সুস্বাদু পাঙ্গাস মাছের তরকারি

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি পাঙ্গাস মাছ রান্না করেছিলাম। এই পাঙ্গাস মাছটি বড়ো কচু দিয়ে রান্না করেছিলাম। পাঙ্গাস মাছ এখন তেমন একটা খাওয়া হয়না, বাড়িতে কেউ তেমন খেতে চায় না বলে আর কেনা হয় না। গতকাল রাতে মাছ কিনতে গিয়েছিলাম তখন অল্প করে নিয়ে এসেছিলাম, খেতে মন চাইছিলো বলে । পাঙ্গাস মাছ এমনি বাজারে সস্তা খুব কিন্তু সাইজে যে বড়ো বড়ো তাতে অতো তেল থাকা মাছ খাওয়াও ঠিক না, এইজন্য ছোট সাইজের দেখে কিনেছিলাম একটা।তবে পাঙ্গাস মাছ আমার খুব প্রিয়, এই মাছের টেস্ট অনেক। বিশেষ করে শুধু আলু দিয়ে ভুনা মতো রান্না করলে বা এই কচু দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। আলু দিয়ে ভুনা কম খাওয়া হয়, কিন্তু কচু দিয়ে এই মাছ বেশি খাওয়া হয়ে থাকে আমাদের। এইসব মাছ মোটামুটি বেশিরভাগ সময় এইগুলো দিয়েই খেয়ে থাকি, কারণ পাঙ্গাস মাছ এইসব তরকারির সাথে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। কচুটা আমাদের বাড়িতে লাগানো বড়ো কচু, বড়ো কচুর তরকারি অনেক স্বাদের হয়ে থাকে। আর কচুটা ভালো সেদ্ধ হয়েছিল বলে খেতেও বেশি মজাদার হয়েছিল। যাইহোক এই রেসিপিটার এখন প্রধান পর্বের দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

✦উপকরণ
পরিমাণ✦
পাঙ্গাস মাছ
৫০০ গ্রাম
বড়ো কচু
হাফ
রসুন
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৯ টি
চুঁইঝাল
পরিমাণমতো
গোটা জিরা
২ চামচ
লঙ্কার গুঁড়ো
১.৫ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৪ চামচ
হলুদ
৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১.৫ চামচ


বড়ো কচু, রসুন, চুঁইঝাল


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


✔রেসিপিটি এখন যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


☫প্রস্তুত প্রণালী:☫


❣কেটে নিয়ে আসা পাঙ্গাস মাছগুলো রান্নার পূর্বে একবার ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছিলাম। এরপর বড়ো কচুটির খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❣চুঁইঝালটির খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কাটার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে তার থেকে খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম। লঙ্কাগুলোকে কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❣পাঙ্গাসের পিচগুলোতে ১ চামচ করে লবন এবং হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব পিচের গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

❣একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছিলাম এবং পরে পাঙ্গাস মাছের পিচগুলো প্যানে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের সব পিচ ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে সব তুলে রেখেছিলাম।

❣কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে কেটে রাখা কচুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কচু ভাজা মতো হয়ে আসলে আমি তুলে নিয়েছিলাম।

❣কচু ভেজে তুলে নেওয়ার পরে তাতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❣রসুন আর জিরা ভাজতে ভাজতে অন্য চুলায় একটি কেটলিতে করে জল গরম করে নিয়েছিলাম।

❣রসুন ভাজা হয়ে আসলে তাতে ভেজে রাখা কচু দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে চুঁইঝাল আর লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❣লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে ১.৫ চামচ লঙ্কার গুঁড়ো আর সাথে ৩ চামচ করে লবন-হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কচুর সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❣মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি ফুটিয়ে নিয়েছিলাম কচু ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসার জন্য।

❣কচু সেদ্ধ হয়ে গেলে তরকারির আঁচ কমিয়ে তাতে ভেজে রাখা পাঙ্গাস মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছু সেদ্ধ কচুর পিচ তুলে নেওয়ার পরে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

❣মাছ দেওয়ার পরে তরকারি কিছুক্ষন ফুটিয়ে নেওয়ার পরে তাতে পুনরায় এই গলানো কচুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালোভাবে আরেকটু হয়ে আসার জন্য কিছুক্ষন দেরি করেছিলাম।

❣ঝোলটা গাঢ় হয়ে আসলে আমার তরকারি হয়ে এসেছিলো এবং ঝোলটা কমিয়ে আনার জন্য আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর তরকারির উপরে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে একটি পাত্রে পরিবেশনের জন্য তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পাঙ্গাস মাছ খেতে আমার ভালই লাগে।
যদি বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে করা ভাজি করে ভুনা করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ‌

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই পাঙ্গাস মাছের রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।

বড় কচু দিয়ে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেটা বেশ লোভনীয় ছিল। বিশেষ করে পাঙ্গাস মাছগুলোকে তেলে ভাজি করার পরে বেশি লোভ লেগেছে আমার।

দাদা প্রথমে বলে রাখি এই পাঙ্গাস মাছ কিন্তু আমরা পুকুরে চাষ করে থাকি। আপনার মত আমার বাসায় কেউই পাঙ্গাস মাছ খেতে চায় না। আর আমার যেহেতু এলার্জির সমস্যা তাই আমি তো খেতেই পারিনা। কারণ পাঙ্গাস মাছ খেলে প্রচুর এলার্জি বাড়ে। তবে আপনি পাঙ্গাস মাছ খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রান্না গুলো রেঁধেছেন এবং আমাদেরকে দেখিয়েছেন। আপনি খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার খাবারের সাথে আমার খাবারটি প্রায়ই মিলে গেছে। আমি অনেকদিন পর কালকে কচুর ডাটা দিয়ে পাঙ্গাস মাছ রান্না করে খেয়েছিলাম। পাঙ্গাস মাছ খুব একটা খাওয়া হয় না। তৈলাক্ত মাছগুলো সব সময় কম খাওয়াই ভালো। যদিও মাঝে মাঝে খেতে ভালো লাগে তবে। আলু কিংবা যেকোন সবজি দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। আলু কিংবা কচু দিয়ে রান্না করলে তেলটা অনেকটা কমে আসে। আর খেতেও ভালো লাগে। বড়ো কচু যেহেতু আপনার বাসায় রয়েছে তাহলে তো খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছিল। বাজার থেকে কেনা সবজিগুলো অনেক সময় সেদ্ধ হতে চায় না। বিশেষ করে কচুগুলো অনেক সময় সেদ্ধ হতে চায় না। আর এগুলো যদি নিজের বাসায় থাকে তাহলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি রান্না করতেও ভালো লাগে। বড়ো কচু দিয়ে পাঙ্গাস মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

মজাদার একটি রেসিপি দেখতে পেলাম ভাইয়া। তবে এর আগে কখনো কচু দিয়ে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি তৈরি করিনি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি সব সময় পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি তৈরি করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার পাঙ্গাস মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল

পাঙ্গাস মাছ তেমন একটা খাওয়া হয় না। বাসায় কেউ পাঙ্গাস মাছ তেমন পছন্দ করে না। তবে পাঙ্গাস মাছ ভুনা বা আলু দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে ভালো লাগে। পাঙ্গাস মাছের কাঁটা কম থাকায় খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বড় কচু দিয়ে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

দাদা আপনার মত আমারও পাংগাস মাছ খুব প্রিয়।তবে এত তেল তাই একটু কেমন লাগে।তবে সাথে কিছু সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয়,তেল তেল ভাবটাও কিছুটা কমে আসে।আর নদীর পাংগাস তো খেতে আরো মজা।আপনার রেসিপির কালার দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে দাদা।আপনি নিজেদের লাগানো বড় কচু দিয়ে রান্না করলেন। আর খেতেও বেশ মজার হয়েছে।আপনি রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। পাংগাস মাছের মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

দাদা নমস্কার

আপনি তো দেখি অনেক সুন্দর একটি মাছের রেসেপি শেয়ার করেছেন ৷ একটা কথা বলতেই হয় ৷ যে যত রকম মাছ তার মধ্যে পাঙ্গাস হলো সেরা মাছ ৷ বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য ৷ কারন এসব মাছে কোনো কাটা নেই ৷ তবে আমার পরিবারের ও কেউ খেতে চায় না ৷ তবে আমি মাঝে মধ্যে খাই ভালো লাগে ৷ আপনি বাজার থেকে কিনে ৷ বাড়িতে বেশ সুন্দর করে রান্না করেছেন ৷ দেখে ভালো লাগলো

আমি পাঙ্গাস মাছ তেমন একটা খেতে পারি না। কেমন একটা গন্ধ লাগে। কিন্তু আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুন হবে। আপনি কচুর সাথে আবার চুইঝালও দিয়েছিলেন। বেশ দেখতে হয়েছে। ধাপগুলোর উপস্থাপনাও সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ দাদ।

পাঙ্গাস মাছ যদিও তেমন পছন্দ করি না, তবে মাঝে মধ্যে খেতে খারাপ লাগে না। বিশেষ করে এই মাছে কাটার পরিমাণ কম থাকার কারণে খেতে বেশ সুবিধা হয়। কচু, চুঁইঝাল এবং পাঙ্গাস মাছ দিয়ে খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। বরাবরের মতো এতো লোভনীয় রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বাহ্ খুব আন কমন রেসিপি দেখছি। পাঙ্গাস মাছ রান্না তাও আবার চুই ঝাল আর কচু দিয়ে। দেখিই তো মনে হচ্ছে বেশ স্বাদের হয়েছে। দাদা আপনার আজকের রেসিপিটি একটি ইউনিক রেসিপি। খুব সুন্দর করে উপস্থা করেছেন দাদা।

আপনাদের পরিবারের মত পাঙ্গাস মাছ অনেকেই পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার মত আমি আর আমার পরিবার পাঙ্গাস মাছ খুবই পছন্দ করি। বলতে গেলে মাছের মধ্যে পাঙ্গাস মাছটা একটু বেশি কেনা হয়। তবে এটা ঠিক বলেছেন বড় পাঙ্গাস মাছের মধ্যে অতিরিক্ত তেল থাকে। এটা আসলে ক্ষতিকর। কিন্তু এমনিতে খেতে ভালই লাগে। আপনার মত করে কচু দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। আমার বেশিরভাগ সময় ভুনা করে কিংবা আলু দিয়ে রান্না করা হয়। তবে পাঙ্গাস মাছের কাঁটা কম থাকার কারণে সবাই একটু বেশি পছন্দ করে। তবে আপনি আজকে কচু এবং আলু দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে রান্নাটা করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের নিজেদের কচু বলে নিশ্চয়ই ভালোই হবে। দারুন লেগেছে আপনার রেসিপিটা দেখে দাদা।

দাদা আপনিতো দেখছি একেবারে অসাধারণ একটি মাছের রেসিপি করেছেন। আসলে পাঙ্গাস মাছের মধ্যে কাটা কম বলে আমাদের পরিবারের সবাই খুবই পছন্দ করে। বলতে গেলে পাঙ্গাস মাছটা বেশিরভাগ কেনা হয়। আবার আমাদের পরিবারের মধ্যে আমার বড় বোন ভাঙ্গাস মাছ একদমই পছন্দ করে না। এমনকি পাঙ্গাস মাছ রান্না করলে যদি চামচ দেওয়া থাকে তাহলে ওই চামচ দিয়েও অন্য তরকারি নেয় না। আপনাদের ও তো দেখছি সবাই পছন্দ করে না। শুধু আপনি একটু পছন্দ করেন। ভালোই করেছেন ছোট একটা পাঙ্গাস মাছ কিনে এনেছেন। আসলে বড় পাঙ্গাস মাছের তেল বেশি এই কারণে আমার কাছে ভালো লাগে না। এইভাবে কচু দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। তবে আলু দিয়ে অনেকবার রান্না করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আপনার এই রেসিপিটাও খেতে সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো রেসিপি টা দেখে।

সত্যিই পাঙ্গাস মাছ আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু, কিন্তু এর অতিরিক্ত তেলের জন্য সব সময় খাওয়া হয় না। আমি কখনো কচু দিয়ে পাঙ্গাস মাছ খাইনি তবে আলু দিয়ে খেয়েছি অনেক ভালো লাগে খেতে। রিসিপির প্রতিটি ধাপ এবং কালার কম্বিনেশন দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

দাদা আজকে তো একদম আমার প্রিয় মাছের রেসিপি করলেন। এইতো কয়েকদিন আগে আমি নিজেও একটা পাঙ্গাস মাছ কিনে এনেছিলাম। বাজারে গিয়ে দেখি সেগুলো শুধু বড় বড় পাঙ্গাস মাছ। কিন্তু আমি একটু ছোট সাইজের খুঁজতেছিলাম। পরবর্তীতে একটা দোকানে শুধুমাত্র একটা ছোট সাইজের মাছ ছিল ওইটাই কিনে নিয়ে আসলাম। আপনিও দেখছি ছোট সাইজের একটা মাছ কিনে আনলেন। আমার কাছে একটু ছোট ছোট টুকরো করে ভুনা করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। কচু দিয়ে খুব একটা খাওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ সময় কচুর লতি দিয়ে রান্না করা হয়। কচুর লতি দিয়ে পাঙ্গাশ মাছ ভুনা খেতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। অনেকের নাকি এই মাছটা পছন্দ না। আপনাদের পরিবারের ওতো দেখছি কেউ পছন্দ করেনা। তবে ভালই লেগেছে আপনার রেসিপিটা দেখে। নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদুভাবে খেয়েছেন।

পাঙ্গাস মাছ আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। পাঙ্গাস মাছ রান্না খেতেও যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি পাঙ্গাস মাছ চাষ করতেও আমার খুবই ভালো লাগে। বড় কচুর সাথে রান্না করা পাঙ্গাস মাছগুলো খেতে নিশ্চয়ই অসাধারণ সুস্বাদু এবং মজাদার ছিল। আর পাঙ্গাস মাছের এ ধরনের সুস্বাদু তরকারি পেলে ভাত খেতে আর অন্য কোন কিছু লাগেনা। আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা পাঙ্গাস মাছ আমাদের বাসায়ও তেমন একটা কেউ খায় না। আমার বউ তো খাওয়ার কল্পনাও করতে পারে না। তবে আমি মাঝে মাঝে বড় সাইজের পাঙ্গাস গুলো খেয়ে থাকি। কারন পাঙ্গাস মাছ বড় গুলো একটু বেশি স্বাদ লাগে। আপনি বড় কচুর সাথে পাঙ্গাসটা ধারুন ভাবে রান্না করেছেন। কচুর সাথে পাঙ্গাস মাছটা ভালই মানায়। পাঙ্গাস মাছ ভালো করে ভাজা করলে ক্ষেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ দাদা।