সাধারণ মানুষের মধ্যে হঠাৎ বন্য প্রাণীর আতঙ্ক

in hive-129948 •  2 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। আসলে কিছুদিন ধরে একটা বিষয় দেখছি যে, আমাদের দেশের বেশ কিছু রাজ্যের দিকে বন্য প্রাণীর উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। মানে এই বন্য প্রাণীগুলো তাদের নিজস্ব জায়গা ছেড়ে বিভিন্ন গ্রাম বা শহরের দিকে ঢুকে পড়ছে। বিশেষ করে গ্রামের দিকে এই নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আসলে বেশ কিছুদিন আগে একটি জায়গায় শুনছিলাম যে, নেকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। আর নেকড়ে কতটা হিংস্র হয় সেটা হয়তো সবাই জানেন। মানুষের সামনেও আক্রমণ করে। এরা একপ্রকার রক্ত পিপাসু প্রাণী । তো এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছিলো।

আর সব থেকে বড়ো কথা যে, এরা বেশ কয়েকজনকে নাকি আহতও করেছিলো যা শুনেছিলাম। রাতের বেলা তো বের হতো আবার নাকি দিনের বেলাও বের হতো, একপ্রকার মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলো। এই আতঙ্ক এখনো যায়নি। কিন্তু এর মাঝে আরেকটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিতা বাঘের। এটাও নাকি জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে প্রবেশ করেছে আর সেটা নাকি মানুষ খেকো । আসলে সেটা মানুষ খেকো না কি সেটা তো ক্লিয়ার না, কারণ মানুষ একটা বিষয় বা শব্দ পেলে সেটাকে নিয়ে আরো বেশি মাতামাতি করে। বাঘে বা নেকড়ে কতটা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সেটা ঠিক নেই, কিন্তু মানুষ তার থেকে বেশি আতঙ্ক তৈরী করছে ভয়ে।

তবে শোনা গিয়েছে নাকি, এই চিতা বাঘ কয়েকজনকে মেরে ফেলেছে আর জঙ্গলের সাইটে নাকি কারো মৃত পেয়েছে যার ঘাড়ে বাঘের থাবা এর চিহ্ন পেয়েছে। এটাও একটা বিষয় আসলে। কিন্তু বিষয় হলো এই প্রাণী গুলো তাদের স্থান ছেড়ে কেনো লোকালয়ে আসছে! আসলে এর অনেকগুলো কারণ আছে। বর্তমানে আমাদের মানব সমাজে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে লোভের মাত্রাটা এতটাই বেড়েছে যে, কোনদিকে বাচবিচার না করে বনের সবকিছু কেটে উজাড় করে দিচ্ছে, আর এর ফলে এইসব প্রাণীদের বসবাসের জায়গার অভাব পড়ছে। সেই সাথে তাদের খাদ্যের পাশাপাশি ভৌগোলিক অনেক বিষয়ের কারণেও এইগুলো হচ্ছে।

যতদূর মনে হয় এইসব এর কারণেই বিভিন্নভাবে লোকালয়ে আসছে। এখন এইসব বিষয় মূলত কিন্তু বন বিভাগে যারা কাজ করে তাদের দেখার বিষয়, কিন্তু তারাই দেখা যায় বা ভাবলে দেখা যাবে এইসব কাজে তাদেরই হাত রয়েছে। ঘুষ খেতে খেতে সব ধ্বংসের পথে। যাদের কাজ বনের ভারসাম্য রক্ষা করা, তারাই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আর ভারসাম্য রক্ষা হবে কিভাবে। এখন এখানে সবাই খারাপ না হলেও কিন্তু বেশিরভাগ তাই। তবে এখন বিষয় হলো রাজস্থানের যে গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা আসলেই খুবই একটা আতঙ্কের বিষয়। কারণ মানুষ ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা বা নিখোঁজ এইসব এর ইঙ্গিত ওটাই দেয়। এখন এই বিষয়ে বন বিভাগের লোকজন কি উদ্যোগ নেয় সেটাই দেখার।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এসব ঘটনা শুনলে তো সবাই ভয় পাবে। লোকালয়ে যদি চিতাবাঘ কিংবা নেকড়ে ঢুকে,তাহলে তো বাড়িঘরে বসবাস করাটাই মুশকিল হয়ে যাবে। বন বিভাগের উচিত এখনই এই ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নয়তো অনেক মানুষ আহত কিংবা নিহত হতে পারে। তাছাড়া মানুষদেরকে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।