হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ফলিং এপার্ট"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, মীরার হাসব্যান্ড এর গুলি লেগে যায় একপর্যায়ে। আজকে দেখবো বিষয়টা তারপরে কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
গত পর্বে মূলত যেখানে দেখেছিলাম যে, মীরার বড়ো মেয়ে যে ছেলেকে অর্থাৎ আদি নামের কাউকে ভালোবাসতো, সে তার মিলিটারি ক্যাম্প এর থেকে এখানে আসলে এই ঘটনা ঘটে যায়। আসলে ওর ভিতরে আগে যেমন বলেছিলাম যে, একজন সাইকো আছে, যাকে ধরে বেঁধে বাইরে নিয়ে আসলে ধস্তাধস্তি, মারামারি পর্যায়ে চলে যায়। আর এতে লোকসান হয় মীরার হাসব্যান্ড এর, তার গুলি লেগেছিলো ঠিকই, কিন্তু সেটা কাঁধে। কিন্তু সেটা সঠিক সময়ে বের করতে না পারার জন্য রক্তে বিষের মতো ছড়িয়ে যায় ক্যামিক্যাল। তবে এই গুলি চলার শব্দ বাইরে একজন পথযাত্রীর কানে যায় আর সে আবার সাথে সাথে লোকাল থানায় ফোন করে পুলিশের খবর দিলে, দ্রুত তারা চলে আসে। এখন তাদের নজর থেকে বাঁচার জন্য আদিত্যকে স্টোর রুমে বন্ধ করে দেয় আর ছেলেমেয়েদের একটা রুমে বন্ধ করে দেয়।
আর এদিকে ঘায়েল অবস্থায় থাকাকালীন সমস্ত লাইট বন্ধ করে দেয়। পৃথ্বী প্ল্যান করে পুলিশদের আটকাতে গেলে, তাকেই যেতে হবে, কারণ তার কাছে তার পুলিশের আইডি কার্ড আছে, ফলে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না, আর তার উপর সে তাদের সিনিয়র। এখন এখানে পৃথ্বীর কাছে পিছনের দিকের দরোজার একটা চাবি আছে, যেটা দিয়ে বেরিয়ে সে গাড়ি নিয়ে গেটের সামনে গিয়ে একপ্রকার ড্রামা করতে থাকে, যাতে বুঝতে না পারে কোনোকিছু। যেহেতু এইগুলো তার প্ল্যানমাফিক করা, তাই তাদেরও সেই প্ল্যানে ফাঁসিয়ে সেখান থেকে বিদায় দেয়। তবে এখানে ওই সমস্যাটা তৈরি হয় যে, অনেক্ষন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার শারীরিক পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যায়। এখন পরে ছোট একটা অপারেশন মতো করে তার শরীর থেকে কিছু রক্ত পাইপ দিয়ে সরিয়ে পরে মোটামুটি সুস্থ মতো করে তোলে। কিন্তু এখানে পৃথ্বী তার চেহারা আবার সেই ফাঁকে তাকে দেখিয়ে দেয়, যদিও এখানে ভয়ের কিছু ছিল না।
কিন্তু এখানে সেই সাইকো হাঙ্গামা তৈরি করে ফেলে অর্থাৎ পৃথ্বী তাকে বলে যায় যে আদিত্যকে জিজ্ঞাসা করতে বা তার কাছ থেকে ইনফরমেশন নিতে যে, সে কোন উদ্দেশ্যে এখানে এসেছে, কিন্তু সে তার নাকমুখ ঘুষি মেরে ফাটিয়ে ফেলে একপর্যায়ে হা হা। প্রায় আধমরা করে ফেলেছিলো বলতে গেলে, যাইহোক পরে পৃথ্বী এসে ঠিকঠাক করে আবার। কিন্তু এখানে মীরা একটা সেল ফোন পায়, যেটা তার মেয়ে একটা বাস্কেটের মধ্যে লুকিয়ে। রেখেছিলো এখন বাগানে সে লুকিয়ে হসপিটালে ফোন করে, সম্ভবত এই পৃথ্বীর কোনো বিষয়ে ডাটা কালেকশন করে তাকে পাঠাতে বলে। এদিকে এই বিপদের সাথে সাথে আরো একটা বিপদ এসে পড়ে যে, তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে একটা ব্যাঙ্ক থেকে নোটিশ আসে। তাদের বাড়ি খালি করে দেওয়ার ব্যাপারে, কারণ অনেক টাকার লোন নিয়ে করেছিল। কিন্তু সম্ভবত মিরা এই বিষয়ে কিছুই জানে না, ইভেন কেউ জানতো না, তার ছেলে মেইল চেক করতে গিয়ে এই নোটিশ দেখে। এখন সম্ভবত এইটার সমাধানও এই পৃথ্বী করতে পারে। আর এই সাইকোর সাথে যে একটা মেয়েও আছে, সে আবার বাইরে কারো সাথে সম্ভবত লিংকেড, এটার উদ্দেশ্য আবার তাদের বিপরীতে যেটা আন্দাজ করা গেলো।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এই পর্বে আসলে তেমন বিশেষ কিছু বোঝা যায়নি। মীরার হাসব্যান্ড এর যে গুলি লেগেছিলো, সেটা মোটামুটি রিকোভার করে। তবে সুস্থ হতে সময় লাগবে এই আরকি, কারণ অনেকটা রক্তক্ষরণ হয়েছে, আবার কিছু রক্তও ওয়াশ করে বের করতে হয়েছে। এখন একটা বিষয় যেটা বোঝা গিয়েছে যে, পৃথ্বীর মূলত তাদের ঘায়েল করা বা কোনো কারণে কোনো অপদস্ত করা এইসবের কোনো উদ্দেশ্য নেই। শুধু তাদের ওই একটা কাজ হয়ে গেলেই সমস্যা সমাধান, কিন্তু বাকি কয়েকটা আছে, যেগুলো টাকার জন্য এইসব হাঙ্গামা করেই যাচ্ছে ভিতরে। আবার মিরা এদিকে তলায় তলায় অন্য কিছু পরিকল্পনা করছে, এখন সেটা কোন স্টেপে যাচ্ছে, সেটা দেখার বিষয়।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মীরার হাসবেন্ড এর শরীর থেকে গুলি বের করা হয়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাংক থেকে বাড়ি খালি করার নোটিশ এসেছে বলে মীরা এবং তার পরিবার আরও ঝামেলায় পড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে তারা কিভাবে বাড়ি খালি করবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। এই পর্বের রিভিউ এতো চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit