কালী পূজায় ঘোরাঘুরি- পর্ব ৫

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে কালী পূজায় ঘোরাঘুরির পঞ্চম পর্ব শেয়ার করে নেবো। আগের চতুর্থ পর্বে নবপল্লীর কেদারনাথ এর ছবিগুলো শেয়ার করেছিলাম। আজকে বারাসাতের আরো একটি বড়ো পূজা প্যান্ডেলের দৃশ্য ছবির মাধ্যমে দেখাবো। তো ওইদিন ভাটরাপল্লীতে দেখার পরে আর দেখা শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেনি, যদিও এটা ধারে কাছে ছিল ওখান থেকে, কিন্তু অনেক বড়ো লাইন হবে সেই ভেবে আর যাওয়া হয়নি। যাইহোক পরেরদিন সন্ধ্যাবেলা সেখানে আগেভাগে চলে গিয়েছিলাম যাতে লাইনের চাপে বেশি না পড়তে হয়। এই পুজো প্যান্ডেলটি ছিল বারাসাতের KNC রেজিমেন্ট এর কালী পূজা।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এটাও বারাসাতের সেরা কালী পূজার মধ্যে একটা, প্রতিবছরই সেরা কালী পূজার তালিকায় এই KNC রেজিমেন্ট তাদের নাম রাখে। কোনোবছর পূজা প্যান্ডেলের দিকে কোনোরকম খামতি রাখে না, জাকজমকপূর্ণ সবসময় থাকবে, আর পরিবর্তনের সাথে সাথে সবকিছু এতটাই আকর্ষণীয় ভাবটা ফুটিয়ে তোলে হাতের কাজের মধ্যে যে শুধু তাকিয়ে দেখার মতো। এই প্যান্ডেলটি তৈরি করার সময়েও সেখানে আমি একদিন গিয়েছিলাম, আর এই প্যাডেলটি করেছেও অনেকদিন ধরে আর তাদের সাজানোর স্টাইলও দারুন লাগছিলো আমার কাছে। লাইটিং এর দৃশ্যগুলো বেশ দারুণভাবে সাজিয়েছে সবদিকে, KNC এর লাইটিং এর দৃশ্যগুলোকে যেন শ্রীলঙ্কার আলোর উৎসব বলে মনে হচ্ছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এটা হয়তো অনেকে KNC তে এসে দেখার সময় অনেকের কাছে শুনেছেন। এবারের থিমটাই ছিল আরো আকর্ষণীয়। চিচিং ফাঁক এর থিম নিয়ে এসেছিলো এইবার তারা, আর এইটা ছিল লোকজনের কাছে আকর্ষণের একটা প্রধান বিষয়। আর আমিও একটু এক্সসাইটেট ছিলাম যে চিচিং ফাঁক বিষয়টা বেশ ইন্টারেষ্টিং বিষয়, কারণ আমি আগে এই নামগুলো আলিফ লায়লাতে শুনেছিলাম আর এখন এটাই দেখার বিষয় ছিল যে চিচিং ফাঁক মানে তো ভিতরে নিশ্চই গুফা টাইপ এর কিছু একটা ডিসাইন করেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই KNC তে এইটা দেখার জন্য প্রচুর লোক হয়েছিল প্রতিবছরের ন্যায়, তবে একটা ভুল করেছিলাম অন্যদিক থেকে এসে অর্থাৎ বাসস্ট্যান্ড এর সাইড দিয়ে এসে দেখি লম্বা লাইন কিন্তু তার উল্টোদিকে থানার পাশ দিয়ে লাইন খুবই কম ছিল, লাইন দুইদিকেই করেছে। এদিকে লাইন ছিল ফাঁকা আর এদিকে বোকার মতো উল্টোদিকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করেছিলাম তাছাড়া আর কিছু না। যাইহোক প্যান্ডেলের ভিতরে যাওয়ার গেটের ডিজাইনটাও খুব সুন্দর করেছিল, দেখার শুরুটাও বেশ আকর্ষণীয় ছিল। তবে আমি এই প্যান্ডেলটি দুইবার দেখেছিলাম, একবার আমি এসে তো দেখেছিলাম, আরেকবার মাসিদের নিয়ে এসে দেখেছিলাম কিন্তু তখন কোনো লাইন ছিল না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

প্যান্ডেলের ভিতরটাও মোটামুটি ঘুরপ্যাঁচ দিয়ে তৈরি করেছে, ভিতরে আলোর ঝলমলিতে যেগুলো ঝুলানো দেখা যাচ্ছে এইগুলো একধরণের পেপার জাতীয় কিছু দিয়ে লাইটিং এর সাদৃশ্য তৈরি করেছিল, আর এইটা দেখতেও অনেক চমৎকার লাগছিলো। ভিতরে ঢুকে ফ্রন্ট সাইটের লাইটিং দৃশ্যটা অনেক ভালো করেছিল, এরপর সেখান থেকে আরো ভিতরের দিকে মায়ের মূর্তিটাকে যে মণ্ডপে রাখা হয়েছে সেটার দৃশ্যটা আরো বেশি চমকপ্রদ ছিল, বিশেষ করে আমার কাছে লেগেছিলো আর আশা করি আপনাদের কাছেও লাগবে ।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

ভিতরে মণ্ডপের দুই সাইটে এবং একদম উপরে অনেকগুলো মূর্তিও বসিয়েছে যেটা আরো সৌন্দর্যপূর্ণ বিষয়। এরপর ভিতরটা আসলেই একটা গুফার ন্যায় তৈরি করেছিল আর ভিতরে উপর, সাইট এর ডিজাইনটা দেখতে পাচ্ছেন কিভাবে ডেকোরেশন করেছে, এইরকম সৌন্দর্যময় ডিজাইন দেখলে চোখ উপরের দিকে দিয়ে হাঁটা ছাড়া কেউ নিচের দিকে দেবে না। মায়ের মূর্তির কাছে যাওয়া অব্দি সম্পূর্ণ পথটাই এইভাবে সাজানো। যাইহোক এরপর ভিতরের দিকে প্রবেশ করে মায়ের মূর্তির ছবি তুলে নিয়েছিলাম এবং বেরিয়ে এসেছিলাম।

All photos what3words location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনবারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ
তারিখ২৬.১০.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কালী পূজার ঘোরাঘুরি পঞ্চম পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি দাদা। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন আর মণ্ডপগুলো এত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে ডেকোরেশন ছিল অসাধারণ। লাইটিং গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর ভাবে লাইটিং করেছে যার চোখে পড়ার মতো। চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। চিচিংফাঁক নামটার সাথে গেটের লাইটিংয়ের মিল ছিলো। একদম চিচিংফাঁকের মতোই সত্যিই দেখার মতো ছিল।দাদা আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, দেখে খুবই ভালো লাগলো।

আপনাদের দূর্গা পূজার থেকেও কালি পূজা আমার বেশি ভালো লাগে দেখতে।কারণ,এই পূজাতে রাতের বেলা সবাই মিলে আতশবাজি ফুটায় এবং লুচি-সুজি এগুলো খাওয়া দাওয়া করে।
আমার ছোটবেলায় আমাদের বাসায় এক হিন্দু পরিবার ভাড়া থাকতো।তো তাদের সাথে মিশেই এসব দেখেছি।
সবগুলো ফটোগ্রাফিই চমৎকার ছিল দাদা।আর মন্ডপগুলোর ডেকোরেশন তো পুরাই অবাক করার মতো।

যত সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছে অনেকদিন সময় তো লাগারই কথা। বেশি সময় নিয়ে তৈরি করার কারণে এত সুন্দর লাগছে দেখতে। সন্ধ্যাবেলায় তো পূজা মন্ডপে ভিড় বেশি হয়। আর আপনি সন্ধ্যা বেলায় ফাঁকা পাওয়ার জন্য গিয়েছেন। উপরের লাইটগুলো আর প্রজাপতির ডিজাইনটি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। ইস ভুল রাস্তায় যাওয়ার কারণে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হলো। এবার যদি সেই তৃতীয় জেন্ডারের লোকদের পেতেন তাহলে তাদের পিছন পিছন শর্টকাটে ঢুকে যেতে পারতেন😜। চিচিং ফাঁক নাম শুনে আমি তো ভাবছিলাম যে মনে হয় মেইন মন্ডপটি ঢাকা থাকবে চিটিং ফাক বলবে আর খুলে যাবে। আমার কাছে সব থেকে বেশি উপরের ডেকোরেশন গুলো ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে ডেকোরেশন করার কারণে মনে হয় এই পূজা মন্ডপটি বারাসাতের সেরা কালী পূজার মধ্যে একটা।

চিচিং ফাঁক নাম শুনে আমি তো ভাবছিলাম যে মনে হয় মেইন মন্ডপটি ঢাকা থাকবে চিটিং ফাক বলবে আর খুলে যাবে

গেটের লাইটিং কিন্তু সেইরকম করেছে চিচিং ফাঁক এর মতো একদম। গুহার মুখের দিকটা সেইরকম ডিজাইন করা।

বারাসাতের KNC দারুন ডেকোরেশন করেছে। তবে পুজোর থিম চিচিং ফাঁক বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে😅। পুজোর থিমগুলোতে ভিন্নতা থাকলে সবার কাছে আকর্ষণীয় লাগে। আর সবার কৌতুহল আরো বেড়ে যায়। পুজো মন্ডপের থিম এবং ডেকোরেশন সব মিলিয়ে দারুন লাগছে। সত্যি দাদা পুজোয় কাটানো মুহূর্তগুলো যেন এখনো রঙিন হয়ে আছে। ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলেন বলেই হয়তো দেখতে পেলাম। এত সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা দৃশ্যগুলো দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। তাইতো সবার কাছেই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই ভালো লাগছে। সামনাসামনি দেখতে না জানিয়ে আরো কত সুন্দর ছিল। তবে যাই বলুন না কেন দাদা পুজোর থিমটি কিন্তু একেবারেই ভিন্ন ছিল। কালী পুজোয় ঘোরাঘুরির মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

এই পুজো গুলো কোথায় কোথায় হয়? আমি দেখতে পারি না কেনো? নাকি দেখএ ভুলে গেছি, কে জানে! মানুষ কি আর এমনি এমনি বারাসতে যায় ঠাকুর দেখতে। এই আলোকমালা দেখতে কে না গিয়ে থাকতে পারবে! এই আলোগুলো কি চন্দননগর থেকেই নেওয়া হয়? বারাসতে থিম এবং আলো দুইই অসাধারণ হয়।

এই পুজোটা বারাসাত থানার পাশে কে এন সি তে হয়েছিল । এই আলোগুলো চন্দননগর থেকে নেওয়া হয় কীনা সঠিক জানিনা।

আচ্ছা ভাই। 🙂

দাদা এই পর্বে এসে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে 😍 KNC রেজিমেন্ট এর চিচিং ফাঁক থিমের পূজা মন্ডপটা দেখে জাষ্ট টাসকি খেয়ে গেলাম। কি চমৎকার আলোকসজ্জা ভাবা যায়। আর এতো সুন্দর করে সবকিছু সাজিয়েছে এটা নিশ্চিত দীর্ঘ সময় এবং পরিশ্রমের ফসল। আর মায়ের মূর্তি দেখে তো আরো অসাধারণ লেগেছে। তবে যদি চিচিং ফাঁক বলা মাত্রই গেট খুলে গেছে এরকম আরো কিছু বিষয় থাকতো তাহলে অনেকটাই আলিফ লায়লার মতো হয়ে যেতো পুরো ব্যাপারটা 😍

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

দাদা প্রথমে যেটা বলবো সেটা হলো চিচিং ফাঁক গেটের মাঝে ভাল ভাবে লক্ষ করলে দেখা যায় কত কিছু রয়েছে গেটের মধ্যে। দুই পাশে ঘোড়া,মানুষ,গাছ আবার বাঘের মাথায় শিং দিয়ে সুন্দর ভাবে গেইটের ডিজাইনটি করেছে। আবার KNC এর লাইটিং এর দৃশ্যগু শ্রীলঙ্কার বা চীনের আলোর উৎসবের মত লাগছে। তারপর ভিতরে যাওয়ার রাস্তার উপরের দৃশ্যটাও দেখার মত ছিল। সব মিলিয়ে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

প্রথম ছবিতেই আলোকসজ্জায় দেখলাম চিচিং ফাঁক কথাটি পড়তেই আলিবাবার চল্লিশ চোর গল্পের কথা মনে পড়ে গেল।বারাসাতের KNC রেজিমেন্ট বরাবরই সুন্দর নিদর্শন তৈরি করে কালীপূজাতে।আর অনেকটা সময় নিয়ে তৈরি করে, দাদা প্যান্ডেলটি দেখার মতো ছিল।গুফার মধ্যে দারুণ সাজসজ্জা তুলে ধরেছে, ছবিগুলো বেশ ভালো ছিল।যদিও শেষ কয়েকটি ছবি ঝলসানো ছিল।যাইহোক সুন্দর কারুকাজ দেখে ভালো লাগলো।শিল্পীদের হাতের কাজগুলো আসলেই বেশ নিখুঁত ছিল, ধন্যবাদ দাদা।