রেসিপি: আলু, বেগুন দিয়ে সয়াবিনের নিরামিষ তরকারি ।। বাঙালি রেসিপি

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা নিরামিষ রেসিপি ভাগ করে নেবো। আজকে আমি আলু, বেগুন দিয়ে সয়াবিন এর নিরামিষ তরকারি রান্না করেছি। আসলে আজকে সকালে মাছ ছিল না তাই কি রান্না করবো ভাবতে ভাবতে সয়াবিন এর প্যাকেট চোখের সামনে পড়লো। আর সেই সাথে আলু বেগুন দিয়ে তৈরি করার পরিকল্পনা করে ফেললাম। ফটাফট ধরলাম আর ফটাফট কেটেকুটে শুরু করে দিলাম। নিরামিষ আমি বলতে গেলে তেমন খাইনা, বাড়িতে সবাই খায় কিন্তু আমার ইচ্ছা করে না। তবে মাঝেমধ্যে একটুআদ্দুক খেলে এই সয়াবিন না হলে পনির মেরে দিই। সয়াবিন আলু, বেগুনের সাথে খারাপ লাগে না একেবারে। আমি এটা একদম সিম্পিলভাবে তৈরি করেছি। আলু, বেগুনের স্বাদে সয়াবিন এর স্বাদটাও বেড়ে গিয়েছিলো। যাইহোক এখন আমি এই নিরামিষ রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।


♨প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:♨

❣উপকরণ
পরিমান
সয়াবিন
১ প্যাকেট
আলু
৫ টি
বেগুন
১ টি
পেঁয়াজ
৩ টি
কাঁচা লঙ্কা
১১ টি
সরিষার তেল
৩.৫ চামচ
লবন
৩ চামচ
হলুদ
৩ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


সয়াবিন, আলু, বেগুন, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


➤সয়াবিন বড়িগুলোকে প্রথমে জলে কিছু সময় ভিজিয়ে রেখেছিলাম নরম করার জন্য। এরপর আমি লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।

➤আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম। জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম।

➤বেগুনটি কেটে পিচ করে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি করে নিয়েছিলাম।

➤সয়াবিন বড়িগুলো নরম হয়ে গেলে জল থেকে তুলে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আলুর পিচগুলোও লাল মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে পেঁয়াজ ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম। ভাজা হয়ে গেলে তাতে কেটে রাখা বেগুনের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পেঁয়াজ এর সাথে হালকা নেড়েচেড়ে নিয়েছিলাম।

➤বেগুন দেওয়ার পরে তাতে ভাজা আলু দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে কাঁচা লঙ্কা আর ভাজা সয়াবিন বড়ি। এরপর স্বাদ মতো লবন ও হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤সব উপাদান একসাথে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর দিয়ে দিয়েছিলাম পরিমাণমতো জল।

➤তরকারিটা সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য ৮ মিনিটের মতো অপেক্ষা করেছিলাম।

➤আলু, বেগুন দিয়ে সয়াবিনের নিরামিষ তরকারিটা তৈরি হয়ে গেলে তাতে আমি জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এখন এই নিরামিষ তরকারিটা পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা,আপনি মাছ ছাড়াই তো সবজি রান্না করে পেল্লেন,অবশ্য নিরামিষ রান্নায় মাছ না দেয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা যেকোনো সবজি রান্না করলে মাছ ব্যবহার করি। খুব ভালো লাগলো দাদা,আপনার আজকের এই রেসিপিটি।

আলু বেগুন দিয়ে নিরামিষ তরকারি খুব ভালো হয়েছে। নিরামিষ তরকারি আমার খুব ভালো লাগে দাদা। এখানে পুষ্টি মান বজায় থাকে। রেসিপি ধাপে ধাপে আমাদের মন্তব্য স্থাপন করেছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রকৃতপক্ষে যদিও আমরা কেহ নিরামিষ পছন্দ করি না তারপরেও নিরামিষ কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং উন্নত এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

তবে সয়াবিন টা ঠিক চিনতে পারলাম না দাদা?? সয়াবিন বলতে কি বুঝিয়েছেন বুঝলাম না।

তবে পর্যায় গুলো ছিল একজন ইউনিক। অন্যান্য রেসিপি পোস্ট এর তুলনায় আপনার রেসিপি পোস্ট এর সাজানো ছিল অসাধারণ।

শুধু আলু বেগুন দিয়ে যে এভাবে সয়াবিনের নিরামিষ রান্না করা যায় তাইতো আমি জানতাম না ।আমি তো মনে করছি সয়াবিনের বড়ি শুধু মাছ মাংস দিয়ে খেতে হয় যদিও আমি কখনোই সয়াবিন খাইনি ।আপনার খাবারটা দেখতে অনেক মজাদার হয়েছে মনে হচ্ছে ।মাঝে মাঝে এরকম নিরামিষ খেতে খারাপ লাগে না ।তরকারির রংটা অনেক সুন্দর হয়েছে।

নাহ এখনো সয়াবিনের স্বাদ নেয়া হয় নাই, তবে আপনার রেসিপিটি দেখে কিছুটা কৌতুহল অনুভব করছি, একবার কিনে আনতে হবে, তারপর একইভাবে নিরামিষ করবো। যদি স্বাদ ভালো না হয়, তাহলে কিন্তু আপনার খবর আছে, হে হে হে।

খুবই মজাদার একটি রেসেপি শেয়ার করেছেন। আমার খুবই পছন্দের আমি বাসায় মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি কিন্তু আমার বাসার কেউ পছন্দ করে না এজন্য সব সময় খাওয়া হয়না। আপনার রান্না করার রেসিপি টি আমার কাছে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে আর মনে হচ্ছে যে এটা অনেক মজার হবে ধন্যবাদ আপনাকে।

ওয়াও দাদা,আপনি খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নিরামিষ রেসিপি সত্যিই অনেক সুস্বাদু।অনেক দিন আগে আমার পাশের বাসার এক দিদি রান্না করে আমাকে দিয়েছিলেন এতো সুস্বাদু ভাবে রান্না করেছেন।এখনো মুখে লেগে আছে সেই স্বাদ আর আপনার মত করে রান্না করেছিলেন। দাদা, সয়াবিন, বেগুন,আলু দিয়ে নিরামিষ রেসিপি কালার খুবই লোভনীয় লাগছে।দাদা, সত্যি কথা বলতে কি আপনি খুবই যত্ন সহকারে রান্না গুলো করে থাকেন।আপনার রান্নার পোস্ট গুলো দেখলেই বোঝা যায়। নিরামিষ রান্না করার প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুস্বাদু নিরামিষ রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আলু, বেগুন দিয়ে সয়াবিনের নিরামিষ তরকারি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সবজি দিয়ে সয়াবিন খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন দাদা। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার রেসিপি। অনেক মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

বাঙালিরা নিরামিষভোজী খেতে খুবই পছন্দ করে। আমার কাছে সবজি জাতীয় খাবার খুবই পছন্দের ।আপনি আলু ও বেগুন দিয়ে খুব সুন্দর একটি নিরামিষ রান্না করেছেন। যেটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।রান্নার প্রক্রিয়া টা অসাধারন ছিল দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আপনি অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আলু বেগুন দিয়ে সোয়াবিন নিরামিষ একটি রেসিপি। আপনার সয়াবিনের রেসিপি টি আমার কাছে ইউনিক। কারণ হচ্ছে আমি সয়াবিন কখনো খাইনি এবং সেটি খেতে কেমন তার স্বাদ কেমন সেটিও আমি জানিনা তাই আমার কাছে রেসিপিটি ইউনিক। আপনার রেসিপির কালার এবং কি ধাপ গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি খুবই সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এবং শিখে নিলাম একবার ট্রাই করে দেখবো খেতে কেমন মজা। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

আলু বেগুন দিয়ে সয়াবিনের নিরামিষ তরকারি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা। ‌ দেখতে খুব লোভনীয় ও সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার উপস্থাপনা ও অনেক সুন্দর হয়েছে। সয়াবিন আমাদের এই দিকে পাওয়া যায় না। তাই এর স্বাদ কখনো গ্রহণ করা হয়নি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

আলু বেগুন ও সয়াবিন দিয়ে তৈরি তরকারি দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। দেখতো একটু লোভ লেগে গেলো। জীবনে একবারই সয়াবিনের তরকারি খেয়ে ছিলাম। আমার বাসার লোকজন সয়াবিন খেতে একদমই পছন্দ করেন না। তাই বাসায় রান্না করা হয় না। কিন্তু আপনার এই রেসিপি দেখে সত্যিই আমার লোভ লেগে গেলো। রেসিপি উপকরণ গুলো বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধাপগুলো খুব চমৎকারভাবে একটির পর একটি সাহায্যে উপস্থাপন করেছেন। যে কেউ এটি দেখে রান্না করতে পারবে। আপনার এত সুন্দর একটি রেসিপি দেখে দেখে আমি অবশ্যই বাসায় রান্না করার চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে উপস্থাপন করার জন্য। ভালোবাসা রইলো আপনার প্রতি।

নিরামিষ আমারও ভালো লাগে না। তবে দাদা সপ্তাহে একদিন দুইদিন নিরামিষ স্বাস্থ‍্যের পক্ষে কিন্তু ভালো।

এই সয়াবিনটা কখনো খায়নি। তাই এর সঠিক স্বাদ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তবে রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন। এবং খুবই সুন্দরভাবে কিন্তু উপস্থাপন করেছেন দাদা।।

দাদা আপনার আজকের সয়া বড়ি দিয়ে নিরামিষ তরকারি রান্নার রেসিপি দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলে ডালের বরি খায় যদিও আমি প্রথমে খেতাম না তবে পরে খেয়ে দেখি খুবই মজার। সয়াবড়ি ও শুনেছি খুব মজা লাগে খেতে আপনার রান্নার রেসিপি কি দারুন লেগেছে দাদা আমার। ধন্যবাদ আপনাকে আজকের এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

পেঁয়াজ দিয়ে নিরামিষ। খিক খিক।

বেগুন দিয়ে সয়াবিন, ভিন্ন ধরনের মিশেল। তবে আমি যে পরিমানে বেগুন প্রেমী, বেগুন দেখে দেখে সবটা খেয়ে নেবো। 😛

আপনার বিষয়বস্তু খুবই আকর্ষণীয়, ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, ছবির একটি সুন্দর নিয়ে যাওয়া

দাদা আপনার রেসিপিটি নিরামিষ হতে পারে কিন্তু এ ধরনের তরকারি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার লাগে। আলু ,বেগুন এবং সয়াবিনের এ ধরনের অসাধারণ একটি রেসিপি উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।