অচেনা ডাক ( পর্ব ৩ )

in hive-129948 •  13 days ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

DALL·E 2025-01-15 23.12.17 - A grand fantasy landscape illustrating key moments from a heroic story. The foreground shows a young man holding a glowing talisman, standing confiden.webp

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে "অচেনা ডাক" গল্পটির পরবর্তী অংশ শেয়ার করবো। অতনু তার শক্তি নিয়ে মনের মধ্যে একটু ভয় করতে লাগে, যে আসলে সে পারবে কিনা। এখন অতনু মন স্থির করে বললো যে, এই রহস্য এখন যেখানেই বা যতদূর যাক, আর পিছনের দিকে তাকাবো না। এর উন্মোচন করেই ছাড়বো। তবুও এতো বড়ো একটা দায়িত্বের ভার কাঁধে নেওয়াতে মন একটু ঘাবড়াতে থাকে। এরপর ওইদিন রাতে আবারো একটা ফোন পেলো অতনু, কিন্তু এইবার তাকে স্পষ্ট কণ্ঠে বলে ওঠে যে- "এখন সময় হয়েছে, ঠিক রাত ১২ টার সময়ে শহরের বাইরে অবস্থিত জঙ্গলের ভিতরে অবস্থিত একটি পুরানো মন্দির আছে, ওখানে আসবে"। অতনু এই ভারী কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে বললো যে, আপনি কে?

আর আপনার এইসব কোথায় আমি এইরকম একটা নির্জন জায়গায় কেন একা একা যাবো! এইসব কথার কোনো উত্তর তাকে না দিয়ে শুধু একটাই কথা তাকে স্পষ্টভাবে বলে যে, তুমি যদি সত্যি জানতে চাও, তাহলে ওখানে নির্দিষ্ট সময়ে একা পৌঁছিয়ে যেও। অতনু তাকে আর কোনো প্রশ্ন করে না, রাত ১২ টা বাজার অপেক্ষা করে এবং সেই মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। মন্দিরটি একদম শহরের থেকে বাইরে অনেকটা ভিতরে আর জঙ্গলে ঘেরা। অতনু একটা টর্চ লাইট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায় আর মন্দির খুঁজতে থাকে। মন্দিরটির অবস্থা অনেক জরাজীর্ণ, ভাঙ্গাচুরা মতো অবস্থা, যেন বহু বছর এই মন্দিরে কেউ পা রাখে না এমন একটা অবস্থা। চারিদিকে একদম নির্জন আর অন্ধকার।

সেখানে শুধু পোকামাকড়ের ডাকের শব্দ ছাড়া আর কিছুই নেই। অতনু একা একা ওই রাতে মন্দিরে গিয়ে পৌঁছায় সময় মতো, কিন্তু তার ভয়ে একপ্রকার অবস্থা খারাপ। সে যখন পৌঁছায়, তখন মন্দিরটি একদম অন্ধকারে আচ্ছন্ন। এরপর হঠাৎ করেই মন্দিরের ভিতরে আলোর দেখা পায়, অতনু একটু এগিয়ে ভিতরের দিকে দেখে একটা প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। এরপর এই আলোর ঝলকানিতে মেঝেতে অতনু দেখতে পায় কিছু লেখা আছে। অতনু দেখতে পেলো, প্রাচীন খোদাই করে রাখা কিছু চিহ্ন, যা এক গভীর রহস্যময় প্রতীক তৈরি করেছিল। এই সময়ে তার সামনে আরো একটা রহস্যের মতো চমক হিসেবে এক বৃদ্ধের দেখা পায়। এরপর বয়স্ক লোকটি তাকে বললো যে, "তুমি যদি সবকিছুর উত্তর খুঁজতে চাও, তাহলে সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে এসো"।

তবে হ্যা, এখানে প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে অনেক দুর্গম পথ অতিক্রম করতে হবে অর্থাৎ তোমার সামনে প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক বিপদ লুকিয়ে আছে। লোকটির মুখে এইসব শোনার পরে অতনুর মনে আবার একটু কৌতুহল জাগে লোকটির বিষয়ে জানার। কিন্তু লোকটি তাকে একটা হাসি দিয়ে বললো যে, আমি শুধু একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে আছি এখানে। কিন্তু তোমার যে গন্তব্য, তা তোমাকেই উন্মোচন করতে হবে! এই কথা বলে লোকটি অতনুকে সামনে একটি দরজা দেখিয়ে দিলো এবং বলে যে, এই দরোজার ওপারে একটি অন্ধকার টানেল আছে, যেখানে তোমার প্রথম চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। যদি এই চ্যালেঞ্জ তুমি অতিক্রম করতে পারো, তাহলে আরো গভীরে যেতে পারবে।

অতনু এই টানেলের ভিতরে যেতেই তাকে অদৃশ্য আকারে কেউ যেন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু অতনু সামনের দিকে এগিয়ে যেতে মাঝপথে মেঝেতে বেশ কিছু পাথর দেখতে পেলো, যেখানে প্রতীকটিতে কিছু প্রতীক খোদাই করা আছে। এরপর ওই টানেলের কোনো এক সাইড থেকে একটা ভারী কণ্ঠস্বর ভেসে আসে যে- যদি তুমি ভুল পা ফেলো, তাহলে এখানেই সবকিছু শেষ। এরপর অতনু সাবধানের সাথে খেয়াল করে প্রতীকগুলো দেখছিলো এবং সঠিকটা পর্যবেক্ষণ করছিলো। এই প্রতীকগুলোর মধ্যে একটি প্রতীক কমন ছিল অর্থাৎ অতনু মন্দিরের মেঝেতে একটি প্রতীক বারবার দেখছিলো আর সেই হিসেবেই অতনু সেই প্রতীকে পা রাখলো।

এরপরে পাথরটি আলোকিত হয়ে উঠলো এবং সামনে অতনুর সামনে আরো একটা দরজা খুলে গেলো। অতনুর সামনে যে ধাঁধা ছিল, সেটা সফলভাবে অতিক্রম করেছে। কিন্তু অতনু পরের যে দরোজায় প্রবেশ করলো, সেখানে ছিল এক বিশাল মূর্তি আর সেই মূর্তিটি হঠাৎ করেই আস্তে আস্তে তার সামনে জীবন্ত হতে লাগলো। মূর্তিটির চোখ থেকে যেন আগুনের মতো জ্বলন্ত শিখা বের হতে থাকে। এরপর মূর্তিটি অতনুকে গর্জনের স্বরে বলে ওঠে যে, তুমি কি এই দায়িত্ব পুরোপুরি গ্রহণ করার কন্যা রেডি! অতনু কোনোকিছু আর না ভেবে বলে বসে "হ্যা, আমি প্রস্তুত"। মূর্তিটি তখন তাকে বললো যে, তাহলে নিজেকে প্রমান করো এই নতুন চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে। এরপরেই ওখানে মেঝেতে হঠাৎ কম্পন শুরু হয়ে যায় এবং চারিপাশে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। এখন কি তাহলে অতনু এই নতুন চ্যালেঞ্জ সফলভাবে অতিক্রম করতে পারবে?...


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দাদা এই গল্পটার তৃতীয় পর্ব পড়তে। অতনু দেখছি তার ধাঁধাটা সফলভাবে অতিক্রম করে নিয়েছে। এখন সে আরও ধাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। দেখা যাক সে একটা একটা করে প্রতিটা ধাঁধার সম্মুখীন ভালোভাবে হয়ে অতিক্রম করতে পারে কিনা। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্বটা পড়ার জন্য।

দাদা আমার কাছে মনে হয় আপনি এই পর্যন্ত যতগুলো গল্প শেয়ার করেছেন,সেগুলোর মধ্যে এটা হচ্ছে সেরা। এই পর্বের প্রতিটি লাইন পড়ার সময় আমার কাছে মনে হচ্ছিলো অতনু না,বরং আমি নিজেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার চেষ্টা করছি। এই পর্বটা পড়ার সময় পুরোপুরি গল্পের মাঝে ডুবে গিয়েছিলাম। যাইহোক খুব ভালো লাগলো এই পর্বটা পড়ে। অতনু অবশ্যই পরবর্তী চ্যালেঞ্জ সফলভাবে অতিক্রম করতে পারবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

অতনুর সাহসিকতা এবং তার সামনের চ্যালেঞ্জগুলো পড়তে খুবই আকর্ষণীয়। মন্দিরে প্রবেশ, প্রাচীন প্রতীক, এবং জীবন্ত মূর্তির সামনে অতনুর সিদ্ধান্তের মুহূর্তগুলো সত্যিই দুর্দান্ত। এবার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ কী হবে, তা নিয়ে কৌতূহল বেড়ে গেলো।পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।