হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "pieces of the puzzle". গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, মীরার হাসব্যান্ডকে মোটামুটি সুস্থ মতো করে তোলে আর পৃথ্বীর বিষয়ে কিছু তথ্য মিরা গোপনে বের করার পরিকল্পনা করতে লাগে। এই পর্বে দেখা যাক কি হতে চলেছে বিষয়টা।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❁মূল কাহিনী:❁
তো মীরার হাসব্যান্ডকে চিকিৎসা করিয়ে মোটামুটি সুস্থ করে তোলে মিরা। কিন্তু মিরা পৃথ্বীকে পরে জানায় যে, ক্ষত স্থানগুলোতে ইনফেকশন বেড়ে যাচ্ছে পরপর, তাই এন্টিবায়োটিক্স লাগবে। গুলি বের করার পরে যে এন্টিবায়োটিক্স দিয়েছিলো, তাতে তেমন কাজ দিচ্ছে না বলে ধারণা। তাই এই এন্টিবায়োটিক্স নতুন করে হাতে বানাতে হবে ল্যাবে গিয়ে আর সেটা হসপিটালে না গেলে হবে না। এখন মিরা হসপিটালে যেতে চাইলে, তাকে যেতে মানা করে। কিন্তু তার না গেলেও নয়, কারণ পৃথ্বী লিস্টে লিখে দিতে বলেছিলো যেগুলো আনিয়ে নেবে, কিন্তু এই এন্টিবায়োটিক্স বাইরে কোনো কেমিস্ট থেকে পাওয়া যাবে না বলে তাকে যেতে দেয়। তবে মিরা হসপিটালে যেতে লাগলেও তার গাড়িতে ট্র্যাকিং লাগিয়ে দিয়ে রেখেছিলো, যাতে নজরে রাখতে পারে। যেতে যেতে এখন হসপিটালে আগেরদিন যার কাছে ফোন করে ডাটা চেয়েছিলো, তাতে কয়েকজনের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা পায়।
আর তাদের কাছে ফোন করে, কিন্তু তাদের হয়তো কেউ মারা গিয়েছে আবার কারো ফোনে ঢুকছে না বা রং নম্বর বলছে। তবে লাস্টে পৃথ্বী সিং এর নম্বর-এ ফোন করলে একজন ধরে বলে বাড়িতে নেই, নেক্সট সপ্তাহে বাড়ি আসবে। কিন্তু মীরার সন্দেহ হয় যে, এই লোকটাই পৃথ্বী সিং হতে পারে। তাই সে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাকার হাওয়া খুলে দিয়ে লিক হয়ে গিয়েছে এমন একটা ড্রামা করে তাদের বুঝিয়ে দেয়। এদিকে পৃথ্বীকে তাদের পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ডাকে, মূলত সে তাদের ডিপার্টমেন্টের জন্য সৎ ভাবে অনেক ভালো কাজ করেছে, তাই রিটায়ার্ডের আগে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ডেকেছিল। এছাড়া আরো একটা বিষয় থাকে সেখানে যে, মুখ্যমন্ত্রী প্রেস কনফারেন্স ঘোষণা দেয় যে, সে যদি আবারো কখনো মনে করে যে দেশের সেবায় ভূমিকা রাখবে, তাহলে সে আবারো ডিপার্টমেন্টে জয়েন করতে পারে। যাইহোক, পৃথ্বীকে ফোন করে তাদের লোক জানায় মীরার গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছে, আর পৃথ্বী ওখান থেকে সোজা চলে যায় মিরা যেখানে ছিল।
এখন মীরা ওখান থেকে ফোন রেখে তার আগেই পায়ে দৌড়িয়ে পৃথ্বীর বাড়িতে চলে যায়, যাতে তাকে ট্র্যাকিং করতে না পারে। মিরা সেখানে পৌঁছিয়ে অনেক ফাইল পত্র দেখতে লাগে এবং পৃথ্বীর ছবিও দেখে কন্ফার্ম হয় যে, এটাই সেই লোক আর সে যে পুলিশের লোক সেটা হয়তো তার অ্যাওয়ার্ড দেখেও বুঝতে পেরেছে। তবে একটা ফাইলে সিটি হসপিটালে রুগীর নাম সহ ফাইল পায়, যেটা সম্ভবত মনে হলো পৃথ্বীর ওয়াইফ এর। তবে পৃথ্বী হয়তো ওখানে কিছু একটা বুঝতে বা সন্দেহ করেছিল, ফলে ওখান থেকে আবার বাড়িতে চলে আসে তার মেয়ের সাথেও দেখা করতে। এখন মিরা ওখানে ওইসময়েও উপস্থিত ছিল। তবে এখন ওখানে তাকে দেখতে পাবে না কোনো রহস্য বের হবে, সেটা পরে বোঝা যাবে।
❁ব্যক্তিগত মতামত:❁
এটাতে মূলত মিরা একটা প্ল্যান সাজিয়েছিল। কারণ একমাত্র ডাক্তারই এইগুলো রোগবিশুখ নিয়ে প্ল্যান করতে পারে, যেটা সহজে কেউ ধরতেও পারবে না। আসলে তার হাসব্যান্ড এর কিন্তু কোনো তেমন ইনফেকশন এর সমস্যা হয়নি। মিরা জাস্ট বাড়ির থেকে বেরিয়ে এই বিষয়টা তল্লাশি করবে তার জন্য এতকিছুর প্ল্যান। আর এদিকে যে মেয়েটা একদিন বাইরে গিয়ে কারো সাথে হাত মিলিয়েছিল, সম্ভবত কোনো প্ল্যান করছে। মীরার ছেলেকে দিয়ে আবার কম্পিউটারে কিসব করিয়ে নিলো। কোনো একটা বড়োসড়ো প্ল্যান আটছে, যেটা পৃথ্বীও জানে না। তবে পৃথ্বীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছিলো অর্থাৎ যে কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে মারতে চাইছে, সেটা তার ওয়াইফ এর জন্য হতে পারে। এর মূল কারণ এই একটাই হতে পারে। এটা এখন ধাপে ধাপে এগোলে বিষয়টা বোঝা যাবে।
❁ব্যক্তিগত রেটিং:❁
৮.৭/১০
❁ট্রেইলার লিঙ্ক:❁
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মীরা তো দারুণ একটি টেকনিক এপ্লাই করেছে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য। মীরা আসলেই খুব চালাক। তবে পৃথ্বীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর কি এমন শত্রুতা, সেটাই বুঝতে পারছি না। আমার তো মনে হচ্ছে পৃথ্বীর ওয়াইফ এর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর অবৈধ কোনো সম্পর্ক রয়েছে, আর সেজন্যই পৃথ্বী মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। দেখা যাক মীরা কি প্ল্যান করেছে এবং পরবর্তীতে কি হয়। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit