হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "প্ল্যান বি"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, অপারেশন এর পূর্ব মুহূর্তে গুলি চালানো শুরু হয় উভয় পক্ষ থেকে। এই পর্বে বিষয়টা দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
তো এরপরে আজগর নবী পরিবেশ ঠিক হওয়ার পরে আবার পুনরায় অপারেশন এর কাজ শুরু করে দেয়। তবে সে ভয়ে একপ্রকার কাঁপতে থাকে আর হাতও থরথর করে কাঁপতে থাকে। এই অবস্থায় অপারেশন এর কাজ করতে গেলে বিপদ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে প্রথমে সিরিঞ্জ তার পিঠের হাড়ের সোজা প্রবেশ করিয়েছিলো কিন্তু সেটা বাঁকিয়ে ফেলে। আর হাতে ছিল একটা, এক্সট্রা হিসেবে আনিয়ে রেখেছিলো। দ্বিতীয়টা দিয়ে সাকসেসফুল হয় এবং পরে পৃথ্বীর ওয়াইফ এর শরীরে ট্রান্সপ্লান্ট এর কাজ করা হয়। কোনোরকম ব্যবস্থা ছাড়া এইরকম একটা ক্রিটিকাল অপারেশন করা খুবই চাপের ছিল সেখানে। তবে যাইহোক, সেটা সাকসেসফুল করতে পেরেছে এটাই অনেক। এখন বাইরে পুলিশ অফিসাররা তো তাদের এই বিনা পারমিশনে গুলি চালানোর জন্য তাদের সিনিয়র ক্ষেপে যায়। আর সেখানে যদিও এই সিচুয়েশনটা তারা হ্যান্ডেল করার জন্য আয়েশা তাদের সাথে কথা বলতে চায় অর্থাৎ সরাসরি।
তারা যে স্যালেন্ডার করতে চায় না কি করতে চায় সেটা সামনাসামনি বসে একটা ফয়সালা করতে চায়। কিন্তু তার আগে আজগর নবীকে বাইরে তারা আবার পাঠিয়ে দেয় আর তাকে জেরা করতে চায় অর্থাৎ ভিতরে কি কি হয়েছে বা তাদের কাউকে চিনতে পেরেছে কিনা এইসব। তবে আজগর নবী তাদের তেমন বিস্তারিত কিছুই বলেনি, বরং শুধু বলেছে যে আইডেন্টিফাই করতে পেরেছে। কিন্তু আজগর একটা নিউজ ইচ্ছা করে মিডিয়ার সামনে দিয়েছে যাতে পুলিশদের বোকা বানাতে পারে। কিন্তু এটা দেখে ভিতরে আর সবাই তো রেগে যায় যে, আজগর বেইমানি করে সব কথা তাদের জানিয়ে দিয়েছে। আসলে এটা একটা প্ল্যান ছিল তার। তবে এখন পৃথ্বী প্ল্যান বি তে অগ্রসর হওয়ার চিন্তা করছে অর্থাৎ ওখান থেকে বাইরে কিভাবে বেরোনো যায়। তবে সেখানে একটি জায়গায় আন্ডার কনস্ট্রাকশন এর বিল্ডিং দেখতে পায় আর তার ব্লু প্রিন্ট নিয়ে দেখে কোনো জায়গা দিয়ে বেরোনোর পথ আছে কিনা।
তবে একটা টানেলের খোঁজ পায়, কিন্তু ওই টানেল আদৌ খোলা আছে না বন্ধ আছে সেটা অনিশ্চিত। তবে পৃথ্বী ওটা দিয়েই যেতে রাজি হয়। কিন্তু ওই হাউসের একটা জায়গায় কোনো স্নাইপার এর গার্ড ছিল না, আর ওখানেই বাধ্য হয়ে কয়েকজনকে পাঠিয়ে দেয়। তবে এর আগে এই আয়েশা তার সাথে সরাসরি কথা বলতে যায়, আর তারা শর্ত রাখে যে তাদের এয়ারপোর্ট যাওয়ার জন্য একটা গাড়ি দিতে হবে আর সমস্ত ডিটেইলস যেন পাইলটের কাছে পৌঁছিয়ে যায় অর্থাৎ তারা যেন গিয়েই ফ্লাইট ধরতে পারে এইরকম একটা শর্ত রাখে। তবে আয়েশাও তাদের কাছে শর্ত রাখে যে একজন হোস্টেজকে ছেড়ে দিতে হবে। আর পৃথ্বী নার্সকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর পৃথ্বী জানালা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে সেই টানেলের বিষয়টা দেখার জন্য।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই প্ল্যান বি তাদের সম্ভবত সফল করতে পারে এখান থেকে বেরিয়ে যেতে। তবে যতদূর বোঝা গেলো যে, এয়ারপোর্ট পৃথ্বী আর তার শালা যাবে। কারণ তাদের কাছে শর্ত এটাই ছিল যে, যদি তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে সব হোস্টেজকে ছেড়ে দেবে। তার প্রমান স্বরূপ তাদের কাছে নার্সকে আগে নিয়ে নেয়। এদিকে যখন পৃথ্বীর ওয়াইফ এর শরীরে ট্রান্সপ্লান্ট করানো হয়ে যায়, তখন মুখ্যমন্ত্রী তার সাথে সজ্ঞানে আসার পরে ভালো ভালো কথা বলতে লাগে আর তাতেই পৃথ্বীর ওয়াইফ এর মন নরম হয়ে যায় আর তার বাঁধন খুলে দেয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তো শয়তানি মনোভাব নিয়ে আছে, যে একবার এখান থেকে ছাড়া পেলে সবাইকেই দেখে নেবে। এরপর তার ওয়াইফ এর গলায় তো ছুরি ধরে। এখন সে বাইরে যাবে না কোনো ব্ল্যাকমেল করবে সেটা দেখার বিষয়।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৯/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit