ভারতীয় টিমের জয়ের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের সমাপ্তি হলো

in hive-129948 •  11 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ভারত আর সাউথ আফ্রিকার মধ্যে সমস্ত সিরিজ আর ম্যাচের সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ আর অন্তিম ম্যাচ ছিল, আর যেহেতু এই ম্যাচটা ভারতীয় টিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। কারণ এই ম্যাচ হারলে টেস্ট সিরিজ সাউথ আফ্রিকা জিতে যাবে। তবে কেপ টাউন এর যে পিচে খেলা হয়েছে সেটা ভয়ানক ছিল, আসলে যারা খেলাটা দেখেছে তারা বুঝতে পারবে। আসলে পিচ যতই খারাপ হোক না কেন, আমার কাছে এইটা অদ্ভুত ধরণের খেলা মনে হয়েছে। টেস্ট খেলা এতো বাজে আমার চোখে মনে হলো এই প্রথম দেখলাম। সাউথ আফ্রিকা টসে জিতে যে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেছে তাও কিন্তু না, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল, খুবই জটিল পিচ আর এই পিচে একবার ভালো একটা রান করতে পারলে দ্বিতীয় দিনে সেই রান করাটাও একটা চাপের বিষয় হয়ে যাবে।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

তবে সাউথ আফ্রিকার প্লেয়াররা আসলে কল্পনাও করতে পারেনি তাদের সাথে প্রথম ইনিংসে এতো ভয়ানক ঘটনা ঘটবে। আর সেই অঘটন ঘটালো কে! সিরাজ। আসলে আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা যে, সিরাজ কিন্তু এশিয়া কাপে ফাইনালে এই সর্বনাশটা করেছিল একাই শ্রীলঙ্কান প্লেয়ারদের। এই সাউথ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদেরও যেন চোখের নিমিষে নিমিষে ধূলিসাৎ করে দিলো। যে ব্যাটে আসে সেই কিছুক্ষন বাদে বিদায় নিচ্ছে। মানে একটা টেস্ট ম্যাচে এর প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানে অলআউট ভাবা যায়! সব মানে যেন ২,৪ এইরকম করে করে আউট হয়ে যাচ্ছে, বল এতটাই সুইম হচ্ছে যে খেলার পর্যায় নেই এই পিচে। সিরাজ ভয়ানক ওভার করেছে, মাত্র ৯ টা ওভার করেছে আর রান দিয়েছে ১৫, কিন্তু উইকেট একাই অর্ধেক তুলে নিয়েছে অর্থাৎ ৬ টা উইকেটের মালিক একাই। এটা সাধারণত দেখা যায় না, বেশিরভাগই যদি একটা টেস্ট ম্যাচে উইকেট নিয়ে থাকে তাহলে ৬-৭ টা হতে পারে, কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট একটা অকল্পনীয় ব্যাপার হয়ে গিয়েছে।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

বুমরাহ, সিরাজ আর মুকেশ ৩ জনেই হাফ বেলার আগেই ইনিংস শেষ নামিয়ে দিয়েছে। ৫৫ রান যদিও কোনো ব্যাপার ছিল না, তবে ৫৫ রান তো তুলতে পেরেছে, কিন্তু ওই দিনেই তাদের উইকেটেরও অনেক পতন ঘটে, তারাও বেশি একটা রান করতে পারেনি, রোহিত, গিল আর কোহলির রানের সংগ্রহে দেড়শো রানের মতো তুলতে সক্ষম হয়। বেশি একটা রানের ট্রেইল দিতে পারেনি, কিন্তু সাউথ আফ্রিকা এই ট্রেইল তুলে টার্গেট দিতে গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও হিমশিম খেয়ে গিয়েছে। মারকরাম নামের এক প্লেয়ার একাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করতে পেরেছে বলেই তাদের একটু হলেও সম্মানটা রক্ষা হয়েছে, নাহলে টার্গেটও দেওয়ার পর্যায়ে ছিল না, প্রথম ইনিংসে সিরাজ ওই অবস্থা করলো আর দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাহ এটাক করলো, একদম বেহাল অবস্থা করে দিয়েছে তাদের।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

সবমিলিয়ে মাত্র ৭৯ রানের টার্গেট পায়, সেটা আর কতক্ষন লাগবে, মেরে ধরে ১২ ওভারে তুলে দিয়েছে এই রান। তবে এই পিচে ধরে ধরে যে খেলতে যাবে সে পারবে না টিকে থাকতে বা রানই করতে পারবে না, রান তুলতে গেলে মেরে খেলতে হবে একটু। দুই টিমই রান করতে গিয়ে খারাপ অবস্থার শিকার হয়ে গিয়েছে। তবে আর যাইহোক, সিরিজ জিততে না পারুক ড্র তো করতে পেরেছে। একমাত্র ওয়ানডে সিরিজ ছাড়া বাকি সব কয়টা ম্যাচই ড্র হয়েছে বলতে গেলে। সাউথ আফ্রিকার সবগুলো পিচই যেন জটিল টাইপের, কোনো ম্যাচেই রান হয়নি ঠিকঠাক। আর এই পিচে সামনের বার বিশ্বকাপ, ভাবলেও খারাপ লাগে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের ফাস্ট বোলিং ইউনিটকে মনে হচ্ছে বিশ্বের সেরা বোলিং অ্যাটাক। এমনকি অস্ট্রেলিয়া বোলার থেকেও ভারতীয় পেস বোলাররা দুর্দান্ত বল করছে। অসাধারণ একটি জয়।

দাদা আপনি প্রত্যেক দিনের মতো আজকেও, অনেক সুন্দর একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন‌। যেটা দেখে আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের সমাপ্তি হয়েছে, তাও আবার ভারতীয় টিমের জয়ের মধ্য দিয়ে। এটা দেখে তো আরো বেশি ভালো লাগলো। ভারতীয় টিমের জন্য আসলেই কিন্তু এই ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দাদা। ভারতীয় টিমের জয় দেখলে নিজের কাছে সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে। দাদা আমি তো প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকি, আপনার খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়ার জন্য। আর তেমনি ভাবছিলাম আপনি কখন এই পোস্টটা সবার মাঝে শেয়ার করবেন। এই পোস্টটা আমি যত পড়েছিলাম আমার কাছে ততই ভালো লাগছিল। আশা করছি এরকম খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো সবার মাঝে পরবর্তীতেও আপনি শেয়ার করবেন দাদা।

হ‍্যা দাদা ম‍্যাচের পরে দেখলাম রোহিত শর্মা পিচের বাজে অবস্থা নিয়ে কথা বলেছে। আসলে টেস্টে এইরকম বাজে পিচ চিন্তা করা যায় না। বোলিং রা সুবিধা পেলেও ব‍্যাটসম‍্যানদের একেবারে অবস্থা খারাপ। আর ঐ রানটা চেজ করতে ভারতের খুব একটা অসুবিধাও হয়নি।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা সাউথ আফ্রিকার বেশিরভাগ পিচ হচ্ছে পেস বোলিংয়ের জন্য মারাত্মক,আর আমাদের মিরপুরের পিচ হচ্ছে স্পিন বোলিংয়ের জন্য মারাত্মক। ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় রান নিতে। যাইহোক এই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে, ভারত এই সিরিজে সমতা আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে এতো অল্প রান হবে প্রতিটি ইনিংসে, সেটা কল্পনার বাহিরে ছিলো। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অলআউট হয়ে যেতো অল্প রানে। তবে মার্করামের সেঞ্চুরির উপর ভর করে কিছুটা এগিয়েছে। নয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ঘাত ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হতো। তবে সিরাজ এবং বুমরাহ দুজনেই তো ১২ উইকেট তুলে নিলো। এককথায় দুর্দান্ত বোলিং করেছে তারা দু'জন। এই পিচে মেরে খেলা উত্তম। নয়তো সার্ভাইব করা খুবই কঠিন। পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে, বেশিরভাগ ম্যাচ লো স্কোরিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনি এত সুন্দর করে আজকেও, একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন দেখে, ভালো লেগেছে পুরো পোস্টটা পড়তে। খেলাধুলা দেখা না হলেও আপনার রিভিউ পোস্ট গুলোর মাধ্যমে খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়ার চেষ্টা করি। কারণ যখন থেকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়তেছি, তখন থেকে খেলার প্রতি উৎসাহ বেড়েছে আমার। তখন থেকেই আমি প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকি আপনার খেলা বিষয়ক পোস্ট পড়ার জন্য। ভারতীয় টিমের জয়ের মাধ্যমে এই দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের সমাপ্তি ঘটেছে, এটা ভাবতেই কিন্তু আমার কাছে অন্যরকম আনন্দ লাগতেছে। ভারতের এই টিমটা কিন্তু সত্যি খুব ভালো খেলে থাকে সব সময়। তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ ছিল এটা। বুঝতেই পারতেছি দাদা একমাত্র ওয়ানডে সিরিজ ছাড়া অন্য সবকিছুই একেবারে ড্র হয়েছে। যাই হোক দাদা এখন তো ভাবছি এর পরবর্তীতে আপনি কোন ম্যাচটা সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন। এখন পরবর্তী ম্যাচের রিভিউ পড়ার জন্যই অপেক্ষায় থাকবো।

দাদা এরকম খেলাধুলার সাথে আমি খুব একটা পরিচিত না, এবং কি খেলাধুলা আমার দেখাই হয় না। কিন্তু কারো কাছে যদি খেলা সম্পর্কে কোন কিছু শুনি, অথবা মোবাইলে এমনিতে খেলা সম্পর্কে কোন কিছু শর্ট ভাবে দেখি, তাহলে তা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর আপনার রিভিউর মাধ্যমেও পড়তে অনেক ভালো লাগে দাদা। আপনি পুরো ম্যাচটার রিভিউ খুব সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরে থাকেন, যেটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের সমাপ্তি ঘটেছে দেখছি। তাও আবার ভারতীয় টিমের জয়ের মধ্য দিয়ে এটার সমাপ্তি ঘটলো দাদা। ছয় উইকেট আসলেই একটা অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল দাদা। সবমিলিয়ে তারা যখন ৭৯ রানের টার্গেট পেয়েছিল ১২ ওভারে তুলে দিয়েছিল এই রানগুলো দেখছি। দুই টিম রান করতে গিয়ে খারাপ অবস্থায় শিকার হয়েছিল, এটা শুনেই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে দাদা। এটা কিন্তু সত্যি সিরিজ জিততে না পারলে কি হয়েছে ড্র তো হল এটাই অনেক। সব মিলিয়ে দাদা পুরোটা আমি সুন্দরভাবে পড়ে এই ম্যাচটার সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করলাম।

দাদা আমার এই ম্যাচটা দেখা হয়নি। আসলে আমি খেলা দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করি, আর এজন্য বেশিরভাগ ম্যাচ আমার দেখা হয়। কিন্তু এখন ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে বলে দেখা হয়না খেলা গুলো খুব একটা। এর আগের খেলার বিষয়ক পোস্টটা আমি পড়েছি। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ এর রিভিউটা সুন্দরভাবেই সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন আপনি। টেস্ট ম্যাচের সমাপ্তির এই রিভিউ খুব সুন্দর ছিল। কারণ ভারতীয় টিমের জয়ের মাধ্যমে এটা শেষ হয়েছে, এটা ভাবতেই আমার কাছে অনেক বেশি আনন্দ লাগতেছে। ভারতের টিম যখন খুব ভালোভাবে খেলে, তখন এটা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। মারকরাম নামের একজন প্লেয়ার অনেক কষ্টের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সেঞ্চুরি করতে পেরেছে এটাই খুব দারুন ছিল। আর এর কারণে তাদের সম্মানটা একটু হলেও রক্ষা পেয়েছে বুঝতে পারলাম। সিরাজের ওভার টা কিন্তু আসলেই খুব ভয়াবহ ছিল। তাইতো নয় ওভারে মাত্র ১৫ রান করতে পেরেছে। সে দেখছি ছয়টা উইকেট এর মালিক।

দাদা অবশেষে টেষ্ট সিরিজ ড্র করে সাউথ আফ্রিকার মাটিতে ইন্ডিয়ার খেলার পরিসমাপ্তি ঘটলো। আসলে সময়ের অভাবে এখন আর তেমন ক্রিকেট খেলা দেখা হয় না। আর টেষ্ট তো ধৈর্যের খেলা। সেটা দেখার মত এত ধৈর্য আবার আমার ভিতরে নেয়। আপনার রিভিউ পড়ে মোটামুটি একটা ধারনা পেলাম। সাউথ আফ্রিকা প্রথমে টস জিতে ভেবেছিলো বড় একটি স্কোর করব। কিন্তুু সেটা সিরাজ করতে দিলো না। এর মূল কারন হলো তাদের পিচ। তারাই এমন পিচ বানিয়েছে। সিরাজ বল ফেললেই উইকেট পড়ে যাচ্ছে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯ টা ওভার বলিং করে ১৫ রান দিয়ে ৬টা উইকেটের মালিক হয়ে গেল। চিন্তা করা যায় বিষয়টা। এশিয়া কাপে শ্রীলংকার রেকর্ড জাগিয়ে তুললো। তবে কোহেলি গিলরা ঠিক রান তুলতে পেরেছে। তারা বুঝে গেছে যে টুকাটোকি করে রান তুলতে গেলে আউট হয়ে যাবো। তাই তারা কিছুটা মারমুখি হয়ে খেলেছে। সাউথ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসেও তেমন ভালো করতে পারেনি। বুমরার বল তেমন বুঝতে পারেনি। যার ফলে ভারতের দেওয়া টার্গেট পুরন করে তেমন রান তুলতে পারে নি। মাত্র ৭৯ রানের লিড দিয়েছে। যেটা টিম ইন্ডিয়া প্রথম ধাপেই মেরে ধরে তুলে নিয়েছে। যায়হোক অবশেষে সমান সমান থেকে টেস্ট শেষ হলো। ধন্যবাদ দাদা।