ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কেরালা ক্রাইম ফাইলস ( পর্ব ২ )

আজকে আপনাদের সাথে 'কেরালা ক্রাইম ফাইলস' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো " Mahazar". গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, পুলিশ স্বপ্নার মৃত্যুর রহস্যকে ঘিরে ইনভেস্টিগেশন জারি রাখে। আজকের এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।

এখানে শরৎ এই মৃত্যুকে ঘিরে অনেক ভয়ের মধ্যে থাকে, কারণ এই লজ-এ একজন মহিলার হঠাৎ মৃত দেহ পড়ে থাকা মানে অনেক বড়ো একটি বিষয়। এখন তারা যে সিজুকে খুঁজছে তাকে তো খুঁজেই পাচ্ছে না একপ্রকার। কারণ যে এড্রেস দেয়, সেটাই ভুল এড্রেস। সেখানে গিয়ে পুলিশ খুঁজে পায় না। এদিকে ইনভেস্টিগেশন এর দ্বিতীয় দিনে লজে দুইজন কনস্টেবলকে পাহারা দেওয়ার জন্য রেখে এসেছিলো। কারণ ওই লাশ যেন ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট এর লোকজন না আসা পর্যন্ত কেউ হাত না দেয়। আর রিসেপশন এর ওই দুইজনের উপর নজরদারিতেও রাখতে বলে যাতে পালিয়ে না যায়। এখন বিষয় হচ্ছে, তারা কিছু করুক বা না করুক যেহেতু তারা রিসেপশন এর দায়িত্বে ছিল, তাই দায়ভারটাও তাদেরই। যাইহোক, দ্বিতীয় দিনে সকালেই ফরেনসিক এর লোকজন চলে আসে সেখানে এবং এরপরে ওই মহিলার মৃত দেহ বের করে নিয়ে যায়।

এরপরে ওই লজে দুইজন বয়স্ক লোক আর এছাড়া আরো কিছু লোক এই মহিলাকে দেখেছিলো। মূলত তার সাথে প্রথম সাক্ষাৎকার যাদের হয়েছিল তাদেরই কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে অর্থাৎ সে একা এসেছিলো না তার সাথে আর কেউ এসেছিলো। এখন তারা মূলত ওই মহিলাকে একাই আসতে দেখেছিলো আর সেই হিসেবে সেইরকমই বক্তব্য তারা পেশ করে। এরপর লজের পাশে একটা চায়ের দোকান আছে, যেখানে রিসেপশন এর ওই দুইজনই কেবল চা বা সিগারেট খেতে আসতো, এখন সেই চা বিক্রেতার কাছে তারা আবার এইসব জানতে চায়, আর এটা স্বাভাবিক, কারণ লজের সামনে দোকান, ফলে কিছু না কিছু ইনফরমেশন তার কাছ থেকে পাওয়ার কথা হিসেবে। এখন ওই লোকটাও বলে যে এই লজে তেমন লোকজন তো আসে না, কিন্তু ফাঁকা থাকলে এই শরৎ আবার মেয়েছেলে নিয়ে আসে এখানে।

এরপর শরৎকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে, কারণ ওই যে এড্রেস দিয়েছিলো সেটা ভুল, তাই তাকে যাচাই করার জন্য আবারও সিজুর এড্রেস লিখতে বলে যাতে আগেরটার সাথে মিলিয়ে দেখতে পারে। তবে এড্রেস সেম থাকে, তাই তাকে তার চিত্র আঁকায় সাহায্য করতে বলে ডিটেইলস বলে। কিন্তু সে এমন এক হুলিয়া বলেছে যে, তার চেহারার এক অংশও মিল নেই, সে নিজেও চিনতে পারে না। তবে এখানে আরো একটা বিষয় আছে যে, এই সিজু আর স্বপ্না লজ বুকিং করার আগে ফোন করে শুনে নেয় যে খালি আছে কিনা রুম । এরপর তারা পরের দিন ওই লজে এসে বুকিং করে। এবং শরৎ এটা খেয়াল করে যে ওটা সেইম কণ্ঠ।

এরপর ওই ফোন নম্বর দিয়ে টেলিফোন কোম্পানির কাছ থেকে ডিটেইলস বের করে যে, কথার থেকে ফোনটা করেছিল। এরপর সেই হিসেবে তারা একটা দোকানে যায় এবং ওখানকার টেলিফোন দিয়েই ফোনটা করেছিল রিপোর্ট অনুযায়ী। ওখানেও এক ঝামেলা, কারণ সেই দোকনাদার আবার খেয়ালই রাখিনি যে কে আসছে আর কে ফোন করছে। এটাও ঠিক যে, এতজন লোকের মাঝে মনে রাখাটাও মুশকিল। তবে ওখানে একটা উপায় পেয়েছিলো অফিসাররা, দোকানের অপজিটে একটা সিসি ক্যামেরা ছিল যেটাতে ওই দোকানের সব কিছুই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো, ফলে ওখানে ওই টাইম অনুযায়ী কে এসেছিলো সেটা আইডেন্টিফাই করতে পারবে।

এখানে এখন তো মৃত দেহটাকে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছে, যেখানে এখন কিভাবে মরেছে সেটার একটা ডিটেলস রিপোর্ট আসবে পুলিশের কাছে, তারপর সেটা নিয়ে ছানবিন হবে। কিন্তু এখন তারা এই সিজুকে খুঁজে বের করার কাজে নেমে পড়েছে। একদিকে তো পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ওই দুই রিসেপশনার আছে, যে তারাও খুনটা করতে পারে। আবার এই সিজুকে সন্দেহ করছে যে, সেই এই কাজটা করেছে, কারণ লাস্ট ওই মহিলার সাথে তাকেই দেখা গিয়েছে। তবে বেশ কয়েকবার লজের বাইরে এবং ভিতরে যাওয়া আসা করেছে। এটা আরো সন্দেহজনক লেগেছে পুলিশের কাছে। এখন মেইন বিষয় হলো সে কোথায় লুকিয়েছে সেটাই খুঁজে পাচ্ছে না, আর এডড্রেসটাও দিয়েছে পুরো ভুল। এই সিসি ক্যামেরায় যদিও তাদের দেখা গিয়েছে দুইজনকেই, কিন্তু চেহারা দেখতে পারেনি, কারণ তারা ছিল উল্টো দিকে। এখন দেখা যাক পরের পর্বে এর রহস্য কি হয়।