হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কেরালা ক্রাইম ফাইলস' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ তথা অন্তিম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "চার্জ শিট"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে মনোজ তার পুলিশ ফোর্স নিয়ে গ্রামের একটি জায়গায় সিজুকে ধরতে গিয়েছিলো। আজকে অন্তিম পর্বে এর শেষ পরিণতি কি হয় সেটা দেখবো।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
তো মনোজ যখন পুরো ফোর্স নিয়ে সিজুকে ধরতে গিয়েছিলো, সেখানেও গিয়ে একপ্রকার ধোকাই খেলো। কারণ তাদের মধ্যে একজন অলরেডি আগে গিয়ে দেখেছিলো আর মনে করেছিল হয়তো সিজুই আছে এখানে। কিন্তু দরজা নক করতেই যে খুললো সে তার দাদা আর যে আরেকজন ছিল সে তার শালা। এখন মনোজ সিজুর দাদাকে বাইরে ডেকে এনে সিজুর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলে লাস্ট ১০ বছর ধরে সে তাদের সাথে থাকে না। এখন আরো একটা মজার বিষয় হলো যে তার দাদা যখন মনোজকে বলে যে সিজু যদি খুনও করে থাকে, তাও সে লুকিয়ে বেড়াবে না, সবার সামনেই থাকবে। এটা একটা আশ্চর্য করার মতো কথা। কারণ এখনো এইরকম কোনো খুনিই তারা দেখিনি যে, খুন করার পরে সেই খুনি জনসাধারণের মাঝে মুক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে পারে। এখন যাইহোক, মনোজকে বলে আপনারা ওকে শহরেই খুঁজে দেখুন ভালো করে পেয়ে যাবেন, কারণ ও ওখানেই আছে।
এখন মেইন বিষয় হলো ওর এড্রেস নিয়ে, এখন অন্য থানায় যেখানে একটা বয়স্ক লোক তার আইডি সহ মেইন এড্রেস দিয়েছিলো, তার সাথেই গিয়ে কথা বলে আর সেই লোকটা একটা সিলসিলি নামের একটি মেয়ের কথা বলে যার সাথে তার ভালো রিলেশন আছে। তার এডড্রেসটাও দরকার, এখন ওই এড্ড্রেসে ভালো করে খুঁজে দেখে সিলসিলির এড্ড্রেস বের করে আর তার সাথে গিয়ে দেখা করে। কারণ সিজুকে খুঁজে পাওয়ার এই একটাই পথ ছিল, সবাইকে মিথ্যা কথা বললেও তার সাথে বলবে না, কারণ সিজু তাকে অনেক ভালোবাসতো। এখন মনোজ তার সাথে গিয়ে কথা বলে আর যেসব হোটেল, লজ আছে সব জায়গায় খুঁজতে বলে, কারণ ও ওইসব জায়গায় থাকে।
এরপর তারা আশেপাশের সমস্ত লোকাল থানায় সিজুর এই এডড্রেসটা পাঠিয়ে দেয় আর সবাই মিলে তাকে খুঁজতে থাকে। অনেকেই তো এতো খুঁজেও পায় না। কিন্তু একটা লজে তার খোঁজ পায় আর সেখানে সে মান্থলি রেন্ট দিয়ে দিয়ে থাকে। তবে সে আবার সবসময় আসেও না, হয় দুইদিন বাদে আবার কখনো কখনো অনেক রাত করে এমনটা রিসেপশনার তাদের বলে। তবে যেখানে কাজ করে সিজু সেই জায়গার ফোন নম্বর নিয়ে রাখে। এখন মনোজ সেই নম্বরে ফোন করে আর উঠালে বলে পুলিশ ক্যানটিন। এরপর সেখানে গিয়ে সিজুকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে, কারণ এইবার হুবহু তার এক চোখে সমস্যা আছে এমনটাই পেয়ে গেছিলো।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
অন্তিম পর্বে সব রহস্য আর সিজুকে পেয়েই গেলো। তবে এই সিজু এমন এক ধুরন্দর পাবলিক ছিল যে, খুন তো করেছে একপ্রকার, তার উপর আবার পুলিশ ক্যান্টিন-এ গিয়ে ক্যাটারিং এর কাজ করছে। যদিও এটি মনোজদের থানার এরিয়ার বাইরে ছিল, তাই তাদের এই বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। আর একটা বিষয় হলো যে, কে বা বিশ্বাস করবে যে, কেউ খুন করে এমন জায়গায় খোলাখুলি ভাবে ঘোরাঘুরি বা কাজ করতে পারে। বরং তার পালিয়ে বেড়ানো উচিত এই ক্ষেত্রে। সাহস আছেও বটে তার। তবে এই ৬ দিন পুলিশকে দৌড় করিয়েছে সেই পরিমানে। মানে যার কোনো ঠিকানা নেই, একপ্রকার অজানা পথের উদ্দেশ্যে তারা রওনা হয়েছিল এমন পরিস্থিতি। ফেক ঠিকানা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অনেক বিষয় একসাথে করে তারপর মূল ঠিকানা পেলো। এরপর তাকে সেই লজেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, যেখানে স্বপ্নাকে নিয়ে যায় আর খুন করেছিল। এখন এই ঘটনা কিভাবে কি হয়েছিল সেটা তাকেই বলতে বলে আর সেই হিসেবে তারা রেকর্ডও করে নেয়। এরপর এই কেসের দায়িত্বে যারা যারা ছিল সবার প্রমোশন হয়েও যায়। সব মিলিয়ে সিরিজটা বেশ ভালো ছিল।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৯/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এতো কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত পুলিশ যে সিজুকে ধরতে পেরেছে এটাই অনেক। তবে পুলিশদেরকে একেবারে নাকানি চুবানি খাইয়েছে সিজু। খুন করে আবার পুলিশ ক্যান্টিনে কাজ করে, ব্যাপারটা ভেবেই তো আমার হাসি পাচ্ছে 😂। সিজু ভেবেছিল পুলিশ ক্যান্টিনে কাজ করলে কেউ তাকে সন্দেহ করবে না এবং খুঁজেও পাবে না। পুলিশ যেহেতু এমন মিশনে নেমে সাকসেস হয়েছে, তাহলে তারা প্রমোশন ডিজার্ভ করে। যাইহোক এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়ে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit