মানকচুর সুস্বাদু রেসিপি

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা কয়েকদিন আগে করেছিলাম, আর এই রেসিপিটা হলো কাতলা মাছের। এই কাতলা মাছের রেসিপিটা করেছিলাম মানকচু দিয়ে। মানকচুর স্বাদটা বেশ দারুন লাগে যেকোনো তরকারিতে। বিশেষ করে এই মানকচু আমার কাছে বেশি স্বাদের লাগে রুই বা কাতলা মাছ দিয়ে। এই মানকচুটা আমাদের বাড়ির, এক খন্ড কেটে রাখা ছিল, তাই এই কাতলা মাছ দিয়ে ভাবলাম তৈরি করি। মানকচু ভাজাও খেতে ভালো লাগে, একদিন খেয়েছিলাম, কিন্তু ভাজাটা তেমন খাওয়া হয় না বললেই চলে। আমাদের আয়রনের ঘাটতির ক্ষেত্রে অন্যান্য কচুর যেমন উপকারিতা পাওয়া যায়, তেমনি মানকচুরও ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়। এক কোথায় বলা যায়, সব দিক থেকে মানকচুর গুণগত মান খুব ভালো, সেটা ভিটামিনের দিক থেকে বা শরীরে অন্যান্য কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে হোক। যাইহোক, মানকচুটা বেশ ভালো সেদ্ধ হয়েছিল, আর কাতলা মাছের সাথে খেতে বেশ টেস্টও লেগেছিলো। এখন, রেসিপিটার উপকরণ আর প্রস্তুতির দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

❣উপকরণ
পরিমাণ❣
কাতলা মাছ
৬০০ গ্রাম
মানকচু
৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
শুকনো লঙ্কা
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৮ টি
লঙ্কার গুঁড়ো
১ চামচ
পাঁচফোড়ন
১ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১.৫ চামচ


কাতলা মাছ, মানকচু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


დএখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---


☀প্রস্তুত প্রণালী:☀


❖মানকচুটিকে কেটে তার খোসাগুলো ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে আরেকবার কেটে ছোট পিস করে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছাড়িয়ে একসাথে রেখেছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলোকে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❖কাতলা মাছের পিসগুলো সব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে তাতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর প্রত্যেক পিসের গায়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖একটি প্যানে সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নেওয়ার পরে তাতে মাছের পিসগুলো ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে রেখেছিলাম।

❖আরেকটি কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে মানকচুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভেজে পরে তুলে নিয়েছিলাম।

❖কচু ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে তাতে একটা শুকনো লঙ্কা আর পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভেজে নিয়েছিলাম।

❖ভেজে নেওয়ার পরে তাতে মানকচুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖এরপর তাতে স্বাদ মতো লঙ্কার গুঁড়ো এবং লবন-হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কচু ভালোভাবে ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।

❖সেদ্ধ কচুর পিস কিছুটা তুলে নিয়ে গলিয়ে একটু আঠালো মতো করে নিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে ভেজে রাখা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖মাছ দেওয়ার কিছুক্ষন পরে তাতে গলিয়ে রাখা কচু দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে অল্প কিছু জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

❖ঝোল ঘন হয়ে আসলে জ্বাল বন্ধ করে দিয়ে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করলেন দাদা মানকচু দিয়ে। বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় মানকচু। তাছাড়া মানকচু দিয়ে ভাজি ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে তেমন একটা খাওয়া হয় না ভাজি ভ্রতা। বিশেষ করে মাছের সাথে খেতে খুব ভালো লাগে। যদি একটু ঝোল করে রান্না করা হয় কচুর ভিতরে ঝোল গুলো প্রবেশ করলে একটু নরম নরম হয়ে যায়। তাই খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি কাতলা মাছ দিয়ে রান্না করলেন দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। অনেক ভালো লেগেছে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা মানকচু রান্না করে খাওয়ার থেকে ভর্তা করে খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনি কাতলা মাছ দিয়ে মানকচুর সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি তৈরির প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

কাতলা মাছের সাথে মান কচুর অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন আপনি। আপনার দেওয়া এই সুন্দর রেসিপি পোস্ট থেকে নতুন কিছু ধারণা অর্জন করলাম। কখনো দেখিনি মাছ এভাবে মান কচুর সাথে রান্না করতে বিশেষ করে আমাদের পরিবারে। তবে আপনার রেসিপি থেকে হয়তো নতুন একটা রেসিপি খাওয়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম।

আসলে দাদা গলায় না ধরলে সব ধরনের কচু ই খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনি কচুর অনেক গুনের কথা বললেন।আসলে সবকিছুর মাঝেই কোন না কোন গুন রয়েছে।আপনি আজ কাতল মাছ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে রান্না করলেন। দেখতে কিন্তু দারুন হয়েছে। খেতেও যে খুব মজার হয়েছিল রেসিপি দেখেই তা বুঝতে পারছি।আপনি ধাপে ধাপে শেয়ার করলেন তাই রেসিপিটি সহজ হলো।ধন্যবাদ দাদা মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

কচু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যেকোনো ধরনের কচু বেশিরভাগ সময় চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। তবে কাতলা মাছ দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রান্না করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।

মান কচুর ভর্তা খাই আমরা। কিন্তু এইভাবে কখনো খায় নাই এইভাবে দাদা।আপনি মান কচু ও কাতলা মাছ দিয়ে এত সুন্দর রেসিপিটা করেছেন সত্যি দারুন ছিল। আপনি ঠিকই বলেছেন মান কচুর গুণগত মান অনেক ভালো এবং এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ভালো। অনেক সুন্দর করে উপকরণ এবং অনেক সুন্দর করে আপনি বুঝিয়ে দিয়েছেন সবগুলি বেশ ভালো লাগলো। অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনার রেসিপি বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। মানকচু ভীষণ পুষ্টিকর একটি সবজি, আর খেতেও দারুন লাগে। কাতলা মাছ দিয়ে নিঃসন্দেহে সুস্বাদু হবে খেতে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দূরদান্ত লেগেছে আমার কাছে।

দোয়া রইলো পুরো পরিবারের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে মানকচু তেমন একটা খাওয়া হয় না। তবে আপনার মান কচুর রেসিপি দেখে লোভ আর সামলাতে পারলাম না খুবই দারুণভাবে আপনার এই রেসিপিটি টি তৈরি করেছেন এবং ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার জন্য।

আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য মানকচু খাওয়া ভীষণ উপকারী জেনে ভালো লাগলো দাদা। যদিও এই বিষয়টা আগে জানতাম না। তবে আমাদের চারপাশে এমন কিছু সবজি আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী আর পুষ্টিগুণে ভরপুর। মানকচু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর কাতলা মাছ দিয়ে এই রান্না করেছেন দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল দাদা। তবে মানকচু ভাজি কখনো খাওয়া হয়নি। আর যেকোনো ভাজি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। ভাজির সাথে গরম গরম ভাত খেতে অনেক মজা। তবে কখনো মানকচু ভাজি খাওয়া হয়নি। তাই একদিন অবশ্যই খেয়ে দেখতে হবে দাদা। আর মানকচু যেহেতু আপনাদের বাড়ির তাই মনে হচ্ছে এটা আরো বেশি মজার হয়েছিল খেতে। বাড়ির যেকোনো সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। আর সেই খাবারগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। মাছ দিয়ে মান কচুর এই রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যেহেতু মানকচু পুষ্টিগুনে ভরপুর তাই আমাদের সবার উচিত মাঝে মাঝে খাওয়া। আর মাছের সাথে মানকচু রান্না করলে খেতে অনেক মজার হয়। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

দাদা এটা কিন্তু একেবারেই সত্যি, সবদিক থেকে মানকচুর গুণগত মান খুবই ভালো, আর এগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আপনি মান কচুর মজাদার এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করেছেন কাতলা মাছ দিয়ে, যেটা দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে দাদা। রুই মাছ এবং কাতলা মাছ আমার খুবই ফেভারিট। আর এই দুটি মাছ দিয়ে যে কোন রেসিপি তৈরি করলে তা অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু হয়। সত্যি কথা বলতে দাদা, আমার ইচ্ছে করছে এখনই এক প্লেট ভাতের সাথে এই মজাদার রেসিপিটা খেয়ে ফেলতে। কারণ এই রেসিপিটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আপনিও নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন এই রেসিপিটা। আপনি রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখে কিন্তু যে কেউ এই রেসিপিটা খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারবে। আর এটি তৈরি করলে অনেক মজাদার হবে নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ দাদা এরকম মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

দাদা মানকচু দিয়ে কাতলা মাছের সুস্বাদু রেসিপিটা খুবই ভালো লেগেছে। বাড়িতে রেখে দেওয়ার কচুর খন্ডটা কাজে লাগিয়ে দিলেন। মানকচুর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে ও সহজে হজম হয়। সব ধরনের কচু দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় সর্দি–কাশি দূর করে। এছাড়াও মানকচুতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাংগানিজের মতো দরকারি পুষ্টি উপাদান, শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে মানকচু কার্যকর ভুমিকা পালন করে। শুধু তাই নয় সব রকম কচুর মাঝে মানকচুর মান বেশি। এই মানকচু রান্নার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক আপনি ভাল ভাবে খেয়াল করেছেন। আর সেটা হলো রান্না করার আগে ভালো ভাবে ভাজি করে নিয়েছেন। যা রেসিপিটার মজা হাজার গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার দেখলাম প্রথমে অনেকটা ঝোল দিয়েছেন। তারপর ধীরে ধীরে ঝোলটা কমেছে। দাদা আমি কিন্তুু এখনো মান কচু খায়নি। কেমন মজা হয় সেটা কিন্তুু আমি জানিও না। যায়হোক বাজার থেকে একবার কিনে এনে ট্রাই করে দেখবো। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা কচু আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী, আর এটির গুন ও বেশি। কচুর মত মান কচুর ও উপকারিতা রয়েছে। আজ এটি খেলে অনেক বেশি উপকার হবে। আপনি মান কচুর সুস্যাদু রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে, অনেক মজাদার মনে হচ্ছে রেসিপিটা। আপনি কাতলা মাছ দিয়ে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন যার কারণে মনে হয় একটু বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। তবে যাই হোক দাদা আপনার রেসিপিটা কিন্তু অনেক বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে। মান কচু ভাজি আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি, যার কারণে এর স্বাদ কিরকম এটা জানা নেই। তবে আমি ভাবছি কখনো বাড়িতে মান কচু নিয়ে আসলে আমি ভাজি করবো এবং কাতলা মাছ দিয়ে রান্না করবো। এই রেসিপিটা তৈরি করার ধাপ এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে ভগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।