ফুলকপি দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি রুই মাছের রেসিপি তৈরি করেছি। রুই মাছের স্বাদ অনেকদিন বাদে গ্রহণ করলাম। আর যে সবজিটা দিয়ে রুই মাছ এর তরকারি খেতে ভীষণ ভালো লাগে সেটা দিয়েই করেছি। কারণ আমার কাছে ফুলকপি দিয়ে রুই মাছ এর কম্বিনেশন দারুন লাগে। আমি এটা কিন্তু শুধু সিজনের কথা বলছি না, আমার কাছে যেকোনো সিজনে ফুলকপি দিয়ে রুই মাছের তরকারি খেতে বেশি ভালো লাগে। এখন শীতকালে তো ফুলকপি ভালো ভালো পাওয়া যায় আর খেতেও আরো স্বাদের আছে তাই এই সময় তেমন ভালোই মজা করে খাওয়া যায়। তবে অন্যান্য সময়ে ফুলকপি সবসময় খাওয়া যায় না, কারণ আলাদা সিজনের সবজি আলাদা সময়ে অনেক ক্ষেত্রে খেতে ভালো লাগলেও সবসময় কারো কিনতে ইচ্ছা হয় না। মাঝে মাঝে স্বাদ বদলাতে কিনতে হয় তাই কেনা, আমিও তাই করি সবসময়। এখন শীতকালে বাজারে গেলে আগে ব্যাগে একটা ফুলকপি মাস্ট ঢুকাই তারপর অন্যান্য সবজির দিকে যাই। আর আমি সে বাজার থেকে ফুলকপি কিনে এনে সেটা দিয়ে একটা অন্য কিছু বানাবো বলে ভাবি কিন্তু সে আজ করবো কাল করবো করে করে যেন অলসতায় ধরেছে । এইরকম অলসতা দেখাতে দেখাতে কখন বানিয়ে ফেলবো নিজেও জানি না হা হা। যাইহোক ফুলকপি দিয়ে রুই মাছের তরকারিটা খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। এখন আমি এই রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।


☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀

❦উপকরণ
পরিমাণ❦
রুই মাছ
৭ পিচ
গোটা ফুলকপি
১ টি
গোল আলু
৪ টি
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৭ টি
গোটা জিরা
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


ফুলকপি, আলু, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


დএখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


ꕥপ্রস্তুত প্রণালী:ꕥ


➤রুই মাছটি কেটে রাখা ছিল এবং তার থেকে ৭ পিচ নিয়েছিলাম আর পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤গোটা ফুলকপিটাকে কেটে নিয়ে তার পিচগুলো আলাদা আলাদা করে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর গোল আলুগুলোর খোসা ভালো করে ছালিয়ে নেওয়ার পরে পিচ করে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ দুটির খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো সব কেটে নিয়েছিলাম।

➤একটি কড়াইতে জল বেশি করে দিয়ে তাতে কেটে রাখা ফুলকপির পিচগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। ভালো করে কিছুক্ষন ফুটিয়ে সিদ্ধ করে নেওয়ার পরে একটি পাত্রে ঢেলে দিয়ে জল ফেলে দিয়েছিলাম।

➤রুই মাছের পিচগুলোতে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

➤একটি প্যানে সরিষার তেল দেওয়ার পরে তাতে লবন, হলুদ মাখানো রুই মাছের পিচগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে ভালোভাবে ভাজা করে তুলে নিয়েছিলাম।

➤মাছ ভাজার পরে প্যানে আবারো একটু তেল দিয়ে তাতে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে হালকা একটু হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে লাল মতো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম( হলুদ দিলে কালারটাও দারুন আসে)।

➤অন্য আরেকটি কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤জিরার সাথে পেঁয়াজটা একটু কড়া মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে লাল মতো করে ভাজা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤আলু দেওয়ার পরে তাতে সিদ্ধ করে রাখা ফুলকপির পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কা ধুয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো ২.৫ চামচ এর মতো হলুদ আর ৩ চামচের মতো লবন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মশলাগুলো সবজির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।

➤সব ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর খানিক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়ে আলু, ফুলকপি আরো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।

➤সিদ্ধ আলুর কিছু পিচ একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর হাতা দিয়ে ভালোভাবে চেপে গলিয়ে সফ্ট করে নিয়েছিলাম।

➤আলু গলানোর পরে তরকারিতে ভেজে রাখা রুই মাছের পিচগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি খানিক্ষন আরো ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।

➤খানিক্ষন ফোটানোর পরে তাতে গলিয়ে রাখা আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সেটি তরকারির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলাম আর তরকারিটা শেষমেশ ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য আরো অল্প কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤ঝোলটা কমে আসলে আর সাথে ঘন হয়ে আসলে আমি জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তরকারির উপরে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শীতের সবজি ফুলকপি সবারই অনেক প্রিয়। আর এই ফুলকপি দিয়ে নানা রকমের রেসিপি তৈরি করা যায়। বিশেষ করে ফুলকপি দিয়ে রুই মাছের রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। আপনার রেসিপি পরিবেশন ভালো হয়েছে। আসলে রুই মাছ আমার খুবই প্রিয়, আর রুই মাছ দিয়ে ফুলকপি রেসিপি সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন।দেখেই মজাদার মনে হচ্ছে। ফুলকপি ভাজি আমার খুবই প্রিয়।আমি ভাজি খেতে খুবি পছন্দ করি। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে খুবই ভালো লাগলো। এতো সুস্বাদু এবং মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

শীতের সময় যেসব সবজিগুলো পাওয়া যায় এগুলো অন্য সময়ও পাওয়া যায় কিন্তু অন্য সময় খেতে শীতের সময়ের মতো এতো মজা লাগে না। শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপি আমার খুবই পছন্দের একটি সবজি। ফুলকপি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আর রুই মাছ দিয়ে রান্না করলে তো কথাই নেই। যেদিন ফুলকপি রান্না করা হয় জমিয়ে খাওয়া হয়। বিশেষ করে ফুলকপির ফুল খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ডাটা তেমন খাওয়া হয়না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

শীতের দিনে তোমার কাছে ফুল চাইনি প্রিয়
সময় পেলে রান্না করে ফুলকপি দিও

  • হ্যাঁ দাদা শীতকাল মানেই ফুলকপি, ফুলকপি ছাড়া শীতকালে যেন জমেই না। ফুলকপি আমার ইচ্ছে করে সারা বছর খেতে।কিন্তু অন্য সিজনে খুব বেশি বাজারে পাওয়া যায় না। আমার ও আপনার মত অন্য সিজনের রুচি পরিবর্তনের জন্য ভিন্ন কিছু খেতে ইচ্ছে করে। আমিও বেশিরভাগ ফুলকপি রুই মাছ দিয়ে রান্না করি। রুই মাছ দিয়ে খুব বেশি মজা লাগে ফুলকপি। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো ফুলকপি রান্না করলে আমি চুরি করে ফুলগুলো তুলে খেয়ে ফেলি🤗। দারুন হয়েছে রেসিপিটি দাদা।👍🏼👍🏼

এই একটি সবজিতে আমার কোনদিন অতৃপ্তি আসেনা তা হলো ফুলকপি। সত্যি বলতে আমিও ঠিক আপনার মতো শীতকালে বাজারে গেলে আগে ফুলকপি কিনতে ভুলি না। রুই মাছের সাথে এটা সবসময়ই দারুন স্বাদের লাগে। আপনার তরকারিটা যে সুস্বাদু হয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলতে পারি দাদা।
বলতে অসুবিধা নেই, আমিও আজ ফুলকপি খেলাম। ধন্যবাদ দাদা চমৎকার রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

শীতকাল ছাড়া ফুলকপি অন্য সিজনে পাওয়াই যায় না। আর ফুলকপির সাথে রুই মাছ হলে তো কোন কথাই নেই। আমাদের বাড়িতে ফুলকপি রান্না করা হলে আমি জাস্ট ফুলটা খাই আর ডাটা অবশিষ্ট থেকে যায়।

যাই হোক আপনার এই রেসিপিটির মধ্যে একটা নতুন জিনিস শিখতে পারলাম। তা হল আলুকে মাখিয়ে রাখাটা। এভাবে কখনো রান্না করিনি। আলুকে ছোট টুকরো করে তরকারির সাথে কষিয়ে দিয়ে দিতাম। যেহেতু ফুলকপির সিজন চলে এসেছে তাই এভাবে আমিও রান্না করে দেখব। ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ওয়াও ফুলকপি আর রুই মাছ আহা!
আসলে দাদা ইন্ডিয়ায়. তো প্রায় সারা বছর শাখসবজি পাওয়া যায় ৷ তবে বাংলাদেশ সিজন অনুযায়ী ৷ তবে বর্তমান সময় টা তে ফুলকপি ধনে পাতা মাছ দারুন ৷
যা হোক আপনি অলসতা হলেও রান্না টা ঠিক ভাবে করেছেন ৷ রুই মাছের সাত পিস এরপর ভেজে নিয়েছেন ৷ কাচা মরিচ,আলু ,ফুলকপি দিয়ে রান্না সত্যি অসাধারণ ৷ আমি প্রতিটি ধাপ দেখলাম অনেক ভালো লাগলো ৷ দেখে তো মনে হয় দারুন স্বাদের হয়েছে ৷
ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর একটি রেসেপি শেয়ার করার জন্য ৷

আসলে দাদা শীতের সময় যে সবজিগুলো পাওয়া যায় সেই সবজি গুলো অন্য সময়ে খেতে তেমন একটা সুস্বাদু লাগেনা। ফুলকপি আমার কাছেও বেশ প্রিয় একটি সবজি। এই শীতের দিনে প্রতিদিন ফুলকপি দিয়ে কোন না কোন রেসিপি আমি তৈরি করে থাকি। আর আপনি এখন বাজারে গেলে প্রথমে ব্যাগে একটি ফুলকপি ঢুকান ,এখন এই কাজটি আমার মনে হয় সবাই করে। আপনি ফুলকপি দিয়ে রুইমাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে ।আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগলো। চমৎকার হয়েছে ,আর আপনার রান্না তো বরাবরই পারফেক্ট হয়।অসংখ্য ধন্যবাদ।

রুই মাছ দিয়ে শীতকালীন সবজি ফুলকপির দিয়ে সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছেও রুই মাছ ও ফুলকপির তরকারি অনেক ভালো লাগে। রেসিপি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল

আমার ও রুই মাছ দিয়ে ফুলকপির কম্বিনেশন টা বেশ ভালো লাগে। আমি সাথে শিম আলু আর টমেটো দেই খেতে বেশ ভালোই লাগে।দাদা আপনি আবার আলসামিও করতে জানেন 😜,আপনার বউ এর যে কি পরমান ভালো কপাল হবে, এভাবে রান্না করবেন আর বৌদি পায়ের উপর পা তুলে খাবে।এত মজার মজার রান্না কে হাতছারা করবে।আসলেই শীতের দিন ফুলকপির স্বাদ বেড়ে যাই । যাই হোক প্রতিটি ধাপ দাদা আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

জী দাদা আপনি ঠিক বলেছেন,অনেক দিন পর আপনার পোষ্টে রুই মাছের রেসিপি দেখলাম। সেটা হয়তো শীত কালিন সবজি ফুলকপির কারনে। ফুলকপি এমন একটি সবজি যে কোন মাছ দিয়ে খেতে সুস্বাদু লাগে। আর রুই মাছ হলে তো আর কোন কথা থাকে না। ফুলকপিটা আমারও খুব প্রিয়। আমি বাজারে গেলেও ফুল কপি দেখলে না নিয়ে বাজার থেকে ফিরি না। দাদা রুই মাছটা কিন্তুু খুব ভাল একটি ভাজি হয়েছে। ফুল কপির সাথে আবার কয়েকটা আলুও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ধারুন একটি রেসিপি হয়েছে। সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

এইরকম অলসতা দেখাতে দেখাতে কখন বানিয়ে ফেলবো নিজেও জানি না হা হা।

দাদা আপনি অনেক পরিশ্রমী একজন মানুষ। আর আপনি যদি নিজেকে অলস মনে করেন তাহলে তো আমি নিজেকে অলসের গোডাউন মনে করি 🤪🤪। ফুলকপি আমার খুবই প্রিয়। রুই মাছের সাথে ফুলকপির রেসিপি দারুন জমে যায়। আর যদি কয়েক পিস আলু দেওয়া হয় তাহলে আরো পারফেক্ট হয়। শীতের সিজনে ফুলকপি বেশি খাওয়া হয়। তবে গরমের সিজনেও মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। আমার কাছে শীতের সময় ফুলকপি খেতে বেশি ভালো লাগে। আসলে শীতের সবজিগুলো শীতের সময়ে একেবারে পারফেক্ট স্বাদের হয়। আর গরমের সময় যদি ফুলকপি পাওয়া যায় সেই ফুলকপি গুলো খেতে কেমন জানি লাগে। যাইহোক দাদা রুই মাছ দিয়ে ফুলকপির এই রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে।

দাদা আপনি অনেক দিন বাদে রুই মাছ খেলেন আর আমার বাসায় সারা মাসই রুই মাছ খাওয়া হয়। আর ঠিক বলেছেন শীতকাল আসলে মনে হয় সবারই বাজারে গেলে আগে ফুলকপি ব্যাগে ঢুকে। ফুলকপি দিয়ে মাছ খেতে ভালোই লাগে। কিন্তু আমার মাছ দিয়ে ফুলকপি রান্নার কথা মনে থাকে না। কারো রান্না দেখলে মনে পড়ে। সিজনের সবজির যে স্বাদ ওই স্বাদ সিজন ছাড়া একদমই পাওয়া যায় না। তাছাড়া দামও অনেক বেশি থাকে।আমি ভাবছিলাম আজকে কি ফুলকপিও ভেঁজে নিবেন। পরে দেখলাম যে না আগে ভাপিয়ে নিয়েছেন। এতে পরে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে গেছে মনে হয়। বরাবরের মত কালার খুব লোভনীয় হয়েছে। সুস্বাদু একটি রেসিপি। 😋

রুই মাছের সাথে ফুলকপির স্বাদ সত্যিই অতুলনীয়। শীতকাল এলেই রুই মাছ দিয়ে ফুলকপির ঠান্ডা ঠান্ডা রেসিপি খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। দাদা, আপনার কথা একদম ঠিক, সিজন ছাড়া এই ফুলকপির স্বাদ খুব একটা ভালো লাগেনা। কিন্তু শীতকাল এলে ফুলকপির স্বাদ অমৃত মনে হয়। আর তাই তো আপনি বাজারে গেলে আগেভাগেই ফুলকপি বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেন। যাই হোক দাদা, আপনার তৈরি রেসিপিটি কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে। রন্ধন প্রণালীটা অস্থির ছিল। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ফুলকপি আমার খুবই প্রিয় একটি সবজি।আসলে ফুলকপি দিয়ে যা তৈরি করা হোক না কেন খুবই টেস্টি হয়ে থাকে।তবে আপনি ফুলকপি সেদ্ধ করে জল ফেলে দিয়েছেন ভিটামিন তো সব বের হয়ে গেছে মনে হয়।আমার ফুলকপি ভাজি ও পকোড়া খুবই ভালো লাগে খেতে।তাছাড়া রুই মাছের সঙ্গে ফুলকপি দারুণ স্বাদের খেতে হয়।যাইহোক আপনার রেসিপিটা সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।আপনি বাজারে গেলে আগে ফুলকপি কেনেন এটা বেশ মজার বিষয় ছিল।আপনি অলসতা কাটিয়ে তাড়াতাড়ি ফুলকপির ভিন্ন রেসিপি তৈরি করুন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেক মাছেরই সিজন থাকে আলাদা।কিন্তু এই এক রুই মাছ যে কিনা সব সিজনে ই কাজে লাগে। আর বারোমাসি বাঙালির ঘরে ঘোরাফেরা করে এই কারণেই হয়তো মাছের রাজা বলা হয় রুইকে। যে কোন শুভ কাজ থেকে শুরু করে সমস্ত রকম প্রয়োজনে রুই সবার আগে।আমার খুব কমফোর্ট ফিস রুই। যে কোন মাছে নাক সিংটানি হলেও রুইয়ে বিশেষ আমার কোন আপত্তি নেই। আর আমাদের বাড়িতে রুইয়ের এই রেসিপিটি বিশেষ করে শীতকালে খুবই বানানো হয়।দারুন লাগলো আপনি রেসিপিটা শেয়ার করলেন। যদিও আমাদের বাড়ির রুই মাছে পেঁয়াজটা খাওয়া হয় না।