পাতি কাঁকড়া দিয়ে লাউয়ের রেসিপি

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা ঘন্ট রেসিপি শেয়ার করবো। এই রেসিপিটা হলো লাউয়ের ঘন্ট রেসিপি, যা অনেকে লাউকে কদু বলে জেনে থাকে। এই কদু নামটা শুনতে বেশ মজার লাগে আমার কাছে। লাউ আমাদের বাঙালিদের কাছে একটি অতি জনপ্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত আর সুস্বাদুও বটে। লাউ একটা ঠান্ডা জাতীয় সবজি, এটি শীতকালীন হলেও গরমকালে বেশ আরাম পাওয়া যায় খেয়ে। লাউ সাধারণত তরকারি করে খাওয়া গেলেও ঘন্ট করে খাওয়ায় বেশি মজাদার লাগে আমার কাছে। তবে সে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, স্বাদ লাগবে আর তার পাশাপাশি অনেক পুষ্টিগুণও পাওয়া যাবে। লাবড়া করে খেতেও বেশ লাগে, যদিও আমার তেমন একটা খাওয়া হয় না লাবড়া, মাঝেমধ্যে বাড়িতে করলে খাওয়া হয়। লাউয়ের ডাঁটাতেও অনেক উপকার পাওয়া যায়, আর সাথে পাতাও শাক হিসেবে খাওয়ায় অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। যাইহোক, এই লাউয়ের ঘন্টটা করেছিলাম পাতি কাঁকড়া দিয়ে। পাতি কাঁকড়া এখন পাওয়া খুব সমস্যা, গণ মুখ না আসলে পাতি কাঁকড়া তেমন ওঠে না। অনেকদিন পাতি কাঁকড়া খাওয়া হয় না, সকালের দিকে একজন এক হাঁড়ি কাঁকড়া নিয়ে এসে ডাকাডাকি করছে তাই ভাবলাম দেখে আসি মরা না জীবিত। দেখলাম সব ভালোই আর পাতি কাঁকড়াগুলোর সাইজ মোটামুটি খারাপ ছিল না। পরে বাড়িতে কাটার পরে দেখলাম ঘিলু, শাঁস ভালোই হয়েছে, আর কাঁকড়ায় এইগুলো থাকলে সবজির সাথে খেতে আরো বেশি টেস্ট লাগে। যাইহোক এখন এই লাউ সবজির ঘন্ট রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।


✠প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✠

❦উপকরণ
পরিমাণ❦
পাতি কাঁকড়া
৫০০ গ্রাম
লাউ
১ টি ( পুরোটা )
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৯ টি
কালো জিরা
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৩.৫ চামচ
হলুদ
৩ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


পাতি কাঁকড়া, লাউ, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা


কালো জিরা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❣এখন ঘন্ট রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


❂প্রস্তুত প্রণালী:❂


➤কাঁকড়াগুলো মা কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলো। এরপর আমি লাউটা কেটে কয়েকটা খন্ড করে খোসাগুলো ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে পিচ করার পরে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখে দিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ দুটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে কেটে রেখেছিলাম। এরপর একই সাথে লঙ্কাগুলো কেটে রেখেছিলাম।

➤প্যানে অল্প করে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে পরে একটু জল দিয়ে হলুদ এবং লবন অল্প করে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পাতি কাঁকড়াগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤পাতি কাঁকড়াগুলো কিছুক্ষন ধরে ভাজা হওয়ার জন্য প্যানে দিয়ে রাখলাম এবং ভালো মতো ভাজা হয়ে গেলে কাঁকড়া সব তুলে নিয়েছিলাম।

➤কাঁকড়া ভাজা হয়ে যাওয়ার পরে প্যানে তেল দিয়ে গোটা কালো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর জিরা সামান্য ভাজা করে নিয়ে তাতে কেটে রাখা লাউ পুরোটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤লাউ দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা কাঁকড়া দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ এবং লঙ্কা ধুয়ে নিয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ এবং লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর লাউয়ের সাথে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিক্স করে হালকা একটু জল দিয়েছিলাম।

➤জল দেওয়ার পরে প্যানটি ঢেকে দিয়েছিলাম কিছুক্ষনের জন্য যাতে লাউ ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসে। এরপর লাউ ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা তুলে নিয়েছিলাম।

➤ঢাকনা তুলে নেওয়ার পরে একটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ঝোলটা জ্বাল দিয়ে একেবারে কমিয়ে আনার জন্য আরো কিছুক্ষন দেরি করলাম।

➤ঝোলটা কমে গেলে আমার লাউয়ের ঘন্ট তৈরি হয়ে গেছিলো। এরপর লাউ আর কাঁকড়ার ঘন্ট পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পাতি কাঁকড়া দিয়ে লাউ রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে এই পাতি কাঁকড়ারা দিয়ে কখনো আমি রেসিপি তৈরি করিনি। আপনার মাঝেমধ্যে আমি কাঁকড়া রেসিপি দেখি, সেগুলো দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হয়। তবে লাউ দিয়ে আজকের রেসিপিটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই পাতি কাঁকড়া খুব একটা পাওয়া যায় না। তারপরেও আপনি মজাদার কাঁকড়া দিয়ে লাউ রেসিপি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। মজাদার রেসিপি খুবই সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।কারণ এই রেসিপি পরিবেশন দেখে আমরাও শিখতে পারলাম।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ওয়াও দাদা,পাতি কাঁকড়া দিয়ে লাউয়ের রেসিপির কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে। সবজির সাথে কাঁকড়া দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায় সেটা আগে জানা ছিল না। এমনিতে ছোট কাঁকড়া ভেজে অনেক খেয়েছি, আর বড় কাঁকড়ার স্যুপ খেয়েছি অনেকবার। তবে সবজির সাথে রান্না করে কাঁকড়া কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে একেবারে ইউনিক লেগেছে। যাইহোক এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

লাউ একটা ঠান্ডা জাতীয় সবজি, এটি শীতকালীন হলেও গরমকালে বেশ আরাম পাওয়া যায় খেয়ে।

দাদা, আপনি যথার্থই বলেছেন, লাউ শীতকালে খেতে যতটা ভালো লাগে, ঠিক ততটাই ভালো লাগে গরমকালে খেতে। কেননা লাউ ঠান্ডা জাতীয় সবজি,যার কারণে গরম কালেও এর জুড়ি মেলা ভার। তবে দাদা কাঁকড়া দিয়ে লাউ সবজি রেসিপি, এই প্রথম আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম। আর রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, পাতি কাকড়া দিয়ে লাউ এর রেসিপি খেতে কতটা মজার হয়েছে।যদিওবা কাকড়া কখনো খাওয়া হয়নি, তবে আপনার রেসিপি দেখে বেশ লোভ যাচ্ছে। মনে হচ্ছে খেতে পারলে খুব ভালো লাগতো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা খুবই সুস্বাদু ও মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

কথায় আছে যার নাম লাউ তারই নাম কদু 😅। কদু নামটা শুনতে অনেক ভালো লাগে। লাউ সবার কাছেই খুবই প্রিয় সবজি। লাউ চিংড়ি খেয়েছি অনেক। তবে লাউ দিয়ে পাতি কাঁকড়া রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। কাঁকড়া কোনদিন খাওয়া হয়নি। আমার মনে হয় এটা খেতে অনেকটা চিংড়ি মাছের মত হবে। আসলে যেই খাবারটি কখনো খাওয়া হয়নি সেটার টেস্ট বোঝার জন্য অবশ্যই একদিন খেয়ে দেখতে হবে। আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুন ছিল। লাউ শাকের ডাটা এবং লাউশাক সত্যি পুষ্টিগুনে ভরপুর। আর সেই সাথে শীত কিংবা গরম দুই সিজনেই লাউ খেতে ভালো লাগে। লাউ ভাজি, সবজি কিংবা মাছের সাথে খেতে ভালো লাগে। পাতি কাঁকড়া দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। লাউ দিয়ে এই রেসিপি নিশ্চয়ই খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। আর তরকারির কালারই বলে দিচ্ছে খেতে একবারে দারুন হয়েছিল এবং খাওয়াটাও বেশ জমে গিয়েছিল।

পাতি কাঁকড়া দিয়ে লাউ এর রেসিপি দেখে তো জিভে একেবারে জল চলে এসেছে। যদিও এভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করে আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি কিন্তু আজকে বেশ ইউনিক এবং লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এরকম ইউনিক এবং লোভনীয় রেসিপি গুলো দেখলে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে এই পুরো রেসিপিটি। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশনটাও জাস্ট অসাধারণ ছিল। পরিবেশনটা ও আপনি খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন তাহলে। খুবই মজা করে খেয়েছেন তাহলে।

আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন লাউ একটা ঠান্ডা জাতীয় সবজি, এটি শীতকালীন সবজি হলেও গরমকালে খেলে বেশ ভালোই আরাম পাওয়া যায়। আসলে লাউকে সবাই কদু বলে থাকে। আমার কাছেও এই নামটা বেশ মজার লাগে। আপনি বেশ সুস্বাদু এবং লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন দেখছি। এরকম মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপিগুলো খেতে যেমন ভালো লাগে তৈরি করতে আমার কাছে তার থেকে বেশি ভালো লাগে। তৈরি করার পদ্ধতি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন যা দেখে যে কেউ খুবই সহজে এটি তৈরি করতে পারবে। আপনার সম্পূর্ণ রেসিপি বেশ ভালোই ছিল বলতে হয়।

লাউ অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি। এবং এটা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। যদিও আমি কাঁকড়া কখনো খাইনি। তবে কাঁকড়া নিয়ে আপনার অনেক রেসিপি দেখেছি। লাউ এবং কাঁকড়ার রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

দাদার বাড়িতে কোন ফেরিওয়ালা আসলে খালি হাতে ফেরায় না। লাউ মানে কদু,কদু মানেই লাউ।🤣।কাকড়া কখনো খাওয়া হয়নি।লাউ দিয়ে কাকড়া দিয়ে কেমন স্বাদ আমার জানা নেই। মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হবে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে

দাদা পাতি কাঁকড়া দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। মাঝে মাঝে মাছ, কাঁকড়া এগুলো নিয়ে আপনাদের বাড়ির আশে পাশে ডাক পারে, এটা ভাল একটি সুবিধা। বাজারের জিনিষ বাড়ির পাশে পেয়ে যান। আজকে আমাদের বাসায়ও লাউ রান্না করা হয়েছে,লাউ বা কদু মিয়াকে খেতে ভালই লাগে,হি হি হি। দাদা লাউয়ের লাবড়া কখনো দেখি নাই। লাবড়া নিয়ে একটি রেসিপি আশা করি। ধন্যবাদ দাদা।

লাউ ভীষণ পুষ্টিকর এবং ঠান্ডা একটি সবজি। আমি তো সবসময়ই লাউ খেতে পছন্দ করি। তবে কখনো কাঁকড়া দিয়ে এভাবে খাওয়া হয়নি। আর আপনিও বেশ কিছুদিন পর কাঁকড়া খেয়েছেন বলছিলেন।
আমি মাঝে মাঝে মসুরের ডাল দিয়ে সবজি রান্না করে খেতে পছন্দ করি, এটা ভীষণ সুস্বাদু খেতে।
ধন্যবাদ দাদা এই চমৎকার রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

আগে মানুষ লাউকে কদু বলতো। এখনকার দিনে আর মানুষ কদু বলে না। সবাই লাউ ই বলে। কদু নামটা কেমন যেন। এজন্য হয়তো মানুষজন এই নামে আর ডাকে না ।আমার কাছে অবশ্যই লাউ শীতকালে খেতেই ভালো লাগে। শীতকালে কচি লাউ পাওয়া যায় সেগুলো রান্না করলে একদম গলে যায়। কাঁকড়া যদিও আমি কখনো খাইনি, কিন্তু আপনার কাঁকড়া রান্না দেখে খেতে ইচ্ছা করে। আজকে লাউ দিয়ে যে সুস্বাদু করে কাঁকড়া রান্না করেছেন গরম ভাতের সঙ্গে খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা লেগেছিল। তাছাড়া লাউগুলো অনেক ভাল ছিল বোঝা যাচ্ছে। একদম গলে গিয়েছে। রেসিপির কালার দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আশেপাশে হলে গিয়ে খেয়ে আসতাম দাদা । একদিন কাকড়া খাওয়ার দাওয়াত দিয়েন আপনার বাসায়।

অনেকে লাউকে কদু বলে জেনে থাকে

আমি তো মনে করতাম লাউ আর কদু আলাদা সবজি।

তবে আমার কাছে শীতকাল বা গরম কাল কোন ব্যাপার না। চিংড়ি মাছ দিয়ে বা কাঁকড়া মাছ দিয়ে লাউ তৈরি করলে আমি সবসময় খেতে পারব। আমার খুবই পছন্দের একটা আইটেম এটা।

তোমার রেসিপিটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে এবং রান্না করার পর দেখে এত আকর্ষণীয় লাগছে, মনে হচ্ছে গিয়ে খেয়ে আসি। হা হা হা... উপস্থাপনাও অসাধারণ সুন্দর ছিল।

দাদা আপনি দেখছি সিম আলু এবং মাছ দিয়ে খুব সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে শীতের সবজির মধ্যে সিম আমার ভীষণ প্রিয়। আবার সিমের থেকেও সিমের বিচি আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। অবশ্য শীত চলে গেলে পরে আর সিমের বিচি পাওয়া যায় না। একসাথে কতগুলো সিমের বিচি কিনে রেখেছেন এটাই ভালো হলো। শুকনো সিমের বিচি গুলো অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। এভাবে সবকিছু একসাথে করে রান্না করলে বেশ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি খুব দুর্দান্ত হয়েছে।

লাউ খুবই ঠান্ডা সবজি। এই সবজি শরীরকে ঠান্ডা রাখে সেই জন্য গরমকালে বেশ আরাম পাওয়া যায় এই সবজি খেয়ে। পাতি কাঁকড়া এখন পাওয়া সত্যিই দুষ্কর একটা ব্যাপার হয়ে গেছে। লাস্ট কবে পাতি কাঁকড়া খেয়েছি তা এখন মনে নেই। আপনার আজকে শেয়ার করা পাতি কাঁকড়া দিয়ে লাউয়ের রেসিপিটি বেশ ভালো লাগলো। এমন করে লাউ কাঁকড়া রান্না করলে বেশ সুস্বাদু হয় তরকারি।

লাউ শীতকালীন সবজি হলেও এটি সব সময় খেতে ভালোই লাগে। কারণ এটি খেলে পেটের আরাম পাওয়া যায়, হাহা।আমাদের ঘরের পাশেই একটা লাউ গাছ লাগানো হয়েছে, আর সেই লাউ গাছ থেকে আমরা অনেকগুলো লাউ খেয়েছি। তার পাশাপাশি লাউ শাক তো রয়েছেই সেগুলোও এখন খাওয়া হয়। তবে আমরা সব সময় লাউ চিংড়ি বা অন্যান্য মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। তাছাড়া আবার লাউ ভাজি বা ডাল দিয়ে রান্না করেও খাওয়া হয়েছে। কিন্তু কখনো কাঁকড়া দিয়ে এভাবে ঘন্ট করে খাওয়া হয়নি। কারণ আমাদের এই দিকে কাঁকড়া খাওয়া হয় না তেমন একটা। তাছাড়া আপনি বাড়ির সামনে থেকে পাতি কাঁকড়া কিনেছেন আর ভালই হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগছে। তবে রেসিপিটা দেখে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। যদিও কাঁকড়া আর লাউ দুটো কখনো একসাথে পাবো কিনা জানিনা। তবে যদি কখনো পাই তাহলে এভাবে তৈরি করার জন্য বলব। আপনার রেসিপি তো আর চেক করে দেখতে পারবো না,তবে রেসিপিটি দেখতে পেলাম রান্না করতে সুবিধা হবে। সুযোগ হলেই এভাবে একদিন তৈরি করতে বলবো।

সত্যিই দাদা,কদু নামটা শুনতে বেশ মজা লাগে আর সেই ডুগডুগি গানের কথা মনে পড়ে।☺️☺️দাদা আপনি শুধুই পাতি কাঁকড়ার লোভ দেখান।এভাবে একা একা খেয়ে নিলে আপনার পেটে ব্যথা হবে বলছি।এই বোনের খাওয়ার জন্যও কিছু পাঠিয়ে দিন।লাউ খুবই ভালো সবজি ,পেটকে ঠান্ডা রাখে।গরমের সময় লাউ খেতে দারুণ লাগে।তাছাড়া কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে লাউ ঘন্ট দারুন জমবে।আপনার রেসিপিটা সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ দাদা।

দাদা ভাল আছেন আশাকরি। আপনি আজকে পাতি কাঁকড়া দিয়ে লাউ রান্না করলেন। রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে বলতে পারি। কারন কাঁকড়া খেতে চিংড়ি মাছের মতোই। যদিও আমি কখনো খাইনি।কিন্তু চিংড়ি দিয়ে লাউ বেশ মজার হয় খেতে। তাই কাঁকড়া দিয়েও ভালো হয়েছিল বলা যায়। আপনি দারুনভাবে রান্নার ধাপগুলো তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।