রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবাদের গুঞ্জন

in hive-129948 •  3 months ago  (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


copyright free image source: pixabay

আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। আজকে মূলত যে বিষয়ের উপরে লিখবো, সেটা হলো আমাদের এখানে বর্তমানে একটি মারাত্মক খারাপ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেটা তো আপনারা সবাই মূলত জেনে গিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। আসলে আর.জি.কর এর এই ঘটনাটা খুবই মর্মান্তিক ছিল সবার কাছে, যেটা আসলে অপরাধ না বলে যদি এর থেকেও আরো কিছু থাকতো তাহলে সেটা বললেও ছোট করে বলা হয়ে যেতো । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, যেটা মূলত নারীদের অধিকার বা নিরাপত্তা নিয়ে। আসলে এইরকম পরিস্থিতি আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আজ রাজ্যের কোনো ঘরে মা, বোন, বাবা যাই বলুন না কেন কেউই ঘরে বসে নেই, সবাই আজ অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে।

তারা রাত দখলের জন্য রাস্তায় প্রতিবাদ করেই যাচ্ছে, তবে এটা তারা শান্তিপূর্ণভাবেই করছে। কারণ আমি গতদিন রাতে বাড়ি আসার সময়েই দেখলাম, রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাস্তায় হাজারে হাজারে মানুষ, আর সাথে অনেক ডাক্তার, নার্সরাও ছিলেন। তারা মূলত ব্ল্যাক ড্রেস পরিহত করেছেন এই মুহূর্তে। আসলে এই ঘটনাটা সমস্ত ডাক্তার এবং নার্সদের কাছেও জঘন্য আর ঘৃণিত একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে একটি মেয়ের জীবনে কত স্বপ্নই না থাকে, তেমনি এই মেয়েটার ডাক্তারি পেশা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল, তাছাড়া তার জীবনকে নতুন করে সাজানোরও একটা স্বপ্ন নিয়ে ছিল। সমস্ত সূত্রে জানা গিয়েছিলো তার এই বছরেই পুজোর পরেই বিয়ে ঠিক করা ছিল। তাহলে ভাবুন, একটা মেয়ের সমস্ত স্বপ্ন একটি রাতে নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। আর সে ভাবতেও পারেনি যে, এইরকম ঘটনা তার সাথে ঘটে যাবে। আসলে দুনিয়ায় কিছু কিছু এতো নরপিশাচ ভরে গিয়েছে যে, সেটা বলার মতো না।

ওইদিন রাতে কতগুলো পিশাচ ছিল সেখানে, যাদের আসলে কোনো ভাষায় বলে বোঝানোর মতো না, কিভাবে করতে পারে! স্বাধীনতার মাসে এইরকম ঘটনা প্রতিটা মেয়ের কাছে যেন একটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। আসলে এইধরণের কর্মকান্ডে আইনি ব্যবস্থা কঠিন না হলে এইরকম ঘটনা আসলে ঘটতেই থাকবে, এর আসলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনলে এই ধরণের কর্মকান্ড থামবে না। অন্তত যাতে কোনো মেয়ের গায়ে হাত দেওয়ার আগে ১০ বার ভাবতে বাধ্য হয়, এইরকম শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত আসলে আমার মতে। আসলে মেয়েটার উপর যে ধরনের অত্যাচার হয়েছিল, তাতে তার উপর অন্যান্য কারণেও অনেক রাগ ছিল। সেটা আসলে অনেক কারণ আছে, ভিতরের বিষয় আমি আর এখানে তুলতে চাচ্ছি না, কারণ আপনারা সেইসব বিষয় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন। অনেক বিষয় আসলে ফাঁস হয়েছে। তবে এই হসপিটালের ভিতরে অনেকেই এর সাথে জড়িত ছিলেন, নাহলে এতো বড়ো হসপিটালে এটা বাইরের কারো করার সাহস থাকতো না।

আজ আসলে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের প্রতিবাদ তুলেছে, আজ যদি না প্রতিবাদ করে, তাহলে আগামীতেও অন্য কারো সাথে এই ঘটনা ঘটতে পারে। গতকাল রাতে দেখছিলাম একটা ৬-৭ বছরের বাচ্চা মেয়েও পর্যন্ত 'বিচার চাই' বলে চিৎকার করতে করতে যাচ্ছে। এইরকম ঘটনায় আসলে দেখা যায় কি যে, বড়ো বড়ো মাথাওয়ালা লোকেরা টাকা দিয়ে পার পেয়ে যায় বা ১০-১৫ বছরের সাজা হয়। কিন্তু এর আসলে কঠোর শাস্তির আইন করা উচিত এখন থেকে, যেটা আমার মতে ফাঁসি বা ডাইরেক্ট ক্রস ফায়ার। কারণ যেটা হয়েছে, সেটা খুবই খারাপ। এটা আসলে যার সাথে ঘটেছে সেই পরিবারের লোকজনই যন্ত্রনাটা বুঝতে পারছে, একটা মেয়েকে এতদূর নিয়ে এসে যখন তার জীবনটা নতুন করে সাজানোর সময় এলো, তখনিই এই ঘটনা ঘটলো। আজকে তাদের জায়গায় নিজেকে দাঁড় করালে, বিষয়টা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সত্যিই ঘটনাটা খুবই মর্মান্তিক।এর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরী।ফাঁসি হলে এর শাস্তি হয়না।দোষী ব্যক্তিদেরকে যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে মারা উচিত।আজ মেয়েদের কোথাও যেনো নিরাপত্তা নেই।স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার সবার ই আছে।তবে আমরা আমাদের মেয়েদের কেন সেই স্বাধীনতা থাকবে না, জাতির কাছে এটা ই প্রশ্ন আমার।

হ্যাঁ দাদা এটা মেনে নেওয়া আসলেই অনেক বেশি কষ্টকর। কিছু নরপিশাচদের জন্য একটা মেয়ের সুন্দর জীবনটাই নিমিষে শেষ হয়ে গেলো। আমার তো মনে হয় ফাঁসি দিলেও হয়তো কম হবে এদেরকেও। অনেক কষ্ট থেকে দিয়ে মারা উচিত তাদের। এখন মা-বোনেরা রাস্তায় নেমেছে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের অধিকারের জন্য। কখনো কি আমরা পাবো আমাদের অধিকার, আমাদের নিরাপত্তা। একটা মেয়ে এখনো পর্যন্ত পারছেনা স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে। মেয়ে হয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার টুকু এখনো পর্যন্ত আমরা পাইনি। কেন আমাদেরকে রাস্তাঘাটে ভয়ে ভয়ে চারা লাগে?? কেন সব সময় আতঙ্কে থাকা লাগে?? এটার আমরা কঠিন বিচার অবশ্যই চাই।

মানুষরূপী সেই জানোয়ারদের জন্যই মেয়েরা আজ নিরাপদ নয়। তাদেরকে জীবন দিয়ে দিতে হয়। আসলে এদের কঠিন শাস্তি পাওয়া উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে কেউ এরকম কোন কাজ করতে ভয় পাবে। একজন মানুষের এই নির্মম পরিণতি মেনে নেয়া কঠিন। যারা প্রিয়জন হারায় তারাই সেই যন্ত্রণা বুঝতে পারে।

দাদা ইউটিউবের মাধ্যমে এই ঘটনাটি জেনে ভীষণ খারাপ লেগেছে। যারা যারা জড়িত ছিলো, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত। সেই হসপিটালের চেয়ারম্যানের নির্দেশে নাকি সবকিছু হয়েছে। যাইহোক তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। যাতে করে পরবর্তীতে এমন কিছু করার সাহস কেউ আর না পায়। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।