দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ৪ )

in hive-129948 •  2 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আলোকচিত্রগুলি। এই পর্বে আপনাদের সাথে "হিন্দুস্থান ক্লাব" এর পুজোর আলোকচিত্র দেখাবো। এক ডালিয়া দেখার পরে এই পুজোটাই পড়ে গড়িহাটের দিকে। এই ক্লাব এর লাইটিং এর বিষয়টা সাধারণ থাকলেও দেখতে একটু অন্যরকম আকর্ষণীয়তা আছে। নকশা এবং গেটাপ টা বেশ দেখতে লাগছে, গেটের লাইটটা এইরকম থাকলেও ভিতরে লাইটিংটা আরো সুন্দর সাজিয়েছিল, যেটা দেখলে বুঝতে পারবেন। ভিতরে এই লাইটিংটা মণ্ডপের জায়গা পর্যন্ত সুন্দর ডেকোরেশন এর মাধ্যমে সাজিয়েছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

লাইটিং এর একদম উপরের ডেকোরেশনটা দেখলে দেখবেন যে, ওখানে সাজিয়েছে হাতির মাধ্যমে, আগে যেমন দেখা যেত হাতির উপরে উঠে অনেকে যাতায়াত করতো, মানে বিষয়টা এইরকমই দেখাচ্ছে আরকি। এরপর ভিতরের ডিজাইনটা আরো মনোমুগ্ধকর ছিল, পুরোটা দারুন ভাবে সাজিয়ে তুলেছিল তারা। এরপরে আরো একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, প্যান্ডেলের বা মণ্ডপের দিকে যেতে রোডের একদম সাইডে একটা স্পাইডার এর মাধ্যমে লাইটিং এর ডিজাইন সাজিয়েছে। স্পাইডারটা অনেক বড়ো আর তার পিঠে একজন স্পাইডার ম্যানকে তৈরি করে দিয়েছে। এইগুলো সবই লাইটিং এর মাধ্যমে ডিজাইন করা। দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর আস্তে আস্তে এই লাইটিং এর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে মণ্ডপ বা প্যান্ডেলের কাছে চলে গিয়েছিলাম। প্যান্ডেলটিকে আসলে প্রথমে দেখে খুবই সাধারণ একটা প্যান্ডেলের মতো লাগছিলো, দূরের থেকে আসলে বোঝাও যাচ্ছিলো না। কিন্তু প্যান্ডেলটি করেছে দারুন একটা থিমের উপরে। এখানে প্যান্ডেলটির একদম উপরিভাগের দিকে দেখলে দেখতে পাবেন যে, ওখানে পুরো ডিজাইনটা চাকার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। আসলে থিমটা ছিল এমন যে, "হাতে টানা রিক্সা" এর উপর বেস করে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে। আসলে এই হাতে টানা রিক্সা আমাদের কলকাতার একটি পুরোনো ঐতিহ্য ছিল, যেটা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এখন আর কলকাতায় তেমন এই হাতে টানা রিক্সা দেখা যায় না। তবে নর্থ কলকাতায় গেলে যদিও এখনো কিছু কিছু জায়গায় এই হাতে টানা রিক্সা দেখা যায়, কিন্তু তাও খুবই কম। বর্তমানে এই সময়ে সবাই মটর চালিত ইঞ্জিন লাগিয়ে ব্যবহারের ফলে এইসব পুরোনো ঐতিহ্য তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এখন আর কেউ এই রিক্সা ব্যবহার করে না বা চড়েও না। পুরো প্যান্ডেলের ডেকোরেশনটা দেখলে দেখবেন যে, রিক্সার যে ছাউনি থাকে, সেইরকম কিন্তু আগাগোড়া এই ডিজাইনে তৈরি করে নিয়ে গিয়েছে। এখানে পাশ দিয়ে একদম উপর পর্যন্ত সমস্ত ডিজাইনে রিক্সা রয়েছে, সেটা হাতে টানা হোক বা প্যাডলের মাধ্যমে চালিত রিক্সা হোক। প্যাডেলের মাধ্যমে চালিত রিক্সাটাও এখন তেমন চলে যা, সবই আস্তে আস্তে বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এখানে আসলে মূলত এই বিষয়টাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তারা। এছাড়া দেখবেন যে, এখানে ওয়ালের গায়ে আরো বিভিন্ন পুরোনো আমলের ডিজাইনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টা উপস্থাপনা করেছে। যাইহোক, প্যান্ডেলের পুরো ডিজাইনটা ছিল অসাধারণ। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কলকাতার এক ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে বিষয়টা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। এরপর লাস্টে মায়ের মণ্ডপের কাছে চলে গিয়েছিলাম। এখানে মায়ের মূর্তিটাও দারুন করেছে, মায়ের মুখের দিকে তাকালে মনে হবে যেন, একটা সাধারণ মেয়ের মুখচ্ছবি ফুটে উঠেছে। আর মাকেও হাতে টানা রিক্সার উপরে বসিয়ে দিয়েছে। দারুন আর্ট করেছে সবকিছুতে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনকলকাতা
তারিখ৭ অক্টোবর ২০২৪


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমাদের মাঝে "হিন্দুস্থান ক্লাব" এর পুজোর অনেক সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে প্রথম তিনটা পর্বের মতো এই পর্বটাও ভালো লেগেছে। এই পর্বের মাধ্যমেও বেশ কিছু সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। যেগুলো আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে। অনেক সুন্দর একটা থিমের উপর সাজানো হয়েছে। লাইটিং গুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। এরকম সৌন্দর্য সরাসরি দেখতে ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, ফটোগ্রাফি গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য। পরবর্তী পর্বের জন্য এখন অপেক্ষায় থাকলাম।

দাদা আজ আপনি অনেক সুন্দর করে দুর্গাপুজোর চতুর্থ নাম্বার পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর আমার কাছে এই পর্বটা অনেক ভালো লেগেছে। এই পর্বের মাধ্যমেও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলাম দূর্গা পূজার। হিন্দুস্তান ক্লাবের পুজোর প্যান্ডেলটা অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। সবকিছুর মধ্যে এটা সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। আশা করছি আরো বেশ কয়েক রকম জায়গার দুর্গাপুজোর আলোকচিত্র আমাদের মাঝে এভাবেই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

পূজা প্যান্ডেলের আলোকসজ্জা দেখে একদম চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে দাদা। অনেকটা সময় ধরে ছবিগুলো দেখলাম।

উফফ কী চমৎকার সব ছবি। আপনাদের এই পোস্টগুলোর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের পূজা দেখতে পাই সেটাই আনন্দের। লাইটের এই কাজগুলো অসাধারণ। এ রিক্সা থিমের যে প্যান্ডেলটা সব থেকে ভালো লেগেছে। সত্যিই তো কলকাতায় এখন আর হাতে টানা রিকশা দেখতে পাওয়া যায় না। এ যেন মিউজিয়ামে রাখার মত বস্তু হয়ে গেছে। দাদা আপনার আজকের পোস্টটি আমার খুবই ভালো লেগেছে৷

হিন্দুস্থান ক্লাব দূর্গা পূজা উপলক্ষে দারুণ আয়োজন করেছে দেখছি। তাছাড়া তাদের থিমটা খুবই সুন্দর লেগেছে। আমি কলকাতায় গিয়ে হাতে টানা রিক্সায় চড়েছিলাম। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি ভীষণ উপভোগ করলাম। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

যাই বলেন আপনি মোটরের রিক্সার মধ্যে ঐ অনূভুতি টা কখনোই পাওয়া যায় না যে অনূভুতি টা পাওয়া যায় টানা রিক্সায়। চমৎকার লাগল আপনার পূজা পরিক্রমার ফটোগ্রাফি গুলো। সত্যি অসাধারণ ছিল। দারুণ দারুণ সব থিম প‍্যান্ডেলগুলোর।