ওয়েব সিরিজ রিভিউ- ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ ( সিজন ১: পর্ব ১ )

in hive-129948 •  15 days ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির সিজন ১ এর প্রথম পর্ব রিভিউ দেব। প্রথম পর্বের নাম হলো "এ ডার্ক নাইট"। তাহলে দেখা যাক এই সিরিজটির প্রথম পর্বের কাহিনী কিভাবে শুরু হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
এ ডার্ক নাইট
পরিচালকের নাম
রোহান সিপ্পি
অভিনয়
পঙ্কজ ত্রিপাঠী, শ্বেতা বসু প্রসাদ, পূরব কোহলি, স্বস্তিকা মুখার্জি, আত্মপ্রকাশ মিশ্র ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৬ আগস্ট ২০২২( ইন্ডিয়া )
সময়
৪৪ মিনিট ( প্রথম পর্ব )
অরিজিনাল ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

শুরুতেই দেখা যায় যে, গোয়ার একটি হোটেলে একটা ফ্যামিলি কিছুদিনের জন্য শিফট হয় এবং ওখানে একজন মা তার মেয়েকে সকালে উঠে হঠাৎ খুঁজে পায় না। এরপর না পেয়ে তার ছেলেকেও ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করে। এখানে এই কাহিনীটার সূত্রপাতের যদি একটু ব্যাক-এ যাওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে যে, যে মেয়েটির হারিয়ে যাওয়ার কথা বললাম, আসলে এই মেয়েটির বয়স অনেকটা কম, তবে মেয়েটি একজন বড়ো অভিনেত্রী। বলা যায় কম বয়সে ষ্টার হয়ে গিয়েছিলো। এখন প্রায় তার বাড়িতে ইন্টারভিউ এবং নানা শুটিং এর বিষয়ে আলোচনা চলতো। তবে তার ভাই মুকুল আবার তাকে বেশি একটা পছন্দ করতো না। কারণ তার থেকে তার বোনকে একটু বেশি ভালোবাসা দিতো তার বাবা-মা।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

আর মুকুলের এমনিতেই একটু ড্রাগ এর নেশা রয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে ড্রাগ নিতো সে। একদিন বাড়িতে একটা কন্ট্রাক্ট আসে যে, শুটিং এর জন্য তাদের গোয়া যেতে হবে, মূলত শুটিংটা ওখানেই হবে। তার পরেরদিন সকালে সবাই গোয়া রওনা দেয় নিজস্ব গাড়ি করে এবং সেখানে ওকল্যান্ড নামের একটি হোটেলে তারা ওঠে। ওখানে যেতেই শুটিং এর লোকজন তোড়জোড় শুরু করে দেয় এবং তারা আবার বাইরে ওখানে ল্যান্ড কেনার প্ল্যানও করে। এদিকে মুকুলের এই সব বিষয়ে কোনো ইন্টারেস্ট নেই, তার একটাই লক্ষ্য থাকে আর ড্রাগ নিয়ে আসা। কারণ বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে সেই ড্রাগ সাপ্লাই এর লোকটার সাথে কথা বলেই আসে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মূলত মুম্বাইতে সে যার কাছ থেকে ড্রাগ নিতো সেই দিয়ে যেত বিভিন্ন মাধ্যমে। পরে না পেতে লাগলে মেইন যে সোর্স তার সাথেই কন্টাক্ট করে। এরপর গোয়া যাওয়ার পরে তার বাবা ল্যান্ড এর জন্য যে পয়সা রেডি করেছিল, তার থেকে টাকা নিয়ে সমুদ্রের পাশে একটি কনস্ট্রাকশন এর কাজ চলছিল এবং সেখানে গিয়ে সেই লোকটার কাছ থেকে ড্রাগ নিয়ে আসে। ধীরে ধীরে ড্রাগ এর প্রতি তার নেশাটা বেড়েই যায় এবং প্রায় ১-২ দিন অন্তর অন্তর ড্রাগ কেনা লাগতো। শুধু ড্রাগও না, সিগারেট এর প্রতিও নেশাটা ছিলো। এরপর মুকুলের বোন জারা এবং তার বাবা-মা সবাই একটি গ্রান্ড পার্টিতে যায়। এরপর ওখানে জারার সাথে সবাই ছবি তোলা এইসব করতে থাকে, তখন ওখানে মুকুল আবার কয়েকজনের সাথে এই ড্রাগ এর বিষয়ে ডিল করে অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে তাদের কাছেও বিক্রি করতে চায়।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এদিকে জারার সাথে তার এক বন্ধুরও ওখানে দেখা হয়। আর ওখানে সবাই তাকে একটি পার্টিতেও আসার জন্য বলে। ওখানে পার্টি বলতে মদ, সিগারেট, হিরোয়িন ইত্যাদি এইসব এর সাথেই আর কি। মুকুলও ইনভাইটেড ছিল ওখানে। ওইদিন রাতে দুইজনেই বেরিয়ে যায় আলাদা আলাদা সময়ে। মুকুল এটা জানতো না যে, তার বোনও ওখানে যাবে। এরপর ওখানে মুকুল যতক্ষণে তাকে দেখতে পায়, ততক্ষনে তার নেশায় অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এরপর কাহিনীটা প্রথমে যেখানে শুরু হয় অর্থাৎ তার মা তাকে যখন ঘুম থেকে ডেকে বলে জারাকে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। তখন তাকে বলতে বলে সে কথায়, কারণ বাইরে গার্ড এর কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, তারা দুইজনেই কাল রাতে বেরিয়ে গিয়েছিলো। এদিকে জারার আবার সকালে শুটিং ছিল। অথচ তাকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

আসলে জারা মেয়েটি প্রথমে এতে রাজিই হয়নি, কারণ পরেরদিন শুটিং তাই। এখন সবাই তাকে উপহাস করতে লাগলে, তখন কিছুটা রেগে গিয়ে রাজি হয়। কিন্তু আসলে যে জানতো না যে, সে ড্রাগ এর ফাঁদে পড়ে যাবে। যে নিয়ে গিয়েছিলো, সেই তাকে ড্রাগ দিয়েছিলো ড্রিংক এর সাথে। এদিকে এই বিষয় নিয়ে একটা বড়ো ইস্যু তৈরি হলে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর তারা এসে সবার কাছেই মোটামুটি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপর ওর ফ্রেন্ড সার্কেল অর্থাৎ ওই পার্টিতে যারা যারা উপস্থিত ছিল, সবার কাছেই জিজ্ঞাসা করে। এরপর একজন বলে মুকুলকে জারা ওই পার্টিতে ধাক্কা দিয়ে জলে ফেলে দিয়েছিলো এবং পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর একজন দেখে জারাকে টেনে মুকুল গাড়ি তুলছে, ওখানকার সিসি ক্যামেরাতেও একই বিষয় দেখা যায়।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে একটা নতুন ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই ওয়েব সিরিজের সিজন ১ এর প্রথম পর্ব খুব ভালো ছিল। জারা মেয়েটি তো রেগে গিয়ে তারপর রাজি হয়েছিল। তবে ড্রিংক এর সাথে ড্রাগ দেওয়ার বিষয়টা সত্যি অনেক খারাপ ছিল। এরকম ইস্যু গুলো নিয়ে তো বড় কিছু হবেই। যাইহোক এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা, এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য।

দাদা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্বের রিভিউ পড়তে। এই ওয়েব সিরিজটার কাহিনী অনেক সুন্দর। আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছে। মেয়েটাকে এরকম ভাবে ড্রাগস দেওয়ার বিষয়টা আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে। এটা অনেক মারাত্মক একটা জিনিস। প্রথম পর্বটা ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম এখন।

দাদা আজকে আপনি চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার ওয়েব সিরিজ রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি ওয়েব সিরিজ রিভিউটি সরাসরি দেখতেছি। আপনার প্রতিটি রিভিউ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

এরপর একজন দেখে জারাকে টেনে মুকুল গাড়ি তুলছে, ওখানকার সিসি ক্যামেরাতেও একই বিষয় দেখা যায়।

তাহলে তো মনে হচ্ছে মুকুল জারাকে কোথাও রেখে এসেছে। আপন ভাই হয়ে মুকুল এমন একটা কাজ করতে পারলো। আসলে যারা ড্রাগস নেয়,তারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। তারা আপন পর কারোরই তোয়াক্কা করে না। জারার জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগলো। কারণ সে তো ড্রাগস নিতে চায়নি। কিন্তু সে পরিস্থিতির শিকার। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্বের রিভিউ পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।