হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'নিকষ ছায়া' নামের ওয়েব সিরিজ এর দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "স্মৃতি বিস্মৃতি"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে শেষমেশ চিরঞ্জিত এর বাড়ির দরোজায় একটি মৃত কাক বা একটা পাখি মৃত অবস্থায় এসে পড়ে। এরপরে ঘটনা কি হয় এই পর্বে সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
এমনিতেই তো প্রতিনিয়ত নীলগঞ্জ এর ওই হাসপাতাল থেকে লাশ প্রায় চুরি হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ যে একটা পিশাচ করছে। আসলে এই পিশাচের প্রধান যে বিষয়টা দাঁড়িয়েছে, সেটা হলো এটা একটা তান্ত্রিকের দ্বারা সঞ্চালন হচ্ছে। পিশাচটা সম্পূর্ণ তার বশে, যা করতে বলে তাই করে থাকে। একদিন রাতে ওই হাসপাতাল থেকে আরো একটি লাশ গাড়িতে করে সেই মৃতের বাড়িতে দিয়ে আসতে যাচ্ছিলো, যাতে করে তার সৎকার করতে পারে ঠিকভাবে। এখন ওই রাতে কিছুদূর যাওয়ার পরে রাস্তার মাঝখানে একটা পিশাচ বসে থাকে হঠাৎ করে আর ওই ড্রাইভার দেখে প্রথমে মনে করে কোনো পাগল বা মাতাল হবে। তাই তাকে যা তা ভাষা দিতে থাকে। এমনিতেও এরা এইসব লাশ নিয়ে যাওয়ার সময়ে রাতে নেশা করে থাকে।
তবে এই পিশাচ হুট্ করে সামনে চলে আশায় একদম চমকে যায় আর ভয় পেয়ে যায়। মূলত ওই পিশাচ এসেছিলো ওই লাশটাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু মাঝখানে ওটাকে দেখে হামলা করে বসে বাইরে আসার সাথে সাথে। সে একপ্রকার যেন জন্তু-জানোয়ারের মতো ছিড়ে ছিড়ে তার বুকের মাসেল খেতে থাকে। যদিও সে মরেনি, অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদিকে অমিয় নামের যে অফিসারের হাতে এই কেস পড়েছিল, তাকে খবর দেয় যে জঙ্গলের ভিতরে একটা বিশ্রী অবস্থায় লাশ পাওয়া গিয়েছে অর্থাৎ অর্ধেক খাওয়া। এরপর অমিয় তার সহকর্মীদের নিয়ে সেই জঙ্গলে যায় তল্লাশিতে এবং জঙ্গলের মাঝ বরাবর দেখে পুজো করার মতো জিনিসপত্র পড়ে আছে। এরপর সে চিরঞ্জিতকে ফোন করে সেখানে আসতে বলে এবং সেই জানায় যে, এখানে কোনো পুজো হয়নি, এটা একটা তান্ত্রিকের যজ্ঞ করার মতো আর ওই পিশাচের কর্মকান্ড।
আর ওখানে কোনো কিছুতে হাত দিতে মানা করে যতক্ষণ না ওখানে পবিত্র করছে সবকিছু। এদিকে অমিয় এর বড়ো বাবু এই কেস নিয়ে রেগে যাচ্ছে এবং চিরঞ্জিতকে এই কেসে টানতেও মানা করে দেয়। এমনিতেও এই কেসের একটা ঝামেলা তৈরি হয়েছে মিডিয়ার সামনে আর তার উপর আধা খাওয়া সেই লাশ নিয়ে এসেছে। এদিকে অমিয় এর সাথে আরেকজন যে অফিসার কাজ করতো, তার মেয়েকে সে আবার খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ সে জানতো যে তার মেয়ে কলেজের কোনো একটা প্রোগ্রামে বাইরে গিয়েছে এবং সেখান থেকে সবাই ফিরেও এসেছে। কিন্তু তার মেয়ে ফিরে আসেনি। এরপর সব জায়গায় খোঁজ করতে থাকে, কিন্তু সে কোথাও যায়নি। এরপর চিরঞ্জিত এর কাছে বললে সে নিজে তাঁর তন্ত্র সাধনার দ্বারা খোঁজার চেষ্টা করে।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
মূলত এই অফিসারের মেয়েটা ওইদিন প্রোগ্রামে না গিয়ে অন্য্ কোথাও চলে যায়। আসলে ওই যে প্রথমে বলেছিলাম, একটা মেয়েকে জঙ্গলের ভিতর থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছে, আসলে মেয়েটা সেই। ওকে আসলে কোনো তান্ত্রিক বশ করে ফেলেছিলো এবং তার তান্ত্রিক সাধনার বলে তাকে টেনে নিয়ে আসে ওই জঙ্গলের ভিতরে। চিরঞ্জিত তার তান্ত্রিক বলে এই সবকিছু দেখতে পায় এবং তাকে যে ওই পিশাচ টেনে নিয়ে গিয়েছিলো সেটাও দেখে। কিন্তু ওই পিশাচের চেহারা সে দেখতে পায় না দেখার চেষ্টা করলেও। এখন তার একমাত্র লক্ষ্য হলো তার চেহারা দেখা এবং তার জন্য এই পিশাচ সম্পর্কে ধারণা দরকার।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৭.২/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আজ ওয়েব সিরিজ নিকষ ছায়ার দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ করলেন।আর খুব সুন্দর ভাবেই রিভিউ করলেন।এর প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছিল।এ ধরনের সিরিজ গুলো একটার পর একটা দেখার আগ্রহ যেনো বেড়েই চলে।আজকের পর্ব পড়ে আবার নতুন আগ্রহ যেনো তৈরি হলো।পিশাচের চেহারা দেখার আর তার সম্পর্কে ধারনা নেয়া এখন ভীষণ জরুরী হয়ে পরেছে।আশাকরি পরবর্তী পর্বে নতুন কিছু জানতে পারবো।ধন্যবাদ দাদা সময় নিয়ে সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেই পিশাচ তো দেখছি খুবই ডেঞ্জারাস। সেই পিশাচকে যে তান্ত্রিক কন্ট্রোল করছে, সে তো মনে হচ্ছে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে যাবে। আমার মনে হচ্ছে একমাত্র চিরঞ্জিত পারবে এসবকিছুর সমাধান করতে। তাই পুলিশের উচিত চিরঞ্জিতকে সাথে রাখা। কারণ এই ধরনের কেস শুধুমাত্র পুলিশ সেভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবে না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটার রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ওই পিশাচ দেখছি অনেক বেশি ভয়ংকর। আর তার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নিতেই তো পারছে না। যা করা দরকার সবকিছুই সাবধানে করতে হবে। আর একমাত্র চিরঞ্জিতই পারবে এই সবকিছুকে সাবধানে ভালোভাবে করতে। পিশাচের চেহারা দেখছি এখনো দেখতে পায়নি। শেষ পর্যন্ত কি হবে এটাই দেখতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্বের রিভিউটা আমার পড়া হয়েছিল। আর আজকে দ্বিতীয় পর্বের রিভিউ পড়তে খুবই ভালো লেগেছে। আসলেই পিশাচ সম্পর্কে অনেক বেশি ধারণা দরকার। ধারণা না নিলে কোনো কিছুই ভালোভাবে করা যাবে না। এখনো পর্যন্ত দেখছি ওই পিশাচের সম্পর্কে ভালোভাবে কোনো কিছুই জানা যায়নি। অনেক চেষ্টার পরেও দেখছি ওই পিশাচের চেহারাটা দেখতে পেল না। শেষ পর্যায়ে কিভাবে এটা জানার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ জন্মেছে দাদা। আশা করছি আপনি আস্তে আস্তে পর্বগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ এই পর্ব টা শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit