হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোমস্টে মার্ডারস' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "হাউস কাউন্ট"। গত পর্বের শেষ মুহূর্তটা দেখেছিলাম যে হাউসের মালকিন মিতাকে কেউ বিষ দিয়ে মেরে ফেলে। আজকে এই পর্বে দেখবো পরে ঘটনাটা কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
শেষমেশ কুহেলির মার্ডারের শনাক্ত করার জন্য পুলিশ আসতে আসতে অনেকদিন লাগিয়ে দেয় আর তাও আসে রাতে। পাহাড়ি এলাকার লোকাল পুলিশ আসার পরে তো যা হয় আর কি একজনের লাশ পেলেও মিতার লাশটা আর খুঁজে পায় না। এই নিয়ে একটা হুলুস্থূল বেধে যায় সবার মধ্যে, কারণ এই মাত্র মৃত ব্যক্তির লাশ কিভাবে মিসিং হয়ে যেতে পারে। সবার মনে এই একটাই রহস্যময় প্রশ্ন যার কোনো সঠিক জবাব কারো কাছেই নেই। তবে কিঞ্জল ধারণা করে যে এতো অল্প সময়ের মধ্যে বডি এখান থেকে সরিয়ে তো কোথাও কেউ নিয়ে যেতে পারে না তার মানে এখানেই এমন কেউ আছে যে লাশটা সরিয়ে কোথাও রেখেছে আর পুলিশকে দুবার খুঁজতে বলে কিন্তু পায় না। এরপর শুধু কুহেলির লাশটা নিয়ে বাইরে আসে আর মর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। আর মিতা যে পাত্রে করে পায়েস খেয়েছিলো এভিডেন্স হিসেবে সেটা ফরেনসিক-এ পাঠায় কারণ এটাতে মিতা ব্যাতিত যে এর সাথে জড়িত আছে তার আঙুলের ছাপ অবশ্যই পাওয়া যাবে। আর দামিনীকে কাস্টেরি তে নিতে বলে, কারণ সে সবারই সন্দেহের তালিকায় আছে আর সবারই ধারণা যে দামিনীই খুন করেছে। তাই লেডি পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। আর বাকি সবার উপর নজরবন্দি লাগিয়ে দেয় যাতে এই হাউস ছেড়ে কেউ কোথাও না যেতে পারে।
তবে অনিমেষ এর কাছে যখন দামিনী গিয়েছিলো ডায়েরিটা পড়তে তখন তার একটি পেজে লুকিয়ে একটা কাগজ রেখে এসেছিলো যেটাতে সে তার রুম থেকে তার ব্রাউন কালারের একটি ব্যাগ যেন অনিমেষ নিজের কাছে এনে রাখে। হঠাৎ এটা দেখে একটু অবাক হওয়ারই কথা, কারণ সে জানে না আর সে ডায়েরিটা আরেকবার খুলে তার গল্পের শেষের দিকে দেখতে গিয়ে এটি হাতে পায়। এর মধ্যে কুনাল দামিনীর রুমে যায় কিছু একটা খুঁজতে আর তারই মধ্যে অনিমেষ তার রুমে যাওয়ার জন্য যায় কিন্তু কেউ একজন আছে ভিতরে সেটা শব্দ শুনে বুঝতে পারে আর লুকিয়ে দেখে নেয় কে ছিল। এর পরে অনিমেষ রুমের ভিতরে ঢুকে সেই ব্যাগটা খোঁজে আর তাতে রাখা জিনিষটা নিয়ে নেয়। আসলে ওই ব্যাগে ছিল ছুরি যেটা দিয়ে কুহেলীকে খুন করা হয়েছিল। এরপর হঠাৎ করে একজনের গলায় গান শুনতে পায় আর সেটি ছিল মিতারই, তাই সবাই অবাক হয়েছিল যে একজন মৃত ব্যক্তি কিভাবে গান গাইতে পারে। কিঞ্জল একদমই বিশ্বাস করতে রাজি ছিল না, তাই সে বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আর জঙ্গলের দিকে এগোতে থাকে।
আর এখানেই একটা বড়ো রহস্যের জট খোলে আর সেটি হলো কিঞ্জল নিজেই তাকে বেঁচে থাকতে দেখার পরেও গুলি করতে যায় কারণ সে তার দিদিকে মেরেছিলো। আর গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এই কিঞ্জল আসলেই কোনো বর্ধমানের এসপি না, সে এসপি সেজে এখানে নিজের কাজ উদ্ধার করতে আসে। আর এই কাজটা করে দামিনী, সে পুলিশকে সব খুলে বলে আর তারা বর্ধমানে ফোন করে জেনে নেয় যে এই কিঞ্জল নামে আপনাদের কোনো এসপি আছে কিনা। এরপর দামিনীকে ছেড়ে দেয় আর সাথে সাথে সেখানে চলে আসে কারণ বুঝতে পেরেছিলো যে কিঞ্জল আবারো কোনো কিছু একটা করতে যাবে। আর আসলেই মিতা খুন হয়নি, শুধু তাকে মরার ভান করতে বলা হয়েছিল। আর দামিনীর সন্দেহ হয় যখন মনীষাকে মেরে ফেলার পরে কিঞ্জল বলে যে তার শরীরে ২৭ টা ছুরির আঘাত করেছে, যেটা খুনি ছাড়া আর কারো জানারই কথা না। আর অনিমেষের সাথে রাস্তায় তার হঠাৎ দেখা হয় আর তার সূত্র ধরে এই হাউসে আসা। আর অনিমেষের তার ব্যাপারে তেমন কিছু জানার কথা না, কারণ তাদের একে অপরের সাথে দীর্ঘদিন দেখা হয় না বলতে গেলে স্কুল লাইফের পর থেকে।
এরপর পুলিশ কিঞ্জলকে ধরে নিয়ে চলে যায়। এরপর দামিনী তার পুরো বিষয়টা খুলে বলে আসলে প্রথম থেকে কিভাবে কি হয়েছে অর্থাৎ মনীষার খুন থেকে শুরু করে এই কুহেলির খুন পর্যন্ত। আসলে প্রথমেই যেটা বলেছিলাম যে মনীষা একটা বারে গিয়ে অত্যাধিক ড্রিংক করেছিল যার ফলে সে হুশ হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ কে তাকে কোথায় কিভাবে নিয়ে যাচ্ছে আর ওখানেই এই দামিনীও উপস্থিত ছিল। আর ওয়াশরুমে মনীষাকে যে চিরকুট দিয়েছিলো তাতে লেখা ছিল যে অনন্যা হাউসে আরেকটা মৃত্যু হতে চলেছে আর সেটা তার বদলা এইরকম কিছু লেখা থাকে আর এটা দেখেই দামিনী বুঝে যায় যে এইবার বড়ো কিছু একটা হতে চলেছে। আর প্রিয়ার খুন করা হয়েছিল সেটাও জানায় কারণ তার খুন হওয়াটাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য এই সুসাইট এর চাল চেলেছিলো। আর এইসবের পিছনে ছিল মনীষা, কুহেলি আর গীতা যেটা মিতার যমজ বোন। আর প্রিয়ার ছোট ভাই সেইসময় সব ঘটনা নিজের চোখে দেখে।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এই পর্বে অনেক বড়ো রহস্যের ভেদ খুলে দিয়েছে দামিনী। আসলে দামিনী কে ছিল আর এখানেই বা কেন এসেছিলো সেটা সবার কাছেই অজানা ছিল। আর সেও তার পরিচয় লুকিয়ে রেখে নিজের কাজটা চালিয়ে যাচ্ছিলো। আসলে দামিনী একজন ডিটেক্টিভ ছিল তাও ছোট খাটো, আসলে এইসব খুনের মামলা তার দেখার কথা না, কিন্তু জড়িয়ে পড়তেই হলো তাকে। আর কিঞ্জলের আসল রহস্যটা খুঁজে বের করার জন্য মিতাকে মৃত সাজিয়ে একটা চাল চেলেছিলো যাতে তাকে হাতেনাতে ধরতে পারে। আর কিঞ্জলই ছিল প্রিয়ার ছোট ভাই, যে তার বোনের সাথে হওয়া অন্যায়ের বদলা নিতে আসে। আসলে এখানে কিঞ্জলকেও দোষারোপ করা যায় না, কারণ সে তার নিজের দিদির সাথে অন্যায় হওয়াটা স্বচক্ষে দেখার পরে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। এটা স্বাভাবিক, তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াটাও অপরাধ। যাইহোক, এখন তাকে তো পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, বাকিটা লাস্ট পর্বে দেখা যাবে আসলে কিঞ্জলের সাথে কি হতে চলেছে।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৭/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রিয় দাদা, চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের মাঝে।হোমস্টে মার্ডারস- হাউস কাউন্ট এর পঞ্চম পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রিয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি উন্মোচিত হওয়ার বিষয়টা সত্যি অসাধারণ। চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা এই ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পরবে সে দামিনীর আসল পরিচয়টা জানতে পারলাম। আসলে দামিনী দেখছি একজন ডিটেকটিভ। যার পরিচয় আগে কেউ জানতো না। কিন্তু দামিনী দেখছি এই কেসটার ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া এখন তো দেখছি কিঞ্জলই সবকিছুর জন্য দায়ী। সে মূলত নিজের বোনের বোনের বদলা নিতে এসেছে। এই পর্বে আসলে অনেকটাই ক্লিয়ার হতে পেরেছি। কিন্তু পরের পর্বে কি হবে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হোমস্টে মার্ডারস ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্ব পড়ে অনেকগুলো রহস্য সম্পর্কে জানতে পারলাম। বিশেষ করে দামিনীর সম্পর্কে সবকিছুই জানা গেল। আসলে দামিনী একজন ডিটেকটিভ। সে আসলে বড় গোয়েন্দা না হলেও এই কেসটার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তবে এই বিষয়টা আজকে অনেকটাই ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারলাম। কার সাথে মূল দোসিকে সেটার ও খোঁজ পাওয়া গেল। আসলে কিঞ্জলই দেখছি নিজের বোনের খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এইসব কিছু করেছে। কিন্তু আসলে তার একদম দোষ দেওয়া যায় না। কারণ চোখের সামনে এইসব দেখে একদমই সহ্য করতে পারেনি। কিন্তু তাই বলে নিজে নিজেই এসব কিছু করাটাও ঠিক হয়নি। যাক লাস্ট পার্বে কি হয় তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার ওয়েব সিরিজ গুলো যখন পড়ি একটা একটা করে পর্ব পড়তে পড়তে রহস্য গুলো যখন জানতে পারি ভীষণ ভালো লাগে। মনে হচ্ছে যেন টিভিতে একটা একটা করে পর্ব দেখছি। তবে এই ওয়েব সিরিজের মধ্যে আজকের পর্ব টা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ দামিনী একজন ডিটেকটিভ এই বিষয়টাও জানা গিয়েছে। তার সাথে আবার কিঞ্জলই এই সব কিছু করেছে সেটাও জানা গেছে। যদিও সে তার নিজের বোনের খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এসব কিছু করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এতদিন পর্যন্ত দেখছি দামিনী নিজের পরিচয়টা লুকিয়ে রেখেছে। দামিনী নিজে একজন ডিটেকটিভ এটা আসলে কাউকে জানতে দেয়নি। কিন্তু দামিনী তো ছোটখাটো ডিটেকটিভ কিন্তু এই কেসটার সাথে জড়িয়ে পড়াতেই রহস্য বের করতে চাইছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা বোঝা গেল যে কিঞ্জল হচ্ছে প্রিয়ার ছোট ভাই। যে কিনা নিজের বোনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এই সব কিছু করছিল। আর তার জন্য তাকে পুলিশ ও ধরে নিয়ে গিয়েছে। আসলে যদিও তার একেবারে পুরোপুরি দোষ দেওয়াটাও ঠিক নয়। আসলে নিজের আপনজন বলে কথা। তাই জন্য সহ্য করতে পারেনি। পরবর্তী পর্বে কি হয় এই বিষয়টা দেখার খুবই আগ্রহ রয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা এই পর্বে দামিনী ছোট খাটো ডিটেক্টিভ হয়েও অনেক বড়ো রহস্যের ভেদ খুলে দিয়েছে । দামিনী কে ছিল আর এখানেই বা কেন এসেছিলো সেটা সবার কাছেই অজানা ছিল। আর সেও তার পরিচয় লুকিয়ে রেখে নিজের কাজটা চালিয়ে যাচ্ছিলো। আর কিঞ্জল তার নিজের দিদির সাথে অন্যায় হওয়াটা স্বচক্ষে দেখার পরে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। যার ফলে সে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এখানে কিঞ্জল আসল রহস্যটা খুঁজে বের করার জন্য মিতাকে মৃত সাজিয়ে একটা চাল চেলেছিলো যাতে তাকে হাতেনাতে ধরতে পারে। এখন দেখা যাক কিঞ্জলের ভাগ্যে কি আছে। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
'হোমস্টে মার্ডারস' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। নতুন নতুন তথ্য সামনে চলে এলো। দামিনীর সম্পর্কে নতুন তথ্য সামনে চলে এলো। দামিনী একজন ডিটেক্টিভ ছিল এটা এর আগে বুঝতে পারিনি। এই রহস্যের জাল উন্মোচন করার জন্যই হয়তো সব কিছুর সাথে জড়িয়ে পড়েছিল সে। অন্যদিকে প্রিয়ার ছোট ভাই কিঞ্জল নিজের বোনের উপর হওয়া অন্যায়ের বদলা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কিছু করেছে। যদিও আইনের আশ্রয় নিতে পারত সে। তবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া বিষয় অন্যায়। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit