শোল মাছের রেসিপি

in hive-129948 •  10 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা করেছিলাম কয়েকদিন আগে আর রেসিপিটা হলো শোল মাছের। এটি সিম্পিল ওল দিয়ে একটা তরকারি রান্না করেছিলাম। ওলের তরকারি অনেকদিন খাওয়া হয় না, তাই এক খন্ড ওল দিয়ে ঝোল ঝোল রান্না করেছিলাম। ওল সাধারণত রসুন দিয়ে নরমালি ঝোল করে রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আর আমি ওলের তরকারি বেশিরভাগ সময়ে ঝোল ঝোল করেই রান্না করি। তবে ওল এখন ঠান্ডার সময় ভর্তা করে খেতে ভালোই স্বাদ লাগে। সাধারণত খাওয়া হয় না ভর্তা করে তেমন, তবে গতকাল একবার খেয়েছিলাম ভালোই লেগেছিলো। আর শোল মাছ বলতে গেলে প্রায় সময় খাওয়া চলছে বাড়িতে, তবে এই মাছটা ওল হোক বা অন্য যেকোনো সবজি হোক না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক, এখন রেসিপিটার মূল বিষয়বস্তুর দিকে চলে যাবো।


☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬

❣উপকরণ
পরিমাণ❣
শোল মাছ
১ টি
ওল
১ খন্ড
রসুন
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৭ টি
লঙ্কার গুঁড়ো
১.৫ চামচ
গোটা জিরা
২ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৪ চামচ
হলুদ
৩.৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


ওল, রসুন, কাঁচা লঙ্কা


লঙ্কার গুঁড়ো, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


☫প্রস্তুত প্রণালী:☫


❖শোল মাছটি আগে থেকে কাটিয়ে রাখা ছিল এবং পরে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ওলের খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিস পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❖রসুনের কোয়াগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে তার থেকে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

❖ধুয়ে রাখা শোল মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং প্রত্যেক পিসের গায়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖মিক্স করা হয়ে গেলে একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছিলাম এবং তাতে মাছের পিসগুলো সাজিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছগুলো একটু কড়া করে ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।

❖অন্য কড়াইয়ে তেল দিয়ে ওলের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ওল ভালো করে ভাজা মতো হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।

❖এরপর তাতে আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে একেবারে ভেজে রাখা ওলের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖এরপর তাতে রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖এরপর তাতে স্বাদ মতো একে একে লঙ্কার গুঁড়ো, লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖মিক্স করা হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারি বেশ খানিক্ষন ফুটিয়ে ওলের পিসগুলো সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।

❖সেদ্ধ কিছু ওলের পিস তুলে নিয়ে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

❖এরপর তরকারিতে শোল মাছের ভাজা পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে গলিয়ে রাখা ওল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে অল্প জিরা গুঁড়ো দিয়ে তরকারির সাথে মিশিয়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

❖তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শোল মাছের রেসিপি অনেক দেখেছি দাদা তবে কখনো শোল মাছ খাওয়া হয়নি। আমাদের এখানেও প্রচুর পরিমাণের শোল মাছ পাওয়া যায়। তবে আমি একটু শোল মাছ কম খাই তাই কখনো রেসিপি তৈরি করে খাওয়াও হয়নি। কিন্তু আপনার রেসিপিটি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি যেহেতু ওল দিয়ে রান্না করলেন খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হবে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ওলের রেসিপি আসলে ঝোলঝোর করে তৈরি করলে খুবই মজা লাগে। আপনিও ওলের এই রেসিপি ঝল ঝল করে তৈরি করেন। আজকে আপনি শোল মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখেই খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।

দাদা আপনার তৈরি শোল মাছের রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। দাদা শোল মাছ আমারও অনেক প্রিয় একটি মাছ আমার খুব ভালো লাগে শোল মাছ খেতে। আলু দিয়ে অনেক সুন্দর শোল মাছের রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। শোল মাছ বিশেষ করে সেনা করে খেতে খুবই ভালো লাগে তবে এটি রান্না করলেও বেশ দারুন লাগে। আপনার শোল মাছের রেসিপিটি দারুন ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনি আজকেও অনেক লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমার পছন্দের মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। শোল মাছ যেমন আমার অনেক বেশি পছন্দের, ঠিক তেমনি ওল ও আমার খুবই ফেভারিট। তবে এভাবে কখনো শোল মাছ এবং ওল একসাথে রান্না করে খাওয়া হয়নি। দাদা আপনি কিন্তু আজকে সত্যিই খুবই ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করলেন আমাদের সবার মাঝে। ঠিক বলেছেন দাদা রসুন দিয়ে ওল ঝল ঝোল করে রান্না করলে বেশি ভালো লাগে খেতে। আমি এমনিতে ওল কয়েকবার রান্না করেছিলাম রসুন দিয়ে। কিন্তু শোল মাছ দিয়ে কখনো তৈরি করিনি। নিশ্চয়ই দাদা এটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আর খুবই মজা করে এই মজাদার রেসিপিটা খেয়েছিলেন। দাদা আপনার উপস্থাপনা ভালোভাবে দেখে আমি এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নিতে পারলাম। আর এটা শিখে নিয়ে ভাবছি কখনো পারলে এটা তৈরি করব। ধন্যবাদ দাদা রেসিপিটা সুন্দর করে তৈরি করে সবার মাঝে সুন্দরভাবে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

শোল মাছের এক চমৎকার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ রেসিপি তৈরি করা দেখে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি রান্নার কার্যক্রম শুরু করেছেন প্রয়োজনে উপাদানগুলো টেবিল আকারে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে। আশা করি যথেষ্ট সুস্বাদু ছিল আপনার এই রেসিপি।

শোলমাছ লাউ ও আলু দিয়ে খাওয়া হয়েছে তবে ওল দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যদি একটু খেয়ে দেখতে পারতাম। আসলে ভাইয়া আমাদের এদিকে ওল তেমন পাওয়া যায় না। আপনারা তরকারিতে গোটা জিরা ব্যবহার করেন। আসলে গোটা জিরা ব্যবহার করলে অনেক ভালো। ধন্যবাদ ভাই সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য।

দাদা শোল মাছ আমার খুব পছন্দ এবং শোল মাছ মাঝেমধ্যে বাসায় খাওয়া হয়ে থাকে। শোল মাছ ভুনা এবং শীতকালীন সবজি দিয়ে শোল মাছ রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে ওল দিয়ে শোল মাছ রান্না করে খাওয়া হয়নি কখনো। ওল আমি হাতেগোনা কয়েকবার খেয়েছিলাম জীবনে। তবে বেশি খাওয়া হয়নি আমার। কারণ ওল খেলে মাঝেমধ্যে গলা চুলকায় আমার। তবে ওল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর শোল মাছ খেলে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর হয়। যাইহোক ওল এবং শোল মাছের কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা ওল সবজিটা আপনাদের ইন্ডিয়াতে তথা পশ্চিমবাংলায় খুবই পরিচিত মনে হয়। এই ওলটি বাংলাদেশে কোথাও আছে কিনা সেটা আমার সঠিক জানা নেই। তাছাড়া ওল সবজি আমি কখনো খাইনি। আপনার ব্লগ পড়তে গিয়ে আমি প্রথম ওল সবজির সাথে পরিচিত হই। আপনি এর আগেও কয়েকবার ওল সবজির রেসিপি শেয়ার করেছেন। তবে এর আগে কখনো বলেননি যে ওল দিয়েও ভর্তা করে খাওয়া যায়। আপনার নিকট ওলের ভর্তার রেসিপি আশা করি। আর আজকে দেখলাম ওল সবজির সাথে বিশাল বড় শোল মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। শোল মাছ খুবই পরিচিত একটি মাছ। তবে এ মাসটি সব সময় পাওয়া যায় না। যখন খাল বিল শুকিয়ে যাই তখন এই শোল মাছটি বেশি দেখা যায়। আপনার রেসিপির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সরিষার তেল। আপনি প্রায় সব রেসিপির মধ্যেই সরিষার তেল ব্যবহার করেন। এটা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। আপনার সরিষার তেলের রেসিপি দেখে আমিও ইদানিং সরিষার তেল খাওয়া শুরু করেছি। ছোট সময় সরিষার তেল দিয়ে রেসিপি খাওয়া হত তবে মাঝখানে পামওয়েলের সয়াবিন তেল বের হওয়ার পরে সরিষার তেল তেমন খাওয়া হত না। আজকে ওলগুলো ভাজার পরে আলুর মতো দেখা যাচ্ছে। আরেকটি খেয়াল করলাম আপনি সাধারণত সব রেসিপিতেই ঝোলটা বেশি ব্যবহার করেন। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আজকের ওল ও শোল মাছের সাথে ঝোলটা ঠিক আছে আছে। সবমিলিয়ে রেসিপিটা খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা ওল আমার এত বেশি পছন্দের যে ওলের তরকারি দেখলেই আমার জিভে জল চলে আসে একেবারে। আমি মাঝে মাঝেই ওলের বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি, কারণ ওল খেতে খুব ভালো লাগে। আমি ওলের অনেক রকমের রেসিপি তৈরি করেছি, তবে শোল মাছ দিয়ে কখনো তৈরি করিনি। দাদা আপনি সিদ্ধ ওলের পিস গুলো তুলে গুলিয়ে নিয়েছিলেন। যার কারণে তরকারির ঝোলটা একটু ঘন হয়েছিল। আপনি প্রত্যেকটা রেসিপি তৈরি করার সময় এরকমটা করে থাকেন দেখে খুবই ভালো লাগে। শোল মাছটা মনে হয় অনেক বড় ছিল। শোল মাছের পিসগুলো দেখেই বুঝলাম। তবে যাই হোক দাদা আপনার শোল মাছ দিয়ে ওলের এই রেসিপিটা দেখে আমি শিখে নিয়েছি অনেক সহজে। আর এরকম একটা রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখতে পেরে আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগতেছে দাদা। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো সব সময় শেয়ার করেন দেখে ভালো লাগে। পরবর্তী রেসিপি শীঘ্রই ভাগ করে নিবেন আশা করছি।

  ·  10 months ago (edited)

দাদা যে কোন কিছু রেসিপি দেখলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর সব সময়ের মত আপনি একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। তবে আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা একটু ইউনিক ছিল। কারণ ওল দিয়ে শোল মাছের রেসিপি আমি কখনো দেখিনি এবং খাইনি। একটা শোল মাছ দিয়ে এক খন্ড ওলের রেসিপিটা তৈরি করেছেন আপনি। এই শীতের সময় কিন্তু এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে অনেক ভালো লাগবে। বিশেষ করে যদি হয় গরম গরম ভাতের সাথে তাহলে কোন কথা নেই। দাদা ওল ভর্তা করলে খেতে কি রকম হয়, এটা আমার জানা নেই। কারণ ওল ভর্তা তৈরি আমার কখনো খাওয়া হয়নি। আশা করছি দাদা আপনার কাছ থেকে ওল ভর্তা করার রেসিপিটাও আমরা দেখতে পাবো। আপনার রেসিপি গুলো দেখে কেউ চাইলে এগুলো তৈরি করে নিতে পারবে। যাই হোক আমি মনে করি তো যে কোন রেসিপি মধ্যে যদি ঝাল বেশি দেওয়া হয় তাহলে খেতে ভীষণ ভালো লাগবে। আসলে ঝাল আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাই যেকোনো রেসিপির মধ্যে ঝাল দেওয়া হলে ভালো লাগে খেতে। আপনার মাধ্যমে এই রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো।

শীতকাল এলেই পুকুরে যখন পানি শুকিয়ে যায় তখন শোল মাছগুলো অনেক বেশি পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামের বাসার পুকুরেও অনেক সময় দেশি শোল মাছ পাওয়া যায়। আর সেগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। শোল মাছের ঝোল করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি লাউ দিয়ে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। তবে ওল দিয়ে কখনো শোল মাছ খাওয়া হয়নি। ওর ভর্তা করলে খেতে সত্যিই ভালো লাগে। আমিও বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম। তবে যাই বলুন না কেন দাদা গরম ভাতের সাথে শোল মাছের ঝোল একেবারে জমে যায়। তবে এবার শীত প্রায় চলেই গেল এখনো শোল মাছ খাওয়া হয়ে উঠলো না। আপনার রেসিপি দেখেই মনে পড়ে গেল শোল মাছের কথা। সত্যি দাদা আপনার রেসিপি দারুণ হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শোল মাছের দারুণ একটি রেসিপি আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

দাদা মজাদার রেসিপি তৈরি করলে সবার পছন্দ হবে। ঠিক তেমনি আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে আমার খুবই পছন্দ হয়েছে দাদা। আপনি সব সময় এরকম মজাদার রেসিপি তৈরি করেন যে জিভে জল চলে আসে, আর ইচ্ছে করে তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলতে। এই মজাদার রেসিপি টা গরম গরম ভাতের সাথে খেতে শীতের সময় খুব ভালো লাগবে আমার মনে হয়। কারণ শীতের সময় কোন রেসিপি তৈরি করলে এমনিতেই অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি ওলের ভর্তার রেসিপির কথা বলার কারণে তো আমার বেশি লোভ লেগে গেছে, কারণ শীতের সময় ভর্তা খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে। আমাদের বাড়িতে এমনিতেই ভর্তা তৈরি করা হয় বেশিরভাগ সময়, তবে কখনো ওলের ভর্তা তৈরি করেনি। যার কারনে ওল এর ভর্তা কিরকম হয় আমি এটাও বলতে পারব না দাদা। কিন্তু আপনার কথা শুনে আমার তো খুবই খাওয়ার ইচ্ছা জাগছে ওলের ভর্তা। তবে শোল মাছ দিয়ে যে ওল রান্না করা যায় এটা আমি জানতাম না। ওলের রেসিপি খাওয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার। যারা এই মজাদার রেসিপি টা তৈরি করতে জানেনা, তারা কিন্তু আপনার সম্পূর্ণ উপস্থাপনা ভালোভাবে পড়ে এই রেসিপিটা তৈরি করে নিতে পারবে খুব সহজে।

ওলের তরকারি একটু পাতলা রান্না করাই ভালো। কারণ এই তরকারি রান্না করার পরে ঝোল অনেকটা টেনে যায়। আর বেশি গাড় ঝোল করলে, ওলের তরকারি খেতে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না। ওলের তরকারিতে একটু রসুন বেশি দিলে বেশ টেস্টি হয় খেতে। যাইহোক, আপনার শেয়ার করা ওলের সাথে শোল মাছের এই রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ধরনের রেসিপি দেখা যায়, খুবই ভালো লাগে রেসিপি গুলো দেখতে।