কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ১৩ )

in hive-129948 •  11 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে তাহলে দেখে নেওয়া যাক আলোকচিত্রগুলো।

Photo by @winkles

এই কালী পুজোটা অনেক ছোট করে তৈরি করেছিল, কিন্তু এখানে ছোটোখাটো করলেও আলোকসজ্জা আর প্রত্যেকটা ডিজাইন ছিল অসাধারণ। এইটা মধ্যমগ্রামের শ্রীপুর এর দিকে ছিল। প্রথমত প্যান্ডেলের ডিজাইন আর আলোকসজ্জাটা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছিলো, ডিজাইনগুলো ফুলের এবং অনেকটা লতাপাতার মতো দেখতে ছিল। আর প্যান্ডেলের বাইরে হরিনের একটা ডিজাইন করা ছিল। তবে এইগুলো সম্ভবত রাতের দিকে দেখে মনে হয়েছিল কাঠের মাধ্যমে করা।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

যাইহোক, এরপর ভিতরে প্রবেশ করার পরে আরো কিছু ডিজাইন দেখলাম। সামনে বড়ো একটা মুখোশের ডিজাইন করা দেখলাম আর এই মুখোশের এই ডিজাইনটা আরো ফুটে ওঠার একটা কারণ হলো, ডবল লাইটিং ইফেক্ট। সর্বোপরি মুখোশটা আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছিলো ডিজাইনগুলোর মধ্যে। এছাড়া ওখানে আরো একটা ফুলের ডিজাইন ছিল, যেগুলো সাধারণত একধরণের সফ্ট কাগজ দিয়ে করা মনে হয়েছিল। লাইটিং এর কালার আর পেপার এর কালার মিলিয়ে বেশ লাগছিলো দেখতে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপরে মূল মন্ডপের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম এবং মণ্ডপের ডিজাইনটা দেখলাম অসাধারণ করেছে। ফ্রন্ট এবং সাইডের দিকে ডিজাইনটা বেশ ইউনিক ছিল আর আকর্ষণীয় ছিল। সব থেকে বড়ো বিষয় হলো, এখানে পুরো ডিজাইনে ৩-৪ ধরণের লাইট ইফেক্ট দিয়েছে, যেটা দেখতে অনেক আসলেই অনেক সৌন্দর্যময় করে তুলেছিল। সেই সাথে এখানে আরো একটা মূর্তির মতো যেটা দেখছেন, এটা আসলেই দেখতে অসাধারণ ছিল আর এটা সাধারণত কাঠেরই খোদাইকৃত একটা ডিজাইন ছিল আর ব্যাকগ্রান্ডটাতে পাতা লাগিয়ে দিয়েছে, যেটা আসলেই খুবই সুন্দর ছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর আপনারা আরেকটা বিষয় দেখতে পাবেন, এখানে কিছু ব্যাঙের ডিজাইন, এই ব্যাঙগুলো এখানে ছবিতে কিন্তু এইরকম দেখালেও সাইজে অনেক বড়ো বড়ো ছিল। তবে কেউ আবার জীবিত ভেবে বসিয়েন না যেন হা হা, তবে এইগুলো কি দিয়ে ডিজাইন করা ছিল বলতে পারবো না। আর লাইট ইফেক্টটা এতো বেশি ছিল যে, শুধুই এর সৌন্দর্যটা সুন্দর লাগছিলো। আরেকটা ব্যাঙ দেখতে পাবেন, যেটা একটি কলা গাছের পাশেই ছিল। এই ব্যাঙটা সব থেকে বড়ো ছিল, দেখলেই যেন ভয় পেয়ে যেতে হয়। বাচ্চারা আবার এইসব ব্যাঙের পিঠে ওঠাউঠি করে বেশ মজা করছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপরে চলে গিয়েছিলাম তারই পাশে একটি টাইগার এর সামনে। এই টাইগারের ডিজাইনটা দেখতে অনেকটা ভয়ানক করেছিল, বিশেষ করে সামনের হা করার দৃশ্যটা দেখে অনেক বাচ্চারা ভয় পাচ্ছিলো। কিছু দুরন্ত বাচ্চারা আবার এর পিঠে উঠে মজাও নিচ্ছিলো হা হা। মুখের ভিতরে একটা লাইট দেওয়ায় এটা দেখতেও অনেক ভালো লাগছিলো ভিতরের বিষয়গুলো। এরপর ফ্লামিংগো নামের একটি পাখি দেখতে পাবেন, এটাও ডিজাইনগুলোর মাঝে রাখা ছিল। মোটামুটি যতগুলো ডিজাইন এখানে মণ্ডপের বাইরে সাজানো ছিল, সবগুলোই অনেক দৃষ্টিনন্দন ছিল। এরপর শেষে মায়ের দর্শন করে চলে এসেছিলাম। মায়ের মূর্তির ডিজাইনটাও অনেক আকর্ষণীয় ছিল সবথেকে ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মূর্তির কালারটা দারুন ম্যাচিং ছিল।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনমধ্যমগ্রাম
তারিখ১৪ নভেম্বর ২০২৩


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

অনেক ভালো লাগলো দাদা , কালী পুজোর আরো কিছু আলোকচিত্র দেখে এবং আপনার সুন্দর অনুভূতি পড়ে ৷ আসলে আপনাদের ওদিকে কালী পুজো বেশ জাঁকজমক ভাবে করা হয় ৷ শ্রীপুরের এই পুজোটা ছোটোখাটো ভাবে করলেও কিন্তু আলোকসজ্জা মায়ের প্রতিমা আর সব কিছু ই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ৷ আমার কাছেও বেশ ভালো লাগলো আলোকচিত্র গুলো দেখে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার সুমন অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷

Posted using SteemPro Mobile

দাদা কালী পূজা উপলক্ষে তারা ছোটখাটো আয়োজন করলেও, তাদের সম্পূর্ণ আয়োজন দেখে একেবারেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে প্যান্ডেলের ডিজাইন এবং লাইটিং এক কথায় দুর্দান্ত হয়েছে। ৩/৪ ধরনের লাইটিং ইফেক্ট এর জন্য সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে রাতের বেলায় এমন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। সফট কাগজ দিয়ে তৈরি করা ফুলের ডিজাইনগুলো দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এমন টাইগার দেখলে তো বাচ্চারা ভয় পাবেই। তবে যারা দুষ্ট বাচ্চা, তাদের কাছে এগুলো কোনো ব্যাপারই না। ব্যাঙ, টাইগার এবং পাখি একেবারে নিখুঁতভাবে তৈরি করেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা আসলেই খুব ভালো। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা দেখতে দেখতে কালীপুজোর তেরোটা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনি আজকে আমাদের মাঝে মধ্যমগ্রামের শ্রীপুর এর দিকে যে প্যান্ডেলটা ছিল তার ফটোগ্রাফী শেয়ার করেছেন যেটা অনেক সুন্দর লেগেছে। প্যান্ডেলটা অনেক সুন্দর ভাবে করা হয়েছে, এবং কি দেখতেও খুব সুন্দর লাগতেছে। লাইটিং টা আমার কাছে সব থেকে বেশি সুন্দর লেগেছে। অনেক বড় একটা মুখোশ দেখলাম। অনেক রকমের প্রাণীর ডিজাইন দেখেছি যেগুলো দেখে তো আমার কাছে আরও বেশি সুন্দর লেগেছে। ব্যাঙ, বাঘ এবং পাখি অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। বাঘের মুখের ভিতরে লাইট দেওয়ার কারনে আমার কাছে কিন্তু বিষয়টা বেশি ইউনিক এবং সুন্দর লেগেছে। আর আপনাদের মায়ের মূর্তি টাকেও দেখছি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দাদা। সব মিলিয়ে দাদা এই প্যান্ডেলের ডেকোরেশন টা করা হয়েছে একেবারে চমৎকারভাবে। ফটোগ্রাফি গুলো আমি যত দেখছিলাম আমার কাছে ততই অসম্ভব ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ১৩ তম পর্বের মাধ্যমে এই আলোকচিত্র গুলো শেয়ার করার জন্য।

এবারের পর্বটি বেশ আলোকসজ্জা ছিল। আপনি ঠিক বলছেন দাদা টাইগারের ডিজাইন টা দেখে আমিও ভয় পেয়ে গেছি। তবে অন্যান্য দৃশ্য গুলো দারুন হয়েছে। আপনি কালী পূজার আলোকচিত্র ১৩ তম পর্ব শেয়ার করলেন। প্রতিটি পর্ব অসাধারণ ছিল। ভিতরে দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ভাবে নিলেন ফটোগুলো। পূজা উপলক্ষ্যে বেশ ঘোরাঘুরি করলেন এবং সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে নিলেন। আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে যাচ্ছেন অনেক ধন্যবাদ।

পুজো মণ্ডপের কাজ সফ্ট কাগজ দিয়ে ডিজাইন করা হলেও তাতে আলোকসজ্জার জন্য দেখতে ভারী সুন্দর লাগছে ভাই। এ পর্বের ছবিগুলো বেশ ভালই উপভোগ করলাম।