হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করে নেবো। এই পর্বের নাম হলো "স্যাবোটাজ"। গত পর্বে শুধু দেখেছিলাম যে এসপি এবং তার সহপাঠীরা মিলে ডাক্তার মিরা আর তার পরিবারের সবাইকে বন্দি করে রেখেছিলো। এই পর্বে দেখা যাক কাহিনীটা কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
তো বন্দি করে অর্থাৎ সবাইকে বন্দুকের নিশানায় রেখে একপ্রকার নিজের ঘরে নজরদারিতে রাখার মতো কাজ যাকে বলে। এখন তাদেরই একজন মিটারে কিছু করতে গিয়ে হঠাৎ ভুল তার কেটে ফেলে আর অ্যালার্ম বেজে ওঠে আর এই খবর সোসাইটির ম্যানেজারের কাছে চলে যায় আর সাথে সাথে ফোন করে তাদের বাড়িতে। এখন ফোন তুললে তো সত্যি কথা আর বলতে পারবে না, কারণ সবাই বন্দুকের নিশানায়, যখন তখন অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে। এখন সে একটু বুদ্ধি করে তাদের বাড়ির কুকুরের নাম বলে দেয়, কিন্তু সেটাও ভুল বলে অর্থাৎ এটার মাধ্যমে কিছু একটা সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করে, কারণ তারা আবার তাদের সেই কুকুরের নাম জানে। এখন ওই লোকের হয় সন্দেহ আর সে বাইরের সিকিউরিটি গার্ডের কাছে ফোন করে বলে আর তার সাথে সেই সময় ছিল একজন পুলিশ অফিসার। তো তারা দুইজন আবার ওই রাতে মিরাদের বাড়ি যায় আর মূল সমস্যাটা কি সেটা জানতে চায়।
তারপর ওই একটা কথা বুঝিয়ে দেওয়ার মতো বুঝিয়ে দেয় তাদের যে, তাদের বাড়ির কুকুরটা এইরকম করেছে। এরপর তারা সবাই চলে যায়, কিন্তু এসপির হয় সন্দেহ, কারণ কুকুরের নাম এক আর বলেছে আর এক, তার মানে সে যে এখানে একটু চালাকি করেছে সেটা ধরে ফেলেছে। তাই থ্রেড দিয়ে ছেড়ে দেয়। এখন সে আবারও একটা চালাকি করার চেষ্টা করে বাথরুমে যাওয়ার নাম করে অর্থাৎ সে ওখানে গিয়ে বাথরুমের আয়নার কাঁচ ভেঙে নিজের হাত কেটে ফেলার হুমকি দেয় যে, তার ছেলেমেয়েদের না ছেড়ে দিলে সে তার নিজের হাত কেটে দেবে। আর এতে তাদেরও সমস্যা, কারণ মুখ্যমন্ত্রীকে মারতে গেলে একমাত্র তারই সাহায্য দরকার। কিন্তু তারাও আবার তার হাসব্যান্ডকে নিয়ে ফেলার হুমকি দিলে পরে সে কাঁচ ফেলে দেয়। এরপর সকালে মিরা হসপিটালে যাওয়ার জন্য রেডি হলে একটা মেডিসিন তাকে দেয় যে, এইটা তাকে কয়েক ড্রপ দিলেই কিছুক্ষনের মধ্যে তার অর্গান ফেইল হয়ে যাবে।
কিন্তু মীরার মন কোনোমতে শায় দেয় না এই কাজের জন্য, সে প্রথমে রেগেমেগে মানা করে দিলেও পরে তার ছেলেমেয়ের কথা ভেবে রাজি হয়ে যায়। সে হসপিটালে গেলে আবার আরো একটা সমস্যা তৈরি হয়, কারণ মীরার হাসব্যান্ড এর এক বন্ধু আসে ওইসময় আর টাকা পয়সার ব্যাপার নিয়ে খুবই ক্ষেপে থাকে। কারণ তার কাছ থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছিল, কিন্তু ফেরত দেয়নি, পরে সে বাড়িতে ঢুকলে তাকেও তারা বেঁধে রাখে। এরপর মিরা হসপিটালে গেলেও তাকে সবসময় সিসি ক্যামেরায় নজরে রাখে এবং সাথে আরো কিছু স্টাফ অর্থাৎ নার্স বা সিকিউরিটির পোশাকে সেখানে নজরে রাখে। মিরা তবে একবার তাদের চোখে ধুলো দিয়ে অন্য একটা মেডিসিন শপ -এ যায় আর একটা ওষুধ নিয়ে আসে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর অপারেশন এর আগে তার সমস্ত কিছু টেস্ট করে নেয় এবং সবকিছুই নরমাল থাকে। কিন্তু মিরা বুদ্ধি করে ওখানে একটা মেডিসিন তাকে খাইয়ে দেয়, যাতে করে তার ব্লাড সুগার আর প্রেসার হাই হয়ে যায়। আর এতে করে ওইদিন অপারেশন ক্যানসেল হয়ে যায়।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
মূলত মীরা কোনোমতে ওইদিন চাইনি যে, এই অপারেশন হোক, কারণ তার এমনিতেই প্রথম থেকে মনে একদমই শায় দেয়নি। পরে সে টেস্ট করার সময়ে এই মেডিসিন বদলে দিলে এই সমস্যাটা তৈরি হয়। আর এটা ছাড়া তার কোনো উপায় ছিল না। কারণ যদি ওইদিন অপারেশন করার সময়ে কোনো সমস্যা হয়েও যেত, তাহলে ইনকোয়ারি হতো আর তাতে মীরার ক্যারিয়ার এরও সমস্যা হতো। এখন এই চালাকি করলে পরে সিসি ক্যামেরায় জুম করে ধরে ফেলে তারা, কারণ তারাও বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছিলো যে, হঠাৎ করে কি হলো যে, সবকিছু নরমাল থাকতে থাকতে ব্লাড সুগার হাই হয়ে গেলো। কিন্তু সে যে মেডিসিন চেঞ্জ করেছিল সেটা পরে ধরে ফেলে। আর সেখানে সমস্ত সিনিয়র ডাক্তাররাও এই বিষয়টা খুঁতিয়ে দেখার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে। এরপর মীরা বাড়িতে গেলে তার উপর তো ক্ষেপে যায় আর তার সামনেই তার ভুলের মাশুল দেয় তার হাসব্যান্ড এর বন্ধু অর্থাৎ তাকেই মেরে ফেলে। আর এরপরে যদি এইরকম হয় তাহলে তার হাসব্যান্ড কেই মেরে দেবে বলে হুমকি দেয়।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৭.২/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মীরা আসলে সবদিক দিয়েই ঝামেলায় পরেছে। এরকম পরিস্থিতিতে আসলে কিছু করার থাকে না। যাইহোক মীরা সেদিন অপারেশন ক্যানসেল করার জন্য দারুণ বুদ্ধি খাটিয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার কারণে ধরা পড়ে গিয়েছে। মীরার হাসবেন্ডের বন্ধুকে মেরে ফেলা হয়েছে, জেনে খুব খারাপ লাগলো। মুখ্যমন্ত্রীকে না মারলে তো মীরার পরিবারকে মনে হচ্ছে ছাড়বেই না। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তো দেখছি এসপির কঠিন শত্রুতা। যাইহোক বরাবরের মতো এই পর্বের রিভিউ দারুণভাবে শেয়ার করেছেন দাদা। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit