বহু প্রতীক্ষার পরে আইপিএল ট্রফি কলকাতা শিবিরে

in hive-129948 •  7 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


স্ক্রিনশর্ট: jiocinema

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আইপিএল এর শেষ অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচ ছিল। আর এই খেলাটা আশা করি অনেকেই দেখেছেন। কলকাতা আর হায়দ্রাবাদ এর মধ্যে এই ম্যাচটি বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এই আশা নিয়েই সবাই বসেছিল আসলে আর হওয়ারই কথা, ফাইনাল ম্যাচ বলে কথা। গতকাল টসে জিতেছিলেও হায়দ্রাবাদ আর তারা আগেই ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, হয়তো সেটা পিচের কন্ডিশন দেখেই নিয়েছিল। তবে ব্যাটিং করতে এসে পড়ে বিপদে, সে যেন এক ধস নামার মতো অবস্থা। আর স্টার্ক গতকাল যে হার্ড লেন্থ এর বল করেছে, তা খেলা এক প্রকার অসম্ভব বলেই মনে হয়, কারণ ব্যাট-বলই করতে পারছিলো না। এছাড়া বাকিরাও দুর্দান্ত লেন্থ এর বোলিং করেছিল, যেমন হরষিত, বরুন, নারিন এইরকম অনেকেই বেশ ভালো লেন্থ এর বল করেছিল। তবে তাদের ব্যাটিং আর এদের বোলিং লেন্থ দেখে একটা বিষয় মনে হচ্ছিলো যে, এই পিচের কন্ডিশন নিশ্চিত বোলিং পিচের দিকেই যাচ্ছে।


স্ক্রিনশর্ট: jiocinema

ফলে যদি হায়দ্রাবাদ এর ব্যাটিং কন্ডিশন এই অবস্থা হয়, তাহলে কোলকাতারও বেশ বিপাকে পড়তে হবে যদি টার্গেট ১৩০ এর মতো হয়ে যায়। হায়দ্রাবাদ এর তো পাওয়ার ওভারেই অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে, মাত্র ৫ রান রেটেই আটকিয়ে ছিল। এক্ষেত্রে মারকরাম এসে খেলার চেষ্টা একটু করেছিল বটে, কিন্তু সেটা কাজে দেয়নি, খেলতে না ঠিকই, কিন্তু তাও মোটামুটি ধীরে ধীরে কিছুটা রান করে দিয়েছিলো। ক্লাসেন থেকেও কোনো লাভ হয়নি, সেও ১৬ রানের বারি খেলে শিবিরে ফেরে। মোট কথা, তাদের উইকেট একটানা পড়তেই ছিল প্রথম থেকে। ১৪ ওভারে রান ৬০ এর কাছে, এতটা খারাপ পরিস্থিতে পড়েছিল তারা। এদের রান যে ১০০ হবে এটাও আশা করা যায়নি, তবে না হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল, কারণ পরে কাম্মিনস এসে যে ক্যাচটা তুলেছিল সেটা আবার স্টার্ক ছেড়ে দিয়েছিলো, তবে এই ক্যাচটা দেখে কেমন যেন মনে হলো ইচ্ছা করেই ছেড়েছিলো, ক্যাচ মিস হতেই পারে ম্যাচে, কিন্তু এই ক্যাচটা সোজাসুজি তার হাতেই ছিল, ফলে কেমন যেন একটা মনে হলো।


স্ক্রিনশর্ট: jiocinema

সে যাইহোক, এই ক্যাচটা ধরলে রান ১০০ টানে টানে হতো। তবে রাসেল একটা ক্যাচ ধরেছিলো দুর্দান্ত, কিন্তু ওটা আসলে ধরেও কোনো লাভ হয়নি, কারণ যে গতিতে গিয়ে ধরেছিলো, তাতে সে ব্যালান্স হারিয়ে স্লিপ খেয়ে মাঠের বাইরেই চলে গিয়েছিলো। মোটামুটি কলকাতা বলা যায় এই ম্যাচে যেমন হার্ড বোলিং করেছে, তেমন ফিল্ডিংও করেছিল। একদম সূর্যাস্ত করে দিয়েছে বলতে গেলে তাদের। তবে এই রান চেজে একটা মজার বিষয় ঘটেছে কি, যে কলকাতা ব্যাটিং করতে এসে প্রথম থেকেই তারা যেমনটা বরাবরই এটাককিং মুডে থাকে, তেমনটাই করলো। এদের ব্যাটিং দেখে একটা বিষয় মনে হয় যে, কোনো বলকেই পাত্তা দেয়না, বিশেষ করে নারিন আর ভেঙ্কটেশ। সব সময় এটাক করার জন্য। এই ম্যাচে নারিন সুবিধা না করতে পারলেও ভেঙ্কটেশ অসাধারণ ফিনিশ করেছে, ভেঙ্কটেশ এর ব্যাটিং দেখে মনে হলো যেন ছেলেখেলা করছে হা হা।


স্ক্রিনশর্ট: jiocinema

প্রতিটা ওভারেই ৩-৪ টা করে বাউন্ডারি মারছিলো, সেটা ৬ হোক বা ৪ হোক। ফাইনাল ম্যাচে এইরকম খেলা আর তাও যদি শেষ পর্যন্ত ৫০ করে তাহলে সেটা অনেকদিন পর্যন্ত একটা স্মরণীয় বিষয় হয়ে থেকে যায়। তবে এই ৫০ রানটাও করেছিল বল খেলে। কলকাতা বলতে গেলে অনেক বছর বাদে ফাইনাল জিতলো, ১০ বছরের অপেক্ষা এইবার সফল হলো। তবে এইবার নিঃসন্দেহে কলকাতাকে মানতে হবে যে, প্রথম থেকেই তাদের অসাধারণ পারফরমাঞ্চ ছিল, আর ফাইনালেও এসে সেটার ফল পেলো।


স্ক্রিনশর্ট: jiocinema

তবে এই আইপিএল ম্যাচে সবথেকে লো স্কোরিং রান চেজ ছিল এটা। এর আগেও ফাইনালে লো স্কোরিং রান হয়েছে, কিন্তু এতটা কম ছিল না, আর এই রানটাও হওয়া সম্ভবপর ছিল না। যাইহোক, তবে হায়দ্রাবাদ কিন্তু শেষের দিকে এসে ভালোই কষ্ট করে ফাইনালে এসেছিলো, যদিও এখানে সবাই রাজস্থানকেই আশা করেছিল। যাইহোক, এইবারের আইপিএল কাপ কলকাতার শিবিরেই গেলো আর এটা সমগ্র কলকাতার দর্শকের কাছে একটা আনন্দেরও বিষয়।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

কলকাতা এবং হায়দ্রাবাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বুঝতেই পারছি দাদা। এই লড়াইয়ে অবশেষে কলকাতা বিজয়ী হয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো। আইপিএল ট্রফি কলকাতা শিবিরে এটা সত্যি অনেক আনন্দের বিষয় দাদা।

হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং দেখে যে কেউ বলবে সেটা বোলিং পিচ ছিলো। মিচেল স্টার্কের বোলিং ছিলো একেবারে চোখ ধাঁধানো। তবে কলকাতা ব্যাটিংয়ে নামার পর তো সবাই একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছে। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল সেটা ব্যাটিং পিচ। মানে এককথায় দুর্দান্ত ব্যাট করেছে কলকাতা এই ম্যাচে। টার্গেট যদি ২০০ হতো,তবুও কলকাতা অনায়াসে চেজ করতে পারতো। এমন সাদামাটা ফাইনাল ম্যাচ দেখে অবাক হয়েছি। তবে ফাইনাল ম্যাচের আগেই আমার মন বলছিলো কলকাতা এইবার ট্রফি জিতবে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

কলকাতার বিজয় দেখে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। খেলা সবাই অনেক উপভোগ করেছে। আর দর্শক তো ভীষণ আনন্দ পেয়েছে দাদা। আপনি অনেক সুন্দর করে এই রিভিউ তুলে ধরেছেন। খেলার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।

কলকাতা সম্ভবত শেষবার আইপিএল জিতেছিল ২০১৪ সালে। প্রায় দশ বছর পর আবার তাদের ঘরে শিরোপা গেল। একটা কথা আছে উস্তাদের মার শেষ রাতে। মিচেল স্টার্ক যেন সেটাই করে দিয়ে গেল। তার ডেলিভারি ছিল এককথায় অসাধারণ। যদিও ফাইনাল ম‍্যাচটা লো স্কোরিং হলেও জমজমাট হয়। কিন্তু ঐ রানে হায়দ্রাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল কলকাতা কে আটকানো।।