কালী পূজায় ঘোরাঘুরি-পর্ব ৬

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে কালী পূজার আরো কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করবো। লাস্ট পর্বে আপনাদের সাথে কেএনসি এর চিচিং ফাঁক এর দৃশ্য দেখিয়েছিলাম। আজকে অন্য দুটি ক্লাব এর কিছু ছবি দেখাবো। তো সেদিন কেএনসি দেখেছিলাম আর ওখানেই ওইদিন শেষ দেখেছিলাম। পরেরদিন সন্ধ্যাবেলা বেরিয়েছিলাম 'সংহতি ক্লাব' এর পুজো দেখতে। ওইদিন সাধারণত আমার বেরোনোর কোনো প্ল্যান ছিল না, কারণ পায়ে এতো পরিমানে ব্যাথা যে ঠিকভাবে হাঁটার মতো পরিস্থিতি ছিল না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কিন্তু মাসির দুই মেয়ে পুজো দেখতে যাবো যাবো করে এতো জোড়াজোড়ি করলো যে আর না করতে পারলাম না আবার এদিকে মেসোমশাই পরেরদিন বাড়ির দিকে চলে যাবে তাই ভাবলাম কয়েকটা প্যান্ডেল দেখিয়ে নিয়ে আসি। এরপর একটা টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আর মাসি-মেসোদের মামার বাড়ির সামনে দিয়ে তুলে নিয়ে স্টেশন এর দিকে চলে গেলাম। এই সংহতি ক্লাবটাও স্টেশনের পাশে অবস্থিত। আর এই সংহতি ক্লাব এর পুজোটাও বেশ ভালোভাবে করে থাকে সবসময়। এই বছরও অনেক বড়ো করে করেছে, তবে অন্যান্যবারের থেকে এই বছরে এই ক্লাব এর পুজোটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আর এই ক্লাবটা যেহেতু রোডের পাশে অবস্থিত তাই পুরো প্যান্ডেলটা আর ডেকোরেশনগুলো সম্পূর্ণ রোডের উপরে করেছে, আর এটা প্রত্যেকবার করে। এই ক্লাব এর পুজো দেখতেও প্রচুর মানুষ আসে আর লাইন বেশ লম্বা চওড়া পড়ে। তবে লাইন বেশি হলেও দ্রুত টানে, এই একটা সুবিধা। সন্ধ্যার থেকে একটু ভিড়টা বেশি জমে কিন্তু ১০ টার পরের থেকে তেমন একটা লাইন থাকে না, কারণ ওইসময় সব দূরের দিকে দেখতে চলে যায়। এই ক্লাবটাতে এইবছর থিম তৈরি করেছিল দর্পনের প্রতিবিম্ব।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

সম্পূর্ণ প্যান্ডেলের ভিতর এবং বাহিরে কাঁচের তৈরি, কাঁচের ছোট ছোট টুকরোগুলো পর পর ঢোকার গেটে ঝুলিয়ে রেখেছে যে আলোর রশ্নি ঝিকমিক করছে চারিদিকে। আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ভিতরের পুরো ডিজাইনটা কাঁচ দিয়ে করা আর তার উপর লাইটের আলো পড়ার সাথে সাথে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হচ্ছে , আর ঝুলন্ত কাঁচের টুকরোগুলো ঘোরার সাথে সাথে প্রতিবিম্বটা আরো বেশি ভালো লাগছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

সংহতি ক্লাব এর পরে গিয়েছিলাম 'ইউনাইটেড এসোসিয়েশন' ক্লাব এর দিকে। এই ক্লাবটা সংহতি ক্লাব এর থেকে বেশি দূরে না, সামান্য ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। কিন্তু সংহতি ক্লাব এর ওখান থেকে পুরো রোড জুড়ে এতোটা ভিড় ছিল যে বোনদের নিয়ে ঠেলেগুতিয়ে আসা মুশকিল ছিল, আর এতো ভিড় হওয়ার কারণ এই ইউনাইটেড এসোসিয়েশন ক্লাব এর পাশেই একটা বড়ো পুজো প্যান্ডেল আছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কিন্তু আমি এখন এটার বিষয়ে কিছু বলবো না কারণ তাহলে ওটা যখন দেব তখন ইন্টারেস্ট থাকবে না। ওটা পরের পর্বে দেব। 'ইউনাইটেড এসোসিয়েশন ক্লাব এর পুজোটা অনেক ছোট করেই করে প্রতিবছর, এইবছরও ছোট করে করেছে। আসলে জায়গা অনেক শর্টতো তাই বড়ো করে করতেও পারে না ওখানে , কিন্তু ছোট হলেও ডিজাইন করেছে চমৎকারভাবে। ঢোকার গেটেও বেশ মূর্তি, বড়ো বড়ো মন্দিরের ঘন্টা আর ত্রিশূল দিয়ে ডিজাইন করেছে। দেখতে অনেক ভালো লাগছে গেটের সম্মুখটা।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এখানেও বেশ লোকজন হয়েছিল। আর ভিতরে প্যান্ডেলটিও মানে মায়ের মন্ডপটিও মোটামুটি বেশ ভালোই বড়ো করেছে আর ডিজাইনও অনেক ভালো করেছে, উপরে লাল লাল যে ডিজাইনটা ওটা কাপড় দিয়ে তৈরি করা । মণ্ডপের ভিতরটাও উপরের দিকে ঘন্টা দিয়ে সজ্জিত করা। বাইরেও শিবের মূর্তি বসানো আছে একটা, সাথে আশেপাশেও ভালো সাজিয়েছে। ছোটোখাটোর মধ্যেও এই ক্লাবের সাজসজ্জিত বিষয়টা আমার কাছে অনেক মনোমুগ্ধকর লেগেছে। যাইহোক এই ছিল আজকের পর্বের অল্প কিছু ছবি।

All photos what3words location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনবারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ
তারিখ২৬.১০.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কালী পূজার ঘোরাঘুরির মুহূর্ত ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে ৬ তম পর্ব দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা পর্বের ফটোগ্রাফি যেন অসাধারণ। কি সুন্দর ভাবে প্যান্ডেল সাজিয়েছে যা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে গত দুই বছর করোনার কারণে এত ভালো আয়োজন করতে পারিনি। আর এবার করোনা না থাকার কারণে প্রত্যেকটা মন্ডপ যেন সর্বোচ্চ দিয়ে সাজিয়েছে। যার কারণে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পূজোর দিনগুলো আপনারা যেভাবে হাঁটাহাঁটি করেন তাতে পা ব্যথা হওয়ারই কাথা, তবে ভালোই লাগে নিশ্চয়ই ধর্মীয় উৎসব বলে কথা।যাই হোক বেরোতে মন না চাইলেও মাসির দুই মেয়ের জন্য বেরোতেই হলো।আসলেই কাঁচের টুকরো গুলো দিয়ে ডেকোরেশন করাতে অন্যরকম সুন্দর লাগছে।এই বছর বড় করে করছে মনে হয় গত বছর করোনার জন্য প্যান্ডেলগুলো করতে পারিনি তাই হয়ত।যাই হোক বেশ ভালো সময়ই কাটিয়েছেন। মাসি,মেসো,মেসোতো বোন নিয়ে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

প্রথম দিকেই ছবি গুলো দেখে আসলেই মনে হচ্ছে খারাপ সাঁজায়নি।বিশেষ করে সামনের দিকটা আর উপরের সাজসজ্জাগুলো দারুণ।

দাদা আপনি তো দেখছি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কে নিয়ে কালী পূজায় দারুন সময় কাটিয়েছেন। আসলে পূজা মন্ডপ গুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। গত পর্বের চিচিং ফাঁক পুজোর থিম যেমন ভালো লেগেছিল তেমনি দর্পনের প্রতিবিম্ব থিমটিও দারুন লেগেছে আমার। কি সুন্দর ভাবে সাজানো পূজা মন্ডপটি। বিভিন্ন ছোট বড় গ্লাসের ঝলকানিতে চারপাশের পরিবেশ যেন একেবারে দারুণ লাগছিল। ফটোগ্রাফির চেয়ে বাস্তবে বোধ হয় দেখতে আরো বেশি সুন্দর ছিল। তবে আপনি কষ্ট করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এতেই আমরা অনেক খুশি। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো নতুন কোন পূজা মন্ডপ এবং নতুন কোন থিম নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।

দাদা আপনি খুব ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারেন দেখেই বুঝা গেল। আপনাদের কালীপুজোর খুব সুন্দর কিছু চিত্র তুলে ধরেছেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। কে এম সি ও সংহতি ক্লাবের পুজো দেখতে গিয়ে বেশ আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন ।তাছাড়া সাথে ছিল আপনার মাসির মেয়েরা। আর সবাই মিলে কোন উৎসবে যাওয়ার মজাই আলাদা ।বিশেষ করে আপনাদের এই উৎসবগুলো বিশাল ভাবে আয়োজন করা হয় লাইটিং দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

পুজোর পর্ব গুলো এখনো আছেই তাহলে বড়দা?? আফসোস তো বাড়িয়ে দিচ্ছেন আরো। ছোট বড় সব ধরনের প্যান্ডেলই তো চমৎকার সাজানো গোছানো। আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে পুজোর দিনে ঠাকুর দেখতে বেরোলে বেশ ভালই লাগে । রাত দশটার পর যেহেতু ফাঁকা হয় একটু, আমি তাহলে সব পুজো মাঝ রাতেই দেখব। প্ল্যানিং হয়ে গেল 😅🙏। লাইটিং গুলো দেখতে অসাধারণ লাগছিল দাদা। পরের পর্বের সেই বিশেষ আকর্ষণের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

পা তো ব্যথা হবেই। পূজার মধ্যে এমন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এক একটা পূজা দেখতে হলে তো দ্বিতীয় দিন আর বের হতে ইচ্ছা করবে না। সংহতি ক্লাবের উপরের ডিজাইনটি খুব ভালো লেগেছে। আমি প্রথমে ভাবছিলাম যে এগুলো কি দিয়ে তৈরি। পরে যখন শুনলাম যে কাঁচ দিয়ে তৈরি তখন খুবই অবাক হলাম। এত চমৎকার লাগছিল দেখতে। কাঁচ দিয়ে ডিজাইন এত সুন্দর করে করা যায় জানা ছিল না। কাঁচ দিয়ে করার কারণে মনে হয় লাইটের কালার পরে এরকম সুন্দর লাগছিল দেখতে। তাহলে তো দাদা রাত দশটার পরে যাওয়াই ভালো। ভিড় কম হলে আরামে দেখা যায়। ইউনাইটেড এসোসিয়েশন ক্লাবের পূজা মন্ডপটি খুবই সিম্পল ভাবে ডেকোরেশন করা। প্রথমটার কাছে পরেরটা খুবই পানসে লাগছে। জায়গা কম হলেও ছোটর মধ্যে মোটামুটি ভালই করেছে। একদিনে বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপ দেখা বেশ কষ্টসাধ্য মনে হচ্ছে । তারপরও তো আপনি বের হলেই তিন চারটার নিচে না দেখে ফেরেননি।

মাসি তো বোন বলে কথা না গিয়ে উপায় আছে ৷ আর টটো তে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে যদি হয় অনেক জন মিলে তাহলে তো কথাই নেই ৷
যা হোক দাদা আপনার করা বিগত পর্বের ব্লগ গুলোও দেখেছি ৷কালী পুজো সেই জাঁকজমক পুজো হয়েছে ৷ তার প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ ৷

দাদা কালী পূজায় ঘোরাঘুরির এই পর্বটাও আমার বেশ ভালো লেগেছে। তবে একটা জিনিস বুঝতে পারলাম পুজোর দিনগুলোতে ভীষণ ব্যাস্ত থাকতে হয় আপনার। ভান বোন আর বন্ধুরা ধরলে না করা যায় না। বেরিয়ে পরতেই হয়।

প্রথম যে পূজা মন্ডপটা গ্লাস দিয়ে করেছে ওটা কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে, ওর থিমটা একটু আনকমন ছিল। তাছাড়াও অন্যান্য ছবিগুলো জাষ্ট অসাধারণ ছিল। সবথেকে বড় ব্যাপার ভিড় ঠেলে কত কষ্ট করে আমাদের জন্য ছবিগুলো সংগ্রহ করেছেন। আর আপনার ছবি সবসময়ই সুন্দর হয় এবং পরিষ্কার বোঝা যায়।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

দাদা পায়ে ব্যাথা থাকার পড়েও মাসির মেয়েদের জন্য আপনাকে পূজা দেখতে যেতে হলো। আপনি যদি না যেতেন তাহলে আমরা তো সংহতি ক্লাব' এর পুজো প্যান্ডেল আর উনাইটেড এসোসিয়েশন' ক্লাব এর প্যান্ডেল দেখতে পারতাম না। দুইটি ক্লাব থেকে সংহতি ক্লাবের প্যান্ডেলটা বেশি সুন্দর হয়েছে।তারা রাজকীয় ভাবে সাজিয়েছে তাদের প্যান্ডেলটা। আপনি বলছেন ইউনাইটেড এসোসিয়েশন ক্লাব এর পাশেই আরেকটি বড়ো পুজো প্যান্ডেল আছে। সেটা দেখার আগ্রহ রইল। ধন্যবাদ দাদা।