটা খেতে অনেক ভালো লাগে।

কিছুদিন বাদে শুধু এর বীজ বাজারে বিক্রি হবে। শুধু বীজ দিয়ে ডাল মতো রান্না করলে অসাধারণ লাগে।

দাদা,আমি এই প্রথম আপনার থেকে জানতে পারলাম যে সজিনার বীজ বাজারে বিক্রি হয় আবার সেটি ডাল করে খাওয়া ও যায়।নতুন রেসিপির কথা জানতে পারলাম।এই রেসিপিটি সুন্দর ও লোভনীয় ছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।শুভকামনা রইলো দাদা আপনার জন্য।

দাদা,একদিন সজনে ডাটার বীজের রেসিপিটা শেয়ার করবেন দেখবো।আমাদের এখানে সজনে ডাটার বীজ বিক্রি হয় না।