আলু এবং পালংশাকের নিরামিষ রেসিপি

in hive-129948 •  10 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা একটা নিরামিষ রেসিপি, তবে এটি শীতকালীন রেসিপি হিসেবে সেরা। আমার কাছে এই পালংশাকের রেসিপি খুবই স্বাদের লাগে। এটি একটু ভাজা ভাজা মতো করে খেতে বা ঘন্ট মতো করে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে এটা নিরামিষের থেকে অবশ্যই মাছের সাথে ভালো লাগে, আমার কাছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিংড়ি আর ছোট কাঁকড়াগুলো দিয়ে খেতে ভালো লাগে। আর সাধারণত এইগুলো দিয়েই বাড়িতে রান্না করা হয়। কাঁকড়া বা চিংড়ি না থাকায় এটি একদিন শুধু নিরামিষ মতো করেছিলাম, তবে এটিতে আলু দিয়ে একটু ভাজা ভাজা টাইপের করেছিলাম।

হালকা ঝোলেও ভালো লাগে, তবে আমার কাছে একটু শুকনো মতো করে ভালো লাগে, আমি এমনিতেও ভাত দিয়ে খেলে শুকনো মতো করে খেয়ে থাকি। যাইহোক, এই পালংশাক শুধু তরকারি বা ভাজা মতো করেই যে শুধু খাওয়া যায় তাই নয়, এটা দিয়ে আরো অন্যান্য বিভিন্ন খাবারের জিনিস তৈরি করা যায়। এর পাতাগুলো বেটে পালং পরোটা বানানো যায়, আর এইগুলো খেতেও অনেক ভালো লাগে। এর শুধু কালারটা চেঞ্জ হয়, কিন্তু ফ্লেভারটার জন্য খেতে একটু অন্যরকম স্বাদ লাগে। এছাড়া পালং পনিরটা দারুন লাগে, একবার খেলে যেন মনে হয় আরেকবার খাই। পালংশাক দিয়ে এইরকম ইচ্ছা করলে বিভিন্ন পদের আইটেম করা যায়। যাইহোক, এখন রেসিপিটার প্রস্তুতপ্রণালীর দিকে চলে যাবো।


☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀

❦উপকরণ
পরিমাণ❦
পালংশাক
২ তাড়ি
আলু
১ টি
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৭ টি
গোটা জিরা
১ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৩.৫ চামচ
হলুদ
৩ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১.৫ চামচ


পালংশাক, আলু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❣এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


☬প্রস্তুত প্রণালী:☬


❖পালংশাকগুলো প্রথমে ভালো করে বেছে নিয়ে পরে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আলুগুলোর খোসা হালকা ছালিয়ে নিয়ে মাঝারি পিস মতো করে কেটে ধুয়ে রাখতে হবে।

❖পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে কুচি করে নিতে হবে এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

❖কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভাজা হয়ে আসলে পরে তুলে নিয়েছিলাম।

❖এরপর তাতে আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি এবং রসুন এর কোয়া দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

❖ভাজা হয়ে গেলে তাতে একেবারে পালংশাক দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖আলু দেওয়ার পরে তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖সব একসাথে উল্টেপাল্টে মিক্স করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে অল্প করে জল দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖জল দেওয়ার পরে ঢেকে দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম কিছুক্ষন। পালংশাক এবং আলু সব সেদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনা সরিয়ে নিয়েছিলাম।

❖এরপর মিডিয়াম আঁচে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নেওয়ার পরে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।

❖মিক্স করে নেওয়ার পরে জলটা শুকিয়ে নিয়েছিলাম জ্বাল দিয়ে এবং পরে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আলু এবং পালং শাকের মাখামাখা ঝোল দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে দাদা। শীতের সময় পালং শাক খেতে অনেক ভালো লাগে। আর যদি এভাবে আলু দিয়ে রান্না করা যায় তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলেও বেশ মজার হয় খেতে। যদিও কাঁকড়া দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি তবে মনে হচ্ছে কাঁকড়া দিয়ে রান্না করে খেলেও বেশ ভালো লাগবে খেতে। আর পালং শাক সবার কাছে এতটাই প্রিয় যে নিরামিষ পালং শাক রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে একটু ঝোল কম হলে আমার কাছেও খেতে বেশি ভালো লাগে। পালং শাক দিয়ে যেকোনো কিছু তৈরি করলেই খেতে অনেক ভালো লাগে। হয়তো কালারটা একটু বদলে যায়। তবে ফ্লেভারটা ঠিক একই রকম থাকে। পালং পরোটা আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে খেতে। দাদা আপনি এত সুন্দর করে পালং শাকের নিরামিষ এই রেসিপি তৈরি করেছেন আর রেসিপি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অবশ্যই একদিন এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখব।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আলু আর পালংশাকের সুন্দর একটি নিরামিষ রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। একদম ঠিক বলেছেন, শীতের সেরা রেসিপি। পালং শাক আমার ফেবারিট। আপনার পরিবেশনের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজার হয়েছিল। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। যে কেই এটা দেখে সহজেই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার দেয়ার জন্য।

দাদা আজকে আমার সব থেকে প্রিয় একটি শাকের রেসিপি শেয়ার করলেন। আমাকে যদি পালং শাক শুধু লবন দিয়ে সিদ্ধ করে দেওয়া হয়,তাহলেই আমি খেতে পারি। আর সাথে যদি চিংড়ি মাছ বা অন্য কোন মাছ দেওয়া হয় তাহলে তো আর কিছু লাগবে না। শুধু পালং শাক দিয়েই ভাত খেতে পারি। আপনি পালং শাকের সাথে চিংড়ি বা কাঁকড়া দিয়েও খেয়ে থাকেন। আমি অবশ্য কাকঁড়া তেমন খাইনি। মানে আমাদের দিকে তেমন পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ কাকঁড়া বিদেশে রপ্তানি করে ফেলে। চট্রগ্রাম বা কক্সবাজার গেলে অরিজিনাল কাকঁড়া পাওয়া যায়। আর এই যে পালং শাকটা, এটি একটি শীতকালীন সবজি। শীতকাল ছাড়া তেমন চোখে পড়ে না। এছাড়া হয়তো ফার্ম হাউজে পাওয়া যেতে পারে। আর পালংশাক দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি করা যায়। যে ভাবে ইচ্ছা সেখাবেই খাওয়া যায়। শাক, তরকারি, গন্ট, ভুনা, ভর্তা সব কিছু খাওয়া যায়। এছাড়াও পালংশাক দিয়ে নুডুলস বানিয়েও খেয়েছি। আর পালং শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে। আপনাকে দেখলাম পালংশাকের সাথে আলু দিয়ে গন্ট আকারে রান্না করেছে। মাছ ছাড়া ঝোল হলে আবার তেমন মজা পাওয়া যাবে না। আপনি যেহেতো পালং শাকের সাথে শুধু আলু দিয়েছেন,তাই ঝোল না রাখাটাই ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

পালং শাক আমার বেশ পছন্দের চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে নিরামিষ রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি এভাবে আলু দিয়ে পালং শাক রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগবে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে এবং দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে আমিও একদিন ট্রাই করে দেখব। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন । সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আহ্ দাদা আলু দিয়ে পালং শাকের নিরামিষ রেসিপিটি দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। এরকম সুন্দর গরম গরম রেসিপি পাইলে তো ভাতের সাথে খাইতে অনেক সুন্দর লাগবে। আপনার রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

আলুগুলো খুব সুন্দর করে ফালিফালি করে কেটে পালং শাকের সাথে রান্না করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই শাগ আর সবজির সমন্বয়ে তৈরি করা দারুন একটা রেসিপি দেখে। পালং শাক এমনিতে আমার খুবই ভালো লাগে তবে এমন ভাবে যদি রেসিপি প্রস্তুত করা হয় তাহলে তো দারুন লাগবে।

দাদা আপনি আজকেও অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আলু এবং পালং শাকের নিরামিষ রেসিপি আমার কখনোই খাওয়া হয়নি। আপনি খুবই মজাদার ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন দাদা। পালং শাকের পাতাগুলো বেটে পরোটা তৈরি করা যায় এটা তো আমার একেবারেই জানা ছিল না। আমি কখনো এরকম রেসিপিগুলো খাইনি। দাদা যারা এই রেসিপি তৈরি করতে জানে না, তারা কিন্তু আপনার উপস্থাপনা দেখে খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবে। আমাদের বাড়িতে আমার আম্মু পালংশাকের গাছ রোপন করে থাকে বেশিরভাগ সময়। বিশেষ করে আমাদের ছাদের উপরে পালং শাক রয়েছে। আর নিজেদের গাছের শাক খেতে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। ভিন্নভাবে রান্না করা পালং শাক আমার অনেক বার খাওয়া হয়েছে তবে এভাবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা এই মজাদার রেসিপিটা সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী রেসিপি পোস্ট দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

দাদা আলু ও পালং শাকের মজাদার রেসিপি টা দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন। আলু ও পালং শাক কখনো আমি একসাথে রান্না করেনি, যার কারণে আর খাওয়া হয়নি আমার। এইজন্য আপনার এই রেসিপিটা অনেক ইউনিক লাগলো দাদা। আলু এবং পালংশাকের নিরামিষ রেসিপি তৈরি করলেন। আর সবার মাঝে অনেক সুন্দর করে তুলে ধরলেন দেখে ভালো লাগলো। এই রেসিপিটা কিন্তু অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত তা বুঝতেই পারতেছি দাদা। এর পাতাগুলো বেটে কিভাবে পালং পরোটা তৈরি করা যায় এটাই তো বুঝতে পারলাম না দাদা। আশা করছি এই পরোটা গুলো আপনি একদিন তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন দাদা। তাহলে আপনার কাছ থেকে খুব সহজেই এই পরোটা গুলো তৈরি শিখে নিতে পারবো। যেমন আলু এবং পালং শাকের নিরামিষ রেসিপি টা আজকে শিখে নিলাম খুব সহজে। সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগতেছে এই রেসিপিটা শিখতে পেরে। আমাদের বাড়িতে পালং শাক রয়েছে। তাই আমি আলু দিয়ে অবশ্যই এভাবে রেসিপিটা তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ দাদা মজাদার রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

শীতকালীন শাক হিসাবে পালং শাকের স্বাদের বর্ণনা অতুলনীয়। তো আপনি আলু দিয়ে শীতের শাক পালং শাকের রেসিপি তৈরি করলেন। সত্যি পালং শাক খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। তবে আমি ভিন্নভাবে তৈরি করেছি কিন্তু আলু দিয়ে রান্না করা হয়নি। আমার মনে হচ্ছে এভাবে একদিন তৈরি করে খাওয়া দরকার। যেহেতু একেক ধরনের রেসিপির স্বাদ একেক রকমের। আপনি দুর্দান্ত তৈরি করলেন রেসিপিটি।

পালং শাক আমিও চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে থাকি।এছাড়া কৈ মাছ ও শিং মাছ ভুনার পাশে ও দেই সামান্য । খেতে খুব মজার হয়।এছাড়া এই শাক ভাজা ভাজা করে ও খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি আলু দিয়ে নিরামিষ রেসিপি শেয়ার করলেন।এমন ভাজা ভাজা করে খেতে আমার কাছেও সেই ভালো লাগে।আপনি সাথে আলু দিয়ে নিরামিষ করলেন খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল আশাকরি। আপনি রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই দাদা আপনাকে।আপনি সব সময় মজার মজার রেসিপি শেয়ার করেন।যা দেখতে যেমন সুন্দর হয়।তেমনি খেতেও দারুন হবে।পালং শাক দিয়ে পালং পনির করা যায় শুনেছি।কিন্তু কখনও করা হয়ে উঠেনি।করলে অবশ্যই রেসিপি শেয়ার করবো দাদা।ভালো থাকবেন সব সময়।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

এছাড়া কৈ মাছ ও শিং মাছ ভুনার পাশে ও দেই সামান্য ।

আমি বরাবরই প্রায় চিংড়ি বা কাঁকড়া দিয়েই খেয়েছি। তবে এইরকম বড়ো কোনো মাছ দিয়ে খেয়ে দেখিনি। একদিন দেখি টেস্ট করতে হবে আপনার মতো।

মাছ ভুনার পাশে সামান্য দিয়ে করবেন।ইনশা আল্লাহ দারুন লাগবে খেতে ।ধন্যবাদ দাদা।

পালং শাক আমার ভীষণ পছন্দের। তাইতো শীতের শুরু থেকেই পালং শাক মোটামুটি নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে আমাদের বাসায়। ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাক ভাজি করলে কিংবা নিরামিষ রেসিপি তৈরি করলে খেতে দারুণ লাগে। তাছাড়া আমাদের বাসায় শিং মাছ কিংবা টেংরা মাছ দিয়ে পালং শাকের ঝোল রেসিপি তৈরি করা হয়। সেই রেসিপিটা ও খুব সুস্বাদু লাগে খেতে। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পালং শাক বেশ কার্যকরী। আমি শুধুমাত্র কাঁচা পালং শাক ব্লেন্ডার করে জুস বানিয়ে খেয়েছিলাম, বেশ কয়েকবার কোরিয়াতে থাকা অবস্থায়। কারণ তখন আমার রক্তচাপ কিছুটা বেশি ছিলো। তো এক কোরিয়ানের বুদ্ধিতেই কাঁচা পালং শাকের জুস খেয়েছিলাম। তবে খেতে কিন্তু খারাপ লাগেনি। যাইহোক আলু এবং পালং শাকের নিরামিষ রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। গরম গরম রুটি দিয়ে এই রেসিপিটা খেতে দারুণ লাগবে। তাছাড়া রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। পালং পনির আমার ভীষণ পছন্দ। বেশ কয়েকবার ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে পালং পনির খেয়েছিলাম। যাইহোক রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

পালং শাক আমার ভীষণ পছন্দের। তাইতো শীতের শুরু থেকেই পালং শাক মোটামুটি নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে আমাদের বাসায়।

শীতের সময়েই এইসব সবজি সিজনাল হিসেবে বেশিই খাওয়া হয়ে থাকে। তবে স্টোকের সবজি পাওয়া যায় বা অনলাইন সিস্টেমে আমাদের এখানে পাওয়া যায়। তবে এখনকার মতো অতটা সেই স্বাদ পাওয়া যায় না।

দাদা আমাদের এখানকার কাঁচাবাজারে শীতকাল ছাড়াও মাঝেমধ্যে ফুলকপি, টমেটো এবং শিম পাওয়া যায়। তবে খেতে তেমন ভালো লাগে না। আসলে কোল্ড স্টোরেজে রাখা সবজির স্বাদের সাথে, তাজা সবজির স্বাদের পার্থক্য আকাশ পাতাল।

দাদা শীতের সময় কিন্তু শাকসবজি খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। ঠিক তেমনি আমি নিজেও শীতের সময় এই ধরনের শাকসবজি খেতে খুব ভালোবাসি। পালং শাক আমার অনেক বেশি পছন্দের। পালং শাকের মজার মজার রেসিপি আমি অনেকবার তৈরি করেছি বিভিন্ন পদ্ধতিতে। এবং কি বেশ কয়েকবার আলু এবং পালং শাকের এরকম নিরামিষ রেসিপি ও তৈরি করা হয়েছে আমার। আর এভাবে আলু এবং পালং শাকের নিরামিষ রেসিপি তৈরি করলে কিন্তু সত্যি খুব সুস্বাদু হয় দাদা। দাদা পালং পরোটার কথা কয়েকদিন আগে আমার শাশুড়ি ও আমাকে বলেছিল। তবে উনার কাছ থেকে প্রথমবার যখন শুনেছিলাম, তখন আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম না, পালং শাকের পাতাগুলো বেটে পালন পরোটা তৈরি করা যায়। তখনই আমি ভেবে নিয়েছিলাম, আরেকবার যখন বাড়িতে পালং শাক নিয়ে আসা হবে তখন পালং পরোটা তৈরি করবো আমি। আর আজকে আপনার কাছ থেকেও এটা শুনলাম। আলু এবং পালং শাকের মজাদার রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আলু এবং পালং শাকের নিরামিষ রেসিপিটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। আলু এবং পালং শাকের নিরামিষ রেসিপি টা অনেকবার খেয়েছি। আর এভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করলে আমার কাছে খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। আমার কাছে শীতের সময় পালং শাকটা খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আর যদি এই ধরনের মজাদার রেসিপি গুলোর মধ্যে ঝাল একটু বেশি করে দেওয়া হয়, তাহলে আমার কাছে খেতে একটু বেশি ভালো। দাদা আমার নিজের কাছেও কিন্তু নিরামিষের থেকে মাছের সাথে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে এই রেসিপিটা। আপনি আলু দিয়ে একটু ভাজা ভাজা টাইপের করেছিলেন এটা দেখে ভালো লাগলো। পালং শাকের রেসিপিটা তৈরি করে সবার মাঝে খুব সুন্দর তুলে ধরে শেয়ার করলেন। রেসিপিটা তৈরি করার ধাপগুলো ও সুন্দর করে শেয়ার করবেন।

আজকের রেসিপিটি কিন্তু আমার মতো হয়েছে ভাই হি হি হি। পালং শাক আমারও দারুণ প্রিয়, যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে দারুণ স্বাদের হয়ে থাকে। আমিও মাঝে মাঝে আলু দিয়ে এই ভাবে রান্না করে থাকি। বেশ সুন্দর রান্না করেছেন আপনিও। অনেক ধন্যবাদ।

আজকের রেসিপিটি কিন্তু আমার মতো হয়েছে ভাই হি হি হি

😅. ঠিক বলেছেন, আসলেই অনেক সুস্বাদু আর উপকারী একটি সবজি। শীতকালে পালংশাক ঝোল হোক বা ঘন্ট, গরম ভাতের সাথে সেই লাগে।