হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "কমপ্লিকেশনস"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, শেষ মুহূর্তে এসে মুখ্যমন্ত্রীর টেস্ট রিপোর্ট খারাপ আসায় তার সার্জারি ক্যানসেল হয়ে যায়। এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
তো এরপরে দেখা যায় যে, পরেরদিন তাদের বাড়িতে কিছু অন্য গ্যাংস এর লোকজন আসে। আর আসে মূলত মীরার হাসব্যান্ড এর সাথে দেখা করার জন্য। আসলে মীরার হাসব্যান্ড একজন প্রফেসর হওয়া সত্বেও তার বন্ধু সহ আরো বেশ কিছু গ্যাংস এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পয়সা ধার দেনা করে বসে। এখন এক্ষেত্রে তার ঋণের বোঝা অনেক হয়ে গিয়েছে আর তাদের টাকাগুলো যে সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল, সেই সময়ের মধ্যে না দেওয়ায় সবাই বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এখন ১০ লক্ষ টাকা যার কাছ থেকে ধার করেছিল, তাদের এই টাকা ১ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে বলে, কিন্তু বিষয় হচ্ছে তার বাড়িতে তো এক এই সমস্যা আর তার উপর হাতে অতগুলো টাকা পয়সা নেই। এখন তাদের বাড়িতে যে এসপি ছিল সে তাদের কথোপকথন শুনে ফেলে। আর সব বিষয়ও তাদের খুলে বলে।
কিন্তু বিষয় হচ্ছে, এখন এই টাকা যদি ফেরত না দেয় তাহলে পরের দিন ঘরের ভিতরে চলে আসবে আর আসলে তো আরেক সমস্যা তৈরি হবে। তাই এসপি তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করার কথা বলে যে, সে যেন পরের দিন এই টাকা জায়গামতো দিয়ে আসে আর ঝামেলা দ্রুত সমাধান করে আসে তাদের কাছ থেকে। টাকা তো পরের দিন দিতে যায় আর সাথে সে আরো ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ওদের কাছ থেকে একটা পিস্তল কিনে নেয়, যেটা সে আবার বাড়িতে এসে তার বাগানের এক কোনে লুকিয়ে রাখে। এদিকে মীরার হসপিটালে আরো একটা সমস্যা তৈরি হয়ে যায় এই সার্জারির বিষয় নিয়ে। তারা পরবর্তীতে মিটিং বসিয়ে সার্জারি ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু এসপি অতো দিন সময় দেবেই না, তাই মিরাকে কোনোভাবে তাদের কনভিন্স করার কথা বলে যে দ্রুত সার্জারি করতে হবে। আর তাই মিরা তাদের ৩ দিনের মধ্যে সার্জারি করার পরামর্শ দেয়, এতে প্রথমে অনেকের দ্বিমত থাকলেও পরে সবাই সায় দেয়।
কিন্তু ওখানে ডাক্তার আলী বলে একজন এই বিষয়টা জেনে যায় যে, মিরা ওই ঘটনাটা ঘটিয়েছিল। কারণ মীরার ল্যাব কোর্টের পকেটে ওই মেডিসিনের পাতা পায়। আর এই নিয়ে যদিও মীরার সাথে কথা বলে, কিন্তু সে মুখ্যমন্ত্রীর ওয়াইফকে সম্ভবত জানানোর কথা বলে। আর তাদের কথা আবার এসপি শোনার পরে ডাক্তার আলীকে সাজা অর্থাৎ মেরে ফেলার কথা বলে, কিন্তু মিরা মানা করে। মিরা অন্য কোনো উপায় খোঁজে অর্থাৎ ডাক্তার আলীর সাথে একজন নার্সের রিলেশন থাকে আর ওটাকেই ফায়দা তোলে। যদি আলী মীরার এই বিষয়টা জানিয়ে দেয়, তাহলে সেও বাধ্য হয়ে এই বিষয়টা জানিয়ে দেবে। আর এতে তাদের দুইজনেরই ক্যারিয়ার এর সমস্যা হবে।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই পর্বের মূল বিষয় ছিল ওটাই যে, সার্জারির বিষয়টা নিয়ে যাতে আর বেশি জল ঘোলাটে না হয়, আর তাদের মিটিংয়ে কনভিন্স করানো যাতে সার্জারি খুবই দ্রুত শেষ করা যায়। এখন মীরার তো দুইদিকেই ব্রেন খাটিয়ে চলতে হচ্ছে, কারণ বাড়ির দিকে তার পরিবারের লাইফ রিস্ক আর অন্যদিকে তার পেশা হিসেবে রোগীকে বাঁচানো। আর সে কথা দিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর কিছুই হবে না। এখন এসপি এবং তার টিমের লোকজনের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে টাকা নিয়ে। কারণ তাদের টিমে একজন সাইকো আছে, যেটার মাথা সবসময় উল্টোপাল্টা করতে থাকে, আর টাকা নিয়ে ঝামেলা তৈরি করতে থাকে। তাদের মিশন ছিল ১ দিনের, কাজ মিটে গেলেই তারা সেখান থেকে চলে যাবে। এখন যেহেতু সার্জারি পিছিয়ে গেছে, তাই সেটা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত টাকা দেবে না কারো।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৬.৬/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মীরা আসলেই বেশ ঝামেলায় পরেছে। ডক্টর আলী যদি মীরার সেই ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রীর ওয়াইফকে বলে দিতো,তাহলে তো মীরার বারোটা বাজিয়ে দিতো। ভাগ্যিস ডক্টর আলীর সঙ্গে নার্সের সম্পর্ক আছে। ডক্টর এবং নার্সের সম্পর্ক প্রায়ই শোনা যায় 😂। যাইহোক মীরা সুযোগটাকে বেশ ভালোই কাজে লাগিয়েছে। দেখা যাক মুখ্যমন্ত্রীর সার্জারি কবে করা হয়। বরাবরের মতো এই পর্বের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit