দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ২৬ )

আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে আপনাদের সাথে বনগাঁর আরো একটি স্থানের আলোকচিত্র শেয়ার করবো। তো হানা বাড়ি ওই প্যান্ডেলটি দেখার পরে এইরকমই দেখতে আরো একটা প্যান্ডেল দেখতে গিয়েছিলাম। এই প্যান্ডেলটি ছিল উদয়ন সংঘের। আর এই ক্লাবটি এইবার করেছিল-ভূতের কবলে বনগাঁ দখল। তবে এই ক্লাব এর পুজোটা আমি আগে কোনোবারই দেখিনি, কারণ তেমন একটা ভালো হয় না। তবে এইবার নাকি শুনলাম এই ক্লাবে বেশ ভালো চমক দিয়েছে, অর্থাৎ বাইরের আলোকসজ্জা আর ডিজাইন দেখে আমার কাছেও কিছুটা সেইরকম মনে হয়েছিল। আর সব থেকে মজার পুজো প্যান্ডেলটি বা এই থিমের বিষয়টা দেখার জন্য ভীষণ পরিমানে লাইন পড়েছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

প্রায় বলতে গেলে আনুমানিক ২ কিলোমিটার এর মতো লাইন। লাইনে দাঁড়ানোর কয়েক মিনিট পরে দেখলাম পিছনে আরো ৩০-৪০ জনের মতো লাইন হয়ে গিয়েছে। আমি তো ভাবছিলাম এইবার কি না কি করেছে যে, এতো ভিড় হচ্ছে। নিশ্চই কিছু না কিছু কারণে ভাইরাল হয়েছে, যার জন্য এতো লোকের ভিড় হচ্ছে। তো প্রায় প্যান্ডেলের মুখ পর্যন্ত যেতে ৩০ মিনিটের উপরে লেগেছিলো। তার মাঝে আরো কিছু লাইটিং এর ছবি তুলতে তুলতে আর দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম। বেশি লোকজন মনে হলে মনে হয় সেইটা অনেক সুন্দর হয়েছে, সেই তালে আরো বেশি লোকজন দাঁড়িয়ে পড়ে। আমার আসলে দেখার লিস্টের মধ্যে এই ক্লাব ছিলই না, লোক দেখে উজুগে পড়ে দেখতে গিয়েছিলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তা আসলে বাইরের থেকে মোটামুটি সাজিয়েছিল বেশ। মূলত বাইরের থেকে এই সাজানোর স্টাইল দেখে অনেক আকর্ষণীয় লাগছিলো বাস্তবে বলতে গেলে। তো সেই হিসেবে দেখতে দেখতে ঢুকলাম। আর ভিতরে ভূতের কান্ডকারখানা বিষয়টাও সেইরকম করেছে। গাছের আবডালে বা বিভিন্ন ভাবে সাজিয়েছিল। তবে এখানে এমনিতেই অন্ধকার মুডে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছে, কিন্তু যে লাইটিং ইফেক্ট দিয়েছিলো, তাতে কোনো ছবিই ঠিক উঠিনি, আর ভিতরে দাঁড়াতেই দিচ্ছিলো না। আর এখানে একটা মজার বিষয় হলো, কিছু মহিলাকে যে ভূতের অভিনয়ে সাজিয়েছে, তাদের দেখে একদমই কিন্তু তা মনে হয়নি অর্থাৎ তারা একদমই ফুটিয়ে তুলতে পারিনি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তবে এর পরে মায়ের মন্ডপটি করেছিল। তো সেখানে গিয়ে মায়ের দর্শন করার পাশাপাশি কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে চলে এসেছিলাম। আসলে বাস্তবে এতো লোকজন আর বাইরের যে সাজানোর ডিজাইন ছিল, তাতে করে দেখে সেইরকমই ভালো হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। একমাত্র মায়ের মন্ডপে মায়ের মূর্তিটা ছাড়া আর ভূতের যেসব কান্ড দেখিয়েছে, তা কিছুই ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। ভয় দেখানো তো দূরের কথা, মহিলাগুলো নিজেরাই লজ্জা পেয়ে হাসছিলো হা হা। তো আসলে একটা জিনিস বোঝা গিয়েছে যে, যে প্যান্ডেলে ভিড় বেশি সেটায় দেখতে তেমন ভালো হয় না , বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এই প্যান্ডেলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল, কারণ এতো সময় ধরে দাঁড়িয়ে যদি মনের মতো কিছু উপভোগ না করা যায়, তাহলে আর কি হলো।