ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া

in hive-129948 •  10 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া"। এই মুভিটা একটা ইতিহাস ভিত্তিক, যেটা ১৯৭১ সালের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। এর কাহিনীটা দেখা যাক তাহলে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

মুভির নাম
ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া
প্লাটফর্ম
hotstar
পরিচালকের নাম
অভিষেক দুধাইয়া
অভিনয়
প্রণীতা সুভাষ, সঞ্জয় দত্ত, নোরা ফাতেহি, অজয় দেবগন, অ্যামি ভির্ক, শারদ কেলকার, নবনী পারিহার, সোনাক্ষী সিনহা ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৩ অগাস্ট ২০২১( ইন্ডিয়া )
সময়
১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট
মূল ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☫মূল কাহিনী:☫


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মুভির গল্পটা শুরু হয় সাধারণত ১৯৪৫ সালের দেশ ভাগের সময় থেকে অর্থাৎ ইংরেজরা যখন দেশ ভাগ করে ইন্ডিয়াকে সামনে রেখে বাকি দুটি খন্ডে আলাদা করে দেয় যার একটা ওয়েস্ট পাকিস্তান এবং অন্যটা ইস্ট পাকিস্তান। এখন এই ইস্ট পাকিস্তানকে দখল করার জন্য ওয়েস্ট পাকিস্তান মরিয়া হয়ে ওঠে আর তাদের জেনারেল ইয়াহিয়া খান এর প্রধান মাথা। সে ওয়েস্ট পাকিস্তানে বসে বসে একটার পর একটা চাল চালতে থাকে এবং ইস্ট পাকিস্তানের প্রায় ৩০ লক্ষ নিরীহ মানুষকে গনহারে হত্যা করে। আর এই বিষয়টা যখন হিন্দুস্থান অর্থাৎ ইন্ডিয়া ইস্ট পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য হাত বাড়াতে থাকে, তখন ইয়াহিয়া খান সেই সময়ে আরো একটা চাল চালে যে, ইন্ডিয়ার যত রাজ্য দখল করে নেওয়া যাবে, তত আমাদের সুবিধা হবে ইস্ট পাকিস্তানকে দখল করার, কারণ তখন ইন্ডিয়া আর সাহায্য করার শক্তি পাবে না। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তখন ওয়েস্ট পাকিস্তান আকাশ পথে সেনা পাঠায় গুজরাটের ভুজ নামক একটি স্থানে, যেখানে ইন্ডিয়ার এয়ার ফোর্স সহ সেনাবাহিনী মজুদ আছে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

আর তাদের এই ঘাঁটি অর্থাৎ বিমান সহ যদি ধংস করে দিতে পারে তাহলে শক্তিহীন হয়ে পড়বে, আর এটা যদি হঠাৎ করে হামলা হয় তাহলে সেটা আরো সমস্যা থামানো। এক্ষেত্রে তারা হঠাৎ আক্রমণ করে অনেক কিছু ধংস করে ফেলে। তবে এটা আবার ইন্ডিয়ার পয়সায় পাঠানো গলা বারুদ দিয়ে তাদেরই আবার শেষ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, একেই বলে উপকারের প্রতিদান,যেটা অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে আশা করা যায় না । যাইহোক, ইন্ডিয়ার বিক্রম নামের একজন সাহসী এয়ার অফিসার এর পাল্টা জবাব হিসেবে তাদের ক্যাম্পে হামলা করে, তবে তাদের অনেক ক্ষতি করতে পারলেও একজনকে চিরতরে হারাতে হয়। ওয়েস্ট পাকিস্তানের জাসুস হিসেবে যদিও ওদের ওখানে কয়েকজন ছিল, কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ায় পাথর মেরে মেরে মেরে ফেলে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

পাকিস্তানের একটাই পথ ছিল কুচ, আর ভুজ দখল করার যেটা আসলে পাঁচটা রাজ্যকে একত্রে জুড়তে। আর সেই পুল হামলা করে ভেঙে দেয়, এতে করে ওয়েস্ট পাকিস্তান যদি কুচ নামক জায়গায় হামলা করে তাহলে সহজে জিততে পারবে, কারণ ওখানে মাত্র ১২০ জন সৈন্য আর বাকি সৈন্য যদি ভুজ থেকে পাঠানো হয়, তাহলেও সেখানে পৌঁছাতে পারবে না সহজে। এই বিষয় নিয়ে ইন্দ্রা গান্ধীর সাথে পরামর্শ করে এবং সেখানে সৈন্য পাঠানোর জন্য রাস্তা খুঁজতে বলে আর তার মধ্যে সেখানে যতজন আর্মি, মিলিটারি অফিসার আছে তাদের আটকাতে লাগবে। ভুজ এর প্রধান যে ছিল সে সেখানে বেশ কিছু মহিলা-পুরুষ একজোট করে এক রাতের মধ্যে জায়গাটা মেরামত করে, কারণ প্লেন ল্যান্ড করতে গেলে ওটা করতেই হবে। এই নিয়ে ওয়েস্ট পাকিস্তান আবারো হামলা করে সেখানে আরো নষ্ট করে দেয় এবং পুনরায় আবার তারা ওই সময়ের মধ্যে মেরামত করে ফেলে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এদিকে কুচ এর জায়গায় ওয়েস্ট পাকিস্তান সেনা হামলা করে দেয় এবং তাদের ১৮০০ সৈন্যের সাথে ১২০ জনের ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয় আর এক আর্মি অফিসার একাই সবাইকে গণ হারে মেরে জায়গাটা দখলের হাত থেকে রক্ষা করে। এদিকে ঢাকা, চট্টগ্রামেও ইন্ডিয়ান ফোর্স দখল করে ফেলেছে, ফলে তারা আর কোনো সুযোগ পাচ্ছে না ইস্ট পাকিস্তানকে দখল করার। কোনো মোতে ওয়েস্ট পাকিস্তানের সিন্ধ থেকে তারা এই প্রচেষ্টা চালায়, তবে তাদের আরো সৈন্য ট্যাংক সহ হামলা করতে থাকে। কিন্তু বিক্রম একটি প্লেনে ৫০০ জন সৈন্য সহ সেখানে যাওয়ার প্ল্যান করে,কিন্তু তার ক্যাপাসিটি অত ছিল না, এতে করে প্লেন উড়ান তো দেয়, কিন্তু ফ্রন্ট এর চাকা ভেঙে যায়। এতে করে ল্যান্ডিং করলে ক্র্যাশ নিশ্চিত। এক্ষেত্রে ভুজ এর প্রধান ট্র্যাকের পিছনে রেখে ল্যান্ডিং করার চিন্তা করে,কিন্তু এতে খুবই রিস্ক। কারণ ট্রাকের স্পিড ৫০০ এর উপরে থাকা লাগবে আর এতে চাকা ব্লাস্ট তো হবে, সেই সাথে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকবে। কিন্তু এই রিস্ক ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না, অনেক কষ্টে ল্যান্ড করে আর ওয়েস্ট পাকিস্তানের সেনাকে সেখান থেকে পিছু হাটতে বাধ্য করে আর ইয়াহিয়া খান আত্মসমর্পন করে আর ইস্ট পাকিস্তানকে দখল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।


☫ব্যক্তিগত মতামত:☫

এটা আসলে সত্যি ঘটনার অনুকরণে করা। যখন দেশ ভাগ হয়েছিল তখন ওয়েস্ট আর ইস্ট পাকিস্তানকে আলাদা করে নাম দেওয়া হয় যার একটার ভাষা বাংলা এবং অন্যটির ভাষা উর্দু হয়। এখন ওয়েস্ট পাকিস্তান এই ইস্ট পাকিস্তানকে দখল করে সেখানকার মাতৃভাষাকে উর্দু করতে চায় আর তার জন্য ইস্ট পাকিস্তানে ঢুকে গণহারে নিরীহ মানুষজনকে মারতে থাকে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা ছোট গল্প আকারে এই মুভিতে তুলে ধরেছে যে আসলে তখন ওয়েস্ট পাকিস্তান কিভাবে অত্যাচার এর খেলায় মেতে উঠেছিল। ১৯৭১ সালে ইন্ডিয়া অর্থাৎ যেটাকে হিন্দুস্থান ফৌজ বলে, তারা সবদিক থেকে ইস্ট পাকিস্তানকে সাহায্য করতে থাকে এবং তাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এই লড়াইয়ে ওয়েস্ট পাকিস্তানকে পরাজিত করে আর তাদের চিরতরে পিছনে হাটতে বাধ্য করে এবং ইস্ট পাকিস্তানের নতুন নামকরণ করে দেয় “বাংলাদেশ”।


☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৮/১০


☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা চমৎকার একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। ওয়েস্ট পাকিস্তান আমাদেরকে অনেক অত্যাচার করেছিল। আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল ঠিকই, কিন্তু তখন যদি ইন্ডিয়া আমাদের পাশে এভাবে না দাঁড়াতো, তাহলে আমাদেরকে ওয়েস্ট পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হতে হতো। তাহলে বাংলাদেশ নামক কোনো দেশ থাকতো না বিশ্ব মানচিত্রের মধ্যে। আজকে আমাদেরকে অর্থাৎ ইস্ট পাকিস্তানের মানুষজনদের উর্দু ভাষায় কথা বলতে হতো। ভারতের ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারবো না। যাইহোক অজয় দেবগন এর মুভি দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া সোনাক্ষী সিনহা ও দুর্দান্ত অভিনয় করে থাকে। এই মুভিটা সময় করে দেখে নিতে হবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। যেটা পড়ে আমার কাছে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। আর এই মুভিটার নাম ছিল "ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া"। ওয়েস্ট পাকিস্তান কিভাবে অত্যাচার করেছিল, এটাকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। ইন্ডিয়া ইস্ট পাকিস্তানকে অনেক বেশি সাহায্য করেছিল। আর এগুলোর সবকিছুর মধ্যে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়াকে পরাজিত করতে পারে। পরাজিত করার পর চিরতরে পেছনে হাঁটার জন্য বাধ্য করে। এরপর সেই ইস্ট পাকিস্তানের নতুন নামকরণ বাংলাদেশ হয়েছিল। এই সব কিছুকে সুন্দর করেই এই মুভিটার মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো দাদা। ইতিহাস ভিত্তিক ১৯৭১ কে তুলে ধরেছে এই মুভিটার মধ্যে। এরকম মুভিগুলো কখনোই দেখা হয়নি। যার কারণে আপনার রিভিউর মাধ্যমে দেখতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা এই মুভিটার রিভিউ সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।

দাদা এই মুভি টার পুরো কাহিনী আমার কাছে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। আমি মুভি দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আর মুভি গুলোর রিভিউ পোস্ট পড়তেও আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে এখন ব্যস্ততা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে বলে মুভি দেখা হয় না। এরকম মুভি গুলো খুবই কম দেখা হয় আমার। কিন্তু আপনার রিভিউর মাধ্যমে এই ধরনের মুভি গুলোর রিভিউ পড়তে ভালো লাগে। "ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া"এই মুভিটার পুরো কাহিনী আপনি রিভিউর মাধ্যমে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ইতিহাস ভিত্তিক একটা মুভি ছিল দেখে আমার কাছে কাহিনীটা বেশি ভালো লেগেছে। ১৯৭১ সালের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এই মুভিটাকে, এটা বুঝতে পারলাম পুরো মুভিটা পড়ে। ওয়েস্ট পাকিস্তান যদি রাজত্ব করত তাহলে এখন সব মানুষকেই উর্দু ভাষায় কথা বলতে হতো। তবে ওয়েস্ট পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইন্ডিয়া ইস্ট পাকিস্তানকে অনেক বেশি সাহায্য করেছিল সেই সময়টাতে। ইস্ট পাকিস্তানের নতুন নামকরণ দেয় বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশ অনেক যুদ্ধের পর হয়েছে। দাদা নতুন আরেকটা মুভির রিভিউ আশা করছি শীঘ্রই শেয়ার করবেন।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশ যেমন বেশ কিছু মুভি তৈরি করেছে ঠিক তেমনি ইন্ডিয়া ও অনেকগুলো মুভি তৈরি করেছে। কয়েক মাস আগেও বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে ইন্ডিয়া কর্তৃক নির্মিত একটি মুভি অনেক আলোচিত হয়েছে। তুই দেশের মানুষ এই মুভিটি দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করেছে। অধিকাংশ মানুষ প্রশংসাই ভাসিয়েছে। আজকে দেখলাম আপনি ভুজ নামক একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন। যেটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত হওয়ার পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তান সব সময় পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করেছে। পূর্ব পাকিস্তানের উপর উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। আর তখনই পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের উপর অত্যাচারের টিম রুলার চালাই,নির্বিচারে মানুষ হত্যা শুরু করে। আর তখনই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ স্বাধীনতার জন্য মরন পন যুদ্ধ শুরু করে। আর পূর্ব পাকিস্তানকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে পার্শ্ববর্তী বন্ধুদেশ ভারত। ভারতের সহযোগিতায় পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের প্রত্যেকের বিনিময়ে অবশেষে ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। আর পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি দেশের জন্ম হয় যার নাম বাংলাদেশ। আজকের মুভিতে একটি দৃশ্য দেখে খুবই আশ্চর্য হয়েছি আর সেটি হল গাড়ির মধ্যে বিমানের সামনের চাকার রেখে লেন্ড করা। একটি জাতি যখন সবাই একত্রিত হয়ে একটি কাজ করে তখন সেখানে সফলতা আসবেই। ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনার শেয়ার করা আজকের এই মুভিটা রিভিউ আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া মুভিটা অনেক সুন্দর থিমের উপরে করা হয়েছে। ওয়েস্ট পাকিস্তান ইস্ট পাকিস্তানের উপরে অনেক বেশি নির্যাতন করেছিল। ওয়েস্ট পাকিস্তান ইস্ট পাকিস্তানের নিরীহ মানুষদেরকে অকারণে মেরে ফেলেছিল। তারা সেখানকার মাতৃভাষাকে উর্দু করতে এতসব কিছু করেছিল। তবে ইন্ডিয়া ইস্ট পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল, আর ওয়েস্ট পাকিস্তানদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। আর অনেক মাস যুদ্ধ হওয়ার পর ইস্ট পাকিস্তান বিজয়ী হয়েছিল আর ওয়েস্ট পাকিস্তানি কে সারা জীবনের মতো পেছনে থাকার জন্যই বলা হয়েছিল। আর ইস্ট পাকিস্তানের নতুন নামকরণ দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ, যেটা আমরা এখন গর্বের সাথে বলি। আর এই সবকিছুর উপর ভিত্তি করে এই মুভিটা করা হয়েছিল এটা দেখে ভালো লেগেছে। যেহেতু এটা ইতিহাস ভিত্তিক একটা মুভি, তাই আমি অবশ্যই চেষ্টা করব মুভিটা দেখার।

দাদা আপনি নতুন নতুন মুভির রিভিউ তুলে ধরে থাকেন। আপনার ওয়েব সিরিজ গুলো রিভিউ যেমন আমার কাছে ভালো লাগে, তেমনি আপনার শেয়ার করা মুভির রিভিউ গুলো ও ভালো লাগে। ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া এই মুভিটা ১৯৭১ সালের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এটা বুঝতে পেরেছি মুভিটার পুরো কাহিনী পড়ে। ওয়েস্ট পাকিস্তান ইস্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনেক বেশি ষড়যন্ত্র করেছিল এবং কি অনেক নির্যাতন করেছে। নিরীহ মানুষদের উপরে অত্যাচার করেই গিয়েছিল। শেষে আত্মসমর্পণ করে ইস্ট পাকিস্তানকে তাদের দখল হওয়া থেকে বাঁচানো হয়েছিল। আর অন্যদিকে ইন্ডিয়া ইস্ট পাকিস্তানকে অনেক সাহায্য করেছিল সেই সময়টাতে। আর ইস্ট পাকিস্তানের নতুন নামকরণ বাংলাদেশে হয়েছে। ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধের কারণে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। এত সুন্দর একটা মুভির রিভিউ সবার মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।

"ভুজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া" মুভি রিভিউ পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই মুভিটির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার অনেক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে ওয়েস্ট পাকিস্তানের বর্বরতা তুলে ধরা হয়েছে। ওয়েস্ট পাকিস্তান এই ইস্ট পাকিস্তানকে দখল করে শাসন করতে চেয়েছিল। সেই সাথে তাদের মাতৃভাষাকেউ বদলে দিতে চেয়েছিল। আসলে একটি জাতির কাছ থেকে তাদের মাতৃভাষাকে কেড়ে নেওয়া সত্যি অনেক জঘন্য কাজ। আমরা বাঙালিরা অনেক কষ্টের বিনিময়ে নিজের মাতৃভাষা ফেরত পেয়েছি। সেই ইতিহাস সারা জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর সেই সময় ভারত ইস্ট পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল বলেই আজ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। পুরো বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে। এই ইতিহাস আমাদের সবারই জানা। আর সেই ইতিহাস আজ পুরো বিশ্ববাসী জানে।তবে এটা নিয়ে যে কোনো মুভি আছে তা জানতাম না দাদা। আজকে যখন এই মুভি রিভিউ পড়ছিলাম তখন সত্যিই অনেক ভালো লেগেছিল। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে দারুন একটি মুভি রিভিউ আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

যুদ্ধের মুভিগুলো আলাদা লেভেলের হয়ে থাকে।এই মুভিটি আমার দেখা হয়নি।তবে কাহিনী পড়ে অনেকটাই ধারণা পেয়েছি।সময় পেলে কখনো দেখবো সত্য ঘটনায় তুলে ধরা এই মুভিটি।যদিও এর কাহিনী আমাদের রক্তের সঙ্গে অনেকটাই মিশে রয়েছে।খুবই ভালো অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা এতে অভিনয় করেছেন।আপনি সুন্দর রিভিউ করেছেন সরল ভাষায়, ধন্যবাদ দাদা।পড়ে ভালো লাগলো।