তালের ক্ষীর রেসিপি

in hive-129948 •  3 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের রেসিপিটা তালের, এটি কয়েকদিন আগে করা ছিল। তাল দিয়ে আপাতত দুই-তিন পদের খাবার তৈরি করা হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে আমার কাছে দুটি জিনিসই ভালো লাগে, এক বড়া আর ক্ষীর বা পায়েস। এই রেসিপিটা করা হয়েছিল ক্ষীরের, খেতে খুবই মজাদার। এটি মা করেছিল পুরোটাই। তাল দিয়ে আসলে অনেক প্রকারের খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা যায়। কিন্তু আমরা বেশিরভাগই কিন্তু কম-বেশি এই তালের বড়া, পায়েস, কেক এইসব তৈরি করে খেয়ে থাকি। তালের কেক আবার ভালো করে তৈরি করলে খেতে দারুন লাগে। গতবার বাড়িতে একবার তৈরি করা হয়েছিল, খেতে বেশ ভালোই লেগেছিলো আর আপনাদের সাথে সেটি শেয়ার করেছিলাম।

তবে আজকে একটা নতুন জিনিস দেখলাম যে, তাল দিয়ে লুচিও বানানো যায়, এটা আমার কাছে নতুন লাগলো শুনে, কারণ আমার আগে জানা ছিল না যে লুচিও করা যায়। এটার আবার টেস্ট করার আগ্রহ জেগেছে, একদিন করতে বলতে হবে বাড়িতে দেখি। তবে তালের যাই করা হোক না কেন, এটা বাড়িতে একদম পারফেক্ট স্বাস্থ্যসম্মত ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে, ফলে স্বাস্থ্যের দিক থেকে একদম নিরাপদ। তাছাড়া তালের অনেক উপকার আছে, আর এ পুষ্টিগুণে ভরপুর। সেটা কচি থেকে শুরু করে পাকা তালের সব বিষয়েই। যাইহোক, তালের এই ক্ষীরটা কিভাবে তৈরি করা হলো, সেটা এখন ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো।


☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫

❣উপকরণ
পরিমাণ❣
পাকা তাল
১ টি
নারিকেল
১ টি
গোবিন্দভোগ চাউল
২০০ গ্রাম
চিনি
পরিমাণমতো
গুঁড়ো দুধ
পরিমাণমতো
কিসমিস
৫ গ্রাম
কাজু বাদাম
১০ গ্রাম
তেজপাতা
১ টি
এলাচ
৪ টি
লবন
৩ চামচ


পাকা তাল, নারিকেল, গোবিন্দভোগ চাউল, চিনি, গুঁড়ো দুধ


কিসমিস, কাজু বাদাম, তেজপাতা, এলাচ, লবন


დএখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করা হলো---


☀প্রস্তুত প্রণালী:☀


➤প্রথমে তালের খোসা ছাড়িয়ে আটিগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে এবং পরে সেটা থেকে ভালো করে শাঁস বের করে নিতে হবে।

➤এরপর নারিকেলটা ফাটিয়ে নিয়ে পরে কুরিয়ে নিতে হবে।

➤এরপর তালের যে শাঁসটা বের করা হয়েছিল, সেটা একটি পাত্রে ঢেলে দিয়ে তাতে চিনি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ভালো করে জ্বাল দিয়ে নিয়ে একটি বাটিতে উঠিয়ে রাখা হয়েছিল।

➤গুঁড়ো দুধটা জলে গলিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং সেই সাথে চাউলটা জলে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া হয়েছিল।

➤চাউল ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার পরে কড়াইতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাতে জল দিয়ে কিসমিস , কাজুবাদাম এবং তেজপাতা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

➤এরপর কড়াইটা ঢেকে রেখে দেওয়া হয়েছিল কিছুক্ষন যাতে চাউলটা ভালো মতো সেদ্ধ হয়ে আসে। সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

➤এরপর তাতে জ্বাল দিয়ে রাখা তালের অংশটা দেওয়া হয়েছিল এবং পরে তাতে আবারো চিনি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

➤এরপর তাতে কুরিয়ে রাখা নারিকেলটা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তা ভালো করে মিক্স করে দেওয়া হয়েছিল।

➤এরপর কিছুক্ষন ধরে জ্বাল দেওয়ার পরে ক্ষীরটা তৈরি হয়ে গিয়েছিলো।

➤এরপর একটি পাত্রে ঢেলে নিয়েছিলাম পুরোটা এবং তাতে আরেকটু নারিকেল ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য অল্প করে আরেকটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

তালের বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়েছি কিন্তু কখনো তালের পায়েস খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করতে হবে। দেখে লোভ লেগে গেল।মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

@tipu curate

দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে দাদা এখন তালের সময়। এই তাল দিয়ে বিভিন্ন পিঠাপুলি সহ ক্ষীর রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তালের ক্ষীর সত্যি খেতে অনেক। তাছাড়া আপনার এই রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। রেসিপি এর কালার টা দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা কতটা স্বাদ হয়েছে। এমন লোভনীয় রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

এখন পাকা তালের সময়। এই তাল দিয়ে অনেককে বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে মজা করে খায়। কিছুদিন আগে তালের ক্ষীর নয় তালের রুটি ও তালের বড়া খেয়েছিস শ্বশুরবাড়িতে। বেশি দারুণভাবে তৈরি করেছিল আপনাদের ভাবি। যাই হোক আপনাদের আজকের ইউনিক রেসিপি টা দেখে আরো ভালো লাগলো।

খুব মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। তালের ক্ষীর কখনো খাওয়া হয়নি। তবে তালের যে কোন রেসিপি আমার খুবই ভালো লাগে। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। দেখেই বেশ লোভনীয় লাগছে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

তালদিয়ে আসলেই অনেক কিছুই তৈরি করা যায় ।আমি নরমালি তালের বড়া ও পিঠা খেয়েছি তা ছাড়া অন্য কোনো কিছু তৈরি করে খাইনি কখনো ।আর তাল দিয়ে বানানো জিনিস গুলো করতে পারলে ভালো আবার করা কিন্তু অনেক কষ্টকর । আপনাদের বাড়িতে আজকে তো খুব সুন্দর মজাদার পায়েস তৈরি হয়েছে দেখেই তো লোভ লাগছে । উপর দিয়ে আবার নারকেল ছিটিয়ে দিয়েছেন আমার তো খেতে ইচ্ছা করছে দাদা ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনার মতো আমারও তালের বড়া এবং ক্ষীর খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও ক্ষীরের চেয়ে তালের বড়া আমার তুলনামূলকভাবে বেশি পছন্দ। যাইহোক তালের ক্ষীর দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। খেতেও মনে হচ্ছে দারুণ লেগেছিল। সবমিলিয়ে রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

তালের রস দিয়ে ক্ষীর পায়েস তৈরি করার কারণে কালারটা বেশ জমেছে। আমার তো বেশ ভালো লাগে তালের রস দিয়ে যেকোনো জিনিস তৈরি করলে খেতে। আজকাল দেখি বেশ সুন্দর সুন্দর রেসিপি বের হয়েছে। আমিও চেষ্টা করি তালের সিজন আসলে বিভিন্ন ধরনের আইটেম তৈরি করে খাবার। তালের রসে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। তাছাড়া তালের রসের ফ্লেভারটা ও দারুণ হয়। আপনার আজকের রেসিপিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে নতুন মনে হয়েছে। আশা করি আপনি তালের রস দিয়ে লুচি তৈরি করে শেয়ার করবেন। দেখি আপনার খেতে কেমন হয় পরে আমি তৈরি করব।

দাদা আপনার মায়ের হাতের তৈরি করা এই মজার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই খাবারটি কখনো খাওয়া হয়নি। তালের ক্ষীর রেসিপি অসাধারণ লেগেছে। তবে তাল দিয়ে লুচি বানানোর আইডিয়া দারুন ছিল দাদা। অবশ্যই একদিন ট্রাই করতে হবে।

চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা।দেখেই খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে।আমি কখনো তালের ক্ষীর খাইনি।তবে আপনার রান্নার প্রসেস দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ স্বাদের।নারিকেল দেয়াতে আরো বেশী টেস্টি হয়েছিল আশাকরি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা চমৎকার এই তালের ক্ষীরের রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

পাকা তাল দিয়ে যেকোনো কিছু বানালে খেতে অনেক ভালো লাগে। তালের ক্ষীর খাওয়া হয়নি আমার। তবে আপনার মা খুবই সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন দাদা। আপনি এই মজার রেসিপি খেয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। অসাধারণ হয়েছে এই রেসিপি।