শোল মাছের রেসিপি ।। বাঙালি রেসিপি

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি শোল মাছ রান্না করেছি। শোল মাছ খাইনা অনেকদিন, আজকে সকালে বাড়ির কাছ দিয়ে শোল মাছ বিক্রি হচ্ছিলো আর ব্যাস ২ টি শোল মাছ কিনে নিলাম। শোল মাছের একটা অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। তবে শোল মাছ বড়ো আর ছোটো হিসেব করলে স্বাদের দিক থেকে একটু হলেও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আমার কাছে যেন বড়ো সাইজ এর থেকে ছোটো সাইজ এর শোল মাছের টেস্ট বেশি লাগে। আমি যে ২ টি শোল মাছ নিয়েছিলাম সেগুলো ছোটো সাইজ এর। আর এই শোল মাছ আমি বেগুন এর সাথে রান্না করেছিলাম। বেগুন দিয়ে অনেকদিন বাদে শোল মাছ খেয়ে যেন মনের মধ্যে একটা অন্যরকম তৃপ্তি পেলাম। বেশ মজাদার হয়েছিল খেতে তরকারিটা। যাইহোক এখন আমি রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।


☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀

উপকরণ
পরিমান
শোল মাছ
২ টি
আলু
৩ টি
বেগুন
১ টি
পেঁয়াজ
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৭ টি
সরিষার তেল
৪ চামচ
লবন
২.৫ চামচ
হলুদ
৩ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


আলু, বেগুন, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---


❆প্রস্তুত প্রণালী:❆


➤শোল মাছটিকে প্রথমে কেটে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤খোসা ছালানো আলুগুলোকে কেটে ছোট ছোট পিচ করে নিয়েছিলাম। এরপর বেগুনটিকে কেটে পিচ করার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে পেঁয়াজ কুচি করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলোকে কেটে নিয়েছিলাম।

➤কেটে রাখা শোল মাছের পিচগুলোতে লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

➤শোল মাছের পিচগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলো হালকা লাল মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিয়েছিলাম। ভাজা হয়ে গেলে তাতে একেবারে কেটে রাখা বেগুনের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤ভাজা পেঁয়াজ এর সাথে একটু বেগুন উল্টেপাল্টে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা আলু, কাঁচা লঙ্কা আর স্বাদ মতো লবন ও হলুদ দিয়ে দেওয়ার পরে আরেকটু তেল দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤সব উপাদানগুলো ভালোভাবে একে অপরের সাথে মিশিয়ে নেওয়ার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤জল দেওয়ার পরে তরকারি একটু ফুটিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা শোল মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। তরকারিটা ভালোমতো হয়ে আসার জন্য ৯ মিনিটের মতো দেরি করেছিলাম।

➤বেগুনের সাথে শোল মাছের মজাদার তরকারি তৈরি হয়ে গেলে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এই মজাদার তরকারিটা এখন পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
দাদা সত্যি বলতে শোল মাছ অনেক মজার একটি মাছ। আমি শোল মাছ ছোট বড় দুইটাই পছন্দ করি। বর্ষাকালে শোল মাছ থেকে শুরু করে সব মাছই ডিম ছাড়ে। আমি একবার শোল মাছের বাইশ পাইছিলাম এগুলো পিঁয়াজ দিয়ে ভুনা করলে অনেক মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে সেই কথা মনে পড়ে গেলো। শোল মাছ আমাদের এখানকার বাজারে প্রতিদিনই পাওয়া যায়।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আলু বেগুন দিয়ে শোল মাছের রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপির ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে আপনার তৈরিকৃত রেসিপিটি। আলুগুলো ভেজে নিলে অনেক সুন্দর একটা ফ্লেভার আসে। রেসিপির কালার অনেক সুন্দর হয়েছে দেখতে। আমি লাস্ট শোল মাছ খেয়েছিলাম প্রায় প্রায় ৪ মাস আগে সেইটা পিঁয়াজ দিয়ে ভুনা করা হয়েছিলো।
দাদা, আজকের শোল মাছের রেসিপিটি আপনার পূর্বের সব রেসিপির মতোই অনেক মজাদার আকর্ষনীয় হয়েছে। আপনার প্রতিটি রেসিপির পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়। আপনার রেসিপি কেউ ভালোভাবে দেখে রেসিপি তৈরির ট্রাই করলে অবশ্যই ভালো রান্ন করতে পারবে। যাইহোক, দাদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে অসাধারণ সব রেসিপি শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী আকর্ষনের অপেক্ষায় রইলাম 🤚

আসলেই ভাই শোল মাছের রেসিপি খেতে খুবই মজা লাগে। অনেক দিন হলো আমিও শোল মাছ খাই না। আপনি আজকে অনেকদিন পর দুটি শোল মাছ কিনেছে এবং এই শোল মাছ দুটির খুবই সুন্দরভাবে আলু, বেগুন দিয়ে রান্না করেছেন। বিশেষ করে আপনার এই ধাপে ধাপে রেসিপির উপস্থাপনায় আমার খুবই ভালো লেগেছে। দেখে অনেক সুস্বাদু ও মনে হচ্ছে। যদি এই সুস্বাদু খাবার খেতে পারতাম। তাহলে খুবই ভাল লাগত। আমাদের বাজারে শোল মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না।তাই কেনা হয় না।আজকে আপনার রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত করেছি কিছুদিনের মধ্যে আমিও শোল মাছের রেসিপি তৈরি করব। আপনার রেসিপিটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

শোল মাছের রেসিপি দেখে
বাবাকে পড়ল মনে,,
শোল মাছের শুটকি বাবা
রাখত ঘরের কোণে।।

ঘরের কোণে আলমারিতে
রাখোতো কিনে এনে,,
তোমার রেসিপি দেখে দাদা
বাবাকে পড়ল মনে

শোল মাছ প্রিয় বাবার
মজা করে খেতো
প্রাণপ্রিয় মা যে আমার
রান্না করে দিত।।
♥♥

শোল মাছ অনেক মজার একটি মাছ। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর বেগুন দিয়ে রান্না করলে তো অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ দাদা।

শোল মাছ খেতে আমার কেমন জানি লাগে।দাদা আপনার মাখা মাখা মাখা শোল মাছের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। কি সুন্দর আলু ভেজে বেগুন দিয়ে রান্না করেছেন।দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।দাদা আপনি খুব ভালো রান্না করেন।বেগুনের যে কোন রেসিপি আমার খুব ভালো লাগে।যদিও আমি বেশি বেগুন খেতে পারি না।এলার্জির জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা মজার মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপনার রেসিপি দেওয়ার সময় টা দারুণ। একেবারে দুপুরবেলা দেন। দেখেই খুদা লেগে যায়। শোল মাছ বড় ছোট দুইটাই আমার কাছে সমান স্বাদের মনে হয়। ওভাবে কখনো বিবেচনা করে দেখিনি। রেসিপি টা অনেক সুন্দর তৈরি করেছেন দাদা। তবে আমার মা কখনো শোল মাছ ভেজে রান্না করেন না। বেশ লোভনীয় ছিল রেসিপি টা।

অসাধারন সুস্বাদু এক রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। আমার কাছে তো ভাজা আলু দেখে বেশি লোভ লেগে গেলো। খেতে তো মনে হয় হেবি টেস্ট হয়েছে। শোল মাছ এখন আর তেমন একটা দেখিনা আমাদের এইদিকে। শেষ বার কবে খেয়েছি এটাও মনে নাই।

দাদা আজকের রেসিপিটাও অন্যান্য দিনের মত অনেক সুন্দর হয়েছে। শোল মাছ খেতে সত্যিই অনেক মজাদার হয়ে থাকে। তবে শোল মাছ পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করে খেতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আপনি শীতকালীন সবজি বেগুন দিয়ে শোল মাছ রান্না করেছেন। আপনার রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটা রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।

‌শোল মাছ অনেক স্বাদ এর একটি মাছ। আমার কাছে এই মাছ অনেক ভালো লাগে। এই মাছের ঝোল খেতে অনেক টেস্টি লাগে যা বলে বোঝানো সম্ভব না। আপনি খুব সুন্দর করে আলু দিয়ে শোল মাছের ঝোল রান্না করেছেন। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।

দাদা শোল মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। তবে শোল মাছের যে তরকারিটি আমার কাছে সবচাইতে পছন্দ সেটা হচ্ছে লাউ দিয়ে শোল মাছ রান্না করা। তবে আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে এটিও খেতে অনেক মজা হয়েছে। আপনার পোস্টটা খুব সুন্দর করে সাজানো। নতুন যারা রেসিপি পোস্ট করবে তারা আপনার পোস্ট দেখেই অনেক কিছু শিখতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

সারা বছর যে পরিমাণ শোল মাছ পাওয়া যায় না, কিন্তু এই সিজনে প্রচুর পরিমাণে শোল মাছ পাওয়া যায়। কারণ এই সময় পুকুর নদী নালা সের্চ দেওয়া হয় এবং শোল মাছ কৈ মাছ শিং মাছ ধরা হয়। এ সময় এই প্রজাতির মাছ গুলো একটু বেশি পাওয়া যায়। আর একটা ব্যাপার আছে আপনি বেগুন দিয়ে রান্না করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসাধারণ সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা,শোল মাছ আমার খুবই পছন্দের৷ আর আপনার এই রেসিপিটি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। শোল মাছের সাথে আলু আর বেগুন দিয়ে খুব মজার রান্না করেছেন দেখছি। রান্নাটি দেখেই মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে এটি শেয়ার করার জন্য।

দাদা আমার কাছে কিন্তু বড় শোল মাছ গুলোই বেশি ভালো লাগতো। যদিও এখন আর শোল মাছ আমি খাইনা কিন্তু একসময় প্রচুর খেয়েছি। আমাদের এপার বাংলায় শোল মাছের দাম কিন্তু অত্যধিক। অন্য যে কোন মাছের তুলনায় অনেক বেশি। যাইহোক রেসিপিটি বেশ ভালো লাগলো কেননা বেগুন দিয়ে কখনও শোল মাছ খাইনি। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

শোল মাছ খেতে কিছুটা ভিন্ন স্বাদের। আমার জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো ব্যাপার সেটা হচ্ছে এই মাছের কাঁটা অনেকটা কম। তাই খেতে পারি একটু হলেও। আর দাদা তুমিতো মাছ রান্নাতে একদম স্পেশালিস্ট। সব সময় ভালো করে গুছিয়ে রান্না করো। একটা আর্ট আছে বলতে পারো। তবে আমি একটা ব্যাপার বুঝি না এরকম তরকারিতে পেঁয়াজ কি জন্য দাও 🤔। আমি বাড়িতে দেখেছি পেঁয়াজ বা রসুন ছাড়াও এরকম তরকারি অনেক টেস্টি হয়।

শোল মাছের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে দাদা। আসলে শোল মাছ এই সময়গুলোতে বেশি পাওয়া যায়। যখন নদীর পানি কিছুটা শুকিয়ে আসে তখন শোল মাছ বেশি পাওয়া যায়। শীতে শোল মাছ খেতে বেশি ভালো লাগে। আলু বেগুন দিয়ে শোল মাছের অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। আমার কাছে শোল মাছ দিয়ে আলু বেগুন খেতে খুবই ভালো লাগে। এছাড়াও লাউ দিয়ে শোল মাছ রান্না করলেও খেতে খুবই ভালো লাগে। দাদা আপনি এত সুন্দর ভাবে মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন যে দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আলুর টুকরোগুলো ভেজে নিয়েছেন। এরপর অনেক সুন্দর ভাবে বেগুন দিয়ে শোল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আপনি এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন যে দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভালো হয়েছে। আপনি খুবই যত্ন সহকারে রেসিপি তৈরি করেন। আসলে যত্নসহকারে কোনো কিছু তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। সত্যি দাদা আপনার রেসিপি যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যায়। আর আজকে আপনি তো একদম দারুন একটি রেসিপি তৈরি করছেন। বাঙালির প্রিয় শোল মাছ। আর এই শোল মাছ দিয়ে যদি বেগুন ও আলু রান্না করা হয় তাহলে খেতে আরো বেশী মজাদার হয়। অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

শোল মাছ আমার খুব প্রিয় একটি মাছ আর বেগুন তো আমার আরো প্রিয় তো দুটি সংমিশ্রণে আপনার রেসিপিটি নিশ্চয়ই খুবই মজাদার হয়েছে। ঠিকই বলেছেন দাদা ছোট বড় সাইজ অনুযায়ী এই শোল মাছের মজাটা ভিন্ন রকম হয়।
তবে শোলমাছ যদি খাল বা পুকুরের হয় তাহলে ছোট হোক কিংবা বড় হোক উভয়েই খেতে খুবই মজাদার লাগে।

দাদা আপনিতো আলু, বেগুন দিয়ে শোল মাছের খুবই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করলেন। আমার শোল মাছ খেতে কেন জানি তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু আমার আব্বুর জন্য আমাদের বাড়িতে প্রায় সময় শোল মাছ রান্না করা হয়। এই মাছটা আমার আব্বুর অনেক পছন্দের একটা মাছ 😛 কখনো কখনো আমাদের বাড়ির পুকুর থেকে অনেক বড় বড় শোল মাছ ধরলে সেগুলা আমার আম্মু মজা করে রান্না করে আমার আব্বুর জন্য😋 আমার খেতে কেন জানি ভালো লাগে না কিন্তু মাছগুলো দেখতে আমার কাছে খুবই চমৎকার লাগে। আজকে আপনার এই রেসিপিটা দেখে আম্মুর হাতের রান্না সেই শোল মাছের কথা খুব মনে পড়ল। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য 🤗🤗

শোল মাছ বড় টার এক টেস্ট আবার ছোট টার এক টেস্ট এটা আজ ই জানলাম।ভাইয়া আপনার মাছের রেসিপি পোস্ট পড়ে পড়ে অনেক কিছু শিখলাম।আমার মনে হয় আমি শোল মাছ খেয়েছি আর এভাবেই খেয়েছি।

আসলে দাদা একেকজনের কাছে একেক রকম। তবে আমার কাছে কিন্তু বড় শোল খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে বড় মাছের মাথা।

আলু বেগুন এবং মাছ। তিনটা তরকারি এবং অনেকগুলো উপকরণ এর সমন্বয়ে অনেক চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য এবং কষ্ট করে রেসিপি রান্না করে আমার বাংলা ব্লগ বাসিকে উপহার দেওয়ার জন্য

খুবই সুন্দর একটি সুস্বাদু শোল মাছের রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। শোল মাছ সচরাচর আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই আপনার এই রেসিপিটি দেখার পরে আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছিল। রেসিপিটি তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

  • দাদা একটি বিষয় কাকতালীয় হয়ে গেলো। আমি দুপুরে খাবার খেয়েছি সাথে আপনার এই সেম রেসিপি ছিলো। শোল মাছ অনেকের খুব পছন্দ। আমি মাছ তেমন একটা পছন্দ করি না। তবে শোল মাছ খুব ভালো লাগে। দাদা অনেকেই রেসিপি শেয়ার করে কোনরকম ভাবে। তবে আপনার রেসিপি দেখে যে কেউ রান্না করতে পারবে। আপনি কিভাবে মিক্স করলেন পরিমান বা কখোন পানি দিলেন সব কিছু খুব সুন্দর করে তুলে ধরেন। আমার খুব ইচ্ছে আছে ইন্ডিয়া আসবো। যদি নসিবে থাকে আপনার হাতের হাসের মাংস খাবো কিন্তু দাদা। বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করলে তরকারি খুব মজা হয়। আর এই শীতের সময় বেগুন এর চাহিদা কিন্তু ভালোই। আমার নিজেরও খুব ভালো লাগে বেগুন। তবে আপনার মাংসের রেসিপির ফ্যান হয়ে গেছি দাদা। আপনি রেসিপির ছবি গুলো ক্যাপচার করেন অসাধারণ ভাবে। ছবির উপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করে। অনেক সময় অনেক মজাদার খাবার খেতে ইচ্ছে করে না ডেকোরেশন এর জন্য। আপনার ডেকোরেশন খুব পরিপাটি থাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল দাদা। দিন দিন আমার বউ আপনার ফ্যান হয়ে যাচ্ছে। ও আমি বাসায় আসার পরেই বলতেছে দেখোতো দাদা আজকে কি রেসিপি দিলো। মজার ব্যাপার ও মাছ ধরতেও ভয় পায় হাহহাহাহহা। কিন্তু এখন একটু একটু ধরে। কি আর করবে ঘরে সবাই খায় রান্না করতে তো হবেই।

শোল মাছ খেতে আমি অনেক ভালবাসি সন্ধ্যাবেলায় শোল মাছের রেসিপি খেলাম ।আজকে আমার আম্মু আমাদের বাড়িতে এই মাছটি রান্না করেছিলেন । আপনার তৈরি করা এই শোল মাছের রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। তাছাড়াও আপনি আমাদের মাঝে শোল মাছের রেসিপি টির প্রত্যেকটি ধাপ দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

প্রথমেই বলি আপনার রেসিপি গুলো আমার খুব ভাল লাগে দাদা। আপনার রেসিপি উপস্থাপনা থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপ আমার জন্য অত্যন্ত শিক্ষনীয়। আপনার রেসিপি গুলো আমি বেশ উপভোগ করি শেখার ক্ষেত্রে। শোল মাছের রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপন করেছে। রেসিপি দেখতে দারুণ লাগছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আমার শোল মাছ খাইতে খুব ভালো লাগে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আলু ও বেগুন দিয়ে শোল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা আপনার তৈরি করা রেসিপিটি। সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

শোল মাছের একটা অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। তবে শোল মাছ বড়ো আর ছোটো হিসেব করলে স্বাদের দিক থেকে একটু হলেও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

দাদা আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন শোল মাছের স্বাদ অন্যান্য মাছের থেকে অন্য রকম। শীতকালে শোল মাছ না খেলে যেন মাছ খাওয়ার স্বাদ অপূর্ণই থেকে যায়। কিছুদিন আগেও আমি শোল মাছ খেয়েছি। আমার গ্রামের পুকুর থেকে শোল মাছ পেয়েছিলাম। তবে যাই হোক দাদা শোল মাছ ছোট-বড় দুটোই আমার কাছে ভালো লাগে। যদিও স্বাদের মাঝে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। আপনি এত সুন্দরভাবে শোল মাছগুলো ভেজে নিয়ে এরপর বেগুন ও আলু দিয়ে রান্না করেছেন যে দেখেই মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছে। সেই সাথে আপনি আবার আলু গুলো ভেজে নিয়েছেন। যখন মাছগুলো ভাজার পর তরকারি রান্না করা হয় তখন খেতে বেশি ভালো লাগে। আমি ছোটবেলা থেকেই আমার মাকে দেখেছি তিনি মাছ ভেজে নিয়ে তারপর রান্না করেন। দাদা আপনি এত ধৈর্য সহকারে অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে আপনার রান্নার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। আর শেষে আপনি যে জিরার গুঁড়া দিয়েছেন এটা দেখে আমার বেশি ভালো লেগেছে। রেসিপি তৈরিতে জিরার গুঁড়া ব্যবহার করলে আরও বেশি ভালো লাগে খেতে। আসলে আপনার রন্ধনশিল্প সবসময়ই আমাকে মুগ্ধ করে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সবকিছুই একদম পরিমাণ অনুযায়ী দিয়ে মজার সব রেসিপি তৈরি করেন। আপনার এই রেসিপিগুলো দেখেই বোঝা যায় আপনি রেসিপি তৈরিতে কতোটা পারদর্শী। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আপনার হাতের রান্না খাওয়ার জন্য। হয়তো সেটা সম্ভব নয়। তাই আমিও চেষ্টা করি আপনার রেসিপিগুলো দেখে দেখে নিজে নিজেই মজার রেসিপি তৈরি করার। তেমনি আজও আমি শোল মাছের এই মজার রেসিপি শিখে নিলাম। আমি অবশ্যই শোল মাছ, বেগুন ও আলু দিয়ে মজার রেসিপি তৈরি করে খাবো। হয়তো আমি আপনার মত পাকা রাঁধুনি নই তবে আপনার এই রেসিপি পোস্টগুলো দেখে দেখে উৎসাহ পাই সব সময়। আপনি আমাদেরকে সব সময় উৎসাহ দেন রেসিপি তৈরি করার জন্য। আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও অনেক সুন্দর করে মজার মজার সব রেসিপি তৈরি করেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেন এটি দেখে আমার অনেক ভালো লাগে। এছাড়া আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দাদা। তেমনি আজ আপনি শোল মাছের অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং আমাদের সকলকে শেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ♥️♥️♥️♥️♥️

  ·  3 years ago (edited)

ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে বেগুন আর আলু দিয়ে শোল মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। বেগুন আমার খুবই পছন্দের সবজি বেগুন যেভাবে রান্না করা হোক না কেন আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর আপনি তো খুব মজার একটি মাছ দিয়ে বেগুন রান্না করেছেন। শোল মাছ খেত ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর ভাইয়া আপনার রান্না প্রক্রিয়াটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে আপনি খুব সুন্দর করে সবজিগুলো ভেজে মাছ দিয়ে রান্না করেন। আমি এইভাবে কখনো সবজি ভেজে মাছ দিয়ে রান্না করিনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্য এভাবে একদিন রান্না করে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

তবে শোল মাছ বড়ো আর ছোটো হিসেব করলে স্বাদের দিক থেকে একটু হলেও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

ঠিক বলেছেন দাদা,আমার ও তাই মনে হয়।আপনার রেসিপিটি খুবই সুন্দর হয়েছে👌👌। বাহ,বেগুন আমার খুবই প্রিয়।আর বেগুন দিয়ে খাল-বিলের এইসব মাছ খুবই টেস্টি হয় খেতে।যদিও আমি এই মাছ খাই না।তবে এইসব মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে।আমি শুনেছি আমার মা-বাবার মুখে এই মাছ খেতে খুবই টেস্টি।তাছাড়া এই মাছে কাঁটা খুবই কম হওয়ায় বাচ্চা থেকে বড়োরা সবাই তৃপ্তি করে খেতে পারে।এইসব মাছে মসলার পরিমাণ বেশি দিলে আরও বেশি ভালো হয় খেতে।তাছাড়া বহু মানুষ শোল মাছ খেতে খুব পছন্দ করে।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।

দাদা আপনার রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আমি কখনো শোল মাছ এভাবে রান্না করে দেখিনি।তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একবার হলেও রান্না করে খেতে হবে। রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।