হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর অষ্টম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "বেগেনিং অফ দ্যা ইন্ড"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, পৃথ্বীর মেয়েকে সেই লোকটা কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিলো। এর পরে ঘটনা কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
মূলত যখন কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়, তখন পৃথ্বীর ফোনে একটা এসমস সহ তার মেয়ের ছবি পাঠিয়ে দেয়। এরপর তাকে নিয়ে সেখান থেকে সোজা রিচ গার্ডেন নামের একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে পৃথ্বীকে সেখানে আসতে বলে, না হলে তাকে মেরে ফেলবে বলে এইরকম একটা হুমকি দিয়ে থাকে। তো এরপর দেখা যায় যে, পৃথ্বীর সেই বন্ধু বাড়িতে চলে যায়, আসলে এখানে বিষয় হলো যখন এই সন্ত্রাসীরা পৃথ্বীর বাবাকে মেরে ফেলে তখন থেকে তার মেয়েকে তার ওই বন্ধুর বাড়িতেই রেখে এসেছিলো। এখন পৃথ্বীর ওই বন্ধু একপ্রকার বলতে গেলে দুই দিকে টেনশনে পড়ে গিয়েছে। কারণ এক তো বাইরে ওই সিচুয়েশন কন্ট্রোল করবে কিভাবে তা নিয়ে চিন্তা আবার তার উপর এই কিডন্যাপের বিষয়টা। এখন সে আবার পৃথ্বীকে ফোন করে এই বিষয়ে জানানোর জন্য। কিন্তু পৃথ্বী ওখান থেকে আর ফিরে না গিয়ে সোজা ওই সুড়ঙ্গ ধরে গার্ডেনে চলে যায়।
এখন তার মেয়েকে আইসক্রিম এর সাথে কিছু একটা বিষাক্ত তরল পদার্থ মিশিয়ে দিয়েছিলো। আর এটা শরীরে ধীরে ধীরে ইফেক্ট পড়ে। এখন পৃথ্বী যে মুখ্যমন্ত্রীকে ধরে রেখেছে, এটা মূলত তাদেরই একটা উদ্যোগ ছিল। ওই যে প্রথমের দিকে যে বাড়িতে তারা গিয়েছিলো, মূলত ওটাই ছিল যে মুখ্যমন্ত্রীকে মারার সুপারিশ এরাই করেছিল। এখন এদের আসলে বিদেশী গ্যাং এর সাথেও হাত আছে, ফলে এরা একপ্রকার খুবই ভয়ানক হয়ে থাকে। যাইহোক, এরপর পৃথ্বীকে সেখানে বলে যে ১৫ ঘন্টার মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের হাতে তুলে না দেয়, তাহলে তার মেয়েকে মেরে ফেলবে অর্থাৎ ওই বিষের সময়সীমাও ১৫ ঘন্টা, সকাল ৬ টা অব্দি এইরকম জানায়। এদিকে তো ভিতরে পিটারকে উস্কানোর খুবই চেষ্টা করতে থাকে মুখ্যমন্ত্রী, একপর্যায়ে ইমোশনালি কথা দিয়ে আক্রমণ শুরু করে।
মানে ওকে এদের বিরুদ্ধে করেই ছাড়বে এইরকম একটা অবস্থা। এদিকে পিটার জানে না যে, সেই নার্স অর্থাৎ সারাকে তারা মেরে ফেলেছে। পরে পিটার পাগলামি করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করলে পৃথ্বীর শালা তাকে সব বলে দেয় যে, সারাকে তারা যেমন মেরে ফেলেছে, তেমন পৃথ্বীর মেয়ে প্রিয়াকেও মেরে ফেলবে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পিটার বুঝতে পেরে ওখানেই থেমে যায়। এখন পৃথ্বী যে রাস্তা দিয়ে আসবে সেই রোড আবার পুলিশ ব্লক করে দিয়ে রাখে। এদিকে সময় হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আবার বাইরে যেসব অফিসাররা আছে তারা ভিতরে ফোন করে জানায় যে, তাদের সব শর্ত তারা মেনে নিতে রাজি আছে।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এখানে পৃথ্বী একটা মহা ঝামেলায় পড়ে গিয়েছে। কারণ একদিকে যেমন তার মেয়েকে বাঁচানোর জন্য সকালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যেতে হবে আবার অন্যদিকে এরাও জানায় যে, তাদের সব শর্ত মেনে নিয়ে পরেরদিন তাদের সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করে দেবে। এখন এখানে আবার এদের এটা কোনো চাল কিনা, সেটাও একটা বিষয় আছে। পৃথ্বী যদিও এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, কারণ দুইদিকে একসাথে কন্ট্রোল করা রিস্ক হয়ে যাচ্ছে। তার মাথায় এখন তার মেয়ের জীবন নিয়ে চিন্তা। কারণ যে বিষাক্ত পদার্থ তাকে দিয়েছে, তার এন্টিডোট তার কাছেই, ওটা না দিলে বাঁচানো সম্ভব হবে না আবার। এই এন্টিডোট এখন দেবে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের হাতে তুলে দিতে পারে। এরাও একপ্রকার সবাই চাপের মুখে আছে, কারণ যে বা যারা যাদের কাছ থেকে এইসব কাজের কন্ট্রাকে সাইন করে তাদের জীবন সবসময় একটা বিপদের মুখেই পড়ে থাকে।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯.৭/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আজকেও অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের একটা পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এই ওয়েব সিরিজের সিজন 2 এর অষ্টম তম পর্ব টা পড়ে আগ্রহ জন্মেছে পরবর্তী কাহিনীটা জানার জন্য। এখন পৃথ্বী কি করবে এটাই শুধু ভাবছি। একদিকে তার মেয়েকে বাঁচাতে হবে অন্যদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যেতে হবে। আবার অনেক বিষাক্ত একটা পদার্থ তাকে দেয়া হয়েছে। পৃথ্বী সবকিছু ভালোভাবে সামলাতে পারবে নাকি পারবেনা এখন এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি আপনি অনেক তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বটা তো দেখছি একেবারে উত্তেজনায় ভরপুর ছিলো দাদা। তবে পৃথ্বী আসলেই সবমিলিয়ে বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছে। কোনো পিতা নিজের সন্তানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে না। আশা করি পৃথ্বী যেভাবেই হোক তার মেয়েকে বাঁচাবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit