কলমি শাক ভাজি রেসিপি

in hive-129948 •  3 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি কলমি শাক রান্না করেছি। কলমি শাক অনেকদিন বাদেই খেলাম বলতে গেলে, তেমন কেনা হয় না। এই কলমি শাক মোটামুটি সব জায়গাতেই পাওয়া যায় তবে সেটা জলের উপরে বা স্যাঁতসেঁতে জায়গাগুলোতেই বেশি হয়ে থাকে। জলে হওয়ার জন্য একে আবার অর্ধ জলজ লতা শাক বলা হয়। কলমি শাকের পাতাগুলো খেতে দারুন লাগে , এর পাতাগুলো লম্বাটে হওয়ায় অনেকটা হয়ে থাকে। আর সবথেকে বড়ো কথা কলমি শাক অনেক উপকারী শাক কারণ এতে রয়েছে অনেক প্রকার ভিটামিন। যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী কারণ এতে লৌহ থাকে প্রচুর। তাছাড়া এতে অনেকটা ভিটামিন সি থাকে, ভিটামিন সি কিন্তু আবার আমাদের শরীরের রোগগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে। এইরকম আরো বিভিন্ন পদের রোগের সমস্যা আছে যা এই কলমি শাকের দ্বারা অনেক উপকারে এসে থাকে। আর কলমি শাক চিংড়ি দিয়ে খেতে অনেক টেস্টি লাগে, আমার কাছেও অনেক টেস্টি লেগেছিলো এই শাক । যাইহোক এখন আমি এই শাকের রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।

প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:
উপকরণ
পরিমান
চিংড়ি
১০০ গ্রাম
কলমি শাক
১ তাড়া
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৯ টি
সরিষার তেল
৪ চামচ
লবন
২.৫ চামচ
হলুদ গুঁড়ো
৩ চামচ


চিংড়ি, কলমি শাক, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ গুঁড়ো


✔এখন শাকের রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆


➤চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালো করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি কলমি শাকের তাড়িটা খুলে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে তা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে পেঁয়াজ কেটে নিয়েছিলাম। এরপর রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। লঙ্কাগুলো কেটে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤কেটে রাখা চিংড়িতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

➤চিংড়ি ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤তেল গরম হওয়ার পরে তাতে পেঁয়াজ এর কাটা অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে একেবারে কেটে রাখা কলমি শাক দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা চিংড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤চিংড়ি দেওয়ার পরে তাতে ১.৫ চামচ লবন আর ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম আর সাথে কেটে রাখা লংকা। এরপর শাকের সাথে সব মশলা ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে একটি পাত্র দিয়ে কিছুক্ষন ঢেকে রেখেছিলাম শাকগুলো সিদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত। শাকগুলো সিদ্ধ হয়ে আসলে পাত্রটি তুলে নিয়েছিলাম এবং ভাজা ভালোভাবে হয়ে আসা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।

➤ভাজা ভালোমতো হয়ে গেলে আমি চুলাটি অফ করে দিয়েছিলাম। শাক যতই দেওয়া হোক না কেন রান্নার শেষে কমে হয়ে যায় মুঠোখানি। যাইহোক শাক খাওয়ার জন্য বা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম। এইটা আমার অনেক প্রিয় শাক, খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কলমি শাক খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু কলমি শাকের যে আরেকটা নাম অর্ধ জলজ লতা তা আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনার সবগুলো আমার কাছে জন্যই ভালো লাগে যে আপনার পোস্ট থেকে আমরা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারি। কলমি শাক সম্বন্ধে আপনি অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন তথ্যগুলো জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। চিংড়ি মাছ দিয়ে কখনও কলমি শাক রান্না করা হয়নি। আমি বেশিরভাগ শুধু কলমি শাক ভাজি করে খেয়েছি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী কারণ এতে লৌহ থাকে প্রচুর। তাছাড়া এতে অনেকটা ভিটামিন সি থাকে, ভিটামিন সি কিন্তু আবার আমাদের শরীরের রোগগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে।

কলমি শাক আমার খুবই প্রিয়। তবে কলমি শাকের উপকারিতা সম্পর্কে এতটা জানা ছিল না। আজকে আপনার এই পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে কলমি শাকের বিভিন্ন রকমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমরা যদি নিয়মিত কলমি শাক খাই তাহলে আমাদের শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দাদা আপনি এই মজার রেসিপির পাশাপাশি অনেক সুন্দরভাবে এই শাকের গুনাগুন উপস্থাপন করেছেন। এই পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে সকালে অনেক উপকৃত হবে। চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমি শাক রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছ আমার খুবই ভালো লাগে। তবে কলমি শাক দিয়ে কখনো খাইনি। আমি অবশ্যই এই মজার রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখবো। আশা করছি চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমি শাক রান্না করলে খেতে দারুন লাগবে। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ❤️❤️❤️

যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী কারণ এতে লৌহ থাকে প্রচুর।

আরে বাহ দাদা,আজ আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি দেখলাম।আসলে অনেক দিন হল কলমি শাক খাওয়া হয় নি, বলতে পারেন বর্ধমানে আসার পর একবার ও না।এখানে পাওয়া যায় না মানে বিক্রি হয় না।বাবা কয়েকদিন আগে মাঠে একটি গাছ পেয়েছিল পুকুরে লাগিয়ে দিয়েছেন।কয়েকদিন পর খাবো ডোগ কেটে।তাছাড়া কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।যেটা গর্ভবতী মায়েদেরজন্য ভীষণ উপকারী।আমার বরাবরই চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমি শাক ভাজি রেসিপি ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে👌👌.ধন্যবাদ দাদা।

কলমি শাকের ভাজি দেখে
জিভে আসে জল,,
সবাই মিলে খেয়ে আসি
দল বেঁধে চল।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
কলমি পাতা ও ভাই
সাথে যদি চিংড়ি থাকে
তুলনা তার নাই।

চিংড়ি দিয়ে কলমি শাকের
দারুন রেসিপি,,,
দেখেই মনে ভাব আসে
যেন ভিআইপি।

এত সুন্দর রেসিপি দাদা
কেমনে করো তুমি,,,
তোমার রেসিপিতে সমৃদ্ধ
আমার বাংলা ব্লগ ভূমি।

দোয়া করি দাদা তোমায়
সুখে থাক রোজ,,
মাঝে মাঝে আমাদের
নিও একটু খোঁজ।♥♥

জলে হওয়ার জন্য একে আবার অর্ধ জলজ লতা শাক বলা হয়।

দাদা আপনি সব টা সময় আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন কিছু জানানোর চেষ্টা করেন যা আমার খুব ভালো লাগে। আপনার যেকোনো ধরণের পোস্ট আমি খুব আগ্রহ নিয়েই পড়ি। কারণ আমার জানা আছে আপনি পোস্টে কোন না কোন নতুন তথ্য দিয়েছেন যা আমার হয়তো আগে জানা থাকে না। আজকেও আপনি এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটান নি। কলমি শাকের এত এত গুণাগুণ আপনার পোস্ট পড়ে অনেকেই জেনে উপকৃত হয়ে থাকবে আশা করি। চিংড়ি মাছ আর কলমি একটা অন্য রকম ভালোবাসার রেসিপি। আপনাকে দাদা ধন্যবাদ।

দাদা আজকে আপনার রেসিপি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আজকে আপনি মজাদার কলমি শাকের রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে কলমি শাক আমার খুবই প্রিয়। গতবছর কলমি শাক আমরা তুলতে গিয়েছিলাম নৌকায় করে। আমাদের পুকুরের পাড়ে কলমি শাক পাওয়া যায়। তাই আমরা ছোট একটি নৌকা নিয়ে পুকুরের ওপারে গিয়ে কলমি শাক তুলে এনেছিলাম।আজকে আপনি অনেকদিন পর কলমি শাক খেলেন, আসলে কলমি শাকের খুবই মজাদার লাগে। আপনার রেসিপি উপস্থাপন এবং পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। এবং কলমি শাকে ভিটামিন সি রয়েছে যার কারণে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

  ·  3 years ago (edited)

আমি কোনদিনও কলমি শাক খাইনি তবে সব সময় দেখি যে ভ্যানে করে কলমি শাক বিক্রি করে দেখতেও ভালো লাগে কিন্তু কখনো কেন হয়নি। কলমি শাক যে জলের উপরে ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় হয় সেটা আবার অর্ধ জলজ লতা শাক নামে পরিচিত আমার জানা ছিল না আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিলাম। যে কোন শাকই চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে ।রক্তশূন্যতায় কলমি শাক উপকারী সেটা আজ আপনার কাছ থেকে জেনে নিলাম। আপনি একেবারে আমার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে শাকটি রান্না করলেন আমি প্রথমে শাক সিদ্ধ করে তারপরে চিংড়ি ভেজে তার ভিতরে একবারে তেলে দিয়ে দিই আর আপনি প্রথমে চিংড়িগুলো ভেজে উঠিয়ে রেখে তারপর একেবারে তেলে দিয়ে দিলেন এই পদ্ধতিতে কখনো রান্না করা হয়নি নতুন একটি পদ্ধতি শিখে নিলাম আপনার কাছ থেকে দাদা।

কলমি শাক একেবারে ভাজা ভাজা করে রান্না করলে খেতে আমার খুবই মজা লাগে।

কলমি শাক ভাজি আমার খুবই খুবই ফেভারিট গ্রামে থাকতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় খাওয়া হতো এখন অবশ্য তেমন একটা যাওয়া হয় না তবে আপনার ভাজির রেসিপিটি দেখে খুব আগ্রহ হচ্ছে এমন ভাজি করে খাওয়ার জন্য রেসিপিটি সুন্দর ভাবে প্রস্তুত প্রণালি তুলে ধরেছেন শুভকামনা রইল দাদা আপনার জন্য

দাদা আপনার রেসিপি গুলো দেখলে শুধু খেতে ইচ্ছে করে কারণটা জানি না, নিশ্চয়ই আপনি দারুন রেসিপি করেন তাই। অবশ্যই আপনার রেসিপি গুলো দেখলে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপিগুলো উপস্থাপনা এবং কি আপনি কলমি শাকের খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। দাদা ঠিকই বলেছেন কলমি শাক এমন একটা সাক যা রক্ত শূন্যতা পূরণ করে এবং মানবদেহের জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

আসলেই কলমি শাক আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। কলমি শাক আমার অনেক পছন্দের । প্রায়ই শাক ভাজি করে থাকে। আবার মাছ ও ডাল রান্না করে। খেতে খুবই দারুন লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

শুভকামনা রইলো।

চিংড়ি দিয়ে কলমি শাক ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে ।।আপনার রেসিপি বরাবরই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখে নিতে পারি যা পরবর্তীতে রেসিপি তৈরি করতে সাহায্য করে।।
ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।

অর্ধ জলজ লতা এই প্রথম নাম শুনলাম।যাই হোক কলমি শাক শুধু ভাজি খেয়েছি,কিন্তু এভাবে চিংড়ি দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হবে।প্রতিটি ধাপ দেখেছি বসায় একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবো।ধন্যবাদ আপনাকে

ওরে বাপরে চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমী শাক ভাজি! 😯😯 আমরা শুধু এমনিতেই ভাজি করি। আমি জানতাম কলমি শাক ভাজি শুধু শুধু আপনি দেবেন না এর মধ্যে নতুন কোন পদ্ধতি অ্যাডজাস্ট করবেন। আর সেটা হচ্ছে চিংড়ি মাছ কলমি শাক ভাজি। আমার অনেক প্রিয় কলমি শাক।এর ডাটা গুলো যখন খাওয়া শুরু করি তখন একটা আওয়াজ হয় তখন আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। চিংড়ি মাছের সমন্বয়ে নিশ্চয়ই এর স্বাদ আরো বেশি বেড়ে যাবে অনেক ভালো লাগলো এই রেসিপিটি।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া কলমি শাকে ভিটামিন সি রয়েছে । কলমি শাক আমার কাছেও ভাজি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রায় সময় কলমি শাক আমার বাসায় ভাজি করে খাই। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন কিছু শিখে নিলাম । চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমি শাক ভাজি খেতে অনেক মজা হয়েছে
ভাইয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে ।

কলমি শাকের আরেকটা নাম অর্ধ জলজ লতা শাক। অন্য নামটিতো বেশি সুন্দর।
কলমি শাকের যত উপকারিতার কথা বললেন তা শুনে তো মনে হচ্ছে যে রেগুলার এই কলমি শাক খাওয়া উচিত। তাহলে শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। আর যে কোন শাক চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে তার স্বাদ আরও অনেক বেড়ে যায়। তাছাড়া দাদা আপনি প্রতিটি রেসিপির শুরুতে এত সুন্দর করে বর্ণনা করেন যে শুনেই মুখে পানি চলে আসে। চিংড়িগুলো যেভাবে ভেজে উঠিয়ে রেখেছেন মনে হচ্ছে তো ওখান থেকে নিয়েই খেয়ে ফেলি। সব শেষের শাকের ছবিটাই বলে দিচ্ছে খেতে কত মজাদার হয়েছে।

কলমি শাকের অনেক গুণাগুণ আজকে আপনার মাধ্যমে জেনে নিলাম দাদা। কলমি শাক ভাজি এমনিতে খেতে খুব পছন্দ করি। তার ওপর যদি আবার চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আজকে আপনার তৈরি কলমি শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ ভাজি রেসিপি দেখে আমার তো মুখে জল চলে এসেছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। এত সুন্দর ভাবে কলমি শাকের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

দাদা আপনার রেসিপি মানেই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কিছুটা মাছ থাকবেই। আজকে কলমি শাক রেসিপিটি তে চিড়িং মাছ দিয়ে আরো সুস্বাদু করেছেন। আমি যদিও কলমি শাক খাই না। তবে আমাদের বাড়ীতে মাঝে মাঝে এই শাক টি রান্না করা হয়। আমাদের এখানে এক সময় এই কলমি শাকের ভিতর এক ধরনের পোকা হয়েছিল। যে পোকার কামড়ে বেশ কয়েক জন মানুষ মারা গিয়েছিল। যদিও এই ঘটনাটি লোক মুখে শোনা। যাই হোক আজকের রেসিপিটিও বরাবরের মতন দারুন হয়েছে। যে কোন শাক শরীরের জন্য ভাল। ভাল থাকবেন । শুভেচ্ছা রইল।

কলমি শাক ভাজি রেসিপি অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না রেসিপিটা অনেক আগে আমার আম্মা একবার রান্না করেছিলেন । আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে রেসিপি টা অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে গমের রুটির সঙ্গে এই রেসিপিটা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি । আজকে আপনার এই উপস্থাপন করা কলমি শাকের রেসিপি টা দেখে অনেক খেতে ইচ্ছে করছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এমন সুন্দর করে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রইল। ❣️❣️❣️

খুবই মজাদার একটি কলমি শাক ভাজি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কলমি শাকে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। মাঝে মাঝে এ ধরনের রেসিপি খাওয়া হয় অনেকদিন হলো তেমন একটা খাওয়া হয়ে ওঠেনা। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

শাকের মধ্যে আমার কলমির শাক সবচেয়ে বেশি পছন্দ। আমি কলমির শাক ভাজি অনেকভাবে খেয়েছি। তবে সত্যি বলতে দাদাভাই চিংড়ি মাছের সাথে কখনো কলমির শাক ভাজি খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। আমি পরবর্তীতে অবশ্যই এভাবে কলমির শাক ভাজি করে খেয়ে দেখব। অনেক ধন্যবাদ এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য দাদাভাই। সব সময় ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি।

যে কোন শাকের সাথে যদি চিংড়ি মাছ দেয়া যায় তাহলে সেই শাকের রেসিপির টেস্ট অনেক বেড়ে যায়। কলমি শাকের রেসিপি অনেক খেয়েছি আর চিংড়ির সমন্বয়ে এই শাকের রেসিপি টেস্ট খুবই লোভনীয় যেটা আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সেটা দেখেও বেশ লোভ লেগেছে। মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আর সবথেকে বড়ো কথা কলমি শাক অনেক উপকারী শাক কারণ এতে রয়েছে অনেক প্রকার ভিটামিন।

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন দাদা কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কেননা কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।

আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে কোন কলমি শাক রান্না করার একটা পদ্ধতি শেয়ার করেছেন। এর আগে আমি কলমি শাকের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু কোনদিন চিংড়ি মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি।

কলমি শাক বর্ষা কালীন সময়ে বেশি পাওয়া যায়। কলমি শাক ভাজি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আজকে অনেক মজাদায়ক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। এই ধরনের মজাদায়ক ভাজি রেসিপি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। যেটা অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না আপনার ভাজি রেসিপি তৈরি দেখে খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো।