ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নভেম্বর স্টোরি ( পর্ব ৫ )

in hive-129948 •  6 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'নভেম্বর স্টোরি' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "knitting". গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, ওই মহিলাকে যারা খুন করেছিল তাদের একটা প্রমান পেয়েছিলো। এই পর্বে দেখা যাক কোন মোড় নেয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
নভেম্বর স্টোরি
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
knitting
পরিচালকের নাম
ইন্দ্রা সুব্রামানিয়াম
অভিনয়
তামান্না ভাটিয়া, বিবেক প্রসন্ন, নন্দিনী ময়না, আরুলদোস, নিশান্ত নাইডু ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯ মে ২০২১( ইউনাইটেড স্টেট )
সময়
৩০ মিনিট ( পঞ্চম পর্ব )
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মূলত অনুরাধা, তার বন্ধু সবাই যখন স্টেশন এর আশেপাশের সমস্ত সিসি ক্যামেরাগুলো হ্যাক করে, তখন তিনটি ছেলেকেই দেখতে পায়। আর এরাই তো সে হায়দ্রাবাদ থেকে ক্রাইম করে চেন্নাইয়ে আসে এবং এই মহিলার সাথে কোনোভাবে যোগাযোগ করে। এরপরে তারা যখন ওই অসুস্থ মেয়েটাকে সহ ট্যাক্সিতে তোলে, তখন সবাই ধরা খেয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তো একজনকে অলরেডি কেউ মেরে ফেলেছে। এখন ওখানে যতগুলো ফিঙ্গারপ্রিন্ট পেয়েছিলো, তার মধ্যে এই তিনজনের ছিল। তো একজন মারা গিয়েছে আর বাকি থাকে দুইজন। তবে এদেরও গাইড হিসেবে একজন আছে, যার কথামতো তারা চলে। এখন এই অফিসারগুলোর তো মাথা একপ্রকার খারাপ হয়ে যাচ্ছে, কারণ কাকে ধরবে আর কাকে ছাড়বে। এতজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এখন, বাকি তিনজনের দিকে এই ক্রাইম গেলেও আবার অনুরাধার বাবার দিকেও এই কাহিনী যাচ্ছে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

কিন্তু অফিসার সেটা নিয়ে না ভাবলেও বাকি কনস্টেবলগুলো বলতে থাকে যে, তাহলে গণেশায়ন অর্থাৎ অনুরাধার বাবাকেও গ্রেফতার করা যেতে পারে। কারণ যে ব্যক্তি ক্রাইম সম্বন্ধিত লেখক হতে পারে, সে তাহলে কেন মার্ডার করতে পারবে না। এখন এই নিয়ে সবাই মূলত একটা গোলটেবিল বসায়, যাতে এই কেসের কোনো একটা সুনির্দিষ্ট দিক খুঁজে পাওয়া যায়। এদিকে অনুরাধার অফিসে একটা ক্রাইম ফোল্ডার হ্যাক হয়ে যায়, সেটাও আবার তার ছাড়া রিকোভার করা যাবে না। এখন এই নিয়ে তার বন্ধুও একপ্রকার তার উপর অসন্তুষ্ট, কারণ অফিসের সব হ্যাক হয়ে যাচ্ছে আর সে এইসব বাদ দিয়ে সিসি ক্যামেরা হ্যাক করে বেড়াচ্ছে, এটা যদিও স্বাভাবিক, কারণ এতগুলো ক্রাইম ফোল্ডার পর পর হ্যাকিং হওয়া মানে একটা বড়ো ইমপ্যাক্ট পড়বে। তবে যে ফোল্ডারটা হ্যাক হয়েছে, সেটা পরে অনুরাধা এসে চেকিং করে দেখে যে, ১৬ নভেম্বর ১৯৯৬ সালের সেই কেসের ফোল্ডার।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এখন তার ধারণা যে, এই ফোল্ডার অর্থাৎ এই কেসের সাথে এই তিনজনের বা এই খুনের সাথে নিশ্চই কোনো কানেক্শন আছে। আর আরো একটা সমস্যা হলো যে, তার বাবা প্রতি বছরের এই তারিখটায় সেখানে যায়, যেখানে মার্ডার হয়েছিল, এর সাথেও কোনো যোগসূত্র আছে বলে তার ধারণা । তবে কেন যায় সেটা এখনো অনুরাধা নিজেও বুঝতে পারেনি। এখন এই তিনজনের একজনকে তুলে নিয়ে যে ব্যক্তি খুন করেছিল সেই ব্যক্তির ছবি কিভাবে ডাটা চেক করে অনুরাধা বের করে ফেলে। আর তার থেকে তাদ্যপ ব্যাপার হলো যে, ওই ছবিটি তার বাবাকে দেখানোর পরে সে অনেক খুশি হতে দেখা যায় , আর বলতে থাকে সে বেঁচে আছে। এর মানে এই লোকটার সাথে অনুরাধার বাবার একটা যোগ আছে আর সেই সাথে ওই অসুস্থ মেয়েটার সাথেও যাকে এই ছেলে মিলে রেফ করেছিল।এদিকে থানায় আবারো কিছু ফ্যাক্স আসে, যেমন এই যে মহিলা খুন হয়েছিল তার ইন্সুরেন্স এর বিষয়ে কিছু একটা পাঠিয়েছিল যেটার তথ্য এখনো ধোয়াঁশা সবার কাছে।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই ঘটনার এখনো সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়ে পারেনি যদিও, কিন্তু এর মাথা খুঁজে পেয়েছে। এখন কেসটা আস্তে আস্তে সল্ভের দিকে যাচ্ছে। তবে এই খুন করা বা এই যে ক্রাইম ফোল্ডারগুলো এক এক করে হ্যাক করা, সব বিষয়ের সাথে কানেকশন একটাই বা একজনেরই আছে বলে তাদের সবার ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখানে এখন এই প্রমাণটা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে যে, সেই একজনই কে হতে পারে। এদিকে ওই লোকটা একজনকে খুন করার পরে বাকি দুইজন ভয় পেয়ে যায় যে, তাদেরও মেরে ফেলবে। আর একজন অতিরিক্ত ভয় পেয়ে ফোন করে আর তাকে সবকিছু বলে দিতে রাজি হয় এবং ওই মেয়েটাকেও তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এখন সে আসলে তাকেও মেরে ফেলবে কিনা সেটাও একটা বিষয়। আর এখানেও একটা বড়ো ইস্যু হলো যে, যেটা বহু বছর আগের কেস, সেটা এতো বছর পরে এসে কেন হ্যাক করার প্রয়োজন পড়লো। সবকিছুর জটলা একটার মধ্যেই।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এতো দেখছি বিশাল জটলা লেগে গেছে। এখন কেমন করে এই জটলা খুলবে সেটাই বিষয়। এমন ডিটেকটিভ ওয়েব সিরিজ গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনি বেশ সুন্দর করে পর্ব ভিত্তিক এই সিরিজটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। যদিও এর আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি। তবে আজকে বেশ ভালো লাগলো।

দাদা, আজকে নভেম্বর স্টোরি ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্বটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে যদিও গত পর্বটা আমি মনে হয় মিস করে গিয়েছি। এজন্য একটু মিল খুঁজে পাচ্ছি না কোন কিছুর। তবে এটা বুঝতে পেরেছি যে, এই কেসটার কিছুটা মাথা খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কিন্তু পুরোপুরি সমাধান পাওয়া যায়নি। এদিকে আবার লোকটা একজনকে খুন করেছে বলে, অন্য দুইজনও দেখছি ভয় পেয়ে গেল। আবার তাদের মধ্যে একজন সবকিছু বলে দিতে রাজি হয়ে গেল। আবার দেখছি বহুবছর আগের কেস ‌‌ এত বছর পর হ্যাক করা হয়েছে। সবকিছু অনেকটা গোল মেলে মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পরবর্তী পর্বে বিষয়টা ক্লিয়ার হবো। এই ওয়েব সিরিজের পর্বটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

'নভেম্বর স্টোরি' ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। যেহেতু আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি তাই প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। তবে এটা বুঝতে পারছিলাম এটি বেশ দারুণ একটি ওয়েব সিরিজ। এখানে মূলত কেস সলভ করার বিষয়গুলোই তুলে ধরা হয়েছে। এই ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো কিন্তু বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা দারুন একটি ওয়েব সিরিজ রিভিউ তুলে ধরার জন্য। আমি সময় পেলে আগের পর্বগুলো পড়ার চেষ্টা করবো দাদা।

পুলিশেরা তো দেখছি বেশ ঝামেলায় পরেছে এই কেসটা নিয়ে। তবে আমার মনে হয় না অনুরাধার বাবা খুনটা করেছে। চেন্নাই থেকে পালিয়ে আসা সেই তিনটি ছেলে মনে হচ্ছে খুনটা করেছে। তবে অনুরাধার অফিস থেকে ক্রাইম ফোল্ডার হ্যাক হয়ে যাওয়াটা তো চিন্তার বিষয়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ এতো চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।