ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোমস্টে মার্ডারস- Peak Night ( পর্ব ৩ )

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'হোমস্টে মার্ডারস' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Peak Night". গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে অনিমেষ আর কিঞ্জল দুইজনই কিছু প্রমান খুজঁতে বেরিয়েছিল আর কিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্বরূপ কিছু পায়ের ছাপ দেখতে পায়। এরপর থেকে ইনভেস্টিগেশন কি হয় সেটি দেখবো।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
হোমস্টে মার্ডারস
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
peak Night
পরিচালকের নাম
সায়ন্তন ঘোষাল
অভিনয়
অর্জুন চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, সৌরভ দাস, পর্ণ মিত্র ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১২ মে ২০২৩ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২১ মিনিট ( তৃতীয় পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

কিঞ্জল ইনভেস্টিগেশনটা শুরু করে মিতা আর কুনালের দিয়ে অর্থাৎ এই গেস্ট হাউসের মালিকের সাথে। যেহেতু কুহেলি এই গেস্ট হাউসে এসে মিতাকেই বলেছিলো যে তাকে এখানে কেন ইনভাইট করে আনা হয়েছে। তবে এখানে একটা বিষয় যে মিতার আরো একজন বোন আছে এবং তারা দুইজনই যমজ। মিতার বোন গীতাকে এই কুহেলি চিনতো আর সেই সূত্র ধরে মিতাকেই সে এসে গীতা বলে বসে। যেহেতু গীতা আর মিতার মধ্যে তেমন কোনো ভালো সম্পর্ক ছিল না, সবসময় একটা কথা কাটাকাটি বা বিভিন্ন মতের বিরোধিতা করতো মিতার সাথে। তবে সে যে কোভিড এ মারা গিয়েছে এটা একমাত্র মিতা জানতো। কুহেলি মনে করেছিল যে তাকে ইনভাইট করে এই গেস্ট হাউসে এনেছে গীতাই। আর তাদের চেহারার মিল থাকার কারণে একটা ভুল বোঝাবুঝির সমস্যা হয়েছে। তবে কিঞ্জল বুঝতে পেরেছে বিষয়টা যে এখানে যদি কাউকেই পার্সোনালি ইনভাইট না করা হয়ে থাকে, তাহলে কুহেলীকে সম্ভবত গীতার চেহারাকে কাজে লাগিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসতে বাধ্য করেছে। আর এদিকে অনিমেষ দামিনীর পিছনে পড়েছে তাকে অপরাধী করার জন্য, কারণ সেইদিন রাতে লাইট চলে যাওয়ার পরে যে ওখান থেকে চলে গিয়েছিলো।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

তবে অনিমেষ দামিনীর পিছনে লাগলেও দামিনীও তার পিছনে লাগে, তার কারণ সেদিন তাকে দিঘার বিষয়ে একটা গল্প বলতে বলেছিলো মানে সে দিঘায় একটা খুনের উপরে আর্টিকেল লিখছিলো আর তার অল্প কিছু লিখেছিলো। কিন্তু সে প্রথম থেকে বিষয়টা ঠিক যা যা বলেছিলো এখানে খুনের বিষয়টাও কাকতালীয়ভাবে ঠিক মিলে যাচ্ছে। তবে এখন এই বিষয়টা কাকতালীয় না কি হবে সেটা এই মুহূর্তে একটা রহস্যের মধ্যে আটকে থাকবে। আর মিতার বোন গীতা, কুহেলি এবং আগে খুন হয়ে যাওয়া ওই মনীষা এরা সবাই অনন্যা এপার্টমেন্টে কাজ করতো আর গীতা একাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো। আর সেই জায়গার থেকে আসলে এই গেস্ট হাউসের নামের সাথে সবকিছু কেমন যেন একটা কাকতালীয়ভাবে মিলে যাচ্ছে, যেটা একপ্রকার অদ্ভুত বিষয়। একেতো মিতা এই বিষয় নিয়ে আপসেট এর মধ্যে আছে তার মধ্যে jew নামক মেয়েটা এসে খাবার খাবার করে ঝামেলা লাগিয়ে দেয়। এরপর দেখা যায় ওই গেস্ট হাউসে রাতের বেলা অনিমেষ এর রুমের পাশ দিয়ে কারো চলাফেরার ছায়া দেখতে পায়, কিন্তু অনিমেষ বাইরে গিয়ে কাউকে দেখতে পায় না। সবকিছুতেই একটা গভীর রহস্য।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

jew আর টনি এই দুইজনের উপরে একটু সন্দেহ হয় কিঞ্জলের। কারণ এরাতো আসলে দুইজনের একজনও এক জায়গায় ছিল না, মানে jew একা একা গেস্ট হাউসের ভিতরে চলে এসেছিলো। আর এর কারণ স্বরূপ তার ঠান্ডা লাগছিলো বলে কাটিয়ে যায় তবে সে নাকি কাউকে সেখানে দেখেছিলো। আর সম্ভবত সেই খুনিও সেখান থেকে চুপিসারে চলেও যাচ্ছিলো,এইরকম হতে পারে। আসলে সবকিছুই একটা আন্দাজের উপর ঢিল মারার মতো কেস চলছে এখানে। দামিনী এখানে কোনো না কোনো সূত্র ধরে একটুও যদি প্রমান পাওয়ার মতো পায় তাহলে সন্দেহের বসে তার পিছনে লাগবেই। আর ওই রাতেই তো বৃষ্টি হচ্ছিলো আর সেই হিসেবে কেউ বাইরে যাইনি। তাই টনির কেডস-এ কাদা দেখে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাতে থাকে তার দিকে যেন সেই কিছু করেছে। এরপর অনেক সন্দেহের মধ্যে দিয়ে রাত কেটে যায়। সকালে কুনাল এর সাথে অনিমেষ এর সাথে এই বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা হয় আর কুনাল বলে যে রাতে যখন সে চার্জার লাইট খুঁজতে গিয়েছিলো তখন সেটি রুমের থেকে সরিয়ে কিচেন-এ রাখা ছিল আর একটা মেয়েকে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে দেখি।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

অনিমেষের প্রথম প্লট এর লেখার সাথে এই খুনের রহস্য যেহেতু মিলে গেছে তাই দামিনী তার কাছে পরের ঘটনা শুনতে চায়। অনিমেষও সেইভাবে বলতে থাকে কিন্তু দামিনী হঠাৎ সেখান থেকে কেন জানি চলে যায় আর কিঞ্জল গল্পটা শুনতে থাকে। তবে এখানে তার গল্পটায় কিছুটা দামিনীর চরিত্রের সাথে মিল পায় কিঞ্জল। দামিনী সেখান থেকে জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে সেই লেটারটা কুড়িয়ে আনে যেটা কুহেলিকে লিখে এখানে আসতে বাধ্য করেছিল। এই বিষয়টা সত্যিই একটা অদ্ভুত রহস্যের বিষয়, কারণ দামিনী এই বিষয়টা কিভাবে জানলো আর এটা ওখানে পাবে সেটাইবা কিভাবে বুঝলো। যাইহোক ওটা আবার সেখানে টনিকে দেখতে পায় আর তার হাতে দিয়ে কিঞ্জলের কাছে পাঠায়।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এখানে সবাই কিছু না কিছু লুকিয়েই চলেছে, যেটা প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। অনিমেষ এর কাছে মনীষার খুনের বিষয়ে পেপারে যে আর্টিকেল বেরিয়েছিল সেটা অনিমেষের কাছে ছিল, কিন্তু সে পরে ওই পেপারের টুকরোটাই জ্বালিয়ে নষ্ট করে দেয়। তারপর এই দামিনীর কথাই বলি, এর কাছে কাদা মাখা একটা ছুরি পায় কিন্তু সেই ছুরিটা সে রেখে দিলেও কিঞ্জল বা কারো সামনে কিন্তু প্রকাশ করিনি অর্থাৎ এই বিষয়গুলো লুকিয়ে চলছে তারা। হয়তো ধরা পড়ার ভয়ে কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তবে এই খুনগুলোর সাথে একটা বিষয় লুকিয়ে আছে, আগে যে মনীষার খুনটা হয়েছে সেখানে তার লাশের পাশেপ্রিয়া নামক একটি মেয়ের ছবি পাওয়া গেছিলো কিন্তু পরে পুলিশ তদন্ত সূত্রে জানতে পারে যে অনেক আগেই সে সুইসাইট করে মারা গিয়েছে। এইবার দামিনীর কাছেও সেই প্রিয়া ছবি আর তার মৃত্যুর যে রহস্যঃ ছিল সেটার একটা আর্টিকেল আছে। আর হাবভাব কথা বলা, চলাফেরা একটা অদ্ভুত রহস্যজনক। তাই সন্দেহটা অনেকেই তাকে করছে। তাছাড়া আরো একটা কারণ আছে যে বা যারা ওই রাতে পাশ দিয়ে অন্ধকারে যাকে হেঁটে যেতে দেখেছিলো সে দামিনী ছিল বলে দাবি করে।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৭.৬/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

'হোমস্টে মার্ডারস' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্বের রিভিউ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা। এই পর্বের মাধ্যমে আরো নতুন কিছু জানতে পারলাম। তবে খুনের রহস্য কিন্তু এখনো বেশ জটিল মনে হচ্ছে। মনীষার খুনের রহস্য দিনে দিনে আরও বেশি রহস্যময় হয়ে যাচ্ছে। অনিমেষ নিশ্চয়ই খুনির ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পেরেছিল। কিন্তু সে কেন জানি সব কিছুই আড়াল করতে চাইছে। হয়তো খুনিকে সামনে আনতে চাচ্ছে না। কিংবা নিজের জীবনের ভয়ে সবকিছু লুকানোর চেষ্টা করছে। তাইতো আর্টিকেলস গুলো পুড়িয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে দামিনীও কিছু লুকানোর চেষ্টা করেছে। কাদামাখা ছুরি পাওয়ার পরেও কাউকে জানতে দেয়নি। এমনকি এই বিষয়গুলো সামনে আনার চেষ্টাও করেননি। এই পর্বের রিভিউ পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা। আশা করছি পরবর্তী পর্বের মাধ্যমে আরো বেশি নতুন তথ্য সামনে চলে আসবে। এই পর্বের রিভিউ সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

দাদা এই পর্বের বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহের তীরটা সবার দিকেই যায়। যেমন ধরা যায় অনিমেষের পেপারের টুকরোটা জ্বালিয়ে নষ্ট করে দেওয়া। তারপর এই দামিনীর এর কাছে কাদা মাখা একটা ছুরি পায় কিন্তু সেই ছুরিটা সে রেখে দিলেও কিঞ্জল বা কারো সামনে কিন্তু প্রকাশ করিনি অর্থাৎ এই বিষয়গুলো লুকিয়ে চলছে তারা। হয়তো ধরা পড়ার ভয়ে কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তবে এই খুনগুলোর সাথে একটা বিষয় লুকিয়ে আছে, আগে যে মনীষার খুনটা হয়েছে সেখানে তার লাশের পাশে প্রিয়া নামক একটি মেয়ের ছবি পাওয়া গেছিলো কিন্তু পরে পুলিশ তদন্ত সূত্রে জানতে পারে যে অনেক আগেই সে সুইসাইট করে মারা গিয়েছে। এইবার দামিনীর কাছেও সেই প্রিয়া ছবি আর তার মৃত্যুর যে রহস্য ছিল। যায়হোক সবার চলাফেরা একটা অদ্ভুত রহস্যজনক। দেখা যাক পরের পর্বে কি আসে। ধন্যবাদ দাদা।