কালো জিরার সাথে বেলে মাছের মজাদার রেসিপি

in hive-129948 •  3 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা করেছিলাম গত সপ্তাহে। এই রেসিপিটা করেছিলাম বেলে মাছ দিয়ে। এই বেলে মাছের তরকারি আমার কাছে দারুন লাগে, বিশেষ করে দেশিগুলো। যদিও বেলে অনেক রকমের আছে, আমি সামুদ্রিক বেলে মাছগুলোও খেয়ে দেখেছি। সামুদ্রিক বেলে মাছের একটা আলাদা স্বাদ রয়েছে সাইজে বড়ো হওয়ার সাথে সাথে। তবে আমি এই তারিখ যে বেলে মাছগুলো রান্না করেছিলাম এইগুলো দেশি মাছের মতো দেখতে হলেও আসলে এইগুলো চাষের, কারণ সেইরকম দেশি মাছের যে স্বাদ লাগে, সেইটা পাইনি খেয়ে। তবে এই মাছটি পেঁপের সাথে আর সাথে আর সাথে কালো জিরা দিয়েছিলাম।

ফলে তরকারির স্বাদটা দারুন হয়েছিল। তবে এই তারিখ একটা জিনিস অ্যাড করেছি, সেটা হলো টক দই। আসলে এইটা অ্যাড করেছিলাম গরমের জন্য, যেদিন রেসিপিটি করেছিলাম ওইদিন ছিল গরম খুব, ভেবেছিলাম এই গরমে টক দই একটু দিলে খেতে দারুন লাগবে তরকারিটা। তাছাড়া আমি তরকারিতে তেমন এতো আইটেম যোগ করিনা, সাধারণভাবে তৈরি করি তরকারিগুলো। তাছাড়া কালো জিরার একটা আলাদা স্বাদ আছে, যার জন্য তরকারীতেও স্বাদটা একটু ভালো পাওয়া যায়। যাইহোক, তরকারিটা খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম সেটা ধাপে ধাপে নিচে তুলে ধরবো।


☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫

❦উপকরণ
পরিমাণ❦
বেলে মাছ
২০০ গ্রাম
পেঁপে
১ টি
গোল আলু
২ টি
পেঁয়াজ
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৪ টি
কালো জিরা
২.৫ চামচ
শুকনো লঙ্কা
১ টি
টক দই
৫০ গ্রাম
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৪.৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
২ চামচ


বেলে মাছ, পেঁপে, গোল আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা


কালো জিরা, টক দই, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


დএখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


❂প্রস্তুত প্রণালী:❂


➤পেঁপেটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিস পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর আলু দুটির খোসা ভালো করে ছালিয়ে কেটে পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤বেলে মাছগুলো আগে কাটিয়ে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম এবং পরে তাতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে বেলে মাছের পিসগুলো পর পর ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভাজা হয়ে আসলে তুলে রেখেছিলাম।

➤মাছ ভাজার পরে তাতে আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤আলু ভাজার পরে একইভাবে পেঁপে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে একটি শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কালো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং জিরাটা ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে একেবারে ভেজে রাখা পেঁপে এবং আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে কাঁচা পেঁয়াজ এবং কাঁচা লঙ্কা দেওয়ার পরে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং কিছুক্ষন ভালো করে জ্বাল দিয়ে সবজি সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তরকারিতে ভেজে রাখা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে টক দইটা ফেটিয়ে তরকারিতে দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর তরকারির সাথে নেড়েচেড়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম তরকারিটা ভালো মতো হয়ে আসার জন্য।

➤তরকারির ঝোল ঘন হয়ে আসলে এবং কমিয়ে নিয়ে জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে চামচ দুই জিরা গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দারুণ রেসিপি। হাল্কার ওপর বেশ স্বাস্থকর৷ খুব ভালো লাগল। এবার কোনদিন বেলে মাছ পেলে রান্না করব।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটা খাবার। আর তাই যে কোন রেসিপিতে কালোজিরা দেয়া উত্তম। বেশ অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই রেসিপি প্রস্তুত করতে দেখে।

আসলেই দেশী কিংবা সমুদ্রের মাছের স্বাদের তুলনা হয় না।চাষের মাছের স্বাদ ভালো লাগে না।যাই হোক টক দই ও কালোজিরে দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মাছ এভাবে ভেজে রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। রেসিপির প্রতিটি ধাপ বেশ সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

কালোজিরার সাথে বেলে মাছের মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা।আপনার রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো আর খেতেও অনেক স্বাদ। রেসিপির সঙ্গে টক দই এড করলে রেসিপি স্বাদ আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়।পেঁপে আলু ও বেলে মাছগুলো বেশ দারুন ভাবে ভেজে নিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে তরকারির স্বাদটা অনেক দ্বিগুণ হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

প্রথমত কালোজিরার সাথে বেলে মাছের রেসিপি আবার সেটা টক দইয়ের সমন্বয়ে একদম পুরোপুরি বিভিন্ন উপায়ে মাছের রেসিপি তৈরি করা দেখলাম। রেসিপির ছবি দেখাও বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

কালো জিরার সাথে বেলে মাছের মজাদার রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আর ইউনিক লেগেছে। আসলে কালোজিরা দিয়ে কখনো এভাবে রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তাই আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। ধাপগুলো দেখে তাই শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করবে ইনশাআল্লাহ।

দাদা আপনার রেসিপিগুলো আমার খুবই ভালো লাগে আজকের এই কালো জিরার সাথে বেলে মাছের মজাদার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আর এই মজাদার রেসিপি ধাপ গুলো দেখে আমিও শিখে নিলাম। আমার কাছে রেসিপিটা খুবই নতুন এবং ইউনিছে লেগেছে। যার কারণে আমি তৈরি করা শিখে নিয়েছি পরবর্তীতে তৈরি করব।

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

বেলে মাছ তেমন একটা খাওয়া হয় না। তবে এই মাছটা খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু। আপনি পেঁপে এবং আলু দিয়ে খুব সুন্দরভাবে রান্না করেছেন। খেতে নিশ্চয়ই দারুন হয়েছে। এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আর কালোজিরা খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তরকারিতে দিলে ভালোই লাগে খেতে। ধন্যবাদ দাদা এত মজার এবং লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনি তো দেখছি আজকে অনেক মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করা আজকের এই মজাদার রেসিপিটা তো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরকম মজাদার রেসিপিগুলো দেখলে সত্যি অনেক লোভ লেগে যায়। বেলে মাছ কিন্তু আমার অনেক বেশি পছন্দের। আর কালোজিরার সাথে বেলে মাছের এরকম মজাদার রেসিপি তৈরি করলে তো আরো অনেক সুস্বাদু হয়। তবে কখনো টক দই দিয়ে তৈরি করা এই রেসিপিটা আমার খাওয়া হয়নি। মনে তো হচ্ছে টক দই দিলে এটার সাথে আরো বেড়ে যায়। নিশ্চয়ই গরমের কারণে আরো ভালো লেগেছিল খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা পুরোটা সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।

দেশি বেলে মাছগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে টক দই দিয়ে কখনো বেলে মাছ রান্না করে খাওয়া হয়নি দাদা। এই গরমের টক জাতীয় খাবার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে মাছের সাথে এভাবে কখনো টক খাইনি। আপনার এই রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা।

আসলে চাষের মাছ খেতে একেবারেই ভালো লাগে না। তবে নদীর মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। আর নদীর বেলে মাছ খেতে তো দারুণ লাগে। যাইহোক রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটা খেতে দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া টক দই এবং কালোজিরা দেওয়াতে, রেসিপির স্বাদ আরও বেড়ে গিয়েছিল। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা দারুন এক রেসিপি নিয়ে আপনি হাজির হলেন।বেলে মাছ দারুন স্বাদের মাছ।এই মাছ যে আবার চাষের হয় তা আমার জানা ছিল না।আপনি এই মাছের খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন।রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আশাকরি। এই মাছে আবার কালোজিরা এ্যাড করেছেন তাইতো স্বাদ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।আপনি বেলে মাছের রেসিপিটি খুবই লোভনীয় করে রান্না করে পরিবেশন করলেন দাদা।ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে ধাপে ধাপে খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য। ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সব সময়।

মাছের সাথে পেঁপের কম্বিনেশন টা বেশ ভালো হয়। বেশ সুস্বাদু লাগে কিন্তু। কালো জিরা দিয়ে বেলে মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

দাদা মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে তো এমনিতেই লোভ লেগে যায়। আর ঠিক তেমনি আপনার তৈরি করা মজাদার রেসিপি দেখে লোভ একেবারেই সামলাতে পারছি না। দেখেই বুঝতে পারতেছি কতটা সুস্বাদু হয়েছে পুরোটা। এই মজাদার রেসিপি টার মধ্যে আপনি টক দই ব্যবহার করেছেন। এই বিষয়টা আমার কাছে কিন্তু অনেক ইউনিক লেগেছে। কখনো আমি টক দই দিয়ে রেসিপিটা তৈরি করিনি যার কারণে খাওয়া হয়নি। তবে গরমের সময় আমিও এরকম ভাবে এটা তৈরি করবো। আশা করছি খেতে অনেক বেশি ভালোই লাগবে। বুঝতেই পারতেছি যেহেতু মাছগুলো চাষের তাই তেমন একটা স্বাদ পাওয়া যায়নি। এগুলোর কিন্তু আলাদা একটা স্বাদ থাকে। আর ওই স্বাদ থাকলে বেশি ভালো লাগে। যারা কখনো এরকম ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেনি, তারা চাইলে কিন্তু সুন্দরভাবেই রেসিপিটা তৈরি করে ফেলতে পারবে দাদা। আমার নিজেরই কিন্তু অনেক পছন্দ হয়েছে রেসিপিটা। আমি তো এরকম ভাবে অবশ্যই তৈরি করবো। মজাদার রেসিপিটা শেয়ার করেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।