শিম দিয়ে পাবদা মাছের সুস্বাদু রেসিপি

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা হলো পাবদা মাছের। এই মাছটি রান্না করেছিলাম এই সিজনের নতুন সবজি শিম দিয়ে। শিম অনেকদিন বাদে খাওয়া হলো আর খেতেও অনেক মজাদার ছিল। তবে এখন শীতের মুহূর্তগুলোতে শিম ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে। আমি এখন সাধারণত ভর্তাটা প্রায় সময় খেয়ে থাকি, ভর্তা খেতে আমার কাছে ভালোই লাগে সবসময়। আর পাবদা মাছের সাথে খেতে তরকারিতে আরো বেশি ভালো লাগে এই সবজিগুলো। পাবদা মাছ এমনিতেও অনেক সুস্বাদু একটি মাছ, ফলে এই মাছ যেকোনোভাবে ঠিকঠাক রান্না করতে পারলে খেতে খুবই ভালো লাগে। সাধারণত পাবদা মাছ অনেকভাবে রান্না করে খাওয়া যায়, কিন্তু আমার কাছে পাবদার ঝাল আর সরিষা বাটা দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। যদিও অন্যান্য আইটেম না করা হলেও বাড়িতে ভিন্ন কিছু করার হলে এই দুটি রেসিপি করা হয়ে থাকে। যাইহোক, এই রেসিপিটার এখন মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।


☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬

✦উপকরণ
পরিমাণ✦
পাবদা মাছ
৫০০ গ্রাম
শিম
২৫০ গ্রাম
গোল আলু
৫ টি
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
১১ টি
গোটা জিরা
১ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১.৫ চামচ


পাবদা মাছ, শিম, গোল আলু


পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


☫প্রস্তুত প্রণালী:☫


❖পাবদা মাছগুলো প্রথমে ভালো করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর শিমগুলো কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম।

❖আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম এবং একই সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।

❖পাবদা মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পিসগুলোর গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

❖একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নেওয়ার পরে তাতে পাবদা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভাজা হয়ে আসার পরে তুলে রেখেছিলাম।

❖অন্য আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

❖আলু ভাজার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে শিম দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

❖সব ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। জিরা একটু ভাজা হয়ে আসলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

❖পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে পরে শিমও দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖কাঁচা লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব সবজির সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি কিছু সময় ধরে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।

❖সেদ্ধ কিছু আলুর পিস তুলে নেওয়ার পরে ভালোভাবে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

❖গলিয়ে নেওয়ার পরে তরকারিতে পাবদা মাছের ভাজা পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গলিয়ে রাখা আলু দিয়েছিলাম। তরকারিতে অল্প করে জিরা গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছিলাম এবং আরো ৫-৭ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম ঝোল ঘন হয়ে আসার জন্য।

❖তরকারি ঘন হয়ে আসলে এবং কমিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম এবং ফুলকপি আমার অনেক পছন্দের। কয়েকদিন আগে আমিও এই শীতে প্রথমবার শিম খেয়েছি। গরম ভাতের সাথে শিম ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর সাথে যদি একটু ধনিয়া পাতা দেওয়া যায় তাহলে খেতে অনেক বেশি মজার হয়। ভর্তা আর সরিষার তেল দিয়ে ভাতটা মেখে খেতে বেশ ভালো লাগে। এছাড়া আলু দিয়ে শিম ভাজি করলেও খেতে বেশ মজার হয়। শিম ভর্তা, শিম ভাজি এবং মাছ দিয়ে শিম রান্না করে ইতোমধ্যেই খেয়েছি দাদা। গরম ভাতের সাথে শিম ভর্তা খাওয়ার টেস্ট অন্যরকম ছিল দাদা। আসলে অনেকদিন পর খেয়েছি তাই খেতে আরো বেশি ভালো লেগেছে। শিম ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের রেসিপি দারুন হয়েছে। মাছ ভুনা করে খাওয়ার চেয়ে হালকা একটু সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক বেশি মজার হয়। আর পাবদা মাছ আমাদের সবার অনেক পছন্দের। এভাবে যদি পাবদা মাছ দিয়ে সবজি রান্না করা যায় তাহলে খাবারের টেস্ট অনেক গুণ বেড়ে যায়। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।😍

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

শীতকালীন সবজির সাথে মাছের রেসিপি সুন্দর ভাবে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দাদা। আপনার এই সুন্দর মাছের রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রান্নার ধরনটাও ছিল বেশ অসাধারণ। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই রেসিপি।

শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম আমার ভীষণ পছন্দ। দাদা আপনার মতো আমারও গরম ভাতের সাথে শিম ভর্তা খেতে দারুণ লাগে। আর পাবদা মাছ তো খুবই সুস্বাদু। যাইহোক শিম এবং পাবদা মাছের কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। সবমিলিয়ে রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

শীতকালীন সবজি মধ্যে সিম আমার ও বেশ পছন্দের। সিম রান্না বা ভর্তা দুটোই আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে পাবদা মাছ দিয়ে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্না করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

দাদা পাবদা মাছ আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। আমি অনেক ভাবে পাবদা মাছ খায়ছি। এখনও আমাদের বাসার ফ্রিজে পাবদা মাছ আছে। প্রতি মাসে একবার হলেও এই পাবদা মাছ কিনে থাকি। পাবদা মাছের সাথে তরকারি দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে।পাবদা মাছ ভুনা করা করলে অনেক সুস্বাদু লাগে। এই মাছ যে কোনো ভাবে ঠিকঠাক রান্না করতে পারলে খেতে খুবই ভালো লাগে। সাধারণত পাবদা মাছ অনেক ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আপনার মত আমার কাছেও পাবদার ঝাল আর সরিষা বাটা দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। গত শুক্রবারেও আমি এক কিলু পাবদা মাছ কিনেছি। চাষের পাবদা থেকে নদীর পাবদা বেশি সুস্বাদু লাগে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় জাগায় পাবদা মাছের চাষ হয়। অনেক সময় নদীর আর চাষের পাবদা মিশিয়ে নদীর পাবদা বলে চালিয়ে দেয়। চিনে নদীর পাবদা আনা অনেক কঠিন। আর শিম তো শীতকালিন সবজি। তবে এটা ছয় থেকে সাত মাসের মত বাজারে পাওয়া যায়। বাকি সময় কোলেস্ট্রলে রাখে অনলাইন মার্কেটে পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে শিমের মত এত সুস্বদু শিম পাওয়া যায় না। এখন সব কিছুতে ক্যামিকেল দিয়ে রাখে। আপনার আজকের রেসিপি পাবদা গুলো মোটামুটি বড়ই দেখলাম। আস্তো রেখেই রান্না করেছেন। সর্বপরি খুবই সুস্বাদু একটি মাছ হলো এই পাবদা। ধন্যবাদ দাদা।

অনেকদিন পর শিম দিয়ে পাবদা মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখতে পেলাম আপনার মাধ্যমে দাদা। আমারও খেতে ভীষণ ভালো লাগে গরম গরম রুটির সাথে শিম ভাজি।আমার কাছেও পাবদা মাছ।বেশ দারুন লাগে অনেক সুস্বাদু। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আমার ভীষণ ভালো লাগলো।এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝেও উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল

আহা! দাদা সীম আর আলু দিয়ে পাবদা মাছ পাবদা মাছের বেশ সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখছি। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা অনেক লোভনীয় লাগছে। শীতের নতুন সবজির দিয়ে মাছের রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর এই রেসিপি পোস্টটি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

এখন হালকা পাতলা শীত পড়তেছে দাদ। তো এমন সিজনের শিম দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু পাবদা মাছ খেতে বেশ ভালো। আপনি শিম দিয়ে রান্না করলেন খেতে অনেক মজার হবে দাদা। আপনি তো দেখছি বেশ মজার করে পাবদা মাছ খেয়ে থাকেন। এমনিতে সরিষা বাটা দিলে যে কোন রেসিপি রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপ গুলো শেয়ার করলেন আমাদের সাথে।

এই শীতের সময় পাবদা মাছ দিয়ে শিমের তরকারি রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। পাবদা মাছ এমনিতেও খেতে অনেক ভালো হয়। তবে অনেক দিন হয়ে গেছে এই মাছ আমি খাই না। রেসিপিটি আপনি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো। শীত আসলে আমাদের বাড়িতে এই ধরনের রেসিপি অনেক করা হয়।

দাদা আপনি আমার খুবই পছন্দের একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটা আমার খুবই ফেভারিট। পাবদা মাছ খেতে যেমন আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তেমনি শীতকালীন বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে রান্না করলে আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনি শিম দিয়ে পাবদা মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে আমার কাছে অনেক মজাদার হয়েছে মনে হচ্ছে। আপনি মাছ এবং শিম দুটোই প্রথমে ভাজা করে নিয়েছিলেন, তারপরে রান্না করেছিলেন। এই পদ্ধতিটা আমার কাছে একেবারে নতুন মনে হয়েছে। তবে আপনার এই পদ্ধতিতে রান্না দেখে, আমি নতুন একটা পদ্ধতিতে রান্না করা শিখে নিতে পারলাম দাদা। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। শীত এসেছে পর্যন্ত এখনো শিম খাওয়া হয়নি, যার কারণে একটু বেশি খেতে ইচ্ছে করছে এই মজাদার রেসিপি। ধন্যবাদ দাদা এরকম মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।

দাদা মজার মজার রেসিপি তৈরি করেন আপনি সবসময়, যেগুলো দেখলে আমি তো লোভ সামলাতে পারি না। আপনি আজকে অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক মনে হয়েছে। কারণ আপনি মাছ এবং শিম দুটোই ভাজি করেছেন সর্বপ্রথম। এই পদ্ধতিতে রান্না করা এরকম রেসিপি আমার কখনোই খাওয়া হয়নি। যার কারণে এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি ইউনিক লেগেছে। আপনার রান্না করার ধরনটা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল দাদা। পাবদা মাছ গুলো অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর শীতকালীন সবজি দিয়ে যদি পাবদা মাছের রেসিপি তৈরি করা হয়, তাহলে তো শীতকালে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আর আপনি আলুগুলো ভালোভাবে গলিয়ে নিয়ে তরকারির মধ্যে দিয়েছেন, যার কারণে ঝোলটা অনেক গণ হয়েছে দেখে বুঝতে পারছি। আপনি সব সময় আলুগুলো গলিয়ে দিয়ে থাকেন। যার কারণে তরকারিটা দেখতে আরো বেশি ভালো লাগে।