শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ( পর্ব ৪ )

in hive-129948 •  2 days ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তো আমরা আদিবাসী গ্রাম ঘুরে আসার পরে কোপাই নদীর দিকে যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু ওখানে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এমন একটা পার্ক মতো জায়গা চোখে পড়লো, যে ওখানে না গিয়ে আর থাকতে পারলাম না। ওটা পার্ক না ঠিক, একটা শিল্পগ্রাম ছিল। নাম ছিল সৃজনী শিল্পগ্রাম। আসলেই ভিতরে ঢুকলে তেমনই মনে হবে। আর ভিতরে এতো বড়ো জায়গা ঘিরে সমস্ত শিল্প তৈরি করা আছে, যে মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো। প্রথমে আমরা ওখানে ভিতরে ঢুকে টিকিট কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে আশেপাশে বিভিন্ন ধরণের শিল্প কলা আর ডিজাইন ছিল, যেগুলো অনেকটা সৌন্দর্যপূর্ণ ছিল। কিছু কিছু জায়গায় অনেক লম্বা লম্বা মুখোশ ছিল, যেগুলো আবার বিভিন্ন ধরণের ডিজাইনের করা ছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এছাড়া গেটের ওখানে আরো বিভিন্ন ধরণের নকশা করা ছিল, যা দেখতে অনেক আকর্ষনীয় লাগছিলো। তারপর ছিল কুলো, পাখা এইসব দিয়ে আরো নানাধরণের ডিজাইনে পরিপূর্ণ ছিল, আলোকচিত্রগুলো দেখলে আপনারাও বুঝতে পারবেন কতটা সৌন্দর্যপূর্ণ ছিল। এরপর আমরা একটু ভিতরের দিকে গিয়ে দেখলাম একজন বাউল গান ধরেছে আর অনেক ইউটিউবাররা রেকর্ডও করছে। আমরাও গিয়ে রেকর্ড করছিলাম, কিন্তু একদম শেষ পর্যায়ে গিয়েছিলাম, ফলে আর তেমন রেকর্ডড হয়নি। এরপর ওখান থেকে আমরা বেরিয়ে মেইন গেটের দিকে ঢুকলাম, যেখানে বিভিন্ন ধরণের শিল্পশৈলী আছে এবং চারিদিকে প্রচুর ভাস্কর্য। দেখে এক কথায় মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ছিল। এখানে যেসব মূর্তি আর ভাস্কর্য আছে, সবগুলোই প্রাচীন, বহু আগের।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আপনারা ভাস্কর্যগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে, এইগুলো কত পুরোনো হতে পারে। কিন্তু এখনো এখানে অখ্যাত আছে। এর মধ্যে গোলাপ বাগান, এইসব কিছু সব রয়েছে। বিষয়গুলো অনেক দৃষ্টি আকর্ষিক ভাবে তৈরি করা। বৌদ্ধ দেবের যে মূর্তিটি দেখতে পাবেন, সেটা পাথরের তৈরি এবং অনেক প্রাচীন। এইগুলো প্রায় পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ভাস্কর্য। বৌদ্ধ মূর্তিটির পিছনের যে ব্যাকগ্রাউন্ডটা দেখছেন, এটা খোদাই করা, আর পাথরের উপরে ফুটে উঠেছেও বেশ। এছাড়া পাশে আরো একটা শিল্পকর্ম দেখতে পাবেন, যেটা কিছুটা সাপের ন্যায় বা একটা অন্য কিছু রহস্যময় রূপের মতো দেখতে লাগছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এছাড়া এখানে আদিবাসী বীরদের মূর্তি দেখতে পাবেন, যাদের বীরত্বকে সম্মান জানিয়ে এই মূর্তিগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রানী গাইদিনলিউ ছিলেন একজন সাহসী সংগ্রামী আদিবাসী নারী, এছাড়া তিনি একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের এক মহান নারী যোদ্ধা হিসেবেও খ্যাত। রানী গাইদিনলিউ ব্রিটিশ আমলের শাসনের বিরুদ্ধে অনেক লড়াই করেছিলেন। এছাড়া এখানে আরো অনেক বীরের মূর্তি দেখতে পাবেন, এইগুলো পরের পর্বে আলোচনা করবো।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনশান্তিনিকেতন
তারিখ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে শান্তিনিকেতন ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আজকের এই পর্বটা। এলোমেলো ভাবে আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। যেগুলো দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে এই পোস্টটি লিখেছেন। আশা করি এভাবে সুন্দর করে শান্তিনিকেতন ভ্রমণের সবগুলো পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

আপনার করা শান্তিনিকেতন ভ্রমণ পর্বগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা।বিশেষ করে বিভিন্ন মূর্তি ও মুখোশগুলি দারুণ ছিল।আর আদিবাসীদের মূর্তি ও গাছের গায়ের শিল্পগুলির মধ্যে বেশ নতুনত্ব ছিল।ফটোগ্রাফিগুলি অসাধারণ ছিল,ধন্যবাদ দাদা।

সৃজনী শিল্পগ্রাম তো দেখছি আসলেই বেশ বড়। এতো সুন্দর সুন্দর শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি দাদা। তাছাড়া আদিবাসীদের মূর্তি গুলো দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করলাম। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।