শিং মাছের মজাদার রেসিপি

in hive-129948 •  last month 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা করেছিলাম শিং মাছের আর কাঁচ কলার। আসলে পুজোয় বাইরে ভাজাভুজি অনেক রাতের দিকে খেয়ে পেটে একটু গোলযোগ দেখা দিয়েছে, তাই ভাবলাম কাঁচ কলা দিয়ে তরকারি খেলে একটু আরাম পাওয়া যাবে। আর এখন এই আবহাওয়া চেঞ্জ হচ্ছে, এতেই অনেকের শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে, যদিও এটা সিজনাল সমস্যা, আবার ঠিক হয়ে যায়। তবে এইবার মনে হচ্ছে শীত অনেক এগিয়েই পড়বে, এখনই শীত শীত অনুভব শুরু হয়ে গিয়েছে সন্ধ্যার দিক থেকে। যাইহোক,কাঁচ কলা পেটের সমস্যাজনিত এইসব ক্ষেত্রে অনেক উপকারী কাজের কাজ করে থাকে, কারণ কাঁচ কলা সাধারণত পেটের নানান সমস্যার ক্ষেত্রে ওষধের মতো কাজ করে থাকে। বিশেষ করে গ্যাস্টিক বা ডায়েরিয়া জনিত ক্ষেত্রে ভালো কাজে দেয়। তাছাড়া হাড়ের মজবুত এর ক্ষেত্রেও অনেক ভূমিকা রাখে, কারণ এতে যথাযথ ক্যালসিয়াম এর পরিমানটাও ভালো পাওয়া যায়। যাইহোক, শিং মাছগুলো দিয়ে তরকারিটা বেশ ভালো জমেছিলোও। এই শিং মাছগুলো আড়তের থেকে একদম টাটকা পেয়েছিলাম কম দামে, আর মাছগুলোও খেতে বেশ স্বাদের হয়েছিল। এখন রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।


☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬

❁উপকরণ
পরিমাণ❁
শিং মাছ
২০০ গ্রাম
কাঁচ কলা
২ টি
গোল আলু
৪ টি
পেঁয়াজ
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
১০ টি
গোটা জিরা
২ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
২ চামচ


কাঁচ কলা, গোল আলু, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❣এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


❖কাটিয়ে রাখা শিং মাছগুলো একবার ভালো করে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর কাঁচ কলা দুটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❖পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলোও কেটে নিয়েছিলাম।

❖শিং মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সবগুলোর গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

❖কড়াইতে তেল দিয়ে শিং মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছ ভালো করে ভাজা হয়ে এলে তুলে নিয়েছিলাম।

❖এরপর কলার পিসগুলোও ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

❖এরপর একইভাবে আলুর পিসগুলোও ভালো করে ভাজা হয়ে এলে তুলে রেখেছিলাম।

❖সব ভাজার পর্ব শেষ হয়ে এলে কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

❖ভাজার পরে তাতে একেবারেই আগে ভেজে রাখা উপকরণগুলো পরপর দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে কাঁচা লঙ্কা।

❖এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে সব উপকরণগুলো একসাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালোভাবে ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম আলু এবং কলা।

❖সেদ্ধ করার পরে কিছু আলুর পিস্ তুলে নিয়ে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

❖এরপর তরকারিতে ভেজে রাখা শিং মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে আগে গলিয়ে রাখা আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖এরপর তরকারির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দেওয়ার পরে তাতে আরো একটু জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে দিয়ে খানিক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

❖ঝোলটা গাঢ় হয়ে তরকারি পুরোপুরি হয়ে এলে তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে কিছুটা তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শিং মাছের মজাদার রেসিপি দেখেই খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে শিং মাছ আমি খুব একটা পছন্দ করি না। তবে শিং মাছ ভুনা করলে খেতে খুবই মজাদার লাগে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে শিং মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। আপনি একদম ইউনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে শিং মাছের রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আসলে শিং মাছের রেসিপি সুন্দর ভাবে তৈরি করতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।

ভাইয়া শিং মাছ ও কাঁচকলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আর কাঁচকলা ডায়রিয়ার জন্য পারফেক্ট। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। আসলে ছোট মাছ গুলো এভাবে ভেজে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

শিং মাছ আমার অনেক পছন্দের। শিং মাছের রেসিপি তৈরি করলে অনেক মজাদার হয়ে থাকে, আর খেতেও খুব ভালো লাগে। কাঁচকলা এবং গোল আলু দিয়ে আপনি শিং মাছের মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, এটা দেখে আমার অনেক লোভ লেগে গেলো। রেসিপিটা নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। মনে হচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছেন। রেসিপিটা দুপুরবেলায় দেখে একটু বেশি লেগে গেছে। আর খেতেও ইচ্ছে করছে, কারণ এই রেসিপিটা অনেকদিন খাওয়া হয়নি।

কাঁচকলা আমার বেশ পছন্দের সবজি। কেন জানি না এটা আমার খুবই ভালো লাগে। কাঁচকলা দিয়ে শিং মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। রেসিপি টা বেশ চমৎকার লাগছে। পাশাপাশি খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার রেসিপি টা। ধন্যবাদ আপনাকে।।

আসলেই দাদা পেটের সমস্যা থাকলে কাঁচ কলার রেসিপি খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এটা আমি বেশ কয়েকবার প্রমাণ পেয়েছি। যাইহোক শিং মাছ এবং কাঁচ কলার কম্বিনেশনটা কিন্তু দারুণ। এই রেসিপিটা বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে আমার। রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে দাদা। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সৃজন চেঞ্জ হওয়ার কারণে এখন কম বেশি সবারই সিজনাল সমস্যা গুলো দেখা দিচ্ছে। শিং মাছের খুব মজার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। শিং মাছ বেশ পুষ্টিগণ সম্পন্ন একটা মাছ। আপনার রেসিপিটা দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। শিং মাছের এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

শিং মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আমি কিছুদিন হলো এই শিং মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আজকে আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে দাদা আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপি পরিবেশন করে থাকেন। যার কারণে রেসিপির পরিবেশন দেখেই বোঝা যায় কতটা মজাদার হয়েছে।

শীত যেন চলে এসেছে রাতের বেলায় এবং সকালবেলায় বাইরে বের হলে শীতের আভাস পাওয়া যায়। যাই হোক মজাদার শিং মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। পরিবেশন করা শিং মাছের ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।

শিং মাছ আমি খুবই পছন্দ করি। যার কারণে এই রেসিপি পরিবেশনটা দেখেই আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে সুন্দরভাবে রেসিপিটা পরিবেশন করেছেন, দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে দাদা।

মজার মজার খাবার খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো একেবারে কম রয়েছে। আমার তো মনে হয় একটাও নেই। আমরা সবাই কিন্তু মজার মজার খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি। এ ধরনের রেসিপি গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে শুধু। তেমনি আপনার রেসিপিটা দেখে আমার অনেক লোভ লেগেছে। আর ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ দাদা এবার শীত হয়তো অন্য বছরের তুলনায় আগেই শুরু হবে। আমাদের এখানেও ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব হয়। যাই হোক কাঁচা কলার উপকারিতার কোনো শেষ নেই। আমার কাছেও কাঁচা কলা দিয়ে মাছের ঝোল খেতে খুব ভালো লাগে। শিং মাছ যেমন আমাদের জন্য উপকারী তেমনি কাঁচা কলাও খুব উপকারী। কাঁচা কলা দিয়ে শিং মাছের খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ দাদা মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

কাঁচ কলা দিয়ে শিং মাছের একটি অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। এই রেসিপিটি আমার পছন্দের। বেশ ভালো লেগেছে রেসিপিটি। কাঁচ কলার গুণাগুন সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। রেসিপির ধাপ গুলো এত সহজ করে উপাস্থাপন করেছেন, যে কেউ চাইলেই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবেন। ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করে, দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন দাদা এবার দেখে মনে হচ্ছে শীত অনেক আগেই পড়বে। শিং মাছ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কলা রেসিপি রান্না করেছেন । আপনার রান্নার কালারটি অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে । দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে খেতে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলেই দাদা ভাজাভুজি খেতে ভালো লাগলেও পরে বেশ সমস্যা দেয়।তাছাড়া কাঁচকলা খুবই উপকারী এইসমস্ত ক্ষেত্রে।আপনার রেসিপিটি দারুণ হয়েছে।শিং মাছগুলো ভালোই বড় মনে হচ্ছে।যদিও এটা উপকারী মাছ কিন্তু আমি খাই না।আশা করি এই রেসিপিটি খেয়ে আপনার পেটের অনেক উপকার হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনি শিং মাছের মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।সবজিগুলো এত সুন্দর করে ভেজে নিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি কতটা মজা হয়েছিল। শিং মাছ আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা কলার প্রচুর আয়রন থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

রেসিপি টা অসাধারণ লাগলো। মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মোটামুটি সব মাছই খেতে আমি ভালোবাসি। আপনি এত সুন্দর ভাবে পুরো রান্নার রেসিপি টা শেয়ার করেছেন যে বাড়িতে রান্না করতে আর একদমই অসুবিধা হবে না। আমি অবশ্যই বাড়িতে একবার ট্রাই করবো।