দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ২৯ )

in hive-129948 •  16 hours ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। গত পর্বে অভিযান সংঘ দেখার পরে গিয়েছিলাম প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে একটি দেখতে। আসলে কাছাকাছি এই কয়টা বেশ ভালো করে থাকে। আর এর মধ্যে এইগুলো দেখে লাস্টে যেগুলো প্ল্যান করে রেখেছিলাম, তা সবগুলোই ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তবে ওখানে আবার প্রায় অনেকগুলো কাছাকাছি ছিল। তবে ওই পর্যন্ত এক প্রকার হেঁটে যাওয়া সহজ কথা না। ১০ কিলোমিটার হাঁটলে বোঝা যায় যে, আসলে পথ কতটা। তবে পুজোর সময়ে এতো মানুষের ভিড়ের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে আসলে চলে যাওয়া যায়। একটু ক্লান্ত বা পা ব্যাথা করতে লাগলেও সেটা আর মনে হয় না সবাই একসাথে দেখতে যেতে লাগলে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কিন্তু হেঁটে যাওয়ার পথে সমস্ত রাস্তা জুড়ে বেশ ভালো ভালো লাইটিং এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর এই সৌন্দর্যগুলো যখন দেখা হয়, তখন সেইগুলো ক্যামেরা বন্দি করার চিন্তায় দূরের পথও যেন কাছাকাছি মনে হয়। এখানে যেতে যেতে রাস্তার মোড়ে মোস্তাফিপাড়ার একটি ক্লাবের পুজোর লাইটিং এর গেট দেখছিলাম। যদিও সেটাতে এইবার আর যাওয়া হয়নি, তবে লাইটিং ছিল অতি চমৎকার। এই লাইটিং এর পুরোটা দৃষ্টি দিয়ে ভালোভাবে দেখলে দেখবেন যে, যেন সম্পূর্ণ একটি মহল তৈরি করা। একদম সেইরকম ধাঁচে তৈরি করেছে। এছাড়া যেতে যেতে আরো একটা লাইটিং এর দৃশ্য দেখছিলাম, সেটার সৌন্দর্য যেন আরো চমৎকার ছিল। এই লাইটিং এর আর্টটা ছিল একটি পাল তোলা নৌকার।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তবে সেটা আবার ময়ূরের মাধ্যমে তৈরি একটি নৌকার মতো। মাঝে আবার পাখি উড়ে যাচ্ছে, সবকিছুই যেন একটা চমৎকার প্রতিবিম্ব ছিল। নৌকায় আবার তিন ধরণের ফ্ল্যাগ ছিল। এই লাইটিংগুলো এইভাবে সাজাতেও একজন গুণী আর্টিস্ট এর দরকার হয়। এইগুলো অনেক ক্ষেত্রে রেডিমেট থাকলেও পরপর সাজানো লাগে পার্টিশনে। এরপর সমস্ত রাস্তা জুড়ে আরো এক প্রকার মনোরম সৌন্দর্যের মতো দেখতে লাইটিং ছিল। একপ্রকার বলতে গেলে আমি এই লাইটিং এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এইগুলো দেখতে দেখতে হঠাৎ একটি গলির ভিতরে প্যান্ডেল দেখতে পেয়েছিলাম। এটি ছিল ১১ এর পল্লী যুবগোষ্ঠী। প্যান্ডেলটি দেখে আবার একপ্রকার প্যান্ডেলের মতো মনে হচ্ছিলো না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কারণ এটি আখ এবং গোলপাতার মাধ্যমে এমনভাবে সাজিয়ে তৈরি করেছে যে, বাইরে থেকে দেখে বোঝা মুশকিল যে, এটি একটি প্যান্ডেল। বাইরে থেকে ছবি তুলে ভিতরে চলে গিয়েছিলাম। এই প্যান্ডেলের আবার কিছু ভাগ বিভিন্ন প্রকারের মুখোশ এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। মোটামুটি খারাপ ছিল না একপ্ৰকার, তবে ইউনিক ছিল অন্যান্য প্যান্ডেলের তুলনায়। এটাও একপ্রকার ভালো যে, কিছু নিত্যনতুন দৃশ্য উপভোগ করা গিয়েছিলো। ভিতরে অনেকে আবার বিভিন্ন ভাবে সেজেছিল, সবাই এইসবের সাথে আবার ছবি তুলছিল। এইগুলো যদিও খুবই সাধারণ বিষয়, কারণ এইরকম কোনো ফেস্টিভ্যালে গেলে সবাই সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকে, সেটা যেকোনোভাবেই হোক না কেন। তবে আমার কাছে একটা বিষয় খুব ভালো লেগেছিলো মায়ের মূর্তি তৈরির ডিজাইনটা। তবে এইসবের ডিজাইন দেখে মনে হচ্ছিলো যে, এটি কান্তারা সিনেমার কোনো একটা বিষয়কে কেন্দ্র করেই তৈরি করেছিল। বেশ ভালো ইউনিক ব্যাপার ছিল একটি।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দেখতে দেখতে দূর্গা পূজার ২৯ টা পর্ব শেষ হয়ে গেলো। আমার কাছে আজকের পর্ব টা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এই পর্বের মাধ্যমে আরো অনেক সুন্দর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখতে পারলাম। সবকিছু অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। লাইটিং গুলো দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হলাম। লাইটিং গুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল। অনেক ধন্যবাদ দাদা এই পর্বটা তো সুন্দর করে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। এখন অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।

আসলেই পূজার সময় হাঁটতে হাঁটতে ভিড়ের মধ্যে কখন যে পথ শেষ হয়ে যায় ঠিক টের পাওয়া যায় না।আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুণ ছিল।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে মায়ের মূর্তিগুলি, ধন্যবাদ আপনাকে।