হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর দশম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Old Friends Reveal Themselves". গত পর্বে দেখেছিলাম যে যতজন হোস্টেজেস বন্দি অবস্থায় ছিল, তাদের পরেরদিন সকালে সাড়ে ৮ টার মধ্যে রিলিজ করে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা ফাইনাল করে। সেটার এই পর্বে কি হয় দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
এখানে ঘটনা কিছুটা পুরোনো জায়গার থেকে শুরু হয় অর্থাৎ পৃথ্বীর যে আগের পুরোনো দুইজন সঙ্গী ছিল একজন সাইকো সেই লোকটা আর তার গার্লফ্রেন্ড। এখন তাকে তো সেই ডক্টরের বাড়িতেই পৃথ্বীর কথায় গুলি করে দিয়েছিলো আর সে মোর গিয়েছে এটা সবাই জানতো। আসলে তাকে ওখান থেকে একটা নোংরা গাড্ডায় নিয়ে গিয়ে সেখানে আবর্জনার মধ্যে লুকিয়ে দেওয়া হয়। আর পরেরদিন ওখানে কিছু লোক পুরোনো প্লাস্টিক, বোতল এইসব কুড়াতে গিয়ে দেখতে পায় যে একজকে ওইভাবে ফেলে রেখেছে আর সে জীবিতও ছিল। আসলে গুলিটা পেটে মেরেছিলো, ফলে সহজে তেমন কিছু হয়নি। তো ওই সময়ে ওখানে কাউকে বললে পরে ডাক্তার ডেকে এনে ঠিক করে দেয়। এরপর ওই মেয়েটা যে টাকার ব্যাগ নিয়ে একজনের কাছে গিয়ে নকল নাম আর পাসপোর্ট করে দিতে বলে টাকার বিনিময়ে।
কারণ ওই টাকা নিয়ে ইন্ডিয়ার বাইরে চলে যেতে চায়। এইবার ওখানে আসলে যে করে দেওয়ার জন্য এসেছিলো, সে ছিল আরেক চোর বাটপার। সে মূলত মেয়েদের পাচার করে বিক্রি করে দেওয়ার মতো ধান্দাও করে। এখন মেয়েটা বন্দুক বের করে টাকা দেখালে ওই লোক সুযোগ বুঝে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়েটা অনেক আটকানোর চেষ্টা করেছিল যদিও, কিন্তু পারেনি সব টাকা একসাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এটা ভিতরে তাদের প্ল্যান করা ছিল চুরি করার একটা। এরপর ওখানে ওই লোকটা চলে আসে আর মেয়েটা দেখে তো অবাক হয়ে যায়, কারণ যে নিজের হাতে তাকে গুলি করেছিল তাকে বেঁচে ফিরে আসতে দেখে অবাক হওয়াটাও স্বাভাবিক। তবে ওই লোকটা টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে গেলেও আসল জিনিস ছেড়ে যায়, যেটা বলা যায় টাকার যেয়েও দামি জিনিস। মূলত একটা ডায়েরি ছেড়ে গিয়েছিলো যেটাতে মূলত সব ধরণের বিষয় নোট করা ছিল অর্থাৎ কোন গ্যাং এর সাথে কোথায় লিংক, কোথায় কিসব এই আরকি।
তবে ওটা দিয়েও টাকা বের করার একটা মহা অস্ত্র আরকি। তার সাথে আছে মুখ্যমন্ত্রীর ওই ভিডিও। একসাথে ডবল লাভ তাদের বলা যায়। এখন আসলে এই কেসটা পৃথ্বীকে একজন ভিডিওর মাধ্যমে দেখাচ্ছিল আর এটা হয় যখন একজন মিডিয়ার কাছে ওই ভিডিও বিক্রি করতে গিয়েছিলো, তখন তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ওই মেয়েটাও ওখান দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই ভিডিওতে রেকর্ড হয়ে যায়, যেটা পৃথ্বী দেখছিলো আর কি। এখন পৃথ্বী দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলো না যে, আসলে কাহিনী কেমন উলটপালট হয়ে গেছে। এখন পৃথ্বী জেলে ওইটার সাথে দেখা করতে যায় এবং তার মেয়ের ছাড়ানোর বিষয়ে হেল্প চায়। এখন স্বার্থ ছাড়া তো কেউ কারো জন্য কিছু করবে না।
তো ওরা আসলে এটা করতে রাজি হয় যখন তাদের ইন্ডিয়া থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা দেয়। এখন এখানে ডায়েরিতে ওই ইশার বিষয়ে লেখা ছিল অর্থাৎ পৃথ্বীর মেয়েকে যে কিডন্যাপ করেছে সেই ইশার বাবা। এখন এরাও ইশাকে কিডন্যাপ করার প্ল্যান করে বসে। সেই হিসেবে তাকেও কিডন্যাপ করে আনে। এখন কাহিনী এখানে আরো একটা ঘটেছে, সেটা হলো লাস্টে পৃথ্বীর সেই বন্ধুটা তাদের সিনিয়র অফিসারকে পরামর্শ দেয় পৃথ্বীকে এই কেসে ইনভল্ব করার। এখন লাস্টে ওই আবার পুলিশ অফিসার হয়ে এন্ট্রি নেয়। নিজেই ক্রিমিন্যাল আবার নিজেই ওই কেসের বিষয়ে হ্যান্ডেল করতে চলে গিয়েছে। এখন তাদের আসলে বের করার পরিকল্পনা চলছে অর্থাৎ ওইদিনই বের করবে।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
মূলত এখানে ঘটনা ওই একটাই ঘটেছে, মানে পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা পুনরায়। যাদের নিয়ে প্রথম মিশনে কাজ করেছিল তাদের সাথেই দেখা হলো। এখন আবার তাদের সাহায্য নিয়েই তার মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য একটা পরিকল্পনা করছে। তবে এখন সব থেকে বড়ো ঝামেলা হলো ওখান থেকে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বের করে তাদের হাতে তুলে দেবে। তবে এখানে এমনও হতে পারে যে, পৃথ্বী নিজেও তাদের এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে আসার পরিকল্পনা করতে পারে আর সেই সুযোগে তাকে ওখান থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। হতেও পারে এইরকম কোনো পরিকল্পনা। আর তারই জন্য হয়তো এই কেসে তাকে ফিরিয়ে আনা একটা পরিকল্পনা মাফিক। তবে এখানে আরেকটা বিষয় হলো যে, একজন এখনো পৃথ্বীকে সন্দেহ করেই যাচ্ছে ওখানে ।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৭/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হোস্টেজেস ওয়েব সিরিজের রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের সিজন 2 এর দশটা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই ওয়েব সিরিজের অনেকগুলো পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে, সবগুলো পড়া না হলেও। পৃথ্বী কে যে সন্দেহ করছে এখন এটা দেখতে হবে যে পরবর্তীতে পৃথ্বীর উপর তার সন্দেহ থাকে কিনা। এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের রিভিউটার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরনো বন্ধুদের সাথে যেহেতু দেখা হয়েছে পৃথ্বীর,আশা করা যায় ঠিকমতো প্ল্যান করে পৃথ্বীর মেয়েকে তারা উদ্ধার করতে পারবে। তাছাড়া পৃথ্বী যে পরিমাণে চালাক,সবমিলিয়ে তাদের প্ল্যান আশা করা যায় খুব সুন্দর হবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে পৃথ্বীর মেয়েকে উদ্ধার করতে পারে কিনা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit