হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে বৈশাখী মেলার কিছু ছবি শেয়ার করবো। বৈশাখী মেলা আমাদের বাড়ির কাছেপিঠে প্রতিবছরই হয়ে থাকে। তবে এই মেলায় যাওয়া হয় না কোনো বছরই। বাড়ির ধারে কাছে বলে যখনি রাস্তা দিয়ে যাই তখনি মেলার দিকে তাকাই আর ভাবি না এখনো তো সপ্তাহখানিক হবে তাই কয়েকদিন বাদে গেলে হবেকন। এই করতে করতে মেলা যায় শেষ হয়ে, আর যাওয়া হয় না। তবে আগে বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসতো আর যাওয়াও হতো মোটামুটি, কিন্তু এখন কেমন জানি ইচ্ছাই করে না যেতে। আর আগের মতো এখনকার মেলায় যেন তেমন জাকজমক ভাবটা খুঁজে পাওয়া যায় না, কেমন যেন নিস্তব্দ নিস্তব্দ ভাব ।
এখানে গত বছরের একটা ঘটনা বলি- মেলায় নাগরদোলায় একদিন উঠে নিজেরই অবস্থা যেন খারাপ হয়ে গেলো, যেই উপরের থেকে নিচের দিকে নামে তখন আমি জায়গায় বসে আছি না শূন্যেই আছি বুঝতেই পারিনি, যেন মনে হচ্ছিলো এই গেলাম পড়ে । আসলে আমি ছোট বেলা থেকে মেলায় গিয়ে শুধু নাগরদোলাই দেখলাম কিন্তু কোনোদিন সাহস করে উঠিনি, প্রথম ওই একবার উঠে ভয় পেয়ে গেছিলাম, যাইহোক একটা অভিজ্ঞতা অর্জন হলো এই আর কি। লোকে নাগরদোলায় উঠে বমি করে আর আমি পড়ে যাওয়ার ভয়ে মরছিলাম, আসলে না অভ্যাস থাকলে যা হয়।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
যাইহোক বৈশাখী মেলায় এই বছরও যেতাম না, যাওয়াটা হলো হঠাৎ করে। আমি তো তেমন সেভাবে রেডি হয়েও যাইনি, গেছিলাম স্টেশন এর দিকে আর সেখান থেকে আসতে আসতে একজনের সাথে দেখা হলো আর সে বললো চলো মেলায় একটা পাক দিয়ে আসি কালকেইতো শেষ হয়ে যাবে। আমিও ভাবলাম চলো যাই কিছু খেয়েও আসি, আমি আবার মেলায় ঢুকলে শুধু ভাজাভুজির দিকে নজর দেই কারণ ওটা না খেলে আমার পেটের মধ্যে মোচড় দেবে 😄। আর সেদিন আবার বৃষ্টিও হয়েছিল। তো মেলায় ঢুকে দেখলাম সব ফাঁকা, লোকজন নেই, কয়েকটা দোকানপাট নিয়ে বসে আছে। তারপর ভিতরের দিকে ঢুকে দেখি বাচ্চারা জলের উপরে প্লাস্টিকের বোটে করে আনন্দ করছে, দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো দৃশ্যগুলো।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
কিছুক্ষন সময় অতিবাহিত করার পরে ভাবলাম এ আবার কোন মেলায় আসলাম, লোকজন নেই তেমন। এখানে আবার একটু রাত না হলে সন্ধ্যার দিকে কেউ আসতে চায় না, পরে রাত যত বাড়ছে লোকজনও তত বাড়ছে। আমরা বেশিক্ষন থাকিনি সেখানে, আধা ঘন্টার মতো শুধু চরকি পাকের মতো দোকানের এই সাইড থেকে ঘুরে ওই সাইডে এইরকম করে সময় পার করেছিলাম। আগে ছোট বেলায় গ্রামের মেলাগুলোতে এইরকম দোকান ভর্তি বিভিন্ন জিনিস, খেলনার জিনিস দেখে ভীষণ মজা পেতাম।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
ছোট বেলায় আমি খেলনা কেনা পাগল ছিলাম, বিশেষ করে খেলনা জাতীয় যেসব বড়ো বড়ো গাড়ি পাওয়ায় যায় সেগুলো কেনার দিকে ঝোঁক ছিল খুব, বাড়ির লোকজনগুলোকে পাগল করে ফেলতাম একপ্রকার । আরো একটা জিনিস এর প্রতি ঝোঁক ছিল সেটা হলো পিস্তল, খেলনা পিস্তল প্রতিবছর কয়টা কিনতাম আর কয়টা আছাড় মেরে মেরে ভেঙে ফেলতাম তার ঠিক থাকতো না। একপ্রকার বলা যায় যে সকালে কিনে আরেকটা সন্ধ্যায় গিয়ে কেনা লাগতো 😄।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
যাইহোক এরপর এই জনশূন্য বৈশাখী মেলায় কত আর ওইভাবে হাঁটা যায়, শেষে ভাবলাম কিছু খাদ্যখাবার খেয়ে যাই দেখি। সামনে প্রথমে ঘুগনি চোখে পড়লো তাই সেখানে খানিকটা ঘুগনি খেয়ে নিলাম। এরপর কিছুক্ষন আবার দাঁড়িয়ে সামনে একটা কফির দোকান দেখলাম আর সেখানে বসে কফিও মেরে নিলাম। তারপর ফাস্টফুড এর দোকান দেখলাম সেখানে এগরোল খেয়ে নিলাম। এরপর আসার পথে দেখলাম একজন ছোট ছোট ফুলদানি নিয়ে বসে আছে, দেখতে ভালো লাগছিলো তাই দুটি কিনে নিয়ে আসলাম। এরপর বাড়ির জন্য কিছু খাবার কিনে নিয়ে দ্রুত চলে গেছিলাম কারণ আবার বৃষ্টি আসছিলো। তো এই ছিল হঠাৎ করে বৈশাখী মেলায় একটুখানি ঘোরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া।
All Photos what3words location: https://w3w.co/storyboards.fangs.clinical
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা |
তারিখ | ০৯.০৫.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
সত্যি বলতে করোনার পর থেকে এখন সব কিছুই কেমন জানি পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের এলকায় বৈখাখ মাসে মেলা হতো প্রথম তিন দিন। তবে এখন শুধু প্রথম দিন মেলা বসে করোনার পর থেকে। তবে এখন আর আগের মতো মানুষ দেখা যায় না। আমি মেলাতে যাইনা তাও তিন বছর হতে চললো।
দাদা মেলা থেকে আমিও আপনার মতো খেলনা কেনার পাগল ছিলাম। পুতির পিস্তল, আর রিমোট কন্টোল গাড়ি বেশি কিনেছি। আপনি বৈশাখী মেলায় ঘুরে অসাধারণ কিছু ছবি ক্যাপচার করেছেন। সত্যি দাদা আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো আমিও যেনো মেলাতে।আছি। দাদা আপনি ভাজা ভুড়ি পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগলো কারণ জিনিসটা আমারও অনেক প্রিয়।
দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৈশাখী মেলা ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্ট পড় খুব ভালো লাগছে। পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেছে আমার। শুভকামনা রইলো দাদা। 💞💞
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার মত আমি ও ছোটবেলা থেকে মেলায় গিয়ে শুধু নাগরদোলানা দেখি কিন্তু ছোটবেলায় কখনো উঠার সাহস পাইনি। বড় হওয়ার পর একবার উঠে অনেক ভয় পেয়ে গেছি। সেই থেকে আর কখনোই নাগর দোলনায় উঠা হয়নি। আপনার সাথে অনেকটাই মিলে গেছে। আপনার পোস্টটা পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগতো কিন্তু এখন আর তেমন একটা যাওয়া হয় না। যাই হোক আপনাদের বৈশাখী মেলা কিন্তু খুবই সুন্দর ছিল। খুবই জাঁকজমকপূর্ণ একটি মেলা মনে হয় বৃষ্টির কারণে মেলায় মানুষের আনাগোনা কম ছিল। আপনি কিন্তু খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। মানুষ কম থাকার কারণে মেলাটা ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছেন। ঘুগনি খেতে আমার খুব ভালো লাগে ভাইয়া। মোটামুটি ভালো খাবার খেয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মেলায় কাটানো আপনার সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আমিও ছোটবেলায় মেলায় গেলে খেলনা কিনার জন্য বায়না ধরতাম। বিশেষ করে পিস্তলের প্রতি আমার আলাদা রকমের ভালোলাগা ছিল। তবে সেই পিস্তল আমার কাছে বেশিক্ষণ থাকতো না। কারন আমি বাসায় এনে সেই পিস্তল খুলে দেখতাম ভিতরে কি আছে। এভাবে অনেক পিস্তল নষ্ট করেছি। এর জন্য মায়ের অনেক বকা খেয়েছি। দাদা যখন আমি আপনার এই লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন নিজের শৈশবের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আর আপনি গতবছর নাগরদোলায় উঠেছিলাম এবং যেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সেই অভিজ্ঞতার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি। কারণ নাগরদোলায় উঠতে আমিও ভীষণ ভয় পাই। তাই নাগরদোলায় ওঠার সাহস করিনি কখনো। যখন দেখি সবাই নাগরদোলায় উঠেছে তখন দেখেই আমার ভয় লাগে। তবে যাই হোক আপনি আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।💓💓💓
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা বৈশাখী মেলায় খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।আসলে বৈশাখী মেলায় যাওয়ার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। আসলে আমাদের গ্রামেই বৈশাখী মেলা হয়। আর আমি নিজেই ভাবি যে আজকে না কালকে যাব। কালকে না পরশু। এভাবে হয় না। ঠিক আপনারও তেমনি হয়েছে। আপনাদের বাড়ির পাশেই বৈশাখী মেলা কিন্তু আপনার আজকে না কালকে এভাবে করতে করতে যাওয়া হয়না।তবে এবার আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর মেলার ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে বৈশাখী মেলায় অনেক সুন্দর সময় কাটানো যায় এবং অনেক কিছু উপভোগ করা যায়। যাইহোক আপনার সুন্দর্য ফটোগ্রাফি গুলো আমার ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৈশাখী মেলা বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। এই পার ওই পার দুই বাংলাতেই বৈশাখী মেলা বেশ জনপ্রিয়। গ্রাম অঞ্চলের বৈশাখী মেলা গুলো আরো বেশি জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে ।কেননা সেখানে বৈশাখী মেলাতে বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র পাওয়া যায় ।ছোটবেলায় যখন বৈশাখী মেলাতে যেতাম তখন এই মাটির হাড়ি পাতিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে নিয়ে আসতাম খেলাধুলা করার জন্য এমনি এমনি রান্না করার জন্য। ছোটবেলায় বাবার সাথে অনেক জিদ ধরতাম বৈশাখী মেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বৈশাখী মেলার পারিপাশ্বিক বিষয়গুলো আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন সেইসাথে বৈশাখী মেলার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ দাদা আপনি বৈশাখী মেলায় গিয়ে খুব ইনজয় করেছেন। আসলে এমন বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি করতে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। আমারও মাঝে মাঝে মেলায় গিয়ে পরিবার নিয়ে খুব আনন্দে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র উঠেছে। মেলায় ঘোরাঘুরি করে এমন জিনিস পত্র খেলতে খুব ভালো লাগে। মেলায় আমার কাছে যে জিনিস সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটা হল মাটির তৈরি জিনিসপত্র। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার মেলায় ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন, ছোটবেলায় আমরাও যখন মেলায় যেতাম তখন মনে হয় নিজের কাছে অনেক অনেক বেশি আনন্দ মনে হতো। আর তখনকার মেলাগুলো অনেক জাঁকজমকপূর্ণ মনে হতো। কিন্তু এখন বড় হয়ে মেলায় যাওয়ার পরে আগের মত তেমন একটা মনে কেন যেন ফুর্তি পাইনা। তবে যখন দেখি আমার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে মনের আনন্দে হইহুল্লোড় করে মেলায় ছোটাছুটি করে তখন বেশ ভালো লাগে। মনে হয় এই বৈশাখী মেলা গুলো শুধু ছোটদের জন্য বেশী আনন্দদায়ক। এই বৈশাখী মেলা গত দু'বছর থেকে করোনাকালীন সময়ের জন্য বন্ধ থাকার কারণে কোথাও কোন মেলায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আর তাই তো সেদিন আমিও এই বৈশাখী মেলায় গিয়েছিলাম আমার সন্তানদের নিয়ে তাদের কিছুটা আনন্দ দেওয়ার জন্য। আজ আপনার পোস্ট পড়ে সেই দিনের কথা গুলো মনে পড়ে যাচ্ছে। দাদা আপনার মত আমারও একই অবস্থা, খুব সাহস করে নাগরদোলায় উঠি এটা ঠিক কিন্তু যখন নাগরদোলা ঘুরতে থাকে তখন মনে হয় আমি শূন্য থেকে পড়ে যাচ্ছি আর তখন আমার ভীষণ ভয় করে। অথচ অনেককেই দেখি আনন্দ সহকারে চিৎকার চেঁচামেচি করে নাগরদোলায় ঘুরতে। কেন জানি আমার অতটা সাহস হয় না। যাই হোক দাদা, মেলায় গিয়ে আপনি ঘুগনি, কফি ও এগরোল খেয়ে বেশ আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন আর সেই সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এখানে কবিগুরু রবি ঠাকুরের বাড়িতে প্রতিবছরের পঁচিশে বৈশাখের পর থেকে 5 দিন অথবা সাতদিন বৈশাখী মেলা হয় ছোটবেলা থেকেই আমি এই মেলায় যাই মেলায় গেলে খুবই ভালো লাগে আমার নিত্যনতুন জিনিসপাতি দেখা কিছু সুন্দর মুহূর্ত পার করা।
আপনি বৈশাখী মেলায় খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাথা তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো শুভেচ্ছা রইল দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাহা, ভালো লাগলো কথা গুলা।
তবে মেলায় গেলে আমার মাথা ঠিক থাকে না এতো এতো কসমেটিক দেখে ,সব গুলো একদম চিক চিক করে। ইচ্ছে করে সব কিনে নিয়ে আসি। তবে এই মেলার দেখছি নিয়ম অন্যরকম , রাতের বেলা মেলা জমে। যাক তবে সব মিলিয়ে ভালো লাগলো
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ফাঁকা মেলাতেই একটু ভালো লাগে। কারণ অতিরিক্ত মানুষের ভিড় একেবারেই পছন্দ নয়। কতো কিছুই তো দেখছি পেটের মধ্যে চালান করে দিলেন!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবি মাজা পেয়েছি লাইন গুলো পড়ে । মূলত ভাজা ভুজি দিকে অধিকাংশ মানুষের ঝোক থাকে। এদিকে মেলায় বড় বড় চিংড়ি ভেজে সাজিয়ে রাখে আর আমার চোখ পড়ে ঠিক ঐ দিকেই। আপনাদের ওখানে খাবারের মান ভাল এবং বিভিন্ন আইটেমের খাবার পাওয়া যায়। আমরা নাগর দোলায় উঠে কতই না মজা করতাম। উপর থেকে যখন নিচের দিকে নামে তখন গা শির শির করে ওঠে। আমরা মাটিতে চটি রেখে আবার এক পাক খেয়ে আবার চটি হাতে নিয়ে ঘুরতাম নাগর দোলা। আপনার পোষ্ট টি পড়ে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। এবারো বৈশাখী মেলাতে গিয়েছিলাম দাদা। তবে আপনার কথাই ঠিক যে মেলার আগের মত জৌলস আর নেই। আর ঐ যে বললেন পিস্তল কেনার বায়না করতেন, আমিও ঠিক একি রকম বায়না করতাম।ছোট টাইপ পিস্তল গুলো টিনের তৈরী ভিতরে রোল পটকা থাকতো। ট্রিগার টিপলেই এক এক করে ফুটতো আর গুলির রোল একিট করে বেরিয়ে আসতো। ছোট্ট ছোট্ট কাগজের কৌটায় এই গুলির রোল গুলো থাকতো। এবার বহু খুজেছি ঔগুলো কিন্তু পেলাম না। আমাদের এখানে বৈশাখী মেলা চলছে। আজ শেষ হবে। হয়তো আর দুই দিন থাকতে পারে। বৃষ্টি হয়নি এদিকে। প্রচুর লোকের ভীর যে কারনে গরমে মেলার ভেতর বেশিক্ষন থাকতে পারি নি। দুই দিন গিয়েছি বাবা কে নিয়ে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভাল ছিল। এখান থেকে দেখে নিলাম ওখানকার বৈশাখী মেলা। ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৈশাখী মেলা শিরোনাম টি দেখে খুবই আকর্ষণীয় গেছিল, যে ভাইয়া স্পেশাল কিছু অবশ্যই রেখেছে। তবে আপনি যাবেন যাবেন করে বাসার কাছে হওয়া মেলাতে যাওয়া হয়না। আর এমন সময় গিয়েছেন মেলাতে আমার মনে হয় আপনি আর আপনার বন্ধু ছাড়া আর কেউ নেই। তৃতীয় ব্যক্তি দোকানদার আছে। আসলে এবার বৈশাখী মেলার আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। কিন্তু সময় হয়ে উঠেনি সবার সাথে শেয়ার করার। আশা করি ইতিমধ্যে শেয়ার করব। তবে আপনার অনুভুতি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। কথায় আছে না মক্কার মানুষ হজ্ব পায়না। ঠিক তেমনি আপনার বাসার কাছের মেলা আপনি যেতে পারেন না। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য, আমাদের সাথে এত সুন্দর করে বৈশাখী মেলার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একদম ঠিক বলেছেন দাদা আগে ছোটবেলায় যেরকম মেলাগুলো জাঁকজমকপূর্ণ ছিল এখন মেলাগুলোও সেরকম জাঁকজমকপূর্ণ মনে হয় না । করোনার পর থেকে এখন আর তেমনভাবে মেলায় যাওয়া হয়না । মেলাতে গেলে আমার লাল জিলাপি গুলো খুবই ভালো লাগে খেতে । আমি যখন মেলায় যাই তখন লাল জিলাপি কিনে নিয়ে আসি বাড়িতে । আর নাগরদোলায় একবার উঠে শিক্ষা হয়ে গেছিল এরপরে আর ওঠে না কখনো 😑 । ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আমারও আপনার মত একই অবস্থা। ভাজাভুজি দেখলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। পেটের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে। তবে আমাদের এই দিকে করোনার জন্য প্রায় দুই বছর কোন মেলাই হয়নি
গতকাল সবে মাত্র একটি মেলার উদ্বোধন হলো। সত্যি বলতে কি মেলায় একটু ভীর না হলে মেলা বলেই মনে হয় না। আর নাগরদোলায় চড়া নিয়ে যা বললেন সেটা আমার ক্ষেত্রেও হয়। বমির পরিবর্তে কেমন যেন একটা আশঙ্কা থাকে এই বুঝি পরলাম। যাই হোক বৈশাখ মাসে বৈশাখী মেলা না হলে জমে নাকি। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবশেষে ছবি গুলো আসলেই চমৎকার ছিল।❤️👍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটি বেশ মজার কথা ছিল,হি হি।☺️যেকোনো মেলা মানেই আনন্দদায়ক। আমিও মেলা দেখতে খুব পছন্দ করি তবে তেমন কাউকে পাইনা এখানে তাই যাওয়া হয় না।যাইহোক মেলায় গেলে ভাজাভুজি তো খেতেই হবে ,আর আমিও খেলনা কিনতাম ছোটবেলায় পিস্তল,ঘোড়া ,বল আর আমার পছন্দের চুড়ি ,টিপ ।
দাদা আমি একবার নাগরদোলায় উঠেছিলাম,তেমন কিছুই হয় নি তবে পাশের দোলনায় কেউ কেউ বমি করছিল মাথা ঘুরে।তাই ভয়ে আমি আর উঠি না।কারণ আমি নিজে বমি না করলে ও যখন উপর নীচে পাক দেয় তখন অন্যের বমির ছিটে যদি গায়ে লেগে নোংরা করে দেয় জামাপান্ট এই জন্য।অবশ্য সেইদিন বেঁচে গিয়েছিলাম এ থেকে।আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন মেলায়।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৈশাখ এলেই চারদিকে মেলার গন্ধ বয়ে যায়। মেলা আনন্দের খোরাক জোগায়। ছোট বড় সবাই মেলা পছন্দ করে। মেলা উৎসবের আরেক নাম।আমি ও ছোট বেলায় মেলায় যেতাম। তবে তখন ছিলো গ্রামের ছোট খাটো মেলা।তবে আনন্দ ছিল অসীম।আসলেই দাদা এখন আর সেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। সব কিছু পানসে লাগে।আপনার বৈশাখি মেলায় কাটানো সময় দেখে কতশত স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আপনার মেলায় জনসমাগম কম হলেও আয়োজন ছিল জমজমাট। হয়ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণেই মানুষ একটু কম ছিলো।ঘুগনি কি সেটা আমি চিনতে পারনি। তাও কিছু খাবার দাবার খেয়েছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ মুহূর্ত ছিলো নিশ্চয়ই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা এই দিকে আপনার সাথে আমার অনেক মিল খুঁজে পেলাম।আমিও সবসময় মেলায় গিয়ে শুধু নাগরদোলা দেখে চলে আসি। আমি অনেক ভয় পাই আবার নাগরদোলা দেখলে আমার মাথা ঘুরায়। সেজন্য আর কখনো ওঠা হয়নি। তবে আপনি ভয়কে জয় করে উঠে গেছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনার মতো যে দিন আমিও ভয়কে জয় করতে পারব সেই দিন নাগরদোলায় উঠবো।
দাদা মনে হচ্ছে মেলার প্রতিটা দোকানে অনেক জিনিস নিয়ে বসেছে। দাদা আপনাদের ঐ মেলার মতো আমার বাসার সামনেও কয়দিন পর পর মেলা বসে। আমি সবসময়ই ঐ মেলায় যাই।আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
মেলায় গেলেই ফুচকা খাওয়া হয়।সেখানের ফুচকা খেতে দারুণ লাগে। বলা যায় আমি শুধু ফুচকার লোভেই মেলায় যাই😄🤭😜। কিছু কিনা হোক বা না হোক ফুচকা খাওয়া হবেই।দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কথাটা ঠিক বলেছেন। এখনকার মেলা যেন আর আগের মতো জাকজমক হয় না। আবার হতেও পারে আপনার আমার সেই বয়সটা আর নেই সেজন্য এটা মনে হতে পারে।
মেলায় লোক না থাকলে মেলা কিসের বলেন। তবে সন্ধ্যার পর মেলায় লোক বেশি হয়। আমিও অনেকটা আপনার মতো আগে কখনো নাগরদোলায় উঠি নাই ভয় করত। তবে এই গত রবিবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর মেলায় প্রথম নাগরদোলায় উঠেছিলাম। প্রথমে একটু ভয় করছিল পরে অবশ্য বেশ উপভোগ করেছিলাম।
মেলায় গেলে আমিও ঐ ভাজাভুজি বেশি খেয়ে থাকি। আসলে ঐ গুলো চলে বেশি মেলায়।মেলায় মোটামুটি ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit