হরর মুভি রিভিউ: রুম ২১৩

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি মুভি শেয়ার করবো। মুভিটি হরর এবং এডভেঞ্চার টাইপও। যদিও এই হরর মুভিটি পুরানো কিন্তু আমি এই প্রথমবার দেখলাম। এর আগে আপনারা এই মুভিটি দেখেছেন কিনা জানিনা, তবে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে । আমি হরর মুভি মোটামুটি সবসময় দেখতে পছন্দ করি কারণ আমার কাছে এগুলো দেখতে ভালো লাগে, বিশেষ করে রাতের দিকে। আমি আজকে রাতে এই মুভিটি দেখছিলাম এবং ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এই মুভিটা আসলে বাচ্চাদের নিয়ে তৈরি করা। এটা হরর মুভি হলেও কিছুটা নরমাল মুভির মতো।


♠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:♠

মুভির নাম
রুম ২১৩ ( Rum ২১৩ )
অভিনয়
আরমান ফান্নি ( Arman Fanni ) , আনকি লিডেন ( Anki Liden ) , পাউলা সুন্ডবার্গ ( Paula Sundberg ) ইত্যাদি
পরিচালক
এমিলি লিন্ডব্লোম ( Emelie Lindblom )
লেখক
ইনজেলিন এন্জেরবোর্ন ( Ingelin Angerborn )
মুক্তির তারিখ
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
কান্ট্রি অফ অরিজিন
সুইডেন
মূল ভাষা
সুইডিশ
ভাষা ডাবিং
হিন্দি
সময়
১ ঘন্টা ১৫ মিনিট ০১ সেকেন্ড
প্রোডাকশন কোম্পানি
ডানস্ক স্কালে ( Dansk Skalle )
গ্রোস ওয়ার্ল্ডওয়াইড
$২৮,২৯১


♙মূল কাহিনী:♙


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় মা আর মেয়ে দুইজন অন্য একটা নতুন জায়গায় শিফট হওয়ার জন্য সবকিছু গোছানো শুরু করে এবং মেয়ে মাকে বলতে লাগে যে নতুন জায়গায় যদি রুমমেট না পাই তাহলে কি করবো, তখন উত্তরে তার মা বলে যদি রুমমেট না হয় তাহলে একটা নতুন বন্ধু পেয়ে যাবে। তখন মেয়েটি একটু নারাজ হয়ে বলে আমার আর কখনো কোনো নতুন বন্ধু হবে না, তখন তার মা তাকে বলে বেশি চিন্তা করো না ওখানে তুমি সবকিছু পেয়ে যাবে। এরপর তারা গাড়িতে করে রওনা দেয় এবং মেয়েটি যেতে যেতে বলে আমার ওখানে যাওয়ার একদমই মন নেই। এরপর তারা যেতে যেতে হঠাৎ তাদের মনে হলো গাড়ির সামনে কিছু একটা পড়েছে আর সেই ভেবে গাড়ি থামিয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে দেখে কিছু না অর্থাৎ তাদের একটা ভ্রম মাত্র। এরপর আবার তারা গাড়িতে উঠে তাদের গন্তব্যে এসে পৌঁছে যায়। এরপর গাড়ির থেকে নেমে মেয়েটির মা বলে দাঁড়িয়ে আছো কেনো তখন মেয়েটা( এলভিরা ) বলে আমার পেটে ব্যাথা করছে, আমরা বাড়ি যাই!? তখন তার মা বলে বাহানা করা বন্ধ করো তুমি, এখন বড়ো হয়ে গেছো, তাছাড়া মাত্র ১ সপ্তাহের তো ব্যাপার দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে। এলভিরা মেয়েটি তখন তার মায়ের সাথে ভিতরে যায় এবং তার মা তাকে দিয়ে চলে যায়। এরপর সেখানে তার একজন শিক্ষিকা তার রুমমেট এর নাম বলে দিয়া আর মিরা। তখন তাকে রুম নম্বর ২০৭ সিলেক্ট করে দেয় এবং তাকে বেড সিলেক্ট করতে বলে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

এরপর তাদের রুমে হঠাৎ করে জল ভরে যায় কারণ জলের পাইপ খুলে গিয়েছিলো হঠাৎ করে । এরপর সেখানকার ইনচার্জ বলে তাদের রুম নম্বর ২১৩ দিয়ে দেওয়া হোক, তখন সেখানকার ঐ মহিলা শিক্ষক বলে যে ঐ রুম তো একপ্রকার বন্ধ থাকে অর্থাৎ শিক্ষক বলতে একপ্রকার দেখভাল করে যে সেটাকে বোঝানো হয়েছে। তখন ইনচার্জ বলে বসে ঐ রুমের চাবি নিচে আছে জাস্ট নিয়ে এসে খুলে দিলেই হবে। এরপর সেই রুম খুলে দেয় তাদের জন্য এবং তারা সেখানে চলেও যায়। রুম বহুদিন বন্ধ থাকার কারণে রুমে ধুলো জমে যায় এবং তাদের পরিষ্কার করে নিচের দিকে আসতে বলে। এরপর তারা সবাই নিচের দিকে আসলে তাদের কে জিজ্ঞাসা করে যে তোমাদের কারো যদি ক্যাম্প এর বিষয়ে জানার থাকে তাহলে প্রশ্ন করতে পারো। এরপর সেখানে একজন ক্যাম্পের লোক বলে যে ক্যাম্প এর রুল অনুযায়ী কারো কাছে মোবাইল থাকতে পারবেনা তবে দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং ষষ্ঠ দিনে লাঞ্চ করার পরে সবার ফোন ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া কারো ফোন করার ইচ্ছা হলে ক্যাম্প এর ফোন ব্যবহার করতে পারো তাই বলে। এরপর সবাই সবার ফোন জমা দিয়ে দেয়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

এরপর তাদের বলে মজা করো এখন সবাই। সবাই তখন নদীর ধারে গিয়ে ফুটবল খেলতে খেলতে মজা করতে লাগে। তারপর ছেলেমেয়ে সবাই একজায়গায় সন্ধ্যার সময়ে বসে আগুন জ্বালিয়ে বসে আড্ডা দিতে লাগে এবং এর মধ্যে একটা মেয়ে ছবি তুলতে লাগে। এরপর কিছুক্ষন পরে তারা রুমে ফিরে আসে এবং এলভিরা মেয়েটির অস্বস্তি বোধ হতে লাগে। তখন সে বলে আমি নিচে শুয়ে পড়ছি এবং সেই সাথে সবাই রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা রিং খুঁজতে লাগে এবং সে বলে কাল রাতে এখানে রেখেছিলাম কিন্তু কে নিলো। এরপর ফ্রেশ হতে যাওয়ার সময় একটা মেয়ের গায়ে জল ঢেলে দেয় কেলভিন নামক একটি ছেলে। এরপর আবার পুনরায় রাতে তারা বাইরে জঙ্গল মতো জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে গল্প করতে লাগে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

এরপর সেখানে একটা হেনি নামক মেয়ে বলে ওঠে আমারো কিছু শোনানোর আছে আপনাদের। তখন সে বলা শুরু করে এই রুম নম্বর ২১৩ এ তার মায়ের সাথে ঘটে যাওয়া কাহিনী। সে বলে আমার মা আমার বয়সকালে এই ক্যাম্পে এসেছিলো এবং প্রতি রাতে তার ঘুম ভেঙে যেত কারণ দরোজার হ্যান্ডেল এর আওয়াজ শুনতে পেতো রাতে এবং ধীরে ধীরে দরজা খুলে যেত। এরপর সে বলে আমার মা হাঁটার শব্দ শুনতে পেতো এবং সে তার পিছু নিতে নিতে একটা বড়ো আয়নার সামনে গিয়ে পৌঁছায়। তখন সেই আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি না দেখতে পেয়ে একটা সাদা কাপড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। এই কাহিনীর অংশ শুনে সবাই বিশ্বাস করেনি, বরং তাকে বলে এসব কাহিনী বলে কাউকে ভয় দেখানো ঠিক নয় কারণ ভূত বলে কোনো কিছু নেই। এরপর সবাই যার যার রুমে প্রবেশ করে যায় এবং সবাই বলাবলি করতে লাগে হেনির কাহিনী কতটা ভয়ানক ছিল আয়নার সামনে কথাটা। এরপর তারা ঘুমিয়ে পড়লে সেই রাতে হঠাৎ করে দরোজার সিটকিনি আস্তে আস্তে খুলে যায় এবং তারা মোটামুটি একটু ভয় মতো পেয়ে যায়। এরপর দিন হয়ে গেলে ছেলেমেয়েরা মিলে নদীতে বোট এ উঠে আনন্দ করতে লাগে এবং জলে মস্তি করতে লাগে সবাই। এরপর জঙ্গল মতো জায়গায় সন্ধ্যার সময়ে ক্যাম্পের একজন লোক তাদের দুই টিমের মধ্যে ১২ টা প্রশ্ন দিয়ে দেয় এবং খুঁজতে বলে কারণ প্রশ্নগুলো সব জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় একটা কাগজে লিখে সেট করে রাখা।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

এরপর তারা সেই মতে প্রশ্ন খুঁজতে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং প্রথম প্রশ্ন না পেলে বি অপসন চুজ করে তারা। এরপর তারা খুঁজতে খুঁজতে দ্বিতীয়টা পেয়ে যায় এবং উত্তর পেয়ে যায়, তখন ঐ মুহূর্তে একটা শব্দ হলে তারা কোনো জন্তু জানোয়ার এর শব্দ মনে করে সামনে এগিয়ে যায়। এরপর তারা একটা রুমের মধ্যে প্রবেশ করে যায় এবং সেখানে অন্ধকারে একটা মেয়েকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। এরপর একটা ছেলে আর এলভিরা মেয়েটি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাটতে থাকে এবং বলে তোমার চিঠি পড়ে আমার ভালো লেগেছে কিন্তু এল্ভিরা বলে আমি কোনো চিঠি লিখিনি । এরপর অনেক রাত হয়ে গেলে ক্যাম্পের একজন লোক বলে সবাই শুতে যাও এবং সবাই যার যার মতো রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর একটা মেয়ে সপ্ন দেখে যে আয়নার ভিতর থেকে বেরিয়ে দরজা আস্তে আস্তে খুলে দিয়ে তার সামনে আসে। এরপর সবাই লাঞ্চ এর সময়ে বলাবলি করতে লাগে আমাদের ক্যামেরা বা অন্যান্য জিনিস চুরি কিভাবে হয়ে যাচ্ছে। লাঞ্চ এর পরে এই নিয়ে সবার মধ্যে একটু ভুল বোঝাবোঝি হয় আর একজন আরেকজনকে দোষারোপ করতে লাগে। এরপর তারা ক্যাম্পের একজনকে গিয়ে বলে দেয় যে আমাদের সবার জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ক্যাম্পের সেই লোক বলে আমি কি করবো এতে। এরপর সবাইকে ডেকে তারা বলে ক্যাম্পের রুলস অনুযায়ী কেউ কারো জিনিস চুরি করলে তাকে সোজা বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং তখন সেখানে একটা ছেলে বলে যে সম্ভবত বাইরের কেউ চুরি করছে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

এরপর হঠাৎ করে লাইট আপডাউন করতে লাগে তখন সবাই ভয়ে বলে আত্মা এইসব করছে সম্ভবত, তখন ক্যাম্পের লোকটি বলে ঐসব আত্মা বলে কিছু না লাইটের সমস্যার জন্য এইরকম করছে। এরপর তারা সবাই লুকোচুরির খেলা করার কথা ভাবে এবং একজন চোখ বন্ধ করে গুনতে থাকে আর বাকিরা গিয়ে পালায়। এরপর সেই ছেলেটা সবাইকে খুঁজতে আসে এবং সেই হেনি মেয়েটা এলভিরা কে বলে এইটা সেই ভূতিয়া রুম, এখানে আমার মা থাকতো। তখন এলভিরা মেয়েটি ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রাত হয়ে যাওয়ার পরে তারা ভয় দেখানো আর মজা করতে করতে একটা বার্থরুমের দিকে যায় এবং সেখানে বার্থরুমের গায়ে আপনাআপনি একটা নামের লেখা উঠে যায় আর এইটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে পালিয়ে রুমে গিয়ে লুকায়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে

এরপর একটা সাদা কাপড় পরিধিত মেয়ে জঙ্গলের ভিতরে একা একা হাটতে থাকে এবং তার পাশ দিয়ে ধোঁয়া ধোঁয়া মতো বেরোতে লাগে। এরপর সে চলতে লাগে আর বলতে লাগে আমাকে খোঁজো, খোঁজো। এরপর ভয়ে যেসব মেয়েরা রুমে গিয়ে লুকিয়ে ছিল তারা সকালে উঠে এলভিরা মেয়েটিকে বলে আমাদের সকালে ডেকে দাওনি কেন, তখন এলভিরা বলে আমিওতো কেবল উঠলাম কিন্তু তারা বলে তাহলে তুমি কাপড় চেঞ্জ করলে কখন। এরপর তারা একটা চিঠি দেখতে পায় এবং সেই চিঠিতে কারো সাথে গিয়ে দেখা করার কথা বলা থাকে। এরপর তারা সেখানে যায় দেখা করার জন্য এবং সেখানে বাড়ির সামনে একজন মহিলার সাথে দেখা হলে তারা কথা ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করে আমাদের একটু ওয়াশরুমে যাওয়ার আছে। তখন সেই মহিলা বলে ঠিক আছে ওয়াশরুম ব্যবহার করো তোমরা কোনো সমস্যা নেই। তখন সেই সুযোগে তারা ঘরে ঢুকে কিছু খুঁজতে লাগে। এরপর এলভিরা মেয়েটি একটা কাগজে একটি মেয়ের নাম দেখতে পায় এবং দেখে ঘাবড়িয়ে যায় কারন সে যে মেয়েটিকে রাতে সপ্নে দেখতে পেতো সেই মেয়েটা মারা গিয়েছে। এরপর এই কথা ক্যাম্পে এসে বললে ক্যাম্পের মহিলাটি বলে এসব ভূত বলে কিছু হয় না। এরপর এলভিরা ক্যাম্পের ঐ মহিলাকে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করে কোনো মেয়ে মারা গিয়েছিলো কিনা এবং কাউকে বলতে মানা করে। এরপর হেনি মেয়েটা এলভিরা মেয়েকে ডেকে জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং সেখানে একটা পুরানো বাড়িতে যায় তারা। এরপর তারা কিছু বিড়ালের বাচ্চা দেখাতে নিয়ে যায় এবং তাদের মুক্ত করার কথা বলে তখন এলভিরা বলে ক্যাম্পের ম্যাডাম কে বললে তোমাকে সাহায্য করতে পারবে এই ব্যাপারে। এরপর ক্যাম্পে একটা পার্টি মতো হয় এবং সেখানে ছেলেমেয়েদের মধ্যে একজন আরেকজনের প্রতি ভালো লাগা শুরু করে। তারপর সবাই ড্যান্চ করতে লাগে এবং এলভিরা কে পুনরায় সেই আত্মা দেখতে মেয়েটা নজরে আসে। এরপর এলভিরা তাদের সবাইকে রুমে এসে হেনি এর সেই বিড়ালের বাচ্চাগুলোর কথা বলে এবং তারা বলে চলো দেখি কোথায় সেই বিড়ালের বাচ্চা। তখন সেই রাতে সবাই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সেই পুরানো বাড়িতে গিয়ে বিড়ালের বাচ্চা খুঁজতে লাগে কিন্তু পায় না। এরপর সবাই এলভিরা কে ভুল বোঝে এবং চোর বলে তাকে না নিয়ে রুমে চলে যায় আর দরজা বন্ধ করে দেয় তাকে ঢুকতে না দিয়ে। এরপরে সবার সামনে হেনি মেয়েটা সেই বিড়ালের বাচ্চাগুলো দেখালে এলভিরা বলে আমি যা যা বলেছিলাম সবকিছু এইবার তাহলে সত্যি হলো!? তখন ভূতের বিষয়ে বলতে গিয়ে তাদের সেই খুপিয়া একটা জায়গায় নিয়ে যায় এবং সেখানে সবকিছু দেখায় যেটা দেখে তাদের প্রমাণিত হয় যে এখানে ভূত আছে তাহলে। এরপর তাদের ক্যামেরায় হঠাৎ করে সেই আত্মা মেয়েটা রেকর্ড হয়ে যায় এবং সেই আত্মা বলতে লাগে রুম ২১৩ খোলার জন্য ধন্যবাদ কারণ বহু দিন ধরে এইটা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলে তোমরা আসায় আমি আবার এক সপ্তাহের জন্য হলেও নতুন জীবন ফিরে পেলাম। এরপর সবাই ক্যাম্প ছেড়ে যার যার বাড়িতে ফিরে যায়।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই মুভিটা আসলে হরর + এডভেঞ্চার টাইপ এর। এটি সব মিলিয়ে কিছুটা নরমাল মুভির মতো করেছে। এই মুভিটিতে তেমন কোনো ভয়ানক ডোরানো কাহিনী নেই। একটা মেয়ের মৃত্যুকে ঘিরে আর বাচ্চাদের নিয়ে এই মুভিটির পুরো কাহিনী। আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে এই মুভিটা শেষ পর্যন্ত।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:

৭/১০


মুভির ট্রেইলার ভিডিও লিংক:



শুভেচ্ছান্তে, @winkles

______

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মনে হচ্ছে এটি হলিউড মুভি।আমি হলিউড ও চায়না মুভি দেখি হিন্দি ডাবিং।মনে হচ্ছে মুভিটা খুব মজার।কারণ হরর মুভি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে রাত্রে।এটি আমি অবশ্যই দেখবো।সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যা, এগুলো সব হলিউড মুভি। চায়না একদমই দেখি না। এই মুভিটা মোটামুটি শেষ পর্যন্ত দেখে ভালো লেগেছে। অল্প দেখলে কিছু বোঝা যাবেনা আর ভালোও লাগবে না।

হরর মুভি দেখার জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট সময় হচ্ছে রাত বারোটার পর।

আমার মনে আছে, আজ থেকে প্রায় ৩/৪ বছর আগে আমি আমার বন্ধুদের সাথে ঘরের মধ্যে জানালা দরজা সব বন্ধ করে দিয়ে, রাত বারোটার পর কম্পিউটারে হরর মুভি চালু করে দিতাম। আর কম্পিউটার বক্সের সাউন্ড বাড়িয়ে রাখতাম । জানেনইতো, হরর মুভিতে হঠাৎ হঠাৎ কেমন বিকট শব্দ হয়ে ওঠে।🥶 বেশি এনজয় করতাম।

হ্যা, এটা একদম ঠিকই বলেছেন হরর মুভি বা সিরিয়াল টাইপ এর যাই হোক না কেন রাত ১২ টার পরে গিয়ে দেখার মধ্যে বেশি ইনজয় পাওয়া যায়। তবে আমি আগে মানে ৬-৭ বছর আগে যখন দেখতাম তখন দেখার সময় একটু ভয় ভয় করতো কারণ ঘরে একা থাকতাম আর একাই শুয়ে পড়তাম। শুয়ে পড়ে রাতে সপ্ন দেখতাম কে যেন পিছন থেকে চুল টানছে 😅 .

😅😅😅😅

হরর মুভি দেখতে আগে আমি খুব ভয় পেতাম।এরপরে অনেক মানুষ একসাথে দেখতাম।সনি আর্ট এর হরর স্পেসাল গুলো খুব দেখতাম ভালোই লাগতো।হরর মানেই স্পেসাল কিছু।ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে শেয়ার এর জন্য।

আমিও আগে প্রথম প্রথম খুব ভয় পেতাম, এখন দেখতে দেখতে অভ্যাস হয়ে গেছে। প্রায় দেখি। সনি আট এ আহট এর সিরিয়াল টাইপ এর হয়, তবে আমি মাঝে মাঝে এখন ইউটিউবে দেখি। খুব ইন্টারেষ্টিং লাগে রাতে। ধন্যবাদ।

জী দাদা আমাদের এখানে রাত ১২:৩০ এর পরে হয় তায় দেখা হয়না।

যাক বাবা পোস্টটা রাত বিরেতে চোখে পড়েনি। নাহলে যে আমার কি হতো।
ভালোই হলো যে সকালে পড়লাম পোস্টটি। 😜
আগে অবশ্য অনেক দেখা হতো হরর মুভি।
আজকাল একদম দেখা হয়না।
অনেকদিন পর কোনো কাহিনী পড়লাম।

যাক বাবা পোস্টটা রাত বিরেতে চোখে পড়েনি। নাহলে যে আমার কি হতো।

😂

আমি হরর মুভিগুলো বেশি দেখি, কারণ এই মুভিগুলোর মধ্যে একটা অন্যরকম ইন্টারেষ্টিং লাগে। তবে আমি এইগুলো আগে আহট এর সিরিজ দেখে দেখে রপ্ত করে ফেলেছি ফলে এখন আর তেমন ভয় করে না।

আর আমি রাতে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাই।🤐🤐🤐😪

😁

হরর মুভির নাম শুনলেই ভয় লাগে ভাইয়া। যেমন আকর্ষণীয় তেমনি ভয়ঙ্কর। আমি একটা হরর মুভি দেখে বমি করতে করতে শেষ খুবই ভয়ঙ্কর চিহ্ন ছিল। আপনি পুরোটা মুভি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। অনেক সুন্দর মুভি ছিল। আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া

প্রথম প্রথম যে দেখবে তার ভয় ভয় লাগবে অবশ্যই কারণ কিছু কিছু জায়গায় ভয়ানক সিন্ থাকে যেগুলো মনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তবে অনেকে এগুলো কন্ট্রোলে রাখতে পারে না, আমারো বেশ ভয় লাগতো দেখে রাতে যখন শুয়ে পড়তাম কিন্তু সেই ভয়কে বশে আনতে দেইনি। ধন্যবাদ।

হরর মুভি একসময়ে অনেক দেখতাম। কিন্তু এখন বেশি রাতে আর সময় না হওয়াই দেখা হয় না। বেশি রাতে হরর মুভি দেখলে শরীরে আলাদা একটা অনূভুতি সৃষ্টি হয়। মুভিটার খুব ভালো রিভিউ করেছেন দাদা। দেখার ইচ্ছা জেগে উঠল।।

হরর মুভি আমি মাঝে মধ্যে প্রায় দেখি, কারণ এইগুলো আমি খুব ইনজয় করি রাতের দিকে। তবে বেশিরভাগ আমি এখন আহট দেখি, মাঝে মাঝে এমন ভয়ানক হয় যে আঁতকে ওঠার মতো। তবে এই মুভিটা দেখতে পারেন কারণ এটা বেশি একটা ভয়ানক না, বাচ্চাদের নিয়ে করা। ধন্যবাদ।

আহট আগে দেখতাম। এখন আর ভালো লাগে না।

দাদা মুভিটার রিভিউ যেভাবে দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে আমি মুভিটা দেখছি। মুভিটা দেখার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ বোধ করছি। তবে হরর মুভি একা একা দেখার থেকে আমি কয়েকজন মিলে দেখতে পছন্দ করি। তারপর রাতে আবার একটু ভয় ভয় ও করে। চমৎকার হয়েছে আপনার রিভিউটা দাদা।

মুভিটা প্রথম থেকে দেখবেন ভালো লাগবে কারণ বোঝার বিষয় আছে মুভিটাতে। না বুঝলে ভালো লাগবে না তার কাছে এই মুভিটা। আমি যতবার ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর হরর মুভি দেখেছি বা সিরিজ টাইপ এর দেখেছি সব একা একা রাতে দেখেছি। একটু ভয় ভয় করলেও ভয়টাকে বশে আনতে দেইনি। ধন্যবাদ।

হরর মুভি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি সবসময় রাতের বেলায় হরর মুভি দেখতে পছন্দ করি। আপনার রিভিউটি ভালো হয়েছে আমি চেষ্টা করব আজকে রাতে এই মুভিটি দেখার জন্য ‌‌।

হরর মুভি একমাত্র রাতেই দেখে মজা পাওয়া যায়। আমিও তাই করি। মনে হচ্ছে আপনি ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছেন। এই মুভিটা এমন একটা মুভি না বুঝতে পারলে বিষয়টা ইন্টারেষ্টিং লাগবে না। এই মুভিটায় বোঝার বিষয় আছে অনেকগুলো জায়গায়। ধন্যবাদ।

হরর মুভি টি দেখা হয় নি আগে। তুমি যেভাবে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছো ।ধারাবাহিক ভাবে ।খুব সহজ ভাবে বুঝতে পেরেছি। তোমার রিভিউ পড়লে মুভি না দেখলে পরিস্কার বুঝা সম্ভব ।দুর্দান্ত ।শুভেচ্ছা রইলো।

একদিন রাতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে হরর মুভি দেখো, মজা পাবে ভালোই।

হরর মুভি রিভিউ সম্পর্কে এতো সুন্দরভাবে এ টু জেড আলোচনা করেছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাকে খুব ভালো লেগেছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ।

মুভির মধ্যে আমার অনেক পছন্দের এই হরর মুভি গুলো। এই মুভিটি আমি দেখিনি। আপনার লেখা পরে দেখার ইচ্ছা জাগলো। সময় করে দেখবো। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

হরর মুভিগুলো বেশ ইন্টারেষ্টিং তবে সেটা একমাত্র মধ্য রাতের দিকে দেখলে। এই মুভিটা শেষ পর্যন্ত দেখবেন বেশ ভালো লাগবে, কারণ কিছু কিছু বিষয় আছে এই মুভির মধ্যে যা শেষ পর্যন্ত না দেখলে বোঝা যাবেনা আর ভালোও লাগবে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।