স্লোয়ার পিচ

in hive-129948 •  29 days ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


স্ক্রিনশর্ট: sonyliv

আজকে আপনাদের সাথে একটু খেলাধুলা বিষয় শেয়ার করে নেবো। খেলাধুলা দেখলে তাও মন-মানসিকতা কিছুটা ভালো রাখা যায় । যাইহোক, গতকাল দেখছিলাম ইন্ডিয়ার সাথে জিম্বাবুয়ের একটি টি২০ ম্যাচ। তবে ম্যাচটা দেখেও যেন মরা মরা লাগছিলো সব দিক থেকে। খেলার মধ্যে কোনো যেন কিছুই খুঁজে পেলাম না অর্থাৎ কোনো কনটেস্ট নেই। যদিও জিম্বাবুয়ের সাথে সেভাবে ইন্ডিয়ান টিমের কোনো খেলা দেখা হয়ে ওঠে না বা বলতে গেলে তাদের মধ্যে কোনো খেলা ফেলে না তেমন আইসিসি। আর হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে 'B' টিম পাঠিয়ে থাকে। গতকাল যে পিচে খেলা হলো, তাতে মোটামুটি মনে হলো পিচ কন্ডিশন তেমন ভালো ছিল না। অনেকটা স্লোয়ার ছিল আর পুরোটাই বোলিং পিচ ছিল। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার সুযোগ ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার, কারণ টসে জিতে গিয়েছিলো, কিন্তু পরে ব্যাটিং কেন নিলো সেটাই বুঝলাম না। আর যে টিম পাঠিয়েছে, তাদের আসলে ম্যাচিং করিনি, পুরো নিউ প্লেয়ার সব।


স্ক্রিনশর্ট: sonyliv

১-২ জন বাদে কেউ আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি, প্রায় সবাই আইপিএল থেকেই এসেছে। তবে এদের সাথে জিম্বাবুয়ের ঠিকই ছিল, কারণ জিম্বাবুয়ে আগের মতো এখন আর অতটা শক্তিশালী টিম না। বিগত কয়েক বছর ধরে তারা কোনোকিছুতেই চান্স বা কোয়ালিফাই করতে পারে না। আর এইধরণের পিচে ১০০ রান তোলাও মানে ১৫০+ রানের সমান একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। জিম্বাবুয়ে রান তেমন করতে পারছিলো না আর এটাও একটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তাদের পরপর ৪-৫ জন বেশ ধৌর্য নিয়ে খেলে গিয়েছিলো, যদিও পরে আমি এটা হাইলাইটসে দেখেছি, কারণ খেলা দেখার সময় মাঝে মাঝে মন আরেকদিকে ছিল। এই ধরণের পিচে কিন্তু একটা বিষয় যে, নিজের জন্য কেউ খেললে রান করতেই পারবে না, দলবদ্ধ হয়ে যদি ভেঙে ভেঙে রান জোড়া দেয়, তাহলে ফায়দা বেশি হয়ে থাকে।


স্ক্রিনশর্ট: sonyliv

এরা আসলে সেটাই করেছিল আর তাছাড়া এদের মধ্যে এখনো এমন কিছু প্লেয়ার আছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে খেলার ফলে একটা অনুভবী প্লেয়ার হিসেবেও বিবেচিত আছে। যাইহোক, তাদের রান ১০০ হবে এটা বলাও যাচ্ছিলো না, কিন্তু তাদের কিপার লাস্টে মোটামুটি অনেক কষ্ট করে ১১০ এর উপরে একটু তুলতে পারে, এটাও অনেক, তবে চেজ করা যায় এটা। সব থেকে ভালো বোলিং খেতাবে আছে এক্ষেত্রে বিষ্ণই তারপর ওয়াশিংটন সুন্দর। ইন্ডিয়ার টপ এবং মিডিল স্কোয়াডে যে কয়জন ছিল, তাতে এই ম্যাচ বের করে ফেলতো। অভিষেক এর ব্যাটিং আইপিএল-এ দারুন দেখেছিলাম, সেক্ষেত্রে ভালো আশা করা যায়, প্রথম অভিষেকও এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক হিসেবে। জিরো রানে আউট হয়েই ম্যাচটা প্রথমে ডাউন খেলো চরমভাবে। গিল যদিও খেলছিল ধরে ধরে, কিন্তু বাকিরাই তার সাপোর্ট থেকে পর পর সরে যাচ্ছিলো।


স্ক্রিনশর্ট: sonyliv

পরপর আউট হতে থাকলে একজনের ক্ষেত্রে মনোবল থাকে না ধরে রাখার। তবে লাস্ট পর্যায়ে এসে রানটা যে জায়গায় ছিল তাতে আবেশ আর ওয়াশিংটন বের করতেও পারতো সম্ভবত। আবেশ খেলছিল ঠিকই, কিন্তু ফুলটস বল আর তারপর ছিল অফে ঝুলন্ত বল, সেক্ষেত্রে ৬ হওয়ার কথা, কিন্তু সে দিলো ক্যাচ তুলে। ওখানেই খেলাটা শেষ হয়ে যায়, কারণ উইকেটও আর ছিল না তেমন। ওয়াশিংটন এর সাথে একজন ভালো ব্যাটিং করার মতো কেউ থাকতো, তাহলে রান বেরিয়ে যেত নিশ্চিত, সব দিকেই সমস্যা, শান্তি নাই। টিমটাও ভালো হয়নি + সাজানোও হয়নি মনের মতো। যদিও এটা আমার দিক থেকে মনে হলো, কারণ রিঙ্কু সিংকে ৭ কি ৮ নম্বরে পাঠায়, তাকে ৫ নম্বরে দিয়ে কি হলো, একজন ভালো ব্যাটসম্যান মোটামুটি মতো না রাখলেই এইটা হয়।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি আজকেও আমাদের মাঝে একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে সম্পূর্ণটা পড়ে। খেলা না দেখা হলেও আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে খেলা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারি। কারণ আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরে থাকেন। ইন্ডিয়া আর জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে এই ম্যাচটার রিভিউ পড়তে ততটা ভালো লাগেনি, কারণ অন্য ম্যাচগুলোর মত এই ম্যাচটা একেবারেই হয়নি। তবে যাই হোক অনেক বেশি সুন্দর করে আপনি এটা সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আশা করছি পরবর্তীতেও খেলা বিষয়ক পোস্ট গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। আপনার পরবর্তী খেলা বিষয়ক পোস্ট টা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

এই ম্যাচটা একেবারেই জমেনি। এমন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে আসলেই ভালো লাগে না। বর্তমানে জিম্বাবুয়ে দলের পারফরম্যান্স তেমন ভালো না। তাই ইন্ডিয়ার বি ক্যাটাগরির দল ই যথেষ্ট তাদের জন্য। তবে এই ম্যাচে যদি রিংকু সিং একটু ভালো ব্যাটিং করতো,তাহলে ম্যাচটা জিততে পারতো। যাইহোক প্রথম ম্যাচে হারলেও, ইন্ডিয়া কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে অর্থাৎ আজকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে দলকে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

ভারত মূলত পাঠিয়েছিল তাদের তরুন দলকে যারা ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে ভারত ক্রিকেট দলকে। তবে মাএ ঐ রানের টার্গেটে যে তারা ম‍্যাচটা হেরে যাবে সেটা ভাবতেও পারিনি। এখানে অবশ‍্যই পিচের একটা সমস্যা ছিল। তবে ভারতীয় ব‍্যাটসম‍্যান রাও খামখেয়ালিভাবে ব‍্যাটিং করেছিল। এটা মানতেই হবে কিন্তু।

ভারত যে এই ম্যাচটা হারবে সেটা বুঝতে পারি নাই। গিলের উপর আমার ভরসা ছিল। ভেবেছিলাম সে খেলাটা ভালো একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবে। তবে তাকে সঙ্গ দিতে না পারার কারনে খেলাটা হেরে গেলো। যায়হোক নতুনরা দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাড়িয়েছে। ধন্যবাদ।

আসলে অসম ম্যাচ কোনদিনই আকর্ষণীয় হয় না। জিম্বাবোয়ের বর্তমান যা দল তা ভারতকে বেগ দেওয়ার মতো নয়। তবে জিম্বাবোয়ে বললে আমাদের ছেলেবেলা মনে পড়ে। সেই সময় গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ভাতৃদ্বয় জিম্বাবোয়ের স্টার প্লেয়ার ছিল। ভারতকে অনেক ম্যাচে হারিয়েওছে। সেই জিম্বাবোয়ে দল আজ আর নেই।