মুভি রিভিউ: সাগরিকা

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা পুরানো বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি যে মুভিটি রিভিউ দেবো সেটির নাম হলো "সাগরিকা"। এটি উত্তম সুচিত্রা অভিনীত একটা মুভি। গত সপ্তাহেও আমি উত্তম সুচিত্রার একটি মুভি রিভিউ দিয়েছিলাম। আর আজকের এই মুভিটার কাহিনীও অসাধারণ। আসলে উত্তম সুচিত্রার এইসব মুভিগুলো যতই দেখা হোক না কেন যেন নেশা আর কাটে না। বার বার দেখতে ইচ্ছা হয় তাদের অভিনীত মুভিগুলো। আর তাদের সময়ের রোমান্টিক মুভির একটা অন্যরকম কায়দা ছিল, এখনকার থেকে অনেক অনেক পার্থক্য। আশা করি আজকের এই মুভির কাহিনীটাও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


☬কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:☬

মুভির নাম
সাগরিকা
পরিচালকের নাম
অগ্রগামী
লেখকের নাম
নিতাই ভট্টাচার্য্য
প্রযোজক
সুকুমার কুমার
গানের পরিচালক
রবিন চ্যাটার্জি
অভিনয়
উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, অনুপ কুমার, কমল মিত্র, জহর গাঙ্গুলি, যমুনা সিনহা ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯৫৬ সাল ( ভারত )
সময়
১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় একটা মেডিকেল কলেজে উত্তম কুমার একজন রোগীকে চিকিৎসা স্বরূপ সেবা করছে এবং তখন তার শিক্ষক এসে সেই রোগীকে আরেকবার চেকাপ করে দেখে যে উত্তম কুমার সবকিছুই ঠিকঠাক দেখেছে , আর সেইটা দেখে তার শিক্ষক খুব খুশি হয়। উত্তম কুমার সেই সময় বড়ো কোনো ডাক্তার না, পড়াশুনা করে। তবে স্কলারশিপ নিয়ে বিলেতে পড়তে যাবে বড়ো ডাক্তার হওয়ার জন্য। আর এই স্বপ্ন বা আশাটা ছিল তার বাবার কিন্তু হঠাৎ উত্তম কুমার ছোট থাকা অবস্থায় মারা যায়। যাইহোক উত্তম কুমার সকাল থেকে সেই রোগীটার কাছে থেকে ডিউটি করছে আর সেবাও করছে। মূলত রোগীটার একটু ক্রিটিকাল অবস্থা যার জন্য উত্তম সেখান থেকে একটুর জন্যও কোথাও যাইনি। এরপর একদিন কলেজে হঠাৎ করে সুচিত্রার সাথে উত্তমের ধাক্কা যায় তখন উত্তম এর এক বন্ধু কেদারের কাছে তার বিষয় সবকিছু জানার আগ্রহ প্রকাশ করে আর কেদারও তাকে হাসি, মজার ছলে সবকিছু বলেও দিয়েছিলো। কলেজের প্রিন্সিপল উত্তম কে ডেকে পাঠায় এবং স্কলারশিপ এর জন্য তার নামটাকেই সিলেক্ট করেছে বলে জানায়। তাই উত্তমের বিলেতে পড়তে যাওয়ার জন্য সবকিছু ব্যবস্থা শুরু করে দিতে বলে। এরপর দেখা যায় মেডিকেল কলেজ নিয়ে কলেজের কিছু ছাত্র-ছাত্রী দারুন ছন্দে একটা গান গায়। এদিকে উত্তম কুমারের সাথে সুচিত্রার ডিউটি পড়ে যায় রোগী দেখার জায়গায়, তার বান্ধবীও উত্তমের সাথে ধাক্কা লাগা নিয়ে একটু খোঁচাতে থাকে আর মজা নিতে লাগে। এইসব শুনে সুচিত্রা একটু রাগান্বিত হয়ে যায় কারণ সে এইসব একদম পছন্দ করে না।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ডিউটি অবস্থায় উত্তম কুমারের লেখা একটা সাগরিকা নামক কবিতা সুচিত্রা দেখে ফেলে আর এইটা তাকে নিয়ে লিখেছে সেটাও বুঝতে পারে। এরপর উত্তমের কাছে এসে রাগারাগি করে আর এইসব অন্য একজন ডাক্তার দেখে ফেলে। এরপর প্রিন্সিপল এর কাছে গিয়ে নালিশ করে যে উত্তম এইসব কান্ড ঘটিয়েছে যা সারা কলেজে রটে গেছে। কিন্তু প্রিন্সিপল কারো কোনো কোথায় কান না দিয়ে নিজের স্থানে অনড় ছিলেন। উত্তম কে যাতে তারা বিলেতে যেতে আটকাতে পারে এইজন্য কিছু লোকজন পিছনে লেগেছিলো। যাইহোক এরপর উত্তম বাড়িতে যায় কিন্তু ও যাদের বাড়িতে থেকে পড়তো সেই বাড়ির মেয়ে শিপ্রা তাকে ভালোবাসতো আর এই কথাটা সে উত্তম কে বোঝাতে চায় কিন্তু উত্তম সাফ তাকে বলে দেয় যে আমাদের মধ্যে এমন কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠিনি। উত্তম সুচিত্রা কে ভালোবাসতো এই বিষয় নিয়ে শিপ্রা মেয়েটি একপ্রকার পাগলামি শুরু করে দেয়। কলেজেও সবাই এই নিয়ে হাসি, মজাক শুরু করে যেটা সুচিত্রার কাছে খুবই অসহ্য জনক কাজ বলে মনে হয়। এরপর শিপ্রা একদিন উত্তমের রুমে ঢুকে সুচিত্রা কে নিয়ে লেখা একটা কবিতা পড়ে হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছিড়ে ফেলে কাগজটি আর উত্তম এই বিষয়টা দেখে আরো রেগে গিয়ে বাড়ির থেকে সবকিছু গুছিয়ে বেরিয়ে যায়। আর তারপর এইসব বিষয় নিয়ে শেষ পর্যন্ত তার বিলেত যাওয়া আটকে যায়। মূলত শিপ্রা উত্তমের নাম করে একটা চিঠি সুচিত্রার কাছে পাঠায় আর সেইটা কে কেন্দ্র করেই তার স্কলারশিপ ক্যানসেল হয়ে যায়। এরপর সে সেখান থেকে বেরিয়ে গ্রামে তার জ্যাঠুর কাছে গিয়ে বলে আর তার বিলেত যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা শুরু করে। শিপ্রা একদিন এসে সুচিত্রাকে সব বলে ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং তারপরে সুচিত্রা সত্যিটা জানতে পেরে সর্বক্ষণ অনুসূচনায় ভুগতে থাকে। এদিকে তার জ্যাঠা একজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তাকে বিলেত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল তার মেয়ের সাথে আবার উত্তমের বিয়ের কথা চালায়। আবার এদিকে সেই মেয়ের সাথে সুচিত্রার আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। সুচিত্রা সবকিছু শোনার পরে মনে আঘাত পায় কারণ সেও উত্তম কে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছিলো।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

উত্তম জাহাজে করে বিলেত যাওয়ার সময় সুচিত্রাকে একটা চিঠি লিখে পাঠিয়েছিল কিন্তু অন্য মেয়ের সাথে বিয়ে হবে শুনে সুচিত্রার কাছে চিঠিটি ভিত্তিহীন মনে হলো আর ছিড়ে ফেললো অভিমানে। উত্তমের বন্ধু কেদারের জন্মদিনে সুচিত্রা আর সেই মেয়েটিকে আমন্ত্রিত করে আসে। এদিকে উত্তম বিলেত চলে গিয়ে সেখানে ডাক্তারি পড়া সঠিকভাবে করতে লাগে। কেদারের জন্মদিনে তারা দুইজন যায় আর সেখানে সেই মেয়েটি গান গায়। গানের গলা শুনে সবার কাছে অনেক ভালো লাগে। এদিকে উত্তম এর সাথে যে বাসন্তী নামক মেয়েটির বিয়ে ঠিক ছিল তার বাবা তাকে চিঠি লিখতে বলে কিন্তু সে সুচিত্রাকে বলে তুমি চিঠি লিখে দাও আমার হয়ে। এরপর সুচিত্রা লিখে দেয় কিন্তু নিজের আবেগের বসে সেখানে নিজের কিছু কথা উল্লেখ করে ফেলে আর উত্তম পড়ে সেটিও কিছুটা বুঝতে পারে যে এটি সুচিত্রার লেখা। আর এদিকে বাসন্তী মেয়েটি অন্য একটি ছেলের সাথে শপিং মল এবং আরো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার চোখের আড়ালে। উত্তম তার চিঠিতে সুচিত্রাকে চিঠির উত্তর দিতে বলেছিলো কিন্তু এইটা অন্যায় বলে সে আর লিখতে গিয়েও লেখেনি কারণ এখানে তার বিবেকে বাধা দিয়েছিলো। এরপর চিঠির উত্তর না পেয়ে উত্তম আবার আরেকটি চিঠি লিখে পাঠায় কিন্তু সেটিও বাসন্তী না পড়ে সুচিত্রাকে দিয়ে আসে। সুচিত্রা প্রথমে পড়তে চাচ্ছিলো না কিন্তু নিজের আবেগকে আর বেশিক্ষন সে আটকে রাখতে পারিনি, পরেই ফেলেছিলো।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

চিঠি পড়ার পরে সুচিত্রা অনেক খুশি হয়ে যায় এবং পরে একের পর এক চিঠি চালাচালিতে দুইজনের মধ্যে মনের ভাব প্রকাশ করে ফেলে। এদিকে বাসন্তী মেয়েটি প্রশান্ত নামক সেই ছেলেটির সাথে ঘোরাঘুরি করে বেড়ায় আর তার সাথেই সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। ল্যাবে কাজ করার সময় ক্যামিকাল পাত্রে ফুটন্ত অবস্থায় রেখে চিঠি পড়ার সময় বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যায় আর সেখানে উত্তম এর চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে যায়। এই খবর পাওয়ার পরে সুচিত্রা দুঃখে ভেঙে পড়ে। এরপর সুচিত্রা বাসন্তী মেয়েটিকে বলে এইসময়ে তোমার তার পাশে গিয়ে দাঁড়ানো উচিত কিন্তু অন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে চলে যায় আর বলে যায় তোমার যখন এতই দরদ তখন তুমি গিয়েই সেবা করো। উত্তম বিলেতে ডাক্তারি পড়ে ১স্ট হয়েছে কিন্তু একটা দুর্ঘটনা জীবনে দুর্যোগ বয়ে আনলো। এরপর বিলেত থেকে কলকাতায় ফিরে আসলো এবং এয়ারপোর্টে কেদার আর সুচিত্রা নিজের পরিচয় গোপন রেখে বাসন্তী সেজে তাকে আনতে যায়। কেদার তার বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা এর কাজে সাহায্য করতে লাগে আর সুচিত্রাও তাকে দেখভাল করতে লাগে। আর এদিকে বাসন্তী মেয়েটি সিনেমা থিয়েটার এইসব করে বেড়ায় সারাদিন রাত।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

উত্তমের জ্যেঠু গ্রাম থেকে কেদারের বাড়িতে আসে উত্তমকে দেখার জন্য এবং দেখে অনেক কান্নাকাটিও করে। সব ঠিক হয়ে যাবে এমন স্বান্তনা দিয়ে কিছুক্ষন পরে আবার চলে যায়। সুচিত্রা এদিকে নিজের ভালোবাসা নিজের মধ্যে চেপে রেখে সবসময় বাসন্তী সেজে অভিনয় করে যাচ্ছে আবার বাসন্তী সেজে নিজের নিজেই সবকিছু বলছে। এদিকে বাসন্তী মেয়েটি গ্রামের সহজ সরল মেয়ে বলে সেই ছেলেটি তাকে একপ্রকার ব্যবহার করতে থাকে। কেদার এই নিয়ে তাকে সাবধানও করে কিন্তু কোনো পাত্তা দেয় না। কলকাতায় চক্ষু বিশেষজ্ঞ এর বড়ো ডাক্তার এসেছে খবর সুচিত্রা পায় নিউজ পেপার থেকে। এরপর এই কথাটা সে কেদার কে জানায় এবং সে সেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে আর ডাক্তারও অপারেশন করার জন্য রাজি হয়ে যায়। এদিকে সুচিত্রা এই মিথ্যার আড়ালে উত্তমকে হারিয়ে ফেলে কিনা সেইটা নিয়ে বড়ো দুশ্চিন্তা সে করতে লাগে। এরপর উত্তমকে নিয়ে তারা হসপিটালে যায় এবং সেখানে উত্তম আবার বলে বসে যে আমি চোখ খুলে প্রথমে বাসন্তীকেই দেখতে চাই আর সুচিত্রা বাধ্য হয়ে কোথাও দিয়ে ফেলে। এদিকে উত্তমের চোখের অপারেশনও ভালোমতো হয়ে যায় এবং সবাই বাড়ি চলে আসে। এদিকে বাসন্তী সেই ছেলেটির সাথে রাতে পার্টিতে যায় এবং সেখানে তার সাথে অভদ্র আচরণ করতে যায়। আর সেই সময় কেদার খবর পেয়ে তাকে খুঁজতে চলে যায় আর এইসব দেখতে পেয়ে তার কাছ থেকে বাঁচিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। এরপর সুচিত্রা তাকে সবকিছু খুলে বলে আর উত্তমের কাছে গিয়ে দাঁড়াতে বলে। সে সুচিত্রার কথা মতো রাজি হয় কিন্তু ভয়ে ভয়ে থাকে একপ্রকার যে ধরা পড়ে গেলে কি হবে। এরপর উত্তমের যেদিন চোখের ব্যান্ডেজ খোলার দিন সেদিন সবাই সেখানে উপস্থিত থাকে এবং চোখ খোলার পরে সে সুচিত্রাকে না দেখতে পেয়ে আবার চোখ নষ্ট করে দিতে চায়। কারণ সে বুঝতে পেরেছিলো যে এ বাসন্তী সেই বাসন্তী নয়। এরপর সুচিত্রা সবকিছু ভুলে গিয়ে তার কাছে চলে আসে আর শেষে তাদের ভালোবাসার সার্থকতা পায়।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই মুভিটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে দেখবে তার আবারো ফিরে দেখতে ইচ্ছা করবে। এর কাহিনীগুলো যে কি চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে উত্তম আর সুচিত্রা তাদের অভিনয়েরর দ্বারা তা বলে বোঝানো যাবে না। আমার কাছে কাহিনীটা অসাধারণ লেগেছে শেষ পর্যন্ত। আর এখানে বাসন্তী মেয়েটির বাবা একপ্রকার স্বার্থপরের মতো ছিল কারণ উত্তমের জ্যেঠু যখন টাকা নিয়েছিল তার কাছ থেকে তখন উত্তমের ডাক্তারি কথা শুনে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে কিন্তু যখন শুনলো যে একটা দুর্ঘটনায় তার চোখের দৃষ্টি চলে গেছে সেখানে তার পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তাকে দূরে সরিয়ে দিলো আর মেয়েকে বিয়ে দেবে না বলে দিলো। এখানে আবারো যখন সে শুনলো যে অপারেশন করলে চোখ ভালো হয়ে যাবে তখন আবার তার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগলো। আর এখানে সুচিত্রা নিজের ভালোবাসাকে নিজের মধ্যে চেপে রেখে ত্যাগ স্বীকার করে নিজের সত্যিকারের ভালোবাসার দৃষ্টান্ত উদাহরণ তুলে ধরেছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই মুভিটির রেটিং ফুল দেব কারণ মুভির কাহিনী আমার মন ছুঁয়ে গেছে একপ্রকার।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
১০/১০


✔মুভির লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

উত্তম ও সুচিত্রার জুটিটি একদম ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে থাকবে আজীবন।অভিনয় জগতের শ্রেষ্ঠ জুটি ।পূর্বের মুভিগুলো একবার দেখলে বারবার দেখতে ইচ্ছে করে।এটি যদিও সাদা কালো ছিল, তবুও অভিনয় দক্ষতা ছিল জীবন্ত।মনেই হতো না এটি কোনো অভিনয় ,মনে হতো সত্যিকারের বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনা।এদের সম্পর্কে যতই প্রশংসা করা হোক না কেন তা খুবই সল্প বলে মনে হয় আমার কাছে।আপনার উত্তম সুচিত্রার আগের মুভি রিভিউটা ও ভালো ছিল। আর আজকের এই মুভিটার রিভিউ ও অসাধারণ।স্বার্থপর মানুষ কখনো ভালোবাসা কে আলাদা করতে পারে না।শেষমেশ ভালোবাসার জয় অনিবার্য।আমি তো মাঝে মাঝে সময় পেলেই উত্তম -সুচিত্রার মুভি দেখি পরিবারের সঙ্গে।এই মুভিগুলো খুবই সামাজিক ও শিক্ষণীয় ছিল।খুবই ভালো লাগতো দেখতে।আগের মুভির গানগুলো মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো ছিল।আগের মুভিগুলো অভিনয় দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করে, আপনি খুব সুন্দর করে রিভিউ দিয়েছেন সাগরিকা মুভিটা।পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

ওয়াও, আবার সেই পছন্দের জুটির মুভি। উত্তম - সুচিত্রার মুভি মানেই অসাধারণ গল্প, অসাধারণ অভিনয়। আপনার আগের মুভি রিভিউ দেখে আমি উত্তম সুচিত্রার ভক্ত হয়ে গেছি। আসলে অভিনয় নাকি বাস্তব তাদের অভিনয় দেখলে কনফিউশন লাগে। তারা একদম নিঁখুত অভিনয় করে, তাদের অভিনয়ে ভুল ধরার কোনো স্কোপ নাই। আসলে কি পুরাতন মুভিগুলো এক একটা মাস্টার পিছ। এখনকার মুভি যেমন সব কপি করা কাহিনী আগের মুভিগুলো ছিলো সব মৌলিক কাহিনী নিয়ে। তেমন গল্প হচ্ছে সাগরিকা মুভির গল্প। সমাজের বাস্তবিক দিকটা খুব সুন্দর ভাবে এই মুভির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
বাসন্তির বাবার মতো আমাদের সমাজে অনেক লোভী মানুষ আমাদের সমাজে বসবাস করে। যাদের কথার কোনো ঠিক নাই। এই রকম লোক একটা আমাদের গ্রামে আছে। সম্পর্কে আমার চাচা হয়। তার মেয়ের বিয়ে নিয়ে অনেক কাহিনী করছে। তবে আমার কাছে সুচিত্রার ক্যারেক্টারটা বেশি পছন্দ হয়েছে। সুচিত্রা তার ভালোবাসায় অটোট ছিলো তাই শেষ পর্যন্ত তার জয় হয়। আসলে সত্যি ভালোবাসাগুলো সব সময় সফল হয়।
দাদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি বাস্তব ভিত্তিক মুভি আমাদের মাজে শেয়ার করার জন্য। আসলে প্রতিটি সিনেমা আমাদের জীবনের ঘটনার কিছু অংশ মাত্র। দাদা, আশা করি সামনে আরো এমন মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় রইলাম দাদা। 🤚🤎

আসলে সুচিত্রা এবং উওম কুমারের মুভি অনেক সুন্দর। সামাজিক ছবি।অভিয়ন ও খুব সুন্দর। দাদা আমি আপনার সাগরিকা মুভির কাহিনিটা পরেছি।আসলে আগের দিনে নাকি এ রকম ছেলেদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে। এভাবে বড়লোকদের কাছে টাকা ধার নেওয়া হতো শর্তসাপেক্ষে। ছেলে একটু ভালে পজিশনে গেলে নিজের মেয়েদের সাথে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতো।আমি আমার নিজের চোখেই দেখেছি।আর এটাও সত্যি যে তারা খুব স্বার্থপর টাইপের ছিল। উওম কুমার এক্সিডেন্ট করে চোখে দেখতে পেলো না, তখন মেয়ে বিয়ে দিবে না, আবার যখন চোখে দেখতে পেলো তখন আবার বিয়ে দিবে।আসলে বাস্তব জীবনে ভালো স্টুডেন্ট দের সাথে সত্যি সত্যি কিছু শত্রু থাকে। যারা টেনে নিচে নামাতে চাই। কেউ সফল হয়,কেউ হয় না।আসলেই দাদা ছবিটা অনেক সুন্দর ছিল। সময় সুযোগ করে একদিন দেখে নিবো।আগের দিনের সাদাকালো ছবি গুলো বেশি সুন্দর। এখনকার চেয়ে।নায়ক নায়িকা দের ও অভিয়ন ও বেশ ভালো ছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর একটা মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য।

সুচিত্রা সবকিছু ভুলে গিয়ে তার কাছে চলে আসে আর শেষে তাদের ভালোবাসার সার্থকতা পায়।

শ্রদ্ধেয় স্যার উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন ম্যামের জুটি সবসময় জনপ্রিয়। একটি সার্থক প্রেমের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। আসলে পুরনো দিনের মুভিগুলো যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। হয়তো সময়ের অভাবে এখন আর মুভি দেখা হয় না। তবে আপনার এই মুভি রিভিউটি আমি সম্পূর্ণ পড়েছি এবং আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই গুণী শিল্পীদের অভিনয় দক্ষতা এতটাই ভালো ছিল যে তাদের অভিনয়ে সকলেই মুগ্ধ হয়ে যেত। উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের জনপ্রিয় জুটি সারাজীবন সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে থাকবে। "সাগরিকা" এই মুভিটি আমি এর আগে দেখিনি। তবে আপনার এই মুভি রিভিউ পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এটি খুবই সুন্দর একটি মুভি। আসলে একটি মুভি তখনই সুন্দর হয় যখন এই মুভির কাহিনী চিত্র সকলকে আকর্ষণ করে এবং মনের মাঝে প্রশান্তি তৈরি করে। পুরনো দিনের মুভিগুলোর মাঝেও অনেক দারুন দারুন সব কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে। এই মুভিতে উত্তম কুমার স্যার তার অভিনয়ে নিশ্চয়ই সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আসলে ভালোবাসা এমনই হয় ভালোবাসার মানুষ যদি তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে তার পরেও তার প্রিয় মানুষটি তাকে ছেড়ে যায় না। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো হারায় না। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও স্বার্থ দিয়ে হয় না। এই মুভির গল্প মিষ্টি প্রেমের গল্প। আসলে আগেকার দিনের মুভিগুলোতে চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান হতো। সেই সময় গুলো অনেক সুন্দর ছিল। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সেই চিঠির আদানপ্রদান এখন আর দেখতে পাওয়া যায়না। চিঠির প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে আবেগ মিশে ছিল তা আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সেই সাথে সাথে মানুষের ভেতরে থাকা ভালোবাসা ও গভীর আবেগ আজ বিলীন হয়ে গেছে। শ্রদ্ধেয় ও আমাদের সকলের প্রিয় স্যার উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন ম্যামের জনপ্রিয় জুটি সর্বকালের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই মুভির মাঝে যে গল্প রচনা করা হয়েছে সেই গল্পটিও খুবই সুন্দর। আমি সর্বশেষ একটি কথাই বলতে চাই তাদের এই সত্তিকারের ভালবাসা স্বার্থক হয়েছে এটা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। সার্থক ভালবাসার মাঝে রয়েছে অনাবিল সুখ ও আনন্দ। যখন একটি মুভি দেখার পর দুটি অবুঝ মনের মিলন দেখতে পাওয়া যায় তখন আরো বেশি ভালো লাগে দাদা। দাদা আপনি এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক জনপ্রিয় এই সাগরিকা মুভি রিভিউ সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের প্রিয় দাদার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💝💝💝

উত্তম কুমার সুচিত্রা সেনের এই সাগরিকা মুভিটি অনেক আগে আমি দেখেছিলাম।আপনার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি আগেকার এই মুভিগুলো রোমান্টিকতা ছিল ভিন্নতর যা বর্তমানের সাথে অনেকাংশেই আলাদা।আর সেসময়ের মুভি মানেই সুচিত্রা উত্তম।ব্যক্তিগতভাবে আমার ও এই জুটিটা অনেক পছন্দের।তবে এই সাগরিকা মুভি টা অনেক ছোটবেলায় দেখেছিলাম।।

অনেক ছোটবেলায় দেখলেও সাগরিকা মুভির কাহিনীটা সত্যিই আমার মনে দোলা দিয়ে ছিল এবং মন ছুয়ে যাওয়ার মত একটা ছবি এই সাগরিকা।এত চমৎকার অসাধারণ একটি মুভি রিভিউ দিয়ে আপনি নতুন করে আমার মনে দোলা দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আমার তো সেভাবে ফুল মুভি দেখা হয় না। তবে আপনার রিভিউ পেলে নতুন করে আবার মুভি দেখাবা। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। নতুন নতুন মুভির রিভিউ আপনার কাছে প্রত্যাশা করছি। আশাকরি প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট ভূমিকা রাখবেন।।অনেক অনেক ভালো থাকবেন দাদা এবং সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমারের মুভি আরো দেখতে চাই আপনার কাছে রিভিউ হিসেবে।♥♥

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ জুটি হচ্ছে উত্তম সুচিত্রা😍। শ্রদ্ধেয় উত্তম কুমার স্যার ও সুচিত্রা ম্যাডাম আজ আমাদের মাঝে নেই। তবে তাদের সেই মুভি গুলো এখনো সকলের কাছেই জনপ্রিয়। আসলে মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে। তাদের এই জনপ্রিয় মুভি গুলো আজও তাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায় কিন্তু সময়ের বিবর্তন হলেও তাদের কর্ম তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে। কথায় আছে মানুষের কর্মই মানুষকে চিরকাল সকলের অন্তরে বাঁচিয়ে রাখে। তেমনি উত্তম কুমার স্যার ও সুচিত্রা ম্যাডাম তাদের কর্মের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবে। আসলে অভিনয় দক্ষতা সবার মাঝেই থাকে না। অভিনয়ের দক্ষতার মাঝে যে সৃজনশীলতা রয়েছে এবং দর্শক হৃদয়কে আকর্ষণ করার মত যে দক্ষতা রয়েছে তা শুধুমাত্র এই শ্রেষ্ঠ জুটির মধ্যেই ছিল। হয়তো আরো অনেক অভিনয়শিল্পী রয়েছে কিন্তু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ জুটি হচ্ছে উত্তম-সুচিত্রা জুটি। এই জুটি বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ জুটি ও সর্বকালের সেরা। আমি উত্তম-সুচিত্রা জুটির যতগুলো মুভি দেখেছি সবগুলোই আমার কাছে ভালো লেগেছে। "সাগরিকা" মুভি আমি দেখিনি তবে আপনার এই মুভি রিভিউ পোস্ট পড়ে আমার ইচ্ছে হচ্ছে এই মুভিটি দেখার জন্য। এটি একটি সার্থক প্রেমের গল্প। দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প দেখতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় কোন জনপ্রিয় জুটির অভিনয় তাহলে এই মুভি আরো বেশি সার্থক হয়। এই সুন্দর মুভিতে সকলের প্রিয় উত্তম কুমার স্যার ও সুচিত্রা ম্যাডাম অভিনয় করেছেন। তাদের অভিনয় মানে হচ্ছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অভিনয়। অভিনয়ের যাদু ও কলাকৌশল সবসময়ই সকলকে মুগ্ধ করে। আপনার এই মুভি রিভিউ পোস্টটি যখন আমি পড়ছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনে সেই কাহিনীচিত্র গুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। দাদা আপনি এত সুন্দর ভাবে মুভি রিভিউ লিখেছেন যে আমি এই মুভি না দেখেও মুভিটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছি। আর এই মুভিটি না দেখলেও আমি সম্পূর্ণরূপে মুভিটি সম্পর্কে সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি এবং আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই মুভিটিতে উত্তম কুমার ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন এবং দুর্ঘটনায় তার চোখ হারিয়ে ছিলেন। তবে এই মুভির আমার সব চেয়ে বেশি ভাল লেগেছে চিঠির আদানপ্রদান। উত্তম কুমার স্যার তার ভালোবাসার মানুষটির লেখা সেই চিঠিগুলো পড়ে তাকে চিনতে পেরেছিলেন। আসলে ভালোবাসা ও আবেগের বহিঃপ্রকাশ করার খুবই সুন্দর একটি মাধ্যম হচ্ছে চিঠি। সুচিত্রা ম্যাম নিজের পরিচয় গোপন করে তার প্রিয় মানুষটি কে চিঠি পাঠাতেন অন্য নামে। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো উত্তম কুমার স্যার ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছিলেন। এভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল তাদের মিষ্টি প্রেমের গল্প। অবশেষে এই মিষ্টি প্রেমের গল্পের সুন্দর একটি পরিসমাপ্তি হয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগলো।সুন্দর একটি মিষ্টি করে প্রেমের গল্পের মুভি রিভিউ তৈরি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

সাগরিকা ছবিটি অনেক পুরনো হলেও আমি বেশ কয়েকবার দেখে ফেলেছিলাম আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ছবির গল্পটা যতটা ভালো উত্তম কুমার সুচিত্রা সেনের অভিনয় সেটা অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছিল আসলে শিল্পীর শিল্প ভালো না হলে সেটা কখনো সুন্দর হয় না। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন কার রোমান্টিক মুভি আর পুরনো দিনের রোমান্টিক মুভির মধ্যে অনেক পার্থক্য। বর্তমান সময়ে কালের রোমান্টিক মুভির মধ্যে একটা নোংরামি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যেটা অনেকটা দৃষ্টিকটু। পুরনো দিনের মুভি গুলোর মধ্যে নায়ক নায়িকাদের পরিচয় হওয়ার একটা কমন দৃশ্য ধাক্কা লাগা। আপনি এত সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন যেন আরেকবার দেখা হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেয়ার জন্য।

কাহিনী পরেই বোঝা যাচ্ছে জব্বর এখান মুভি।এমনিতে উত্তম সুচিত্রা পুরোনো মুভি গুলো খুবই হিট এমন কি এখন অবদি সেরার সেরা এগুলো।এদের রেটিং করার ক্ষমতা আমার নেই।

অসম্ভব সুন্দর আর শিক্ষণীয় গল্প দিয়ে বানানো সিনেমাটি।অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন দাদা আমি খুব দ্রতই সিনেমাটি দেখবো।

সাগরিকা মুভিটি আমি দেখেছি। আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই মুভিটি সত্যিই অসাধারণ। আসলেই আগের কার মুভি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আর আগের কার মুভিগুলো পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে দেখে আনন্দ উপভোগ করা যায়। বর্তমানে মুভির তুলনায় আগের মুভির কাহিনী গুলো সত্যিই অসাধারণ। এই মুভিগুলা এখনও আমাদের মাঝে রয়েছে। এই মুভিগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। সত্যিই খুবই সুন্দর ভাবে মুভিটি আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। আপনার রিভিউ করা দেখে আবারও মুভিটি দেখার ইচ্ছা জাগল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, সুন্দর এই মুভিটি আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য।

উত্তম-সুচিত্রা জুটি সামনে আসলেই আমি যেন এক ভিন্ন জগতে চলে যাই দাদা। এমন অমর জুটি এখন অবধি দেখিনি আর। আমি তো বাংলার ছাত্রী। তাই গল্প পড়তে খুব পছন্দ করি। তোমার লেখা টা যখন পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল গল্পের বই পড়ছি। এত সুন্দর গুছিয়ে লিখেছো। মুভিটা আরেকবার যেন দেখা হয়ে গেল।

সাগরিকা মুভিটি পুরাতন হলেও এখনো দেখা হয়নি ।আপনার মুভি রিভিউ এর মাধ্যমে পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগলো। একসময় দেখার চেষ্টা করব খুবই সুন্দর একটা মুভি আশা করি। আমাদের সাথে এত সুন্দর বিবৃতির মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

সুচিত্রা এবং উওম কুমারের অভিনয় সবার মুখে মুখে অনেক শুনেছি, আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তাদের সম্পর্কে জানলাম, আসলে তাদের মুভি কখনো দেখা হয়নি। তবুও যুগ যুগ পরে এখনো এই নামগুলো আমাদের প্রজন্মের কানে আসে। সত্যিই তাদের অভিনয় দিয়ে জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের মন।

অসাধারণ একটা মুভি রিভিউ পড়লাম এতক্ষন। ভালোবাসা থাকলে ভালোবাসার মানুষকে চিনতে কষ্ট হয়না। এই মুভি রিভিউ পড়ে যা বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা।

উত্তম সুচিত্রা জুটি অনেক সফল এবং জনপ্রিয় ছিল।এই বিষয়টি শুধু লোকের কাছ থেকে শুনেছি।যদিও এই জুটির মুভিগুলোর তেমন একটা দেখা হয়নি।সাগরিকা মুভিটা যদিও দেখা হয়নি।আপনার এই মুভির রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।খুব সুন্দর এবং বিস্তারিত ভাবে মুভির রিভিউ তুলে ধরেছেন।বাসন্তী মেয়েটির বাবা এই সমাজের স্বার্থপর শ্রেণীর লোকদের প্রতিনিধিত্ব করে।এই রকম কিছু লোকজন সমাজে এখনো বিদ্যমান রয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে সর্বকালের এই সেরা জুটির সুন্দর একটি মুভি সাগরিকার রিভিউ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনি দারুন দারুন মুভির রিভিউ দেন। এই মুভি টি দেখেছিলাম তখন হয়তো আমি স্কুল ছেড়ে কলেজের বারান্দায় পা দিয়েছি। উত্তম সুচিত্রা সিনেমা হল জমজমাট । যত দেখি তত দেখতে মন চায়।সাদা কালো টিভিতে দেখেছিলাম এই মুভিটি। ধন্যবাদ দাদা । ভাল থাকবেন।

দাদা আপনি যখন কোন মুভি রিভিউ দেন আমি অনেক উৎসাহের সহিত আপনার রিভিউটি পড়ি। কেননা আপনি কিছু অসাধারণ মুভি রিভিউ দিয়ে থাকেন। যেহেতু আমি মুভি রিভিউ দেই তাই আপনার মুভি রিভিউ দেয়ার ধরন আমার ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি আপনার মত করে রিভিউ দেওয়ার। আপনি মুভির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুঁটিনাটির দারুণভাবে বিশ্লেষণ করেন। উত্তম-সুচিত্রার মুভিগুলো সব সময় মনে মুক্ত করা হয়। সত্যি এই মুভির কাহিনী ছিল অসাধারণ রিভিউটি দুইবার পড়লাম আমার খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা

  ·  3 years ago (edited)

আসলে উত্তম সুচিত্রার এইসব মুভিগুলো যতই দেখা হোক না কেন যেন নেশা আর কাটে না। বার বার দেখতে ইচ্ছা হয় তাদের অভিনীত মুভিগুলো।

সত্যি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন উত্তম-সুচিত্রার মুভিগুলো দেখলেই যেন আবারো দেখতে ইচ্ছে করে। উত্তম-সুচিত্রা জুটি মানি অসাধারণ মুভি। আসলে ভাইয়া আগেরদিনের মুভি গুলোর মধ্যে খুবই সুন্দর সুন্দর সামাজিক গল্প তুলে ধরে। উত্তম-সুচিত্রার 'সাগরিকা' মুভিটি আমার দেখা হয়নি। আপনার মুভি রিভিউ পড়ে যা বুঝলাম সত্যি খুব সুন্দর এবং বাস্তব ঘটনাগুলো তুলে ধরেছে এই মুভিটার মাধ্যমে। সত্যিই আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে মুভি রিভিউটা পড়ে। এরকম সুন্দর সামাজিক ছবিগুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তাই আমি অবশ্যই মুভিটা একদিন দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। ‌‌

উত্তম কুমার সুচিত্রা সেনের সাগরিকা মুভিটি আমি দেখেছিলাম বলে মনে পরে না, আর তাই এই মুভিটি দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলাম ।দাদা আপনার ব্যক্তিগত মতামটি সত্যি আমায় মুভিটি দেখার আগ্রহ জাগায়। শুভকামনা